পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সম্ভাব্য ৫ কারণ




আম খাওয়ার পরে যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: পাকা আমের মধুর স্বাদ কে এড়িয়ে যেতে পারে? সুমিষ্ট এই ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। তীব্র গরমে প্রাণ জুড়াতে আমের তুলনা হয় না। পুষ্টিকর এই ফলে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন বি। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্যও আম খাওয়া উচিত। তবে আম খেলেই হবে না, এটি খাওয়ার আছে কিছু নিয়মও। যেমন আম খাওয়ার পরপরই কিছু খাবার খাওয়া যাবে না। কোনগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-




মেদ কমানোর সহজ উপায়




সংকীর্ণ ও অগভীর হয়ে পড়ছে পটুয়াখালীর নদীগুলো

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী জেলা পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক নদী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, জেলায় নদ-নদীর সংখ্যা ৩৭টি। ভাটিতে অবস্থানের কারণে এক-দেড় দশক আগেও এগুলো ছিল বেশ প্রশস্ত ও খরস্রোতা। কিন্তু গত কয়েক বছরে জেলাটির নদীগুলোর গভীরতা ও প্রশস্ততা হারিয়েছে ব্যাপক মাত্রায়। দখল, অপরিকল্পিত নদী শাসন, অবকাঠামো নির্মাণ ও পলি পড়ে সংকীর্ণ ও অগভীর হয়ে পড়ছে নদীগুলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ৩৫ বছর আগে করা মানচিত্রের সঙ্গে নদীগুলোর বর্তমান মানচিত্রের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সময় জেলার নদ-নদীগুলোর অনেক স্থানেই প্রশস্ততা নেমে এসেছে আগের তুলনায় অর্ধেকে। প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে নাব্য সংকটে ভোগা সংকীর্ণ এলাকার পরিমাণ।

পটুয়াখালীর অন্যতম প্রধান নদী গলাচিপা। নদীটির বিভিন্ন পয়েন্টে গত ৩৫ বছরে প্রশস্ততা ও গভীরতা কমে নেমে এসেছে এক-তৃতীয়াংশ থেকে এক-চতুর্থাংশে। বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, এ সময় শেখাটি এলাকায় গভীরতা কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। ১৯৮৮ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময়ে শেখাটি এলাকায় নদীর গভীরতা ছিল তিন থেকে নয় মিটার পর্যন্ত। বর্তমানে নদীর এ অংশে প্রায় আড়াই হাজার মিটারজুড়ে গভীরতা এক মিটার বা এরও কম। কলাগাছিয়া অংশে ১৯৮৮ সালে নাব্য ছিল চার থেকে ১১ মিটার পর্যন্ত। বর্তমানে তা নেমে এসেছে এক থেকে চার মিটারে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুষ্ক মৌসুমে নাব্য সংকটে নদীটি দিয়ে ভারী ও মাঝারি নৌযান চলাচল এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। বিশেষ করে শেখাটি ও কলাগাছিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ কমে এ সংকট মারাত্মক হয়ে দেখা দেয়।

গলাচিপা পৌরসভার অভ্যন্তরে ও চিকনিকান্দি বাজারসংলগ্ন এলাকায় নদীটি এখন সংকীর্ণ হয়ে খালের আকার ধারণ করেছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় এ এলাকায় ভারী ও মাঝারি নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। আবার নদীর গলাচিপা পৌর এলাকার মধ্যকার অংশটি এখন প্রায় পুরোপুরিই দখলদারদের আওতায়।

নদীর এসব এলাকা দখলমুক্ত করতে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা বলেন, ‘পৌর এলাকার মধ্যে নদী দখলমুক্ত করতে এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করা হচ্ছে। নাব্য ও গভীরতার সংকটের বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেব।’

গলাচিপা নদীর মতোই জেলার আগুনমুখা, লোহালিয়া, কোরালিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে গভীরতা ও প্রশস্ততা কমে অর্ধেক থেকে এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। নদীগুলোর এমন পরিস্থিতির জন্য বিআইডব্লিউটিএ দখলের পাশাপাশি দায়ী করছে উজান থেকে পানিপ্রবাহ হ্রাস ও পলিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়াকে। গভীরতা ও প্রশস্ততা ঠিক রাখতে পটুয়াখালীর নদ-নদীগুলোয় নিয়মিত ড্রেজিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, ‘গেজেট অনুযায়ী নদীবন্দরের আওতাভুক্ত জায়গাগুলোয় কেউ অবৈধভাবে দখল করলে তা যথাসম্ভব দ্রুত উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া নদীগুলোয় নিয়মিত ড্রেজিংও করা হয়। তবে যেহেতু উজান থেকে পানিপ্রবাহ কম এবং বন্যায় যে পানিপ্রবাহ হচ্ছে সেখানে পলি অনেক বেশি, তাই নদীগুলোর গভীরতা কমে যাচ্ছে।’

আরো পড়ুন : গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: আইসিসির ওপর নিষেধাজ্ঞার আভাস যুক্তরাষ্ট্রের

একসময় জেলার অন্যতম খরস্রোতা নদী ছিল আগুনমুখা। পানিপ্রবাহ হ্রাস ও পলি পড়ে নদীটিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। কঠিন হয়ে পড়েছে নৌ-চলাচলও। নদীটির উত্তরে গলাচিপা উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গাবালী উপজেলা ও পশ্চিমে পায়রা সমুদ্রবন্দর। বিশেষত রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষের কোনো স্থানে যাতায়াত করতে হলেই এ নদী পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে নদীটিতে ডুবোচরের সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। ফলে এটিও এখন দিনে দিনে ভারী ও মাঝারি নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

জেলার গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি নদী লোহালিয়া। এখানে ১৯৮৮ সালেও গভীরতা ছিল ৩ থেকে ১২ মিটার পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে এখানে নদীর নাব্য হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক মাত্রায়। বিশেষ করে গত দুই দশকে নদীটির প্রস্থ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে পটুয়াখালী শহরে লোহালিয়া নদীর প্রস্থ ২ নং বাঁধঘাটে ছিল ১৬০ মিটার। এখন আছে ৯১ মিটার। উত্তর ধরান্দী লঞ্চঘাটে নদীর প্রস্থ ৩২৫ মিটার থেকে নেমে এসেছে ১১৫ মিটারে। ২০ বছরের ব্যবধানে কৌরাখালী খেয়াঘাটে নদীর প্রশস্ততা ৩২৫ থেকে ২৫৩ মিটারে নেমে এসেছে। এছাড়া এ সময় নদীর প্রশস্ততা সেয়াকাটি খেয়াঘাটে ৩৫৩ থেকে ২৯৬ মিটারে ও বগা ফেরিঘাটে ২৪৪ থেকে ১৯০ মিটারে নেমে এসেছে।

সরজমিনে দেখা গেছে, নদীটির এ অংশগুলোর অধিকাংশ স্থানেই নানা জায়গা বেদখল হয়ে পড়েছে। এমনকি কোনো কোনো স্থানে নদী-তীরবর্তী কম নাব্য অংশ ভরাট করে দোকান, আবাসিক ভবন ও বাজার গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নদী রক্ষা কমিশনের ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, জেলার নদীগুলোয় দখলদারের সংখ্যা ৯৯৯। এর মধ্যে পটুয়াখালী সদরে ৩০১ আর গলাচিপা উপজেলায় ২৮৯ জন। এছাড়া কলাপাড়ায় ১৮৬ ও রাঙ্গাবালীতে আছে ৫৫ জন। বাকিরা অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে দখলদারের সংখ্যা অনেক বেশি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, পটুয়াখালীর নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করি। এছাড়া নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে। বেশকিছু স্থানে ড্রেজিংয়ের জন্য নতুনভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

নদীগুলোর এমন পরিস্থিতির জন্য দখলের পাশাপাশি অপরিকল্পিত স্লুইস গেট ও সেতু নির্মাণও অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করছেন পানি বিশেষজ্ঞরা।




পাকা আম খাওয়ার ৫ উপকারিতা




২৭ বছরেও হলো না ডাম্পিং স্টেশন, সড়কের পাশেই আবর্জনা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা পৌরসভাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে। প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা । এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গলাচিপা পৌরবাসী ।

সরেজমিনে দেখা গেছে,গলাচিপা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার গলাচিপা ও ডাকুয়া ইউনিয়ন যাওয়ার প্রধান সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। ভাগারটিতে জ্বলছে আগুন । ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা । সড়কের যাতায়াত করা লোকজন এবং এলাকাবাসী সকলে নাক চেপে চলাচল করে ।ভাগারটির ঠিক পাশে রয়েছে একটি পুকুর যে পুকুরটির পানি ব্যাবহার করে ওই এলাকার অসংখ্য মানুষ ।

রাস্তার উপরেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন হসপিটাল ক্লিনিকে ব্যবহার করা সিরিঞ্জ শুই স্যালাইন ও কাচের বোতল এতে বিভিন্ন সময় ক্ষতির সম্মুখীন হয় এলাকার চলাচল করা এলাকাবাসী । এই ময়লার ভাগারটি দ্রুত অপসরন ও শহরের বাহিরে কোথাও স্থায়ী করার দাবী জানান এলাকাবাসী ।

শান্তিবাগ এলাকার মোঃ রাসেল বলেন, ‘এই ময়লার গন্ধে বসবাস করা অসম্ভব এই এলাকায় এখন থাকাই বড় দায়, স্থায়ী বাসিন্দা না হলে এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতাম। এইখানে বাসা থাকায় আত্মীয় স্বজনরা ও আসতে চায় না’।

আরো পড়ুন : জনগণের সেবক হতে চান তরুণ প্রজন্মের আইডল “মেহেদী হাসান মিজান”

আরেক ভুক্তভোগী ডলি বেগম বলেন, ‘এই ময়লা গুলো পৌরসভার লোকজন গাড়িতে নিয়ে এসে ফেলে চলে যায় এই ময়লার গন্ধে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় । এমন চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরনের অসুখ হইয়া যাইবে । দ্রুত এই ময়লা সরানোর জন্য পৌরসভাকে বারবার বল্লেও তারা কোনো কিছু করে না।’

এবিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুনীল বিশ্বাস জানান, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার থেকে বরাদ্দ আসলেই ময়লা স্থানান্তর করা হবে।

গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিনের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।




দখল-দূষণে ছোট হয়ে আসছে কীর্তনখোলার মানচিত্র

বরিশাল অফিস :: ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর মানচিত্র। ৫ হাজারেরও বেশি ভূমিদস্যু ও দখলদারের দখলে নদীটি। পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় এই দখল ও দূষণ হলেও, প্রতিরোধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।

বরিশাল সদর উপজেলার চর আইচা এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে, বালু ফেলে দখল করা হচ্ছে কীর্তনখোলা নদী। পাশেই দখল করা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে যেভাবে পারছে দখল করছে।

শুধু চর আইচা এলাকায় নয়। বরিশাল নগরী ঘেঁষা ধান গবেষণা রোড, বেলতলা, পলাশপুর এলাকাজুড়ে চলছে কীর্তনখোলা নদী ভরাট ও দখলের মহোৎসব। আর দখলদাররা বলছেন, এসব জমির কাগজপত্র ‍আছে তাদের কাছে। কিন্তু কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেননি।

দখলদারদের দাবি, নদীর পাড়ে যেসব জমি তারা দখল করেছেন তার অধিকাংশের দলিল আছে তাদের কাছে। কারোর দাবি, নদী ভাঙনের আগে নদীর যেসব জায়গায় তাদের জমি ছিলো সেই দাগ হিসেব করে ভরাট করেছেন তারা। তাতে নদী দখল হয়নি বলে দাবি তাদের।

স্থানীয়রা বলছেন, নদীর সাথে সংযোগ দেয়া স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা আবর্জনার স্তূপকে ঘিরে প্রতিনিয়তই বিষাক্ত হয়ে উঠছে নদীর পানি। আর কীর্তনখোলা দিন দিন সরু হচ্ছে।

আরিফ নামে এক বাসিন্দা জানান, গত কয়েক বছর ধরে যে যেখান থেকে পেরেছে কীর্তনখোলা দখল করেছে। এছাড়া সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে সব ময়লা আবর্জনা এসে নদীতে পড়ছে। সব মিলিয়ে একাকার অবস্থা কীর্তনখোলার।

সুজন নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেকবার আন্দোলন করলেও দখলদারদের হাত থেকে কীর্তনখোলাকে মুক্ত করতে পারিনি। প্রতিবারই তারা প্রভাব খাটিয়ে এ নদীকে যেভাবে পেরেছে দখল করেছে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বরিশালের তথ্য বলছে, গত ৪০ বছরে কীর্তনখোলা নদীর দুপাড় দখল করেছে প্রায় ৫ হাজার ১৯২ জন প্রভাবশালী দখলদার।

পরিবেশবিদ আহসান মুরাদ বাপ্পি বলেন, সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তৃপক্ষ আছে তাদের এখনই সময় কীর্তনখোলা নদীকে দখলমুক্ত করার। এখনই যদি তারা পদক্ষেপ না নেন তাহলে ভবিষ্যতে আরো খারাপ হবে।

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, দখলদারদের তালিকা প্রস্তুতের কাজ প্রায় শেষ। আর দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি জেলা প্রশাসকের।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন উর রশিদ বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে নদীর বিভিন্ন জায়গা পর্যবেক্ষণ করে আমরা দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। যাদেরই অবৈধ স্থাপনা তালিকায় আছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

বরিশালের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন,‘বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমন্বয় করে দ্রুতই দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারাই নদী দখল করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যত প্রভাবশালী হোক না কেন যার যার অবৈধ স্থাপনা আছে সবারটা উচ্ছেদ করা হবে।’

সবশেষ ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ৬০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নদী দখলের তালিকা প্রস্তুত জানিয়ে বারবার হুঁশিয়ারি দিলেও, অদৃশ্য শক্তির জোরে শক্তপোক্তভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় না বলে অভিযোগ নদী গবেষকদের।

 




দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটির কদর

বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামের শীতলপাটির সুনাম ছিল সারাদেশে। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই গ্রামের পাটিকররা কোনোমতে ওই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু যথাযথ স্বীকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দৃষ্টিনন্দন এ শীতল পাটির বিপন্ন দশা। দেশের যে কয়টি জেলায় শীতল পাটি তৈরি হয় তার মধ্যে পিরোজপুরের কাউখালী অন্যতম।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে সুবিদপুর গ্রামের অবস্থান। যে গ্রামের ৬০টি পরিবার আজও পাটি শিল্পকে তাদের বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হিসেবে আঁকড়ে রয়েছে। এখানকার তৈরি শীতলপাটি পাইকারদের হাত ঘুরে চলে যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, পটুয়াখালী, যশোর ও খুলনার বাজারে।

রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও শৌখিন ব্যবসায়ী ও বেড়াতে আসা অতিথিদের মাধ্যমে শীতলপাটি যাচ্ছে ভারত, নেপাল, ভূটান, মালয়শিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ব্রিটেনসহ অনেক দেশে। অনেকে আবার ঘরের শোভাবর্ধনে নকশা করা শীতলপাটি দেয়ালে টাঙিয়ে রাখেন।

সুবিদপুর গ্রামের রবিন পাটিকর জানান, কালের বিবর্তনে কাউখালীর পাটি শিল্প আজ বিলীনের পথে। অভাব তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাত-দিন পরিশ্রম করেও দু’বেলা দু’মুঠো আহার জোগাতে পারছেন না আবার বাপ দাদার পেশা তাই এ পেশা ছাড়তেও পারছেন না তারা। উচ্চশিক্ষা দূরের কথা নাম দস্তখত শেখারও সুযোগ পায় না তাদের ৭০ ভাগ শিশু।

পাটিকর সীমা রানি জানান, পাঁচ ফুট প্রস্থ ও সাত ফুট দৈর্ঘ্যের ভালো মানের একটি শীতলপাটি কাউখালীর বাজারে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মধ্যম মানের একটি পাটির দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। এ ছাড়া ৪০০-৫০০ টাকায়ও কিছু শীতলপাটি মেলে।

তিনি আরও জানান, একটি শীতলপাটি তৈরি করতে সাধারণত তিন-চারদিন লাগে। একজন বয়স্ক পাটিকর সাত দিনে একটি পাটি তৈরি করতে পারেন।

গড় হিসেবে দেখা যায়, একটি পরিবারের তিন সদস্য মিলে কাজ করলেও মাসে ১০টিরও বেশি পাটি তৈরি সম্ভব নয়। ১০টি পাটি বিক্রি করে মাসে সর্বোচ্চ ছয়-সাত হাজার টাকা আয় হয়। এই আয়েই চলে পাটিকরদের সংসার। পাটি শিল্পের বিকাশে বড় সমস্যা হলো অর্থনৈতিক সংকট। শীতলপাটি তৈরির জন্য পাটিকরদের সরকারি, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কোনো ঋণ দেয় না। সরকার শীতলপাটি রপ্তানির উদ্যোগ নিলে পাটিকরদের সুদিন আসতো।

জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মামুন হোসাইন বাবলু জমাদ্দার বলেন, পাটি শিল্পটি আমাদের ঐহিত্য, এই শিল্পটি বাঁচিয়ে রাখতে সমাজের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান মিন্টু তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ দেশি-বিদেশি পর্যটক এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজনল মোল্লা আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে যা কিছু দরকার তার জন্য আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করবো।




৭ ফল ফ্রিজে রাখবেন না




যেসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন ডেঙ্গু হয়েছে