হোয়াটসঅ্যাপেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সেবা নিতে পারবেন l

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকেই এ সুবিধা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট।

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের জন্য কেবল ফোনের কনট্যাক্টসে ১ (৮০০) চ্যাটজিপিটি বা ১ (৮০০) ২৪২-৮৪৮৭ নম্বরটি সংযুক্ত করতে হবে। এরপর মেটার জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলা যাবে।

তবে এ ফিচারে শুধুমাত্র চ্যাটজিপিটির টেক্সট ইনপুট সুবিধা পাওয়া যাবে। উন্নত ভয়েস মোড কিংবা ভিজুয়াল ইনপুট ফিচার এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে, চ্যাটজিপিটির জিরো ওয়ান মিনি মডেলের সব সুবিধা এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।

অ্যাকাউন্ট ছাড়াই যেখানে চ্যাটজিপিটির চ্যাটবট রয়েছে, সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে। ওপেনএআই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রমাণীকরণের নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছে। তবে ফিচারটি সবার জন্য কবে থেকে উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনও সময় উল্লেখ করা হয়নি।

এনগ্যাজেট আরও জানিয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি চ্যাটজিপিটি হটলাইন চালু করেছে ওপেনএআই। ওই নম্বরটিও ১ (৮০০) চ্যাটজিপিটি। এটি স্মার্টফোন কিংবা পুরোনো ফ্লিপ ফোনেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।

ওপেনএআইয়ের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার কেভিন ওয়েইল জানিয়েছেন, ‘আমরা ওপেনএআইকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি মাত্র।’ সম্প্রতি ‘১২ ডেইজ অফ ওপেনএআই’ লাইভস্ট্রিম চলাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়েইল আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির হ্যাক উইক আয়োজন থেকেই এ ফিচারগুলো তৈরি হয়েছে। চ্যাটজিপিটির এ নতুন সুবিধা প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।




পর্যটক বাড়লেও চর কুকরি-মুকরিতে নেই কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা

ভোলার চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সাগরের নির্মল বাতাস, সবুজ বন এবং অতিথি পাখির কলকাকলি পর্যটকদের হৃদয়ে নতুন আনন্দের ঝিলিক তৈরি করছে। তবে, প্রতিবছর পর্যটক আসার সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু তবুও এখানকার কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পায়নি। বিশেষত, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এবং অন্যান্য সুবিধার অভাবে পর্যটকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।

চর কুকরি-মুকরির তাড়ুয়ার দ্বীপ প্রায় ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে প্রবাহিত সরু খাল, ঘন বন, এবং সাগরের কোল ঘেঁষে থাকা ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তাড়ুয়া সৈকত প্রকৃতির প্রেমীদের জন্য এক অপূর্ব স্থান। এ অঞ্চলের বন্যপ্রাণী যেমন চিত্রাহরিণ, বন মোরগ, এবং অতিথি পাখি পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। এখানকার মনোরম পরিবেশ প্রকৃতির খোঁজে আসা হাজারো পর্যটককে মুগ্ধ করছে।

তবে, পর্যটকদের সংখ্যা বাড়লেও, এই দ্বীপে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল, যা পর্যটকদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তবুও স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ আশ্বাস দিয়েছে, তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি কুকরি-মুকরীতে ইকো-পার্ক স্থাপন করা হয়, যা পর্যটনের জন্য নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে।

পর্যটকরা এখানে সাগরের নোনা জলে গা ভেজানোর পাশাপাশি খেলা-ধুলার মধ্যে তাদের সময় কাটান। তাবু খাটিয়ে রাত কাটানোর জন্য এখানে রয়েছে ৭তলা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার, যা পর্যটকদের বন ও নদীর দৃশ্য দেখার সুযোগ দেয়। পর্যটকরা এখানকার সবুজ প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চান, কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে তাদের কিছুটা হতাশা দেখা যাচ্ছে।

ঢাকা থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা সোহেল চৌধুরি বলেন, “কুকরি-মুকরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা, এখানে কৃত্রিম কিছু নেই, তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হলে আরও বেশি পর্যটক আসবে।”

পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে চর কুকরি-মুকরি তাড়ুয়ার দ্বীপের সম্ভাবনা অপরিসীম, তবে এই অঞ্চলের আরো উন্নয়ন প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে দুর্ঘটনা ঘটলেই টনক নড়ে প্রশাসনের

বরিশাল-ভোলা নৌরুটে চলাচলকারী স্পিডবোটে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা ছিল না, এমন অভিযোগ উঠে এসেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের কাছ থেকে। সম্প্রতি, ৫ ডিসেম্বর ভোলা থেকে আসা একটি স্পিডবোট ও বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। এই দুর্ঘটনার পরই প্রশাসন কার্যক্রমে তৎপর হয় এবং স্পিডবোট চালকরা এখন থেকে যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করতে শুরু করেছে।

ভোলা জেলার বাংলাবাজার এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আমি প্রায় প্রতিদিনই এই রুটে স্পিডবোটে যাতায়াত করি, কিন্তু কখনোই যাত্রীদের জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা দেখিনি।” অন্যদিকে, ভোলার আরেক যাত্রী জুথি আক্তার জানান, তিনি প্রতিনিয়ত এই রুটে যাতায়াত করেন এবং আগেও লাইফ জ্যাকেটের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন কিছুটা স্বস্তি এসেছে, কারণ চলতি সপ্তাহ থেকে লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ শুরু হয়েছে।

স্থানীয় যাত্রীদের দাবি, স্পিডবোট চালকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন, কিন্তু তারা বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করা হোক।”

প্রশাসনিক উদ্যোগের পর, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে। তদন্তে জানা গেছে, দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোট ও বাল্কহেডের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না এবং স্পিডবোট চালক ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক, যার কোনো লাইসেন্সও ছিল না।

বরিশাল জেলা স্পিডবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুল আলম বলেন, “স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেট রাখা হলেও, অনেক যাত্রী তা পরতে চান না। তবে এখন থেকে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “বরিশাল প্রান্ত থেকে ২৯টি বৈধ স্পিডবোট চলাচল করছে, যেখানে সকল কাগজপত্র ও লাইসেন্স নিশ্চিত করা হয়েছে।”

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড বরিশালের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মতিউর রহমান জানান, “সব স্পিডবোট মালিক ও চালকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দুর্ঘটনা রোধে স্পিডবোট মালিক ও চালকদের সচেতন করা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর কোনো ধরনের অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ব্যান হতে পারে আইফোন, বিপাকে অ্যাপল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফোন লঞ্চ না হওয়ার আগেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৭ সিরিজ। এই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোতে থাকবে না সিম ট্রে। পাতলা ডিজাইন রাখার জন্য অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত।

তবে তা মানুষের নজর কাড়লেও আইনি বিপাকে পড়তে পারে অ্যাপল, চীনে ব্যান হতে পারে আইফোন ১৭ সিরিজ। এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে ফোনের বাজার চীন। আর সেখানেই যদি বিশ্বের সব থেকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন আইফোন ১৭ সিরিজ নিষিদ্ধ হয়, তাহলে বেশ ধাক্কা খেতে পারে অ্যাপল।

যদিও এটি কোনও ভূ-রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং চীনের নিয়ম অমান্য করার কারণে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে অ্যাপল। চিনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ফোনে ফিজিক্যাল সিম কার্ড স্লট থাকতে হবে। কিন্তু আইফোন ১৭ সিরিজে ই-সিম প্রযুক্তি আনছে অ্যাপল।




শরীরে আয়রন শোষণ বাড়াবেন যেভাবে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আয়রন একটি অপরিহার্য খনিজ যা আমাদের শরীরের প্রচুর প্রয়োজন। এটি আমাদের রক্ত ​​প্রবাহিত রাখে এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়রনের ঘাটতি ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং ফ্যাকাশে ত্বকের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। আপনার যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে তবে কিছু খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে তারপরেও আয়রনের মাত্রার উন্নতি দেখা যায় না। তাহলে আপনি কোথায় ভুল করছেন? আপনার শরীরে আয়রনের শোষণকে ধীর করে দিচ্ছে কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক কী করবেন-

১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

আয়রন শোষণ বাড়ানোর জন্য সবুজ শাক, খেজুর এবং ডালিমের মতো খাবার নিয়মিত খেতে হবে। এ ধরনের খাবার আয়রন সমৃদ্ধ এবং এগুলো খেলে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আয়রনের প্রস্তাবিত দৈনিক পরিমাণ বয়স এবং লিঙ্গের ওপর নির্ভর করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ অনুসারে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দৈনিক আয়রন গ্রহণের লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রায় ৪ মিলিগ্রাম, যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর লক্ষ্য হওয়া উচিত ১৮ মিলিগ্রাম।

২. চা/কফির সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না

আমরা অনেকেই সারাদিন চা এবং কফিতে চুমুক দিতে পছন্দ করি। তবে এই পানীয়ের সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। এটি আপনার শরীরে আয়রন শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। চা এবং কফিতে ক্যাফেইন এবং ট্যানিন থাকে, উভয়ই আয়রন শোষণকে ধীরগতি করতে এবং কমাতে পরিচিত। জাপান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, চা খেলে আয়রন শোষণ ৩৫% পর্যন্ত এবং কফির সঙ্গে খাওয়ার সময় ৬২% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।

৩. ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার

ভিটামিন সি-এর উৎসের সঙ্গে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হলো ভিটামিন সি একটি অ্যাসিডিক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে, যা আয়রনকে আরও পর্যাপ্তভাবে দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে। সুতরাং সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার সময় তার ওপর লেবুর রস চেপে নিন। এতে আপনার শরীর আয়রন শোষণ করতে সক্ষম হবে, এইভাবে আপনার সামগ্রিক আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

কোন খাবারে সবচেয়ে বেশি আয়রন থাকে?

যখন আমরা আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের কথা ভাবি, তখন পালং শাকই সম্ভবত প্রথমেই মাথায় আসে। আর কেন নয়? এটি আয়রনের একটি চমৎকার উৎস এবং এটি বিভিন্ন রেসিপিতেও যোগ করা যেতে পারে। তবে আরও বেশ কিছু আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার রয়েছে যা আপনার ডায়েটে রাখতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে চিয়া বীজ, শুকনো এপ্রিকট এবং কাজুবাদাম অন্যতম। এই সবগুলোতে উচ্চ আয়রন সামগ্রী রয়েছে, তাই আপনার খাবারে এগুলো যোগ করার চেষ্টা করুন।




শীতকালে যে ৩ আমলে মহা পুরস্কারের ঘোষণা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহর দান। এ সময় কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায় প্রকৃতি সাজে নতুনরূপে। এসব নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য।

এখানে পবিত্র কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতকালে মুমিনের করণীয় ৩টি আমল তুলে ধরা হলো:

বেশি বেশি রোজা রাখা

শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। এতে রোজা রাখা খুবই সহজ হয়। তাই এ ঋতুতে সম্ভব হলে বেশি বেশি রোজা রাখা যায়। হজরত আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।(তিরমিজি: ৭৯৫)

নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়

তাহাজ্জুদ নামাজ সব সময় পড়া যায়। তবে শীতকালে রাত অনেক লম্বা হয়। লম্বা সময় ঘুমিয়ে আবার শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া সহজ হয়। মহান আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেন, ‘তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের রবকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।’ (সুরা সাজদাহ: ১৬)

অসহায়দের শীতবস্ত্র দান করা

শীতকালে অসহায় মানুষ বস্ত্রের অভাবে নিদারুণ কষ্ট করে। একা ভালো থাকা ইসলামের শিক্ষা নয়। বরং সমাজের সবার প্রতি সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কর্তব্য।

শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন। (আবু দাউদ)




চিঠি ডট মি অ্যাপ: গোপনীয়তার বিপদে সাবধানতা অবলম্বন করুন

সম্প্রতি, “চিঠি ডট মি” নামের একটি অ্যাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের পরিচয় গোপন রেখে মনের কথা প্রকাশ করার সুযোগ দেয়, এবং এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, অ্যাপটির মাঝে যে বিপদ লুকিয়ে আছে তা হতে পারে ভয়ংকর, কারণ এটি ব্যবহারকারীদের গোপনীয় তথ্য ফাঁস করার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অ্যাপটি ডাউনলোড করার সময় শর্তাবলীতে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে যে, কিছু পরিমাণ তথ্য তারা সংগ্রহ করবে। এর সাথে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও তারা নিতে পারে, তবে এর সুরক্ষা সম্পর্কে কিছুই নিশ্চিত নয়। অর্থাৎ, এই অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্য সুরক্ষিত কিনা, তা নিশ্চিত করা হয়নি। অ্যাপটি ব্যবহারকারীর আইপি অ্যাড্রেস এবং মোবাইলের ইউনিক আইডি অ্যাক্সেস করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীর সার্চ হিস্ট্রিও সংগ্রহ করতে পারে, ফলে সেই তথ্য অন্যের কাছে চলে যেতে পারে যেকোনো সময়।

এছাড়া, এই অ্যাপটি যোগাযোগের জন্য একটি সাধারণ জিমেইল আইডি (chithi.me.app@gmail.com) ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো ব্যক্তি সহজেই এমন আইডি তৈরি করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে, এবং এই ধরনের অপরাধীকে চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে, “চিঠি ডট মি” অ্যাপ ব্যবহার করার আগে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না: মাহফুজ আলম

বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল শহিদ আলিফের শাহাদাতসহ শহিদানদের রক্তের মূল্য হতে পারে।”

পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, “দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোনো বহিঃশত্রুকে পরাজিত করবে। আমরা আর উপনিবেশযোগ্য (Colonizable) হবো না।”

দেশের ‘প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের’ ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




মহাকাশের শুরু হয়েছে কবে ?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মহাকাশের শুরু হয়েছে কবে বা মহাবিশ্ব যদি প্রসারিত হতে থাকে, তাহলে শেষ প্রান্ত কোথায়? এমন অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে উঁকি দেয়। সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) আমাদের মহাবিশ্বের প্রান্তে কী আছে তা নিয়ে আশ্চর্যজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

মহাকাশের শুরু হয়েছে কবে বা মহাবিশ্ব যদি প্রসারিত হতে থাকে, তাহলে শেষ প্রান্ত কোথায়? এমন অনেক প্রশ্ন আমাদের মনে উঁকি দেয়। সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) আমাদের মহাবিশ্বের প্রান্তে কী আছে তা নিয়ে আশ্চর্যজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ সম্প্রতি ১২.৮ বিলিয়ন বছরের পুরোনো তিনটি রেড মনস্টার গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের ছবি তুলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির প্রায় সমান আকারের গ্যালাক্সিগুলোর বয়স বিগ ব্যাং বিস্ফোরণের সময় থেকেও এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি বছর বেশি। বিগ ব্যাং অর্থাৎ মহাবিস্ফোরণ হচ্ছে মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে এ পর্যন্ত চলে আসা ধারণাগুলোর মধ্যে অন্যতম ও সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। আর তাই বিগ ব্যাংয়ের মাধ্যমে মহাবিশ্বের শুরু হলে তার চেয়ে এক বিলিয়ন বছর আগের গ্যালাক্সির সন্ধান পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।




বরিশালে জন্মের পর বাবা রবিউলের দেখা পায়নি মেয়ে তুবা

বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের শাকবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুবা নামের একটি নবজাতক মেয়েটি জন্মের মাত্র ২০ দিন আগে তার বাবাকে হারিয়েছে। তার বাবা রবিউল ইসলাম (২৮) জুলাই মাসে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। রবিউল মারা যাওয়ার আগে তিনি তুবার নাম রেখেছিলেন, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, তার মেয়ে তুবা পৃথিবীতে আসলেও বাবা রবিউলকে দেখার সুযোগ পেল না।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত ৭৯ শহীদ পরিবারের সহায়তার চেক গ্রহণ করতে গিয়ে তুবার মা তানিয়া আক্তার তার দুর্দিনের কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, “১৫ জুলাই যাত্রাবাড়িতে ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী রবিউল পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরপর এক মাস ২০ দিন পর তুবার জন্ম হয়। বাবা রবিউলের ঠিক করে দেওয়া নাম বহন করলেও তুবা তার বাবাকে কখনোই দেখতে পায়নি। একদিন তুবা হয়তো আমাকে প্রশ্ন করবে, ‘বাবা কোথায়?’ তখন আমি কী বলব?”

মা তানিয়া আক্তার আরও জানান, তিনি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে চরম অর্থ সংকটে রয়েছেন। “আমি কীভাবে তুবাকে লালন-পালন করব, এটা নিয়ে প্রতিদিন শঙ্কার মধ্যে আছি। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই,” বলেন তিনি।

এদিকে, নিহতের পরিবারে আরেক শোকগাথা। সাবেক সেনা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম (৫৯) বলেন, তার একমাত্র ছেলে ইমরান হোসেন (৩৪) ১৯ জুলাই ঢাকার গুলশানে পুলিশের গুলিতে মারা যান। ইমরান বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আগরপুর কলেজের ডিগ্রি ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকার একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করে পরিবারের খরচ বহন করতেন। তার মৃত্যুতে তার স্ত্রী শান্তা মিয়া ও সন্তান ইয়াজ খলিফা (২৩ মাস) সহ নজরুল এখন নিঃস্ব। “আমার একমাত্র ছেলে ইমরানকে হারিয়ে আমি আজ নিঃস্ব। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই,” বলেন তিনি।

এছাড়া, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত এমদাদুল হকের (২৭) বড় ভাই মো. হাসান বলেন, তার ছোট ভাই ঢাকায় ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার চালিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের খরচ বহন করতেন। এমদাদুলও ওই ঘটনার সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বর্তমানে, তিনি এবং তার পরিবার চরম অর্থ সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি জানান, স্থানীয়দের সহায়তা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অর্থ সহায়তার মাধ্যমে কিছুটা হলেও সাহায্য পেয়েছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম