সন্দেহজনক ১৩ ব্যাংকের তথ্য তলব ডলা‌রের দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়‌ছে পণ‌্য আমদানি। অন‌্যদি‌কে আগের ব‌কেয়া এলসি বিল পরিশোধ বে‌ড়ে‌ছে। একইস‌ঙ্গে বি‌দে‌শে ভ্রমণও বে‌ড়ে গে‌ছে। ফ‌লে যে হা‌রে ডলা‌রের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে সেই হা‌রে যোগান তুলনামূলক কম।

অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যাংকগুলো ১২০ টাকা ঘোষিত ডলারের চে‌য়ে ৮ থে‌কে ৯ টাকা বে‌শি দরে রেমিট্যান্স কিনছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারেও। এর সুযোগ নিয়েছে কিছু অসাধু চক্র।

খোঁজ নি‌য়ে জানা গে‌ছে, ব‌্যাংকগু‌লো ডলার সংক‌টে রেমিট্যান্স কিনেছে স‌র্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখা‌নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর কার্ব মা‌র্কেটে বা খোলাবাজা‌রে মা‌র্কিন ডলা‌রের দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও ছিল যা ছিল ১২৩ থে‌কে ১২৪ টাকা।




ভোলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে আমনের ভালো ফলন

ভোলা জেলার কৃষকদের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সব শঙ্কা কাটিয়ে এবছর আমন ধানের ফলন অত্যন্ত ভালো হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও অতিজোয়ারের কারণে শুরুর দিকে যে সমস্যাগুলি তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে কৃষকরা নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে এবং অতিরিক্ত লাভের আশা নিয়ে ধান কেটে মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন। রোগ-বালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণও ছিল কম, যার কারণে এবারের আমন ফসলের ফলন বিশেষত প্রশংসনীয় হয়েছে।

এবছর আমন ধানের ফলন কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। অনেক কৃষক তাদের খরচ মেটাতে সক্ষম হবেন এবং পূর্বের ঋণ পরিশোধও করতে পারবেন। ফলন ভালো হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটেছে এবং বিশাল মাঠজুড়ে সোনালি ধানের দোল খাওয়া দৃশ্যটি প্রমাণ করছে কৃষকদের আনন্দ।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা মিলে ৭ উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ ২৮ হাজার কৃষক রয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার কৃষক আমন আবাদ করেছেন। চলতি বছর, জেলার ৭ উপজেলায় আমন ধানের জন্য মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭৬ হেক্টর জমি।

সরেজমিনে ভোলা সদর ও দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের আমন ধান চাষ করেছেন, যেমন ব্রি-৫২, বিআর-২২, বিআর-২৩, স্বর্ণা, বিনা-১৭, ২০, ব্রি-৬৬, ৭০, ৭৮, ১০৩ ইত্যাদি। ধানের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ফলনও ভালো হওয়ায় কৃষকরা আশান্বিত। অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের জমির পাকা ধান কেটে নিয়েছেন, আর বাকিরা ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক মোজাম্মেল মাঝি জানান, তিনি ১৩ গন্ডা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে এবং তিনি আশা করছেন লাভবান হবেন। চরসামাইয়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহিম মিয়া ৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন এবং ইতোমধ্যে ১ হেক্টরের ধান ১২ মন পেয়েছেন, যা তিনি ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

এদিকে, ইলিশা ইউনিয়নের কৃষক মো. মাইনউদ্দিন জানান, তার জমিতে প্রথমে অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ধানের চারা পচে গিয়েছিল। পরে তিনি আবার ধান রোপণ করেন এবং আশা করছেন ন্যূনতম ২৭ হাজার টাকার ধান পাবেন।

দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের কৃষক মো. মোসলেহউদ্দিন বলেন, তিনি সমিতি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে আমন ধান আবাদ করেছিলেন। যদিও জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে আমনের চারা পচে গিয়েছিল, তবে তিনি আবারও ধান লাগিয়েছেন এবং আশা করছেন লাভ হবে।

ধানের ব্যাপারী মো. মিজান জানান, তিনি সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে ১ হাজার ৭০ থেকে ১,১০০ টাকা মণে আমন ধান কিনছেন এবং পরে আড়তদারের কাছে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ এ এফ এম শাহাবুদ্দিন বাসস’কে জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টি ও অতিজোয়ারের কারণে কিছু চারা পচে যাওয়ায় কৃষকরা অতিরিক্ত চারা সংগ্রহ ও কূশী ভেঙে পুনরায় রোপণ করেছেন, যার ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হওয়ায় প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ৪ দশমিক ৯ টন।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে পাঁচটি প্রধান চ্যালেঞ্জ : ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ ৬ষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয় করণীয়

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আর্থিকখাতের সংস্কার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসরকারি খাত সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। ব্যক্তি খাত ও সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে অলিগার্কিক মার্কেটের প্রভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিনিয়োগ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

অর্থনীতিবিদ আরও জানান, বিনিয়োগ স্থবির থাকার কারণ শুধু অর্থনৈতিক নীতি নয়; এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়গুলোরও জড়িত। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, তবে ধীরে ধীরে সফলতা আসছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ দিক

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তথ্য বিভ্রাটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, আর্থিকখাতের উন্নয়নে দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকিং অ্যালমানাকের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর্থিকখাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিনিয়োগ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগ এবং ব্যক্তি খাতের সম্পৃক্ততা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বিশ্বব্যাংকের ১.১৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেল বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংক থেকে ১.১৬ বিলিয়ন বা ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার ৯২০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস এ ঋণ অনুমোদন করেছে। এই ঋণ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন খাতে উন্নতি, এবং সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এই ঋণের মাধ্যমে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

১. সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট

৫০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এতে বায়ুদূষণ হ্রাস, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং টেকসই উৎপাদন ও সেবা নিশ্চিত করার জন্য নীতি সংস্কারে সহায়তা করা হবে।

২. স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম

৩৭.৯ কোটি ডলারের এই প্রকল্প সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি প্রায় ৫১ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করবে এবং মা ও নবজাতকের মৃত্যু কমাতে ভূমিকা রাখবে।

৩. চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট

২৮ কোটি ডলারের এই প্রকল্প চট্টগ্রামের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ পানির সংযোগ প্রদান করবে এবং প্রায় ২ লাখ নতুন সংযোগ স্থাপন করবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই অর্থায়ন দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর কার্যক্রম, টেকসই স্যানিটেশন, এবং নির্মাণ খাতের সবুজায়ন নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ বছরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিদ্ধান্তে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক সাইদুজ্জামান নন্দন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এসএম রাশেদুল হাসান ও একেএম মর্তুজা আলী সাগর। বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের পরিচালককে এই টিমের তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও জয়সহ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকালে তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধকরণ, সম্পদ জব্দ বা ক্রোক করতে পারবে এই কমিটি।

অভিযোগ : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ওঠা ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় দুদক। অভিযোগে রূপপুর ছাড়াও আশ্রয়ণসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলোতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।




টিসিবির জন্য মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল ক্রয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত

দেশের জনগণের জন্য ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয় উৎস থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ক্রয়ে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে মসুর ডাল এবং সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

মসুর ডাল ক্রয়

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আহ্বানকৃত প্রস্তাবের মধ্যে কারিগরি ও আর্থিকভাবে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজকে এই কাজ দেওয়া হয়। প্রতি কেজি মসুর ডালের ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৫ টাকা ৪০ পয়সা, যার জন্য মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

সয়াবিন তেল ক্রয়

এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে পাওয়া একমাত্র প্রস্তাবটি কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি লিটার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭২ টাকা ২৫ পয়সা। মোট ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ

উল্লেখিত মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ করা হবে। সরকারের এই উদ্যোগ জনগণের প্রয়োজন মেটাতে এবং বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহে অচলাবস্থা: উপদেষ্টার মন্তব্য

দেশে সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বৃদ্ধির ৯ দিন পরও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, চাল, ডাল, সয়াবিন তেল এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রয়সংক্রান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে খেজুর, ছোলা, চিনি, মসুর ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজারে সরবরাহে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে বিদেশ থেকে আমদানি ও আনলোডের প্রক্রিয়ার কারণে কিছুটা সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি প্রত্যাশা থাকে যে দামের বৃদ্ধি হলে তা আরও বাড়বে। এই মনোভাবের কারণেই সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। বাজারে কার্যকর মনিটরিং না হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা সব জায়গায় যেতে পারেন না। তাছাড়া বাজারে ক্রেতাদের সচেতনতা এবং অভিযোগের ঘাটতিও লক্ষ্য করা যায়।

সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের শক্তিশালী অবস্থান ভাঙা বেশ কঠিন। তিনি বলেন, “আমরা চাই সবাই ব্যবসা করুক, তবে অতিরিক্ত মুনাফা যেন না করে। উৎপাদনকারীরাও যেন ন্যায্য দাম পায়।”

সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ফের চট্টগ্রামের পথে পাকিস্তানি জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান’

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে কনটেইনার পণ্য নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। আগামী ২২ ডিসেম্বর এই জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে এর স্থানীয় প্রতিনিধি।

এবার জাহাজটিতে সম্ভাব্য ৮২৫ একক কনটেইনার রয়েছে, যা প্রথমবারের তুলনায় দ্বিগুণ। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছিল। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। নতুন জাহাজটি আবারও একই রুটে আসছে, তবে এর কনটেইনারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

জাহাজটিতে পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক পদার্থ, খনিজ এবং ভোগ্যপণ্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পণ্যের বিস্তারিত তালিকা শিপিং কোম্পানি অনলাইনে জমা দিলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

২০২৩ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের করাচি বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কনটেইনার জাহাজ সেবা চালু হয়। এই সেবা পরিচালনা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’, আর বাংলাদেশে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড।

গ্রুপটির নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা জানিয়েছেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার পাকিস্তান থেকে কনটেইনার আনার হার বেড়েছে। তিনি আরও জানান, এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এই পথে নতুন জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

এই নতুন সেবা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, জাহাজটি বর্তমানে শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ১১ ডিসেম্বর করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার বোঝাই করে এটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম 




সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এই চাল সরবরাহ করবে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতি কেজি চালের ক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪.৮০০৪ টাকা, যার ফলে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।

এছাড়া, সরকার আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এবং ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দেশের খাদ্য মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে মোট ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে, যা অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চালের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়, যেগুলোর মধ্যে মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড সর্বনিম্ন দর দিয়ে চুক্তি পায়।

এছাড়া, সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল ক্রয় করা হবে। মসুর ডালের প্রতি কেজির মূল্য ৯৫.৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মোট ব্যয় হবে ৯৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ৪টি দরপত্র জমা পড়লেও শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা চূড়ান্ত ভাবে জয়ী হয়।

তাছাড়া, সয়াবিন তেলও প্রয়োজনীয়তার মধ্যে অন্যতম, যেখানে সরকার স্থানীয়ভাবে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতি লিটার ১৭২.২৫ টাকা দরে ক্রয় করা হবে, এবং মোট ব্যয় হবে ১৮৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল, কিন্তু মাত্র ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সরবরাহের জন্য ১টি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড, ঢাকা এই তেল সরবরাহ করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



রমজান সামনে রেখে ভোজ্যতেল আমদানিতে কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়লো

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সয়াবিন ও পাম তেলের কর অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। একইসঙ্গে ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ার তেলের আমদানিতে আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং মূসক (ভ্যাট) হ্রাস করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য সহনীয় রাখতে ভোজ্যতেলে শুল্ক-কর ছাড়ের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এফসিএমএ’র সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন এবং পাম তেলের অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার পর তা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্যানোলা ও সানফ্লাওয়ার তেল আমদানিতে আগাম কর সম্পূর্ণ অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ের মূসক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এসব তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক-কর থাকছে না।

এর আগে চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর এবং ১৯ নভেম্বর দুই দফায় সয়াবিন ও পাম তেলের শুল্ক-কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল, যা ১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় এবং আসন্ন রমজানে চাহিদা বাড়ার কারণে এই মেয়াদ পুনরায় বাড়ানো হয়েছে।

ভোজ্যতেলে শুল্ক-কর ছাড়ের ফলে আমদানি ব্যয় লিটার প্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে আশা করছে এনবিআর। এর মাধ্যমে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার পরিকল্পনা করেছে সরকার।

এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ বলেন, “রমজানে বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভোজ্যতেলের কর ছাড়ের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম