ফের চট্টগ্রামের পথে পাকিস্তানি জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান’

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কনটেইনার পণ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে এর স্থানীয় প্রতিনিধি।

এবার জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে, যা প্রথমবারের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছিল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। নতুন জাহাজটি আবারও একই রুটে আসছে, তবে এর কনটেইনারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

জাহাজটিতে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক পদার্থ, খনিজ এবং ভোগ্যপণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পণ্যের বিস্তারিত তালিকা শিপিং কোম্পানি অনলাইনে জমা দিলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচি বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সেবা চালু হয়। এই সেবা পরিচালনা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’, আর বাংলাদেশে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড।

গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানিয়েছেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার পাকিস্তান থেকে কনটেইনার আনার হার বেড়েছে। তিনি আরও জানান, এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এই পথে নতুন জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

এই নতুন সেবা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, জাহাজটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ১১ ডিসেম্বর করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার বোঝাই করে এটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম 




পর্যটক বাড়লেও চর কুকরি-মুকরিতে নেই কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা

ভোলার চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সাগরের নির্মল বাতাস, সবুজ বন এবং অতিথি পাখির কলকাকলি পর্যটকদের হৃদয়ে নতুন আনন্দের ঝিলিক তৈরি করছে। তবে, প্রতিবছর পর্যটক আসার সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তবুও এখানকার কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। বিশেষত, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং অন্যান্য সুবিধার অভাবে পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

চর কুকরি-মুকরির তাড়ুয়ার দ্বীপ প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে প্রবাহিত সরু খাল, ঘন বন, এবং সাগরের কোল ঘেঁষে থাকা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাড়ুয়া সৈকত প্রকৃতির প্রেমীদের জন্য এক অপূর্ব স্থান। এ অঞ্চলের বন্যপ্রাণী যেমন চিত্রাহরিণ, বন মোরগ, এবং অতিথি পাখি পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। এখানকার মনোরম পরিবেশ প্রকৃতির খোঁজে আসা হাজারো পর্যটককে মুগ্ধ করছে।

তবে, পর্যটকদের সংখ্যা বাড়লেও, এই দ্বীপে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল, যা পর্যটকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবুও স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ আশ্বাস দিয়েছে, তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুকরি-মুকরীতে ইকো-পার্ক স্থাপন করা হয়, যা পর্যটনের জন্য নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।

পর্যটকরা এখানে সাগরের নোনা জলে গা ভেজানোর পাশাপাশি খেলা-ধুলার মধ্যে তাদের সময় কাটান। তাবু খাটিয়ে রাত কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে ৭তলা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার, যা পর্যটকদের বন ও নদীর দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়। পর্যটকরা এখানকার সবুজ প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চান, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে তাদের কিছুটা হতাশা দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা সোহেল চৌধুরি বলেন, “কুকরি-মুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, এখানে কৃত্রিম কিছু নেই, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হলে আরও বেশি পর্যটক আসবে।”

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের সম্ভাবনা অপরিসীম, তবে এই অঞ্চলের আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশাল পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযানে দুই দালাল আটক

বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদক বরিশাল অফিসের একটি টিম পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলেন শাহিদা বেগম এবং তার সহযোগী, তবে তাদের দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এখনও জানা গেছে, বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে সেবা প্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ছিলেন। এই দালাল চক্রের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও দুদক পাসপোর্ট অফিসে দুটি অভিযান পরিচালনা করেছিল, তবে তাদের পক্ষ থেকে কাউকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। তবে এবার তৃতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে দুদক দুই দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এইচএম আক্তারুজ্জামান এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সেবার কাজে নিয়ম বহির্ভূত আচরণের অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক আজ অভিযান চালিয়ে দুই দালালকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




উত্তরা ও তুরাগ নদের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

গাজীপুরের টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) উত্তরা, কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, সেক্টর-১০ এবং তুরাগ নদের আশপাশে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা বা বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারার আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাটি আজ (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ২টা থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার আগে সাদপন্থী মুসল্লিরা ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে, জুবায়েরপন্থিরা ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন এবং সাদপন্থীদের মাঠে প্রবেশ করতে দিতে চাননি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) এবং বেলাল (৬০) নিহত হন।

এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জুবায়েরপন্থিরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় অবরোধ করে তারা। এর ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ঝালকাঠিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সেবা বিপর্যস্ত

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার হত্যাসহ চার মামলার আসামি হয়ে এলাকায় অনুপস্থিত থাকছেন। এর ফলে, ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

বিউটি সিকদার মোবাইল ফোনে দাবি করেছেন, তিনি এলাকায় আছেন এবং দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি গত কয়েক মাস ধরে প্রায় অনুপস্থিত থাকেন।

২০১২ সালের জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন বিউটি সিকদার। এরপর থেকেই তিনি দলের কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। তবে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হওয়ায় এলাকায় তার উপস্থিতি খুবই কমে গেছে।

উল্লেখযোগ্য মামলাগুলোর মধ্যে একটি হত্যা মামলা রয়েছে, যেখানে শুক্তাগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিউটি সিকদারকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া, বেশ কিছু চুরির মামলায়ও তার নাম রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় সেবা যেমন জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ পাওয়ার জন্য তারা বারবার ইউনিয়ন পরিষদে আসলেও চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে তাদের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

শুক্তাগড় ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, “চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে পরিষদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।”

এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ আসামির খালাস, পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৭ আসামিকে হাইকোর্ট খালাস দিয়েছে। পাশাপাশি উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ৬ নভেম্বর, ২০২৩, এই মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। ওইদিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল, সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।

অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালত সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় একই আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




গৌরনদী শ্রেষ্ঠ উপজেলা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বরিশালের শীর্ষে

বরিশাল জেলার মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে দক্ষতার সাথে কাজ সম্পাদন করে গৌরনদী উপজেলা শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন গৌরনদী উপজেলা কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দেন এবং তাদের শ্রেষ্ঠ উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।

পরে জেলা প্রশাসক গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খানের হাতে স্বীকৃতির সনদ তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, “জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সহকর্মীদের প্রচেষ্টার কারণেই গৌরনদী উপজেলা জেলার মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে। আমরা এই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “যেকোনো ভাল কাজের স্বীকৃতি ওই কাজ করার প্রতি উৎসাহ যোগায়। তাই পরিচ্ছন্ন ও উন্নত সেবা প্রদান করে গৌরনদীবাসীকে আরো সম্মানের স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে দুর্ঘটনা ঘটলেই টনক নড়ে প্রশাসনের

বরিশাল-ভোলা নৌরুটে চলাচলকারী স্পিডবোটে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল না, এমন অভিযোগ উঠে এসেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের কাছ থেকে। সম্প্রতি, ৫ ডিসেম্বর ভোলা থেকে আসা একটি স্পিডবোট ও বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই দুর্ঘটনার পরই প্রশাসন কার্যক্রমে তৎপর হয় এবং স্পিডবোট চালকরা এখন থেকে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করতে শুরু করেছে।

ভোলা জেলার বাংলাবাজার এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি প্রায় প্রতিদিনই এই রুটে স্পিডবোটে যাতায়াত করি, কিন্তু কখনোই যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা দেখিনি।” অন্যদিকে, ভোলার আরেক যাত্রী জুথি আক্তার জানান, তিনি প্রতিনিয়ত এই রুটে যাতায়াত করেন এবং আগেও লাইফ জ্যাকেটের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন কিছুটা স্বস্তি এসেছে, কারণ চলতি সপ্তাহ থেকে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় যাত্রীদের দাবি, স্পিডবোট চালকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন, কিন্তু তারা বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হোক।”

প্রশাসনিক উদ্যোগের পর, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে। তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোট ও বাল্কহেডের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না এবং স্পিডবোট চালক ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক, যার কোনো লাইসেন্সও ছিল না।

বরিশাল জেলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম বলেন, “স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট রাখা হলেও, অনেক যাত্রী তা পরতে চান না। তবে এখন থেকে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বরিশাল প্রান্ত থেকে ২৯টি বৈধ স্পিডবোট চলাচল করছে, যেখানে সকল কাগজপত্র ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড বরিশালের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মতিউর রহমান জানান, “সব স্পিডবোট মালিক ও চালকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দুর্ঘটনা রোধে স্পিডবোট মালিক ও চালকদের সচেতন করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর কোনো ধরনের অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে ধসে পড়ার ৮ মাসেও সংস্কার হয়নি সেতু, ভোগান্তিতে ৩ গ্রামবাসী

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ ৮ মাস ধরে সেতু ভেঙে চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার। সেতুটি ২০১৮ সালে ধ্বংস হওয়ার পর চলতি বছরের ৩ মে রাতে পুরোপুরি ধসে পড়ে, কিন্তু এ পর্যন্ত এলজিইডি বিভাগ থেকে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৮ সালে সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার পর ৩ মে সেতুটি পুরোপুরি ধসে পড়ে। এরপর থেকে গ্রামের লোকজন ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে, নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু ও বৃদ্ধদের।

গ্রামবাসী জানিয়েছেন, সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের সুমালা ঘরামী, সুমন দাস ও লীলা বিশ্বাস বলেন, “জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে। আমাদের কষ্টের কোনো শেষ নেই।”

ধান ব্যবসায়ী অজয় সমাদ্দার বলেন, “এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়, কিন্তু সেতু ভাঙার কারণে ধান পরিবহন করা যাচ্ছে না। আমরা ধান কিনতে পারছি না।”

এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রবীন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “সেতু ধসে পড়ার খবর পাওয়ার পর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলেই সংস্কার কাজ শুরু হবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্ল্যান অনুমোদনে দীর্ঘসূত্রিতা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বসিক) প্ল্যান অনুমোদন বন্ধ থাকা এবং এতে সৃষ্ট হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদে বরিশাল এসোসিয়েশন অব বিল্ডিং কনসালটেন্টস ও বরিশাল নাগরিক অধিকার আন্দোলন এর আয়োজনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নগর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা দীর্ঘদিন ধরে বসিক কর্তৃক প্ল্যান অনুমোদন প্রক্রিয়ার স্থবিরতা, হয়রানি এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়নে উদাসীনতার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা দ্রুত বরিশাল ইমারত বিধিমালা ২০২০ পুনর্বহালের দাবি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জি. মোঃ আবু ছালেহ, ইঞ্জি. আকতার হোসেন, ইঞ্জি. জাহিদুল ইসলাম, শ্রমিক সংগঠন থেকে মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা ও মোঃ সোহেল রানা, ব্যবসায়ী ও প্রোপার্টি ডেভেলপারদের মধ্যে মোঃ নাছির উদ্দিন ও মোঃ মিজানুর রহমান ভূইয়া।

মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধির উপস্থিতি বরিশালের নাগরিক সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম