নিজেই নিজের ক্ষতি করার পাঁচটি কারণ ও করণীয়

নিজের জীবনকে উন্নত করার বদলে অনেক সময় আমরা নিজেদের জন্যই ক্ষতিকর অভ্যাস তৈরি করি। এগুলো ধীরে ধীরে আমাদের সুখ, মানসিক স্বাস্থ্য এবং সম্পর্ককে নষ্ট করতে পারে। এমন কিছু অভ্যাস আছে যা আমরা না বুঝেই প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কাজগুলো আমাদের ক্ষতির কারণ এবং এগুলো থেকে মুক্তির উপায়।

জীবনকে প্রতিযোগিতা মনে করা

অন্যদের সঙ্গে নিজের জীবনকে তুলনা করা বা সবকিছুতেই প্রতিযোগিতায় জড়ানো এক বিপর্যয়কর অভ্যাস। জীবন কোনো প্রতিযোগিতা নয়, এটি হলো পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্মানের জায়গা। পরিবর্তে নিজের শক্তি এবং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

ঝকঝকে জীবনের মোহ

উচ্চ বেতন, সামাজিক স্বীকৃতি, বা বিলাসবহুল জীবনধারাকে সুখের একমাত্র মানদণ্ড বানানো মানে নিজেকে চাপের মধ্যে ফেলা। বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে, জীবনের ছোট খুশিগুলোকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

অতীতের ক্ষত আঁকড়ে ধরা

অতীতের অভিযোগ বা ভুলগুলোকে ধরে রাখা মানে বর্তমানকে নষ্ট করা। এগুলো আপনাকে সামনের দিকে এগোতে বাধা দেবে। পুরনো আক্ষেপ ভুলে নতুন সূচনা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন।

সব ভাবনাকে সঠিক মনে করা

নিজের প্রতিটি ভাবনা বা বিশ্বাসকে সঠিক ধরে নেওয়া আত্মসমালোচনা এবং শিক্ষার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নিজের চিন্তাগুলোকে বিশ্লেষণ করুন এবং প্রয়োজনে অন্যের মতামত গ্রহণ করুন।

দায়িত্ব এড়িয়ে চলা

নিজের সমস্যার জন্য সবসময় পরিবেশ বা অন্যদের দোষারোপ করা আত্মোন্নতির পথে বড় বাধা। নিজের অবস্থার উন্নতি করতে দায়বদ্ধ হোন এবং সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পটুয়াখালীতে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মো. তারিকুল তুহিন (৩২) নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে গলাচিপা-পটুয়াখালী সড়কের তালতলা মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুহিন মোটরসাইকেলে করে সুহরী ব্রিজ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা রডবোঝাই ট্রাক (খুলনা মেট্রো-ট ১১-২১৪৮) তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

তুহিন গোলখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম খানের ছেলে। তিনি গলাচিপা উপজেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং সুহরী ব্রিজ বাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্যবসা করতেন।

দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাকটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান জানান, ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতে মুখ ও হাত-পায়ের চামড়া উঠলে কী করবেন?

শীতকালের আগমন না হলেও অনেকেই এখনই ত্বকে শুষ্কতা ও চামড়া ওঠার সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষ করে মুখ, হাত, ও পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং কিছু ক্ষেত্রে পিলিং বা ত্বকের খোসা ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত, এসব সমস্যা ক্রিম বা ভ্যাসলিন মাখলেও দ্রুত সমাধান হয় না। তবে, এর পেছনে রয়েছে কিছু কারণ এবং সঠিক যত্ন নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ত্বক শুষ্ক ও খোসা ওঠার কারণ এবং তা প্রতিরোধের উপায়-

ত্বক শুষ্ক হওয়ার কারণ:

১. শীত বা গরমের প্রভাব:
শীত বা অত্যাধিক গরম ত্বকের আর্দ্রতা হ্রাস করে। যখন ত্বক প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা হারায়, তখন তা শুষ্ক হয়ে যায় এবং পিলিং হতে পারে। শীতে বিশেষ যত্ন নিতে না পারলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে পড়ে।

২. পানিশূন্যতা:
শীতকালে অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, যা ত্বককে ডিহাইড্রেটেড (পানিশূন্য) করে তোলে। এতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বকে খোসা ওঠার সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে যাতে ত্বক আর্দ্র ও কোমল থাকে।

৩. প্রসাধনীর ক্ষতিকর প্রভাব:
বিভিন্ন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদানগুলো ত্বকের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘদিন এসব কেমিক্যাল ব্যবহারে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং পিলিংয়ের সমস্যা সৃষ্টি হয়।

৪. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অ্যান্টিবায়োটিক বা কোনো কড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ত্বকের চামড়া উঠে যেতে পারে। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে এসব ওষুধ গ্রহণ করলে ত্বকে খোসা ওঠার সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

৫. রোদে পোড়ানো:
রোদে অতিরিক্ত সময় কাটানো বা সানট্যানের কারণে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এতে ত্বকে ফোস্কা পড়তে পারে এবং পরবর্তীতে ত্বকের চামড়া উঠতে পারে।

ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায়:

১. নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং:
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। আপনি অ্যালো ভেরা, নারিকেল তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন, যা ত্বককে আর্দ্র রাখবে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করবে।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
পানিশূন্যতা এড়াতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এতে ত্বক সুস্থ ও কোমল থাকবে এবং পিলিংয়ের সমস্যা কমবে।

৩. সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার:
ত্বকের জন্য সঠিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন, যা কেমিক্যাল মুক্ত এবং ত্বকের জন্য উপযোগী। আলাদা আলাদা ত্বক (যেমন: শুষ্ক ত্বক, তৈলাক্ত ত্বক) অনুযায়ী উপযুক্ত প্রসাধনী নির্বাচন করুন।

৪. সানস্ক্রিন ব্যবহার:
রোদে বাইরে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক রোদ থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং ত্বকে পিলিং হতে কম হবে।

৫. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন:
শীতে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন- লেবু, শসা, গাজর, এবং পর্যাপ্ত ফ্যাট গ্রহণের জন্য বাদাম এবং তেলযুক্ত খাবার।

৬. নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন:
ত্বকের পরিচর্যা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, অতিরিক্ত স্ক্রাবিং বা পরিষ্কার না করা উচিৎ, কারণ এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ ও সমাধান

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া এমন একটি সমস্যা, যা শরীর ও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি অনেক সময় সাময়িক হলেও দীর্ঘমেয়াদে এ সমস্যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নিই এর কারণ ও প্রতিকার।

মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ:

১. অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অবসাদের কারণে অনেকেরই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে।

২. মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার:
রাত পর্যন্ত মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্রন্থি থেকে মেলাটনিন হরমোন নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে, যা ঘুমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. শারীরিক সমস্যা:

ডায়াবেটিস বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস

প্রস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধি (পুরুষদের ক্ষেত্রে)

হৃদরোগের কারণে শ্বাসকষ্ট

গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ের অস্বস্তি

৪. খাবারের অভ্যাস:

রাতে অনেক দেরি করে খাবার খাওয়া।

খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়া, যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD) এর কারণ হতে পারে। এর ফলে শোবার পর কাশি, গলা জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য করণীয়:

১. সূর্য ডোবার পর চা, কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৩. বিকেলে নিয়মিত হাঁটুন।
৪. ঘুমানোর ৪ ঘণ্টা আগে মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করুন।
৫. রাতে বেশি দেরি করে শোবেন না।
৬. খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর শুতে যান।
৭. ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
৮. প্রার্থনা বা ধ্যান করুন।
৯. শারীরিক সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

**মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম**

 




শরীরের ডিটক্সে দিন শুরু করার ৫ উপায়

সকালের ডিটক্স রুটিন শরীর ও মনের জন্য আশ্চর্যজনক উপকার নিয়ে আসে। এটি শুধু বিষাক্ত পদার্থ দূর করে না, বরং শক্তি বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে। নিচে এমন ৫টি উপায় দেওয়া হলো, যা সকাল ৯টার আগে আপনার ডিটক্স রুটিনে যোগ করতে পারেন।

১. নারিকেল তেল ব্যবহার:
প্রাচীন একটি পদ্ধতি হিসেবে নারিকেল তেল মুখ ও শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। সকালে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল মুখে ঘষলে মুখের টক্সিন দূর হয়, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং প্রদাহ কমে। এটি দাত ও মুখ পরিষ্কার রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

২. গভীর শ্বাস নেওয়া:
ভোরে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ফুসফুস পরিষ্কার করে এবং মানসিক চাপ কমায়। সহজ একটি পদ্ধতি হলো: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নেওয়া, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখা, এবং ৮ সেকেন্ডে ধীরে শ্বাস ছাড়া। এটি রক্তকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ করে এবং শরীরকে দিন শুরু করার জন্য প্রস্তুত করে।

৩. আদা-লেবু-পানিতে চুমুক:
হালকা গরম পানিতে লেবু এবং আদা মিশিয়ে পান করলে এটি প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। লেবু শরীরের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে এবং আদা হজমে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে এই পানীয় আপনাকে দিনভর সতেজ রাখবে।

৪. হালকা গরম পানিতে গোসল:
সকালের হালকা গরম পানির গোসল ঘামের মাধ্যমে টক্সিন বের করে দেয়। এতে প্রয়োজনীয় তেল যোগ করলে ডিটক্স প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়। ১০-১৫ মিনিটের এই গোসল মানসিক চাপ কমিয়ে আপনাকে তরতাজা রাখবে।

৫. হাঁটা এবং যোগব্যায়াম:
সকালে হাঁটাহাঁটি এবং যোগব্যায়াম রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্স প্রক্রিয়া উন্নত করে। প্রাকৃতিক আলো ভিটামিন ডি সরবরাহ করে এবং সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

সকালে এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করলে আপনি শরীর ও মনের সুস্থতা উপভোগ করতে পারবেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না: মাহফুজ আলম

বাংলাদেশ কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন। পোস্টে তিনি চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি সহিংসতায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কথা বলেন।

মাহফুজ আলম বলেন, “হঠকারিতা, নেতিবাচকতা ও ভাঙনের মানসিকতা থেকে বের হয়ে আমাদের সৃজনশীল ও ইতিবাচক মানসিকতায় এ রাষ্ট্রকে গড়তে হবে। এ রাষ্ট্র পরিগঠন করলেই কেবল শহিদ আলিফের শাহাদাতসহ শহিদানদের রক্তের মূল্য হতে পারে।”

পোস্টে তিনি ছাত্র-জনতাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, “দায়িত্ব ও দরদের নজির দেখিয়ে আপনারা বাংলাদেশকে গর্বিত করেছেন। বাংলাদেশ আর কারো ষড়যন্ত্রের সামনে পরাস্ত হবে না। ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের ব্যক্তি ও সমষ্টির ‘শক্তি’ সাধনায় দরদি ও দায়িত্ববান হয়ে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হয়ে ওঠা মোক্ষ। আমাদের এই অভ্যন্তরীণ শক্তি যেকোনো বহিঃশত্রুকে পরাজিত করবে। আমরা আর উপনিবেশযোগ্য (Colonizable) হবো না।”

দেশের ‘প্রাজ্ঞ আলেম ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের’ ‘বিশেষ ধন্যবাদ’ প্রাপ্য উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লিখেছেন, “আপনারা এ গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে বাঙালি মুসলমানকে দায়িত্বশীল আচরণে অনুপ্রাণিত করেছেন। ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে আপনাদের আজ ও আগামীর প্রাজ্ঞ উদ্যোগ বাংলাদেশ রাষ্ট্রে আপনাদের ইজ্জত ও শরিকানা নিশ্চিত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




দশমিনায় বৃদ্ধ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর দশমিনায় মো. নুর ইসলাম (৬৬) নামে এক বৃদ্ধকে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আ. কাইয়ূমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকা থেকে র‍্যাবের সহযোগিতায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুর ইসলাম হত্যা মামলার আসামিরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আ. কাইয়ূমকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর সকালে দশমিনার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. নুর ইসলাম হাওলাদারকে পার্শ্ববর্তী নেহাগঞ্জ এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহাগসহ ছয়জন। তাঁদের সঙ্গে ছিল আরও দুই-তিনজন। সেতুর ঢালে নিয়ে গিয়ে তাঁরা নুর ইসলামকে মারধর করে খালের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আ. কাইয়ূমসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করা হয়।

রোববার সন্ধ্যায় এসআই আবু হানিফ ও এএসআই মো. জসিমের নেতৃত্বে পুলিশ দল গাজীপুর র‍্যাবের সহায়তায় চৌরাস্তা এলাকা থেকে কাইয়ূমকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুরে তাঁকে দশমিনা থানায় আনা হয় এবং আজ সকালে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার বাদী কহিনুর বেগম বলেন, “আমার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। আমি আইনের প্রতি আস্থা রাখি। জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

ওসি মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গণমাধ্যমে হামলা মেনে নেব না, অবশ্যই ব্যবস্থা নেব: উপদেষ্টা নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “গণমাধ্যমে হামলা বা ভাঙচুর হলে সেটা মেনে নেব না, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।” তিনি আরো বলেন, “তবে জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে, সেভাবে গণমাধ্যমের সহায়তা পাচ্ছে না। বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল এবং মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব।”

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম জানান, “বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওপর মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কেন এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা দরকার। তবে, যদি কোনো গণমাধ্যম অফিসে ভাঙচুর হয়, তাহলে সেটা সরকারের জন্য একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং সরকার ব্যবস্থা নেবে।”

তিনি আরো বলেন, “এখনো দেশের প্রতিষ্ঠিত অনেক গণমাধ্যম ভুল সংবাদ ও গুজব প্রচার করছে, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।”

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসে হামলা ও আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, “গতকালই বলেছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হলে সরকার নিশ্চয়ই ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখব।”

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কম। এখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংবাদকক্ষগুলোকে। তবে তাৎক্ষণিক ভোল পাল্টানো সমাধান নয়, সত্য স্বীকারের মাধ্যমে জাতীয় পুনর্মিলন সম্ভব।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “শুধু ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চান না। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে, তবে আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটা দেখা হবে। আমরা চাই না আগের আমলের মতো পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।”


মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




“আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না: তারেক রহমান”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র একসঙ্গে কখনই চলতে পারে না। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের পক্ষের সকল শক্তিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রকৃতি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সকলকে একযোগভাবে কাজ করতে হবে।

তারেক রহমান দাবি করেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে নানান ষড়যন্ত্র করছে, তবে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিরাপদ। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু অপশক্তি উঠে পড়েছে, যারা দেশের ভিতরে এবং বাইরে থেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, বিতাড়িত অপশক্তি ও তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কখনই জায়গা পাবেন না।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ প্রক্রিয়া কখনও শেষ হয় না। তবে আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির গুণগত উন্নতি ছাড়া কোনো প্রক্রিয়াই কার্যকর হতে পারে না।” তারেক রহমান এই কথা বলেন আজ সোমবার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার সময়।

তারেক রহমান আরও বলেন, “স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে কমপক্ষে ছয়জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় ৪০০ বিএনপি নেতাকর্মী এই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন।” তিনি উল্লেখ করেন, স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠতা হারিয়ে গিয়েছিল, যা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর ছিল।

তিনি বলেন, “দেশে এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে, যেখানে গণতন্ত্রের শত্রুরা বিভিন্ন কৌশলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তবে আমরা সতর্ক থাকলে এসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।”

তারেক রহমান আরো বলেন, “আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে বিদায় করা হবে, আইনগত এবং রাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে এবং জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি জানান, ২০২২ সালে বিএনপি ২৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল, পরে ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে। এসব প্রস্তাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য একটি মিডিয়া কমিশন গঠন করার সুপারিশ করা হয়েছিল।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে মানুষের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত থাকবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে এনা পরিবহনের বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী গোলাম মাওলা (৪৪) নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের করমজাতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

গোলাম মাওলা পটুয়াখালী পৌরসভার চৌরাস্তা এলাকার আবদুল মান্নান সিকদারের ছেলে এবং রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী ছিলেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকাগামী এনা পরিবহনের বাস (ঢাকা মেট্রো ব ১২-১৪৭২) কুয়াকাটা থেকে পটুয়াখালী আসার পথে করমজাতলা এলাকায় উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই গোলাম মাওলা প্রাণ হারান।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন। তদন্ত কার্যক্রম চলছে।”

এ দুর্ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মহাসড়কে বাসগুলোর বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ রিপোর্টার, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ