দীর্ঘ সময় ডায়াপার পরানোর ক্ষতিকর দিক

শিশুর যত্নে ডায়াপার ব্যবহার এক অত্যন্ত কার্যকর উপায়, যা তাদের পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে সহায়তা করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে একই ডায়াপার পরিয়ে রাখার ফলে শিশুর কোমল ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় আর্দ্রতা, জ্বালাপোড়া এবং বায়ুপ্রবাহের অভাবে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এতে যেমন শারীরিক অস্বস্তি হয়, তেমনি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন, শিশুকে দীর্ঘ সময় একই ডায়াপার পরিয়ে রাখলে কী কী সমস্যা হতে পারে—

১. ত্বকে ফুসকুড়ি:
ডায়াপারের আর্দ্রতা এবং প্রস্রাব-মল ত্বকের সংস্পর্শে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। এটি শিশুর ত্বকে লালচে ভাব, চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।

২. মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই):
নোংরা বা ভেজা ডায়াপার ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, যা মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়, তবে ছেলেরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে।

৩. ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ:
দীর্ঘ সময় ধরে পরা ডায়াপারের উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশ ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। বিশেষ করে ক্যান্ডিডা ইস্টের কারণে ক্যান্ডিডিয়াসিস হতে পারে। এর ফলে ত্বক লাল হয়ে ফোলা বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়।

৪. ত্বক ফেটে যাওয়া:
ডায়াপারের কারণে ত্বক ক্রমাগত ভিজে থাকার ফলে ফেটে যেতে পারে। এর ফলে ঘা বা আলসার তৈরি হয়, যা শিশুর জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হতে পারে।

৫. অ্যামোনিয়া ডার্মাটাইটিস:
প্রস্রাব থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া ত্বকের জ্বালাপোড়া বাড়ায়। দীর্ঘ সময় ডায়াপার না বদলালে অ্যামোনিয়া ডার্মাটাইটিস হতে পারে। এটি শিশুর ত্বকে লালচে রং এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।

পরামর্শ:

নিয়মিত ডায়াপার পরিবর্তন করুন।

শিশুর ত্বক পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।

নিম্নমানের ডায়াপার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ভোলায় ১১ মাসে পানিতে ডুবে ৪০ শিশুর মৃত্যু

ভোলার সাত উপজেলায় জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৪০ শিশুর করুণ মৃত্যু ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। যদিও সরকারি হিসাবে এই সংখ্যা ৪০, বেসরকারি সূত্রমতে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। অভিভাবকদের অসাবধানতা ও সচেতনতার অভাবকে এ মৃত্যুর মূল কারণ হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শিশুদের পানিতে পড়া ও মৃত্যুর হার প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। শিশু চিকিৎসকদের মতে, এই সংখ্যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গত ২৯ অক্টোবর তজুমদ্দিনে পুকুরে ডুবে দুই বোন মারজিয়া (৯) ও রাফিয়া (১০) এবং তাদের বন্ধু মিম (১২) মারা যায়। একই মাসের ১২ অক্টোবর ভোলা সদর ও চরফ্যাশনে পৃথক ঘটনায় জাইফা (৩), সাইফুল (২), আরিয়ান (৪) ও জুনায়েদ (৫) নামের চার শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া ২৪ নভেম্বর লালমোহনে মো. ফারহান নামে ১ বছরের এক শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়।

পানিতে ডুবে নিহত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ১ থেকে ৫ বছরের মধ্যে। বর্ষাকালে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বর্ষার সময় বাড়ির চারপাশের পুকুর ও ডোবাগুলো পানিতে পূর্ণ থাকায় মুহূর্তের অসাবধানতায় শিশুরা প্রাণ হারায়।

সুজনের জেলা সভাপতি মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী একে নীরব দুর্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “অভিভাবকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সচেতনতাই এ ধরনের মৃত্যুর হার কমানোর একমাত্র উপায়।”

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ্যাড. সাহাদাত হোসেন শাহিন বলেন, “বাড়ির পুকুর ও ডোবাগুলোর নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া এবং শিশুদের সাঁতার শেখানো অত্যন্ত জরুরি।”

ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, “অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়া এবং শিশুদের সাঁতার শেখানো প্রয়োজন। এছাড়া বাড়ির আশপাশের পুকুর ও ডোবার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করাও জরুরি।”

শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে সম্মিলিতভাবে সচেতনতা বাড়ানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং সাঁতার শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করণীয়

শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। এটি শিরায় জমা হয়ে ধমনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের মতো মারাত্মক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিচে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের সহজ কিছু উপায় তুলে ধরা হলো।

ফাইবারযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়ান

খাবারের তালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করুন। বার্লি, তুষ, গোটা গমের আটা, শণের বীজ, বাদাম, পেস্তা, সূর্যমুখী বীজ ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করুন। মটরশুটি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ওটমিল, আপেল, ও নাশপাতির মতো ফল-মূল কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত এসব খাবার গ্রহণ করলে শরীর থাকবে সুস্থ।

ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান শুধুই ক্ষতিকর অভ্যাস নয়, এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ধূমপান বন্ধ করলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার, বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে ধূমপান পরিহার করুন।

প্রোটিন ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর। মুরগির মাংস, ডিমের সাদা অংশ, আখরোট, বাদাম এবং সামুদ্রিক মাছ খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায়। প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এই উপাদানগুলো যোগ করলে সুস্থ থাকা অনেক সহজ হয়ে ওঠে।

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝেও অন্তত ৩০ মিনিটের ব্যায়াম করুন। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। হাঁটাহাঁটি, জগিং, সাইক্লিং বা সাঁতার কাটার মতো কার্যক্রম শরীরের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।

অপ্রয়োজনীয় চর্বি পরিহার

খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণের অভ্যাস বদলাতে হবে। বিশেষত প্রসেসড ফুড এবং অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

নিজের যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমেই আপনি সুস্থ থাকতে পারেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মশার কামড় থেকে হতে পারে ভয়াবহ রোগ

বর্তমানে মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয়, হতে পারে আরও মারাত্মক সব রোগ। ডেঙ্গুর প্রকোপ দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এখন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তবে ডেঙ্গুর পাশাপাশি ইয়েলো ফিভার, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, জিকা, সিন্ডবিসসহ ভয়াবহ রোগগুলোর কথা জেনে সাবধান থাকা জরুরি।

ডেঙ্গু:

এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়। এ রোগে শরীরে ব্যথা, লাল গুটি, মাংসপেশী এবং হাড়ের জোড়ায় ব্যথা দেখা দেয়। চরম পর্যায়ে রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যুও হতে পারে। আবার দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু হলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।

ইয়েলো ফিভার:

টাইগার মশা ও এডিস প্রজাতির মশা ইয়েলো ফিভার ছড়ায়। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। লক্ষণ হিসেবে জ্বর, বমি এবং পরে মেনিনজাইটিস দেখা দেয়।

চিকুনগুনিয়া:

কয়েক বছর আগে চিকুনগুনিয়া দেশে মহামারির রূপ নেয়। এর ফলে হাড়ের জোড়ায় তীব্র ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, একবার চিকুনগুনিয়া হলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম।

ম্যালেরিয়া:

অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায়। এ রোগে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয় এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

জিকা ভাইরাস:

২০১৫ সালে জিকা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এডিস মশা এই ভাইরাস বহন করে। গর্ভবতী নারীরা এ রোগে আক্রান্ত হলে নবজাতকের মধ্যে শারীরিক বিকৃতি দেখা দিতে পারে।

সিন্ডবিস:

কুলেক্স মশার মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগে জ্বর, মস্তিষ্কে প্রদাহ এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দেখা দেয়।

ওয়েস্ট নাইল ফিভার:

বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের জন্য এই রোগ ভয়াবহ হতে পারে। এতে মেনিনজাইটিস এবং মায়োকার্ডিটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লাইশম্যানিয়াসিস:

গর্ভবতী মশার কামড়ে ছড়ানো এই রোগে ত্বকের ক্ষত, জ্বর এবং মাথাব্যথা দেখা দেয়। চিকিৎসার অভাবে এটি লিভার ও কিডনিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রতিরোধ:

মশাবাহিত এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বিকল্প নেই। ঘরে-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং মশার কামড় এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা ত্রিপুরার হাসপাতালের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার এক হাসপাতাল। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার একটি হাসপাতালও।

এছাড়া ওই হাসপাতালে বাংলাদেশিদের জন্য হেল্প ডেস্কও বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য ভারতে ভ্রমণ করে থাকেন। কলকাতার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও দক্ষিণ ভারতের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা করাতে যান বাংলাদেশি রোগীরা। তবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর উভয় দেশের সম্পর্কেও দেখা দিয়েছে শীতলতা।




রাগ কমানোর উপায়: অতিরিক্ত রাগের ক্ষতিকর প্রভাব

রাগ একটি স্বাভাবিক অনুভূতি, যা অনেক সময় আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে অতিরিক্ত রাগ শরীর ও মনের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ন্ত্রিত রাগ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, কিন্তু অতিরিক্ত রাগ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে।

অতিরিক্ত রাগের ক্ষতিকর প্রভাব

১. হৃদযন্ত্রের ক্ষতি
গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত রাগের ফলে হৃদপিণ্ডের পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এ কারণে হাই ব্লাড প্রেসার, হৃদযন্ত্রের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হ্রাস এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. হজমে ব্যাঘাত
অতিরিক্ত রাগ অন্ত্রের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে হজম সমস্যা, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা বা গ্যাস্ট্রোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘস্থায়ী রাগ অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৩. মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি
অতিরিক্ত রাগ উদ্বেগ, বিষণ্ণতা এবং একাগ্রতার অভাব তৈরি করে। এটি মস্তিষ্কের সুস্থ চিন্তাশক্তিকে নষ্ট করে এবং জীবনের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলে।

রাগ কমানোর কার্যকর উপায়

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: রাগ অনুভব করলে ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন।

মেডিটেশন: প্রতিদিন কিছুক্ষণ মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

পরামর্শ গ্রহণ: প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ মনোবিদের সঙ্গে আলোচনা করুন।

নিয়মিত ব্যায়াম: শরীরচর্চা শুধু রাগ কমায় না, মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।

রাগ জীবনের একটি অংশ হলেও অতিরিক্ত রাগ আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ ডেকে আনে। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




চলতি বছর বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু

চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৮০৩ জনকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৭ হাজার ৪৭৮ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭০ জন রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪৪ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ১ জন এবং অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভোলা, পিরোজপুর এবং বরগুনা জেলার সরকারি হাসপাতালে চলতি বছর তিন জন করে মারা গেছে।

ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল আরও জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ২৮১ জন। বরিশাল জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে ৫৮২ জন, পটুয়াখালী জেলার অন্যান্য হাসপাতালে ৭২৯ জন, ভোলা জেলার সরকারি হাসপাতালে ৭৪৫ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ১৫ জন, বরগুনায় ২ হাজার ১৭৭ জন এবং ঝালকাঠির ২৩৯ জন।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সর্বোচ্চ সচেতনতা প্রয়োজন। তাই আমাদের সচেতন না হলে আক্রান্তের সংখ্যা কমানো সম্ভব হবে না।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



খেজুর: সুস্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধের চমৎকার সমাধান

আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য খেজুর হতে পারে অন্যতম সমাধান। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই প্রাকৃতিক মিষ্টি খাদ্য শরীরের নানা উপকারে আসে।

খেজুরে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে মাত্র কয়েকটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে শরীরকে আরও শক্তিশালী করে।

খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমিয়ে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি শুধু অসুস্থতা দূরে রাখে না, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

ওজন কমাতে খেজুরের ভূমিকা

খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কমায়। এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এবং প্রক্রিয়াজাত মিষ্টির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। পাশাপাশি, এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এটি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

খেজুরের বহুমুখী ব্যবহার

খেজুর সাধারণত কাঁচা খাওয়া হলেও এটি স্মুদি, কেক বা ডেজার্টে ব্যবহার করা যায়। এটি চিনি বা গুড়ের বিকল্প হিসেবে কাজ করে, যা স্বাদে এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় দারুণ ভূমিকা পালন করে।

ওয়ার্কআউটের জন্য আদর্শ স্ন্যাক

ওয়ার্কআউটের আগে শক্তি জোগাতে প্রাক-ব্যায়াম স্ন্যাক হিসেবে খেজুর আদর্শ। এটি শরীরকে দীর্ঘ সময় শক্তিশালী রাখে এবং ক্লান্তি দূর করে।

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন

আজই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে খেজুর যোগ করুন। এর মিষ্টি স্বাদ ও অসাধারণ পুষ্টিগুণ আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




শীত ও কুয়াশা নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার পড়তে পারে। এর কারণে দৃষ্টিসীমা ৭০০ মিটার বা কোথাও কোথাও এর চেয়ে কম হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভোর ৫টা থেকে ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৭০০ মিটার বা কোথাও কোথাও এর চেয়ে কম হতে পারে। তাই এসব এলাকার নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তবে কোনো সতর্কসংকেত দেখাতে হবে না।

অপর এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এ সময় শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।




ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে কার্যকর পরামর্শ

বায়ুদূষণ এবং ধূমপানের কারণে বিশ্বজুড়ে ফুসফুসের রোগ বেড়েই চলেছে। বর্তমানে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ নানা ধরণের ফুসফুসজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে ফুসফুস ক্যানসার অন্যতম। তবে কিছু ঘরোয়া অভ্যাস অনুসরণ করে ফুসফুসকে সুস্থ রাখা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসের যত্ন নেওয়ার সহজ কিছু পদ্ধতি।

মুখের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

ফুসফুস ভালো রাখতে মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং জিহ্বা পরিষ্কার করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করতে পারে না।

ডিটক্স ওয়াটার পান করুন

ফুসফুস পরিষ্কার করতে মধু-গরম পানি, লেবুর শরবত, সবুজ চা, গাজরের রস, হলুদ ও আদার মিশ্রণ কার্যকর। নিয়মিত এসব পানীয় পান করলে ২-৩ সপ্তাহেই ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হয়।

হ্যালোথেরাপি নিন

লবণ থেরাপি বা হ্যালোথেরাপি হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং কাশির জন্য উপকারী। এটি ফুসফুসের শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করে।

ওরিগানো অয়েলের ব্যবহার

ওরিগানো অয়েল ও আমন্ড অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন ১-২ ফোঁটা জিহ্বার নিচে রেখে কুলকুচি করলে ফুসফুস ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়। এই পদ্ধতি এক মাস ধরে অনুসরণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

গরম পানিতে গোসল করুন

সপ্তাহে অন্তত ৩ বার গরম পানিতে গোসল করুন বা স্টিম বাথ নিন। এটি ফুসফুসের শ্লেষ্মা কমাতে সহায়ক।

শ্বাসের ব্যায়াম করুন

শ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং ঠোঁট পাউট করে শ্বাস ছাড়ুন। প্রতিদিন ৪-৫ বার এই ব্যায়াম করলে বায়ু চলাচল সহজ হয়।

মসলাদার খাবার বাদ দিন

পনির, মাখন, দই, এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ফুসফুসের শ্লেষ্মা বাড়ায়। এসব খাবার থেকে দূরে থাকুন।

ফুসফুস সুস্থ রাখতে এসব অভ্যাস অনুসরণ করে দেখুন। আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্য দ্রুত উন্নতি হতে শুরু করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম