পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ২০৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারে নেই উদ্যোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঘূর্ণিঝড় রিমালে পটুয়াখালীর দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠালেও এখনো মেলেনি বরাদ্দ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানেই অথবা বিদ্যালয়ের বাইরে জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে পটুয়াখালীসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে জেলার ৮৪ হাজার ৫০০ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পূর্ণ ও আংশিক বিধ্বস্ত হয় প্রায় ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি। প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্লাবিত হয় হাজার হাজার পুকুর ও মাছ-কাঁকড়ার ঘেড়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় দীর্ঘদিন বিদ্যুৎহীন থাকে অনেক এলাকা। চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। এরই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ২০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে স্থাপন প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগ

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলার কলাপাড়ায় ৪৯টি, গলাচিপায় ৪২টি, সদর উপজেলায় ৩৪টি, দশমিনায় ২৯টি, বাউফলে ২২টি, মির্জাগঞ্জে ১৬টি, দুমকীতে ৮টি, রাঙ্গাবালীতে ৭টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলাপাড়া উপজেলার মেহনাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রিমালের তান্ডবে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে পড়ে যায়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উপযোগিতা একদম না থাকায় চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীকে পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের সাইক্লোন শেল্টারের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। কোনো ভবন না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের পাশেই মাঠে চলছে মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র শীল ও মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফউজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মেরামতে প্রয়োজন সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।




রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্য : সাড়ে পাঁচ বছরে সড়কে প্রাণ ঝরেছে ৫ হাজার ৯১৬ শিক্ষার্থীর

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : সড়ক দুর্ঘটনায় গত সাড়ে পাঁচ বছরে নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৬ শিক্ষার্থী। এই সময়ে প্রতিদিন গড়ে তিন জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন সড়কে। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত: পরিসংখ্যান ও পর্যালোচনা’—শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। মিরসরাই ট্র্যাজেডি দিবসের ১৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন ও নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন গবেষণাটি করেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সাল থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৩৪ হাজার ৪৭৮ জন নিহত হন। এর মধ্যে ১৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫০ শতাংশই মারা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। আর আঞ্চলিক সড়কগুলোতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে ২ হাজার ৬৪১ জন। আর ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৮ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী হিসেবে নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৩ শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় নিহত মোট শিক্ষার্থীর এটি প্রায় অর্ধেক। আর শিক্ষার্থীরা পথচারী হিসেবে যানবাহনের চাপা বা ধাক্কায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন। যানবাহনের যাত্রী হিসেবে নিহত হয়েছেন ৭২১ জন। আবার বাইসাইকেল আরোহী হিসেবে নিহত হয়েছেন ৪৯৭ জন। অটোরিকশার চাকায় ওড়না বা পোশাক পেঁচিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের।

গবেষণায় সড়কে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আছে ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, অনিরাপদ যানবাহন, নিরাপদে সড়ক ব্যবহার বিষয়ে জ্ঞানের অভাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর মানসিকতা, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা এবং অসুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি।

প্রতিবেদনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত অসংখ্য বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কোনো টেকসই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে, তা অনেকটা অবৈজ্ঞানিক ও সমন্বয়হীন। দেশের নৈরাজ্যকর সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে। সড়ক পরিবহন আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, সড়ক পরিবহন খাতের স্বার্থবাদী গোষ্ঠী সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের পথে প্রধান বাধা। এই গোষ্ঠী নিজেদের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির স্বার্থে সড়কে বিশৃঙ্খলা বজায় রাখে। মাঝেমধ্যে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কমিটি গঠন ও সুপারিশ তৈরি করা হয়। কিন্তু কোনো সুপারিশই আলোর মুখ দেখে না। মূলত কমিটি গঠন ও সুপারিশ তৈরির মধ্যেই দেশের সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ঘুরপাক খাচ্ছে। বাস্তবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে সড়কে শিক্ষার্থীদের মৃত্যু প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে বছরে একবার ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা, সরকারি উদ্যোগে শিক্ষকদের সড়ক নিরাপত্তামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া, ক্লাস পরীক্ষায় সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশ্ন থাকা, গণমাধ্যমে প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি, অনিরাপদ যানবাহন বন্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের সড়কে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোটরসাইকেল চালানো ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করা অন্যতম।




ডেঙ্গু প্রতিরোধে যেসব সচেতনতা প্রয়োজন 




ডিলিট করা ছবি এক মিনিটে ফিরে পাবেন এই ৩ উপায়ে




মহাকাশের যে গ্রহে পচা ডিমের দুর্গন্ধ, বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে কাচ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: কয়েক বছর আগে সৌরজগতের বাইরে একটি নতুন গ্রহের সন্ধান পান মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। সেই এক্সোপ্ল্যানেট অর্থাৎ বহির্গ্রহের গঠন বৃহস্পতি গ্রহের মতো হলেও তার আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই গ্রহ থেকে অনবরত পচা ডিমের মতো দুর্গন্ধ বের হয়। শুধু তা-ই নয়, গ্রহে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে কাচ।



গ্রামে ডুপ্লেক্স বাড়ি বানাচ্ছেন পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফর : প্রশ্নফাঁস

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর নিজ গ্রামে নির্মাণ শুরু করেছিলেন ডুপ্লেক্স বাগান বাড়ি। আর সে কারণেই নিজ এলাকায় কিনেছিলেন ৬০ শতাংশ জমি। এমনটাই জানিয়েছেন আবু জাফরের নিজ এলাকা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মিয়া বাড়ির আশেপাশের লোকজন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গত রোববার ও সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিএসসির দুজন উপ-পরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আটককৃতদের মধ্যে একজন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া। যার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিয়া বাড়ি।

গলাচিপার কলাগাছিয়া ইউপির ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু জাফর এলাকায় তেমন একটা আসা যাওয়া ছিল না। এ কারণে নিজ গ্রামের অনেকেই তাকে ভালোভাবে চেনেন না। বিশেষ ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে বাড়িতে গেলেও থাকতেন ৬নং ওয়ার্ডের কল্যাণকলস গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে। বয়স্ক অনেকেই চিনলেও যুবসমাজ তাকে তেমন একটা চিনেন না। কথাবার্তায় তাকে খুব ভালো মানুষ হিসেবেই জানতেন গ্রামের পরিচিত ব্যক্তিরা। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকার সকলেই বিস্মিত ও লজ্জিত।

আরো পড়ুন : মহিপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙে দিলো অবৈধ স্থাপনা

কলাগাছিয়া গ্রামের কুমারখালী বাজারে আবু জাফরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাজারের কাছেই সীমানাপ্রাচীর দেয়া বাগান বাড়ির আদলে ছাদ ঢালাই দেয়া বাড়িটি দেখিয়ে দেন। এর বাইরে এ গ্রামে কিছু আছে বলে জানেন না তবে ঢাকায় তার কি পরিমান সম্পদ আছে তা গ্রামবাসী জানেন না এমনটাই বলছিলেন বাজারে আসা ষাটোর্ধ আবুল মিয়া।

কলাগাছিয়া কুমারখালী বাজার এলাকায় আবু জাফরের ৬০ শতাংশ জমির ওপর নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে গেলে দেখা যায়, সীমানাপ্রাচীর দেয়া নির্মাণাধীন বাগান বাড়ির চারিদিকে ঝোপঝাড়ে ভরা। বাড়ির প্রবেশমুখে গেট ও ভেতরে বাগানবাড়ির আদলে নির্মাণের কাজ শুরু করে ছাদ ঢালাই পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, আবু জাফরের বাড়ি আর আমার বাড়ি কাছাকাছি। তাদের পুরোনো বাড়ি নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার পর চার-পাঁচ বছর আগে কলাগাছিয়া কুমারখালী বাজার এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি কিনে নতুন বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বাড়ি নির্মাণে ধীরগতি হওয়ায়র কারণ জানতে চাইলে বাড়িটি বড় করে নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন আবু জাফর। এমটাই বলছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান।

ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, আবু জাফরের নিজ এলাকায় এর বাইরে তেমন সম্পদ নেই। যদি থাকে তা অন্যত্র থাকতে পারে। আবু জাফর তেমন একটা এলকায় আসেন না। এমন একটা জঘন্য ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকবে এমনটা আমরা আশা করিনি। এতে আমরা লজ্জিত।

কলাগাছিয়া গ্রামের মিয়া বাড়ির ছোট্ট একটি ঘরে অভিযুক্ত আবু জাফরের ভাই মো. জালাল মিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হননি।

অন্যদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনার বিষয়ে আবু জাফরের শ্যালক আমিন উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবু জাফর তেমন লোক নয়। সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। হয়তো তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়ানো হয়েছে।

কলাগাছিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদের সভাপতি ও অভিযুক্ত আবু জাফরের দূর সম্পর্কের চাচা মো. আউয়াল মিয়া জানান, আবু জাফর ছোট বেলা হইতে এলাকায় আল্লেনা। ওর বোনেইর লগে খুলনায় থাইক্কা লেখাপড়া করছে। ওইখানে বড় হইছে। তবে বাড়িতে না আইলেও এই মসজিদে থাকা এতিমের জন্য মাঝেমধ্যে টাকা পাঠাইতো।




শিশুর খাবারে অ্যালার্জি আছে বুঝবেন যেভাবে




খালের বাঁধ কাটলো প্রশাসন – চাষযোগ্য হলো ৭০০ একর জমি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষি কাজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক কৃষকপরিবার। মুষলধারা বৃষ্টিতে তিন গ্রামের ৭শ একর আবাদি কৃষিজমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষিকাজ নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় কৃষক পরিবারগুলো। স্থানীয়দের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনে প্রতিকার না পেয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে দুই শতাধিক কৃষক।

এ নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) Chandradip News24 .com অনলাইনে ‘ পটুয়াখালী সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ, ৩ গ্রামের ৭শ একর জমি পানিবন্দি ’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়। সংবাদ প্রচারের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে সরকারি খালে প্রভাবশালীদের অবৈধ বাঁধগুলো গত রোব ও সোমবার কেটে অবমুক্ত করা হয়।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে রথযাত্রা থেকে মোবাইল চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক

জানা গেছে, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজসহ ৩টি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি মণ্ডল স্লুইচ খালের সাথে সংযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে ওই খালে প্রভাবশালী একটি মহল ১০-১২ টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। যার ফলে ওই গ্রামের প্রায় ৭শ একর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এ কারণে বন্ধ রয়েছে চাষাবাদ।

চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান জানান, উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের মধ্য যে খালটি রয়েছে সেখানে কয়টি অবৈধ বাঁধ ছিল। বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষি জমি তলানো ছিল। ইউএনওর নির্দেশ ও গনমাধ্যমে সংবাদ দেখে স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে খালের বাঁধ কেটে অবমুক্ত করা হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন এই খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এবছরও একই চিত্র ছিল। কিন্তু ইউএনও এবং সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক উদ্যোগের ফলে ৭শ একর জমিতেই এখন চাষাবাদ করা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অবৈধ বাঁধ কেটে খাল অবমুক্ত করা হয়েছে। এখন পানি নিষ্কাশন চলছে।




ত্বক উজ্বল করতে কোন ফলগুলো খাবেন




পটুয়াখালী সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ, ৩ গ্রামের ৭শ একর জমি পানিবন্দি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষিকাজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক পরিবার। গত দুই দিনে মুষলধারে পড়া বৃষ্টিতে ৩ গ্রামের ৭শ একর ফসলি জমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষিকাজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কয়েকশ কৃষক পরিবার।

শনিবার বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের চত্বরে প্রায় দুই শতাধিক ভুক্তভোগী কৃষক প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজসহ ৩টি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালটি মন্ডল স্লুইস খালের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। প্রভাবশালী একটি মহল তাদের স্বার্থের জন্য উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের প্রধান খালে ১২টির মতো বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। এতে দুর্বিপাকে পড়েছে কয়েকশ কৃষি পরিবার। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণের কারণে ফসলি জমিতে এখন ৩-৪ ফুট পানি জমে আছে। এতে ইউনিয়নের অন্তত ৭০০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ। এসময় খাল থেকে অবৈধ দখলদারদের বাঁধ অপসারণ করে কৃষকদের মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানায় তারা।

তারা আরও বলেন, আমাদের এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের সাথে জড়িত। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত সমাধান চাই। তা না হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি খালটিতে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৬৫০-৭০০ একর জমিতে পানি জমে রয়েছে। এতে আমনসহ পরবর্তী মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হতে পারে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা ৫০টির বেশি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেছি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত লিখিত অথবা মৌখিকভাবে কেউ অভিযোগ করেনি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ড সাহেবরা সেখানে গিয়ে অবৈধ বাঁধ অপসারণ করেন। আমি ইউএনও সাহেবকে বলছি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।