২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিকল্পনা জমা দেবে এনবিআর

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বর্ধিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশনা পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শিগগিরই এনবিআর আইএমএফকে এই পরিকল্পনা জানাতে চায়।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ৩০ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা ঘাটতি দেখা গেছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো মাসেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, যা ১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, আইএমএফের বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এই পরিকল্পনা শিগগিরই আইএমএফের ওয়াশিংটনের পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে।

এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এনবিআরকে অতিরিক্ত ১২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে, তবে কর ও শুল্ক বৃদ্ধি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এর প্রভাব মূল্যস্ফীতির ওপর পড়তে পারে। অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে এনবিআর কর রেয়াত এবং শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক রয়েছে।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলেছেন, আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে ভ্যাট শাখা, এবং বকেয়া কর, শুল্ক ও ভ্যাট আদায়ে তৎপরতা বাড়ানো হতে পারে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা থেকে চাপ রয়েছে কর অব্যাহতি ব্যাপকভাবে কমানোর জন্য। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য করছাড় দেওয়া হলেও এখন তা কমাতে হবে।

এর আগে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর তিন লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা জিডিপির ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি বছর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ০ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, চলতি মাসগুলিতে রাজস্ব আদায় কমেছে, যার ফলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের সাবেক সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের নতুন উদ্যোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎখাতে প্রতিযোগিতার অভাব এবং গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে আমাদের অতিরিক্ত মূল্যে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে। বর্তমানে জ্বালানি খাতে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, যা প্রতি মানুষের মাথাপিছু প্রায় ৩০০০ টাকার সমান।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত জ্বালানির সহনীয় মূল্য ও নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “গ্রাহকরা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় মূল্য ৮.৫৫ টাকা দিলেও সরকার তা ১২-২৫ টাকা দামে কিনে থাকে। এলএনজি আমদানিতে ৭০ টাকা খরচ হলেও, শিল্পখাতে ৩০ টাকা দামে সরবরাহ করা হচ্ছে, ফলে এই পার্থক্য সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে মেটাতে হচ্ছে।”

তিন বলেন, “বিদ্যুৎ খাতে প্রতিযোগিতার অভাব এবং গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে অধিক মূল্যে জ্বালানি ক্রয় করতে হচ্ছে। আমাদের ৪ হাজার এমএমসিএফটি গ্যাসের প্রয়োজন, যদিও আমাদের রয়েছে ৩ হাজারের কম। ঘাটতি মেটাতে নিজের গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম বাড়াতে হবে।” তিনি আরও জানান, ভোলায় প্রায় ৭০ সিএমএফএফটি গ্যাস মজুদ রয়েছে এবং এর উত্তোলন কার্যক্রমে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হবে।

এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা ছাড়া কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না বলে জানান উপদেষ্টা। “তেল আমদানির ক্ষেত্রে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩৫ শতাংশ কম মূল্যে পেয়েছি, এর ফলে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে,” বলেন তিনি।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ খাতে আইপিপি-এর পরিবর্তে মার্চেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট ব্যবস্থা চালু হবে এবং পর্যায়ক্রমে ৪০টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এছাড়াও, সরকার থেকে প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান করা হবে এ ধরনের প্রকল্পগুলোর জন্য।

এছাড়া, সরকারি কিছু সংস্থা যেমন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রেল, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক বিভাগের অনেক জমি রয়েছে, যেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেখানে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য ১৫ বছরের কর অব্যাহতির সুযোগ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, “শিল্পখাতে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি বৃদ্ধি করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশীয় মজুদকৃত কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বৃদ্ধির দিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যদিও কয়লা উত্তোলনে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।”

ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, “সৌরবিদ্যুতের প্রচুর সম্ভাবনা থাকার পরেও জমি বরাদ্দে জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রিতার কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোনো হয়ে পড়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে, যা এখনই চিন্তা করা প্রয়োজন।”

পারমাণবিক শক্তি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে এবং জ্বালানি আমদানি নীতিমালা সংশোধন করে মূল্য স্থিতিশীল রাখার কৌশলও গ্রহণ করতে হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোর এলসি খোলায় শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক শরিয়াভিত্তিক ৬ ব্যাংকের এলসি খোলার জন্য শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে। এসব ব্যাংক হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলো গত সরকারের সময় বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের দখলে ছিল।

আগে এসব ব্যাংকে এলসি খোলার জন্য ১০০ টাকার এলসি বিপরীতে ১০০ টাকা মার্জিন রাখতে হতো, যা এখন আর বাধ্যতামূলক নয়। এখন ব্যাংক এবং গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা যাবে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে স্বামীর নির্যাতনে তিন সন্তানের মায়ের অসহায় জীবন

এস আলম গ্রুপের দখলে থাকা এসব ব্যাংকগুলি ২০১৪ সালের পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারির মধ্যে ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় এস আলম গ্রুপের দখলমুক্ত করে ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয় এবং পরে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এসব ব্যাংকে ঋণ বিতরণ ও বিনিয়োগে বিভিন্ন ধরনের শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, যার মধ্যে এসওডি এবং শতভাগ নগদ মার্জিনের বিপরীতে বিনিয়োগের শর্ত ছিল।

এছাড়া, ওই সময়ে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছিল, কৃষি, চলতি মূলধন, সিএমএসএমই, প্রণোদনা প্যাকেজ এবং নিজ ব্যাংকে রক্ষিত এফডিআরের বিপরীতে বিনিয়োগ ছাড়া অন্য কোনো বিনিয়োগ করা যাবে না। ৫ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। এর পাশাপাশি, মেয়াদোত্তীর্ণ বা সীমাতিরিক্ত বকেয়া স্থিতির বিনিয়োগ সুবিধা নবায়ন না করার নির্দেশনা ছিল।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



খাদ্য মূল্যস্ফীতি নাগালের বাইরে, বেড়েছে ১৩.৮০%

নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৮০ শতাংশ, যা গত এক মাসে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা এবং তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এর ফলে সাধারণ জনগণের জন্য খাদ্যপণ্যের দাম আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।

নভেম্বর মাসে শুধু খাদ্য নয়, সাধারণ মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। গত মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৮৭ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে বেড়ে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি সামগ্রী, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দামও বেড়েছে। এই সকল কারণে সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বাড়ছে।

এছাড়া, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২.৫৪ শতাংশে পৌঁছেছিল, যা ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ২০১১ সালের অক্টোবরে, যেখানে ১২.৮২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি দেখানো হয়েছিল।

এদিকে, জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ১৪.১০ শতাংশে পৌঁছেছিল।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মুদ্রাস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের লক্ষ্য ৭ শতাংশে নামানো

দেশে বন্যার প্রভাবে বর্তমানে সবজি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে এবং বাজার পরিস্থিতি ততটা ভয়াবহ হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, তাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা।

তিনি আরো জানান, ৫ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করা হচ্ছে এবং মূল লক্ষ্য হল মুদ্রাস্ফীতিকে ৪-৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা। তার মতে, এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব এবং সেটি সফল হলে ব্যাংকের সুদ ও নীতি সুদহার কমিয়ে আনা হবে।

ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘টিপিং পয়েন্টস অব রিফর্ম অ্যাজেন্ডা ফর দ্যা টার্নঅ্যারাউন্ড অব দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক ন্যাশনাল ডায়লগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির চারটি স্তম্ভ—ব্যাংকিং, স্টক মার্কেট, ইন্স্যুরেন্স এবং বন্ড মার্কেটের মধ্যে কোনোটি শক্তিশালী নয়। ব্যাংকিং খাতই দেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হয়ে কাজ করছে। দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উৎস তৈরিতে ব্যর্থ হলে, আমাদের ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হবে না। তবে উপায় বের করে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের মাইগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ৫ দিনের জন্য ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন ও ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডাচ-বাংলা ব্যাংককে নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে মাইগ্রেশনের জন্য তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং সার্ভিস ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি-এর আবেদন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার অধীনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাওয়া যাবে ১.১ বিলিয়ন ডলার আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাংলাদেশ তার ঋণের চতুর্থ কিস্তি হিসেবে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে আইএমএফ-এর ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের চতুর্থ কিস্তির ১.১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে। বৈঠকে আরও আলোচনা হয়েছে, “আমরা আশা করছি, এই পরিমাণ ঋণ আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে আমাদের হাতে আসবে।”

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করা হয়েছে এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে যা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তিনি আরও জানান, এই ঋণ প্যাকেজে কিছু সংস্কার কার্যক্রমের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতদলের ৬ সদস্য আটক

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অতিরিক্ত ফান্ডের বিষয়ে আবার আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব খাতে বড় সংস্কার প্রয়োজন, আর এসব সংস্কার কার্যক্রমের জন্য অতিরিক্ত ফান্ডের প্রয়োজন। তিনি জানান, চলমান ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজের প্রথম কিস্তি ছাড় হয়েছে, তবে আরও ফান্ড প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশের রেমিট্যান্স সেক্টর ও রপ্তানি ভালো করছে জানিয়ে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, “আমাদের রপ্তানি বাড়ছে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহও ইতিবাচক। যদিও কিছু ক্ষেত্রে আমদানি কমেছে, তবুও রপ্তানি ভালো।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যর্থতায় অর্থনৈতিক খাতের বিপর্যয়

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর মতে, দেশের অর্থনৈতিক খাতকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি দায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক। সেবা খাতের দুর্নীতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেছেন।

 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাফিলতির কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংসের পথে। গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগসাজশে ব্যাংকগুলোতে দখলদারি চলছে।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং পাসপোর্ট অফিস দুর্নীতি রোধের বিষয়ে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় না। সরকারি অফিসগুলোতে সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি করা হয়, যার সুবিধা পাচ্ছে এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

২০২৩ সালে দেশের পাঁচটি দুর্নীতিগ্রস্ত সেবা খাতের মধ্যে পাসপোর্ট খাত ছিল শীর্ষে। গ্রামাঞ্চলের মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ বাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “যাদের দায়িত্ব দুর্নীতি রোধ করা, তারাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ফলে দুর্নীতি কমানোর কোনো বাস্তব উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ডিসেম্বর মাসে এলপি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত, ১২ কেজি এলপিজির মূল্য ১৪৫৫ টাকা

ডিসেম্বর মাসে এলপিজি গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানায়, ১২ কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৪৫৫ টাকা এবং অটোগ্যাসের দাম (লিটার প্রতি ৬৬.৮১ টাকা) অপরিবর্তিত থাকবে।

নতুন দাম আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে, এই ঘোষণা বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডাকাতদলের ৬ সদস্য আটক

বিইআরসির অন্যান্য সদস্যরা, সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং কমিশনের সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

এলপিজির দাম সম্পর্কে বিইআরসি জানায়, ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল সৌদি আরবের এলপিজি দাম উঠা-নামার সাথে সাথে বাংলাদেশের ভিত্তিমূল্যও পরিবর্তিত হবে। তবে অন্যান্য কমিশনের দাম অপরিবর্তিত থাকবে। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রতি মাসেই এলপিজির দাম ঘোষণা করা হচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ক্রেডিট কার্ডের সুদহার বেড়ে হবে ২৫ শতাংশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে মাসিক খরচ সামলাতে যাঁরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ, ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেডিট কার্ডের সুদের হারও বাড়ছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এ–সংক্রান্ত অনুরোধে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের ঋণের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ সুদহার বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ শতাংশ, যা এখন ২০ শতাংশ।