২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিকল্পনা জমা দেবে এনবিআর
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশনা পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শিগগিরই এনবিআর আইএমএফকে এই পরিকল্পনা জানাতে চায়।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ৩০ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো মাসেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যা ১ দশমিক ০৩ শতাংশ।
এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, আইএমএফের বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই পরিকল্পনা শিগগিরই আইএমএফের ওয়াশিংটনের পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে।
এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এনবিআরকে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে, তবে কর ও শুল্ক বৃদ্ধি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এর প্রভাব মূল্যস্ফীতির ওপর পড়তে পারে। অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে এনবিআর কর রেয়াত এবং শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক রয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে ভ্যাট শাখা, এবং বকেয়া কর, শুল্ক ও ভ্যাট আদায়ে তৎপরতা বাড়ানো হতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে চাপ রয়েছে কর অব্যাহতি ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য করছাড় দেওয়া হলেও এখন তা কমাতে হবে।
এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর তিন লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা জিডিপির ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ০ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, চলতি মাসগুলিতে রাজস্ব আদায় কমেছে, যার ফলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এনবিআর।
এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম