হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারের দিকে তাকিয়ে ইউজিসি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টির নামই ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার নিজের নামে দুটি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ৯টি, আর শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলে ভবিষ্যতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হতে পারে।

স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ৫৫টি। যার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগের নামকরণ হয় শেখ পরিবারের নামে। যা প্রতিষ্ঠা হয় বিগত সরকারের ১৫ বছর সময়কালে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরন আছে। যেমন- সাধারণ, মেডিকেল, মেরিটাইম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস, কৃষি, ডিজিটাল— মোট ৭ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। তার স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে জামালপুর ও সিলেটে আছে আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। আর কন্যা শেখ হাসিনার নামে নেত্রকোণা ও খুলনায় আছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে মুছে ফেলা হয়েছে শেখ পরিবারের চিহ্ন। গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ ও সিলেটে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে শব্দ মুছে ফেললেই নাম পরিবর্তন হয় না। সাধারণত ইউজিসিতে আবেদনের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সংসদে বিল আকারে পাশ হতে হয়।




গলাচিপায় মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে সুহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাজা মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি গলাচিপা উপজেলা শাখার আয়োজনে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গলাচিপা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক এম এ মতিন, সদস্য সচিব মনজুরুল আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মশিউর রহমান (শাহীন)।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুনতাসীর মামুন।

সভাপতি মো. রাজা মিয়া বলেন, “শিক্ষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করাই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য।”

সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমরা শিক্ষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করব এবং শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটানোর জন্য একযোগে প্রচেষ্টা চালাব।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা রুটিন প্রকাশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে। এদিকে এর আগে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করা হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ওয়েবসাইটে কেন্দ্র ও কেন্দ্রওয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হয়।




পবিপ্রবিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি শুরু, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ডোপ টেস্ট চালু করা হয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মাদকাসক্তি সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করা হবে, যা নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে ভর্তি কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিন শুরু হয়। এ কার্যক্রমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাদক গ্রহণের বিষয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই পরীক্ষায় সহায়তা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বেলা ১২টার দিকে ভর্তি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহান জানান, ভর্তি কার্যক্রম মোট সাতটি স্তরে সম্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের রক্ত পরীক্ষা, ডোপ টেস্ট, স্বাক্ষর যাচাই, তথ্য যাচাই, রেজিস্ট্রেশন প্রদান, ভর্তি ফি গ্রহণ, চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন যাচাই, হল সংযুক্তি প্রদান এবং হলের আসন বণ্টনের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “ডোপ টেস্টে চারটি ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্লিপিং পিল, মারিজুয়ানা (গাঁজা), ইয়াবা এবং আফিম। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী স্লিপিং পিল গ্রহণ করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা হলে তা কাউন্সেলিংয়ের জন্য পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নতুন ভর্তি হওয়া কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সাব্বির বলেন, “ভর্তি কার্যক্রমে কোনো ধরনের ভোগান্তি হয়নি, সবকিছু খুবই ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন: যা বাদ পড়ছে, যা যুক্ত হচ্ছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বদলে যাচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সব পাঠ্যবই। মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা, কবিতা অথবা কার্টুন। প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে থাকছে গ্রাফিতি। এর বাইরে ইতিহাসনির্ভর অনেক বিষয়েও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ‘অতিরঞ্জিত’ চিত্র। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার কথা জানানো হয়। এ কারণে চলতি বছরের চেয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাতিল করা নতুন শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিক স্তরে একেকটি শ্রেণির জন্য ১০টি বিষয় ছিল। পুরোনো শিক্ষাক্রমে বিষয় আরও বেশি। যেমন পুরোনো শিক্ষাক্রমে মাধ্যমিকে বইয়ের সংখ্যা ২৩ (সব কটি সবার জন্য নয়)। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ায় আবার ছাপা হচ্ছে আরবি, সংস্কৃত, পালি ভাষা শিক্ষা বই।

পাঠ্যপুস্তকে নানা পরিবর্তনের কথা নিশ্চিত করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘ইতিহাসে যাঁর যাঁর যে স্থান বা ভূমিকা, সেটাই আমরা নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এ জন্য পরিমার্জনের সঙ্গে জড়িত লেখক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।’

বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ইতিহাসনির্ভর বিষয়েও কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। এনসিটিবি সূত্র বলছে, পাঠ্যবইয়ে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। আর বাদ যাচ্ছে বইয়ের শেষ কভারে লেখা শেখ হাসিনার ছবিসংবলিত বাণী। একই সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লেখাও বাদ যাচ্ছে পাঠ্যবই থেকে।




খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষা: গলাচিপার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিপত্তি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ২নং গোলখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বলইবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছেন এবং বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছেন। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরানো ভবন অপসারণ করায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন। খোলা আকাশের নিচে রোদের তাপ ও প্রতিকূল পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে।

মাদ্রাসার সুপার, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা ব্যবহার করার অনুমতি চান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করে অনুমতি দেন, কিন্তু দক্ষিণ বলইবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

এ কারণে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত খোলা আকাশের নিচে পরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং দাবি জানিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ও সুবিধাজনক পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারে।

বলইবুনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় বর্তমানে ৩৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদ্রাসা সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মালেক জানান, ইউএনওর অনুমতিপত্র নিয়ে তারা প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেনের কাছে যান, কিন্তু তিনি তাদেরকে ভবনের নিচতলা ব্যবহার করতে দেননি।

এ বিষয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, তিনি অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না, এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার থেকে অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তার কিছু করার নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, “আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিচতলা ব্যবহারের জন্য লিখিত অনুমতি দিয়েছি এবং প্রধান শিক্ষককে ফোনে না পেয়ে সহকারী শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কেন এটি বাস্তবায়িত হয়নি, তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পদত্যাগের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে তালা, তীব্র আন্দোলনের হুমকি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের নামফলক তুলে দিয়ে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ করে দেন এবং দুইটি কাচের গেট বন্ধ করে দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, গতকাল (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। এই কারণে তারা আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছেন। তারা ঘোষণা করেছেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের মাধ্যমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

আগের দিনই, মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন। তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেননি।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. মোকাব্বেল শেখ বলেন, “বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আল্টিমেটামে উপাচার্যের পদত্যাগের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করায় আমরা তার কার্যালয় তালাবদ্ধ করেছি। পরবর্তী সময়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংগঠনের মাধ্যমে আমরা আরও শক্তিশালী আন্দোলন করব।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, “আল্টিমেটামে দেওয়া সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় আমরা তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়েছি। যদি তিনি দ্রুত পদত্যাগ না করেন, তবে আমরা ভিসির বাংলো ঘেরাও করবো।”

ছাত্রদলের ববি শাখার সাবেক সভাপতি রেজা শরিফ বলেন, “এই উপাচার্য আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। তিনি বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন, যা শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করেছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি এবং আজকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি অবগত আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।


মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না: মাহফুজ আলম

বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল শহিদ আলিফের শাহাদাতসহ শহিদানদের রক্তের মূল্য হতে পারে।”

পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, “দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোনো বহিঃশত্রুকে পরাজিত করবে। আমরা আর উপনিবেশযোগ্য (Colonizable) হবো না।”

দেশের ‘প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের’ ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালআইএইচটিতে সংঘর্ষ, ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বরিশাল সরকারি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে একজন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব স্থগিত করা হয়েছে এবং আটজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আইএইচটির অধ্যক্ষ মানস কৃষ্ণ কুন্ডু সোমবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক বোর্ডের সুপারিশ এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ছাত্রাবাস এলাকায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মাদকসংশ্লিষ্টতার কারণে ছাত্রত্ব স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন আইএইচটির রেডিওগ্রাফি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তদন্ত কমিটির কাছে মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাওয়ায়, তাকে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রত্ব স্থগিত রাখা হয়েছে। এছাড়া ফিজিওথেরাপি অনুষদের ছাত্র মহিন উদ্দিনকে সতর্ক করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত আট শিক্ষার্থী হলেন:

  • ল্যাবরেটরি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের নাবিল মোস্তফা
  • ডেন্টাল তৃতীয় বর্ষের জোবায়েদ আলম
  • ফার্মেসি তৃতীয় বর্ষের মো. মুকিম আলম
  • ফিজিওথেরাপি তৃতীয় বর্ষের এস এম সাহিবুল ইসলাম
  • রেডিওগ্রাফি দ্বিতীয় বর্ষের মো. ফয়সাল আলম
  • ফিজিওথেরাপি দ্বিতীয় বর্ষের মো. রাইসুল ইসলাম
  • রেডিওগ্রাফি দ্বিতীয় বর্ষের মো. বেল্লাল

তদন্তে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর আইএইচটির শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ওই ঘটনায় ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে, যা ২১ নভেম্বর দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করে।

এরপর ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে ভবিষ্যতে মাদকমুক্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

সরকার শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো সংঘর্ষের পেছনে যদি কোনো ধরনের ইন্ধন থাকে, তবে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।

রাজধানীতে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম এই মন্তব্য করেন। তিনি বাসসকে বলেন, “সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, সরকার এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সংঘর্ষে না জড়িয়ে নিজেদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের সংঘর্ষের পেছনে কোনো প্ররোচনা বা ইন্ধন থাকলে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের দৃঢ় অবস্থান হলো, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কোনো অঙ্গনে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

এদিকে, আজ (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে গতকাল (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরকারের পক্ষ থেকে এসব সংঘর্ষের কারণ এবং তার পেছনের চক্রান্ত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম