স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুকে যেভাবে প্রস্তুত করবেন

সন্তানের বয়স তিন বছর পার হলেই বাবা-মা ভালো স্কুল খুঁজতে শুরু করেন। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু শিশুর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সঠিক বয়সে স্কুলে ভর্তির আগে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এটি শিশুর সামাজিক, মানসিক, এবং শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে।

শিশুকে নতুন পরিবেশ, বন্ধু, এবং লেখাপড়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রস্তুত করতে হবে। স্কুলে যাওয়ার আগে বাড়িতেই কয়েকটি বিষয়ের চর্চা করলে শিশুর জন্য এই পথচলা সহজ হয়ে ওঠে।

প্রথমত, বাচ্চাকে প্রি-স্কুল বা প্লে স্কুলে পাঠানোর মাধ্যমে নিয়মিত বাইরে থাকার অভ্যাস করান। প্রথম দিকে মা-বাবাকে না দেখলে শিশুরা কান্নাকাটি করে। ধীরে ধীরে এই অভ্যাস তাদের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া সহজ করে।

যা শেখানো জরুরি:

১. অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলা: শিশুকে শেখান, কীভাবে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হয়। তাদের অনুভূতিকে সম্মান করা, মজা করে গায়ে হাত না তোলা এবং নিজেদের আবেগ প্রকাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

২. ভাগ করে নেওয়া শিখুন: চকোলেট বা খেলনা ভাগ করার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই চর্চা চালু রাখুন।

৩. শ্রদ্ধা করার মানসিকতা তৈরি করুন: মা-বাবা, পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর চর্চা ছোট থেকেই শুরু করুন।

৪. দ্রুত শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন: শিশুকে কেবল মুখস্থ নয়, বিষয়বস্তুকে বোঝার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করে।

৫. দায়িত্বশীলতা শিখুন: নিজের জিনিস গুছিয়ে রাখা, নিজে খাবার খাওয়া, এবং নিজের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিতে শেখান।

শিশুর জীবনের প্রথম স্কুলে যাত্রা একটি বড় পদক্ষেপ। সঠিক প্রস্তুতি শিশুর জন্য এই যাত্রাকে আনন্দময় এবং ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতে পেশির টান ও গাঁটের ব্যথা কমানোর সহজ উপায়

শীতের কনকনে ঠান্ডায় পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা কিংবা গাঁটের ব্যথা খুবই সাধারণ সমস্যা। অনেকেরই ঘুমের মধ্যে পায়ের রগে টান ধরে ব্যথা শুরু হয়। আবার সকালে হাঁটতে গেলে শিরায় টান লাগতে পারে। পায়ের আঙুল হঠাৎ বেঁকে যাওয়া কিংবা ব্যথার কারণে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শরীরে নানা সমস্যার প্রকোপ বাড়ে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো শরীরে পানির ঘাটতি বা ডিহাইড্রেশন। অনেকেই শীতে অলসতার কারণে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। চলাফেরা কমিয়ে দেওয়াও গাঁটের ব্যথা ও পেশির টান বাড়াতে পারে।

শীতে পেশির টান ও গাঁটের ব্যথা কমাতে যা করবেন

১. নিয়মিত শরীরচর্চা:
শীতকালে আলস্যের কারণে শরীরচর্চা এড়িয়ে গেলে সমস্যা বাড়ে। তাই নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন। হাঁটা-চলা, সাঁতার কাটা, জগিং কিংবা সাধারণ যোগব্যায়াম পেশিকে শিথিল রাখে এবং গাঁটের ব্যথা কমায়।

২. গরম সেঁক ও গরম পানিতে গোসল:
শীতকালে গরম পানিতে গোসল করলে এবং ব্যথার স্থানে গরম সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। এটি পেশির শক্তভাব কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে।

৩. পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ:
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এসব খাবার পেশিকে শিথিল করে, হাড়কে মজবুত রাখে এবং ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।

৪. পানি পানের অভ্যাস:
শীতকালে অনেকেই পানি কম খান। শরীর ডিহাইড্রেটেড হলে পেশিতে টান ধরার ঝুঁকি বাড়ে এবং গাঁটের ব্যথা তীব্র হয়। তাই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না।

৫. ওষুধ গ্রহণে সতর্কতা:
যদি ব্যথা বাড়তে থাকে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন। নিজের ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শীতকালে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে পেশির টান এবং গাঁটের ব্যথার ঝুঁকি সহজেই কমানো সম্ভব। সুস্থ ও সচল থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার অভ্যাসে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি

আমাদের অনেকেরই বাইরে থাকলে প্রস্রাব চেপে রাখার প্রবণতা রয়েছে। নানা অজুহাতে এই অভ্যাস অব্যাহত রাখার ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাব করা মূলত কিডনি, মূত্রাশয় এবং স্নায়ুতন্ত্রের সমন্বিত একটি প্রক্রিয়া। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ ফিল্টার করে প্রস্রাব তৈরি করে এবং তা ইউরেটারের মাধ্যমে মূত্রাশয়ে সংরক্ষণ হয়। একটি সুস্থ মূত্রাশয় গড়ে ৪০০-৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারণ করতে পারে।

মূত্রাশয় পূর্ণ হয়ে গেলে তার দেয়ালের রিসেপ্টরগুলো মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়, ফলে প্রস্রাব করার তাগিদ অনুভূত হয়। তবে দীর্ঘ সময় চেপে রাখলে এ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে এবং দেখা দেয় বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা।

দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখার ক্ষতি

১. মূত্রাশয়ের দুর্বলতা:
বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে মূত্রাশয়ের পেশীগুলো স্বাভাবিক ক্ষমতার বাইরে প্রসারিত হয়। এটি পেশীগুলিকে দুর্বল করে দিতে পারে, ফলে মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি করা কঠিন হয়ে যায়।

২. সংক্রমণের ঝুঁকি (ইউটিআই):
দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব রাখলে মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়, যা মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউটিআই-এর ঝুঁকি বাড়ায়। এতে প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, শ্রোণীতে ব্যথা এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রবণতা দেখা দেয়।

৩. কিডনির ক্ষতি:
দীর্ঘ সময় প্রস্রাব আটকে রাখলে তা কিডনিতে ফিরে যেতে পারে, যা সংক্রমণ বা কিডনির স্থায়ী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ অবস্থা ভেসিকোরেটেরাল রিফ্লাক্স নামে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্রাব চেপে রাখার এই অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি। কিডনি ও মূত্রাশয় সুস্থ রাখতে সময়মতো প্রস্রাব করা উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ডায়াবেটিসে সকালের নাস্তা ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

সদ্য ডায়াবেটিস ধরা পড়লে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাটা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় কি খাবেন, তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা কমায়।

সকালের নাস্তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার:

ডায়াবেটিকদের জন্য সকালের নাস্তায় কয়েকটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হলো:

হাতে গড়া রুটি বা ব্রাউন ব্রেড: কর্নফ্লেক্সের পরিবর্তে বাজরার রুটি, ব্রাউন ব্রেড বা আটার রুটি খাওয়া উপকারী। এতে ফাইবার বেশি থাকে, যা শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পালং শাক মিশিয়ে অমলেট তৈরি করুন। এটি প্রোটিনসমৃদ্ধ এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

স্প্রাউট সালাদ: ভেজানো ছোলা, মুগ ডাল, শসা, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ও লেবুর রস মিশিয়ে সালাদ তৈরি করুন। এটি ডায়াবেটিকদের জন্য আদর্শ টিফিন।

ছাতু: সকালে একটু ছাতু খাওয়া যেতে পারে। এটি পেট ভরা রাখে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সুজি ও ডালিয়া: ডালিয়া দিয়ে খিচুড়ি, ডালিয়ার রুটি, সুজির দোসা বা উপমা খেতে পারেন। ওটসও একটি ভালো বিকল্প; ওটসের প্যানকেক বা পরিজও সকালের নাস্তায় রাখা যেতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টিপস:

1. সঠিক খাবার নির্বাচন: সরল কার্বোহাইড্রেট (চিনি, গুড়, মধু, মিষ্টি) বাদ দিয়ে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান। ভাতের জন্য ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চাল বেছে নিন। প্রোটিনের জন্য ডাল, দই, মাছ, মুরগি খেতে পারেন।

2. লবণ পরিমিত খাওয়া: পাতে অতিরিক্ত লবণ না নেওয়া উচিত। এটি উচ্চ রক্তচাপ বাড়ানোর আশঙ্কা তৈরি করে।

3. উপকারী ফ্যাট: অলিভ অয়েল, লবণহীন বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উপকারী।

4. বিকেলের টিফিন: সেদ্ধ ভুট্টা, অঙ্কুরিত ছোলা, বা ইয়োগার্ট ভালো বিকল্প।

5. নিয়মিত শরীরচর্চা: প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটুন বা এক্সারসাইজ করুন। এটি শর্করা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

ডায়াবেটিসের সঠিক যত্ন ও খাদ্যাভ্যাস রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মূলমন্ত্র। একবার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে পারলে সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



দাঁতের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া সমাধান

দাঁতের ব্যথা সাধারণত যে কোনো বয়সে হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা সামলাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাত ঘটে। কিছু সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি জানা থাকলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

দাঁতের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করুন:

লবঙ্গ ও অলিভ অয়েল: দুইটি লবঙ্গ থেঁতো করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে দাঁতে লাগান। এটি না থাকলে লবঙ্গ চিবিয়ে ব্যথার স্থানে চেপে ধরুন।

রসুনের ব্যবহার: এক কোয়া রসুন থেঁতো করে সামান্য লবণ মিশিয়ে দাঁতে লাগান। ব্যথা বেশি হলে রসুন চিবিয়ে খান।

লবণ ও গোলমরিচ: লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। কয়েকদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

পেঁয়াজ: এক টুকরা কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। যদি ঝাঁঝ বেশি মনে হয়, তাহলে পেঁয়াজ দাঁতে চেপে ধরে রাখুন।

হিং ও লেবুর রস: আধা চা চামচ হিং গুঁড়ো ও দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দাঁতে লাগান। মাত্র দুই মিনিটেই ব্যথা দূর হবে।

লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি: এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এটি দাঁত, মাড়ি ও গলার ব্যথা দূর করতে কার্যকর।

পেয়ারা পাতা: দুটি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে ব্যথাওয়ালা দাঁতে চেপে রাখুন। দ্রুত আরাম পাবেন।

ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট: তুলায় কয়েক ফোঁটা ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট নিয়ে ব্যথার স্থানে চেপে ধরুন।

দূর্বা ঘাসের রস: দাঁতের ব্যথা কমাতে দূর্বা ঘাসের রস খুব উপকারী। এটি দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বরফ ব্যবহার: কোনো উপকরণ না থাকলে বরফ এক টুকরা তুলা বা কাপড়ে মুড়ে দাঁতে চেপে ধরুন। এটি দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

পরামর্শ: এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো সাময়িক স্বস্তি দেবে। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেরি না করে ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



চট্টগ্রামে সড়কে তিন বছরে প্রাণ হারাল ৫৫৪ জন

চট্টগ্রামের নগরীর সড়কে ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৪ জন। তিন বছরে ৩৬২টি দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানি ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কে মৃত্যুর এই মিছিল থামাতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই।

আজ (১৫ ডিসেম্বর) ওয়ার্ল্ড ডে অফ রিমেমব্রান্স ফর রোড ট্রাফিক ভিকটিমস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম শহর রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ প্রকাশ করা হয়।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, বিআরটিএ ও সিডিএ একসঙ্গে কাজ করলে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসফিকুজ্জামান আক্তার সড়কে চালকদের প্রতিযোগিতা বন্ধের ওপর জোর দেন। অন্যদিকে সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে এনে চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সের আওতায় আনতে হবে।

বিআইজিআরএস-এর কারিগরি পরামর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গতি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। বিআরটিএ ‘যানবাহনের গতিসীমা নির্দেশিকা ২০২৪’ বাস্তবায়ন করলে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রোড সেফটি রিপোর্ট ২০২১-২৩ উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস-এর সার্ভেইল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুব, বিআরটিএ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সৈয়দ আইনুল হুদা, এবং বিআইজিআরএস-এর বিভিন্ন কর্মকর্তারা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




WASA Link 16162, An efficient Call Center




ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩১৬ জন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৯৫ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ছয় জন এবং সিলেট বিভাগে এক জন রোগী রয়েছেন।




শীতে সুস্থ থাকার সহজ উপায়

শীতকালীন সময় আরামদায়ক কম্বলের মায়া থেকে বের হওয়া কঠিন হলেও, সুস্থ ও সক্রিয় থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়া আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে। কিন্তু কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে শীতকালেও আপনি স্বাস্থ্যকর ও সক্রিয় থাকতে পারবেন।

প্রথমেই হাইড্রেটেড থাকুন। শীতে পানি পানের ইচ্ছে কমে যায়, কিন্তু এটি ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার যেমন স্যুপ, চা, বা লেবু পানি পান করুন। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের করতে সাহায্য করবে।

শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট সময় ব্যায়ামের জন্য রাখুন। পুশ-আপ, জাম্পিং জ্যাক, যোগব্যায়াম, বা নাচের মতো সহজ ব্যায়াম করতে পারেন। শীতেও সক্রিয় থাকার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। ভিটামিন, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, এবং জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান। সুষম খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি পান নিশ্চিত করুন। এটি আপনাকে শীতে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।

আঁটসাঁট পোশাক এড়িয়ে আরামদায়ক ও নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো কাপড় পরুন। এটি শরীরে বাতাস চলাচল বজায় রাখে এবং অস্বস্তি কমায়।

সবশেষে, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

শীতে এই অভ্যাসগুলো মেনে চললে আপনি সহজেই সুস্থ থাকতে পারবেন এবং শীতের চ্যালেঞ্জগুলো জয় করতে পারবেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মহিপুরে বাসের ধাক্কায় এনজিওকর্মীর মৃত্যু

পটুয়াখালীর মহিপুরে বাসের ধাক্কায় সাগর শিকদার অনু (২৭) নামের এক এনজিওকর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজ সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাগর পটুয়াখালীর মনোহরপুর গ্রামের জয়দেব শিকদারের ছেলে। তিনি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গুড নেইবার্সে নৈশ প্রহরী ও অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাগর শিকদার কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়ি মনোহরপুরে ফিরছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে আসা কুয়াকাটাগামী গ্রীন লাইন পরিবহনের একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি প্রাণ হারান।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম