বাংলাদেশকে ৬৮৫ বিশিষ্ট ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: গত ৫ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্কে শান্তি ও বন্ধুত্বকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে খোলা চিঠি দিয়েছেন ভারতের ৬৮৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরাইশিসহ চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ৩৪ জন সাবেক রাষ্ট্রদূত, ৩০০ জন শিক্ষাবিদ, ১৩৯ জন সাবেক আমলা, ১৯২ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা এবং ৩৫ জন সিভিল সোসাইটি সদস্য।

স্বাক্ষরকারীদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং তাদের সহায়-সম্পত্তি, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে লক্ষ্য করে সব ধরনের হামলা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।




ড. ইউনূসের ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মিসরের কায়রোতে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মিসর যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলন মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।




গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ১০০ জনে পৌঁছেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।




শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া নির্বাচন আয়োজনের সময় নির্ধারণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে গুমসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নও উঠেছে। সেখানে হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের সম্পৃক্ততা তদন্তে সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।




মোদির বিতর্কিত পোস্ট : মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরল সরকার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্টেকে কেন্দ্র ক‌রে বাংলা‌দে‌শের মু‌ক্তিযু‌দ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধ‌রে‌ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মোদির বিতর্কিত পোস্টের প্রতিবাদে এক বিবৃতিতে মু‌ক্তিযু‌দ্ধের ইতিহাস তুলে ধ‌রা হয়েছে।

‘ইতিহাসের তথ্য’ শিরোনামে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ৯ মাসব্যাপী নৃশংস যুদ্ধ সহ্য করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ‘লিবারেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড : ইন্দো-বাংলাদেশ রিলেশন্স’ শিরোনামে তার বইয়ে, প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব, কূটনীতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রয়াত জেএন দীক্ষিত লিখেছেন, ‘আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সামরিক হাইকমান্ডের একটি বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল যৌথ কমান্ডের বাংলাদেশ পক্ষের কমান্ডার জেনারেল এমএজি ওসমানির উপস্থিতি নিশ্চিত এবং স্বাক্ষরকারী করতে ব্যর্থতা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তার অনুপস্থিতির আনুষ্ঠানিক অজুহাত ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করেছিল কিন্তু আত্মসমর্পণের সময়সূচির অনুযায়ী সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারেনি। কিন্তু ব্যাপক সন্দেহ ছিল যে তার হেলিকপ্টারটি ভুল পথে পাঠানো হয়েছিল যাতে তিনি সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারেন এবং অনুষ্ঠানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভারতীয় সামরিক কমান্ডারদের ওপর নিবদ্ধ হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক বিচ্যুতি ছিল যা ভারত এড়াতে পারতো। এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি করে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানির উপস্থিতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিনগুলোতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন অনেক রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করতে পারতো।

বিবৃ‌তিতে উ‌ল্লেখ করা হয়, আমরা ১৯৭১ সালে আমাদের গৌরবময় বিজয় উদযাপন করি, আমরা সত্য উদযাপন করি।

গত সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডে‌লে একটি পোস্ট দেন নরেন্দ্র মোদি। এতে তিনি লিখেছেন, ‘আজ, বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ আত্মোৎসর্গ ও অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব ও অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।’

পোস্টটিতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গিয়ে একাত্তরের বিজয়কে কেবল ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলা হয়েছে। যা বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষকে আহত করেছে।




ট্রাম্পের ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি

শপথ নেওয়ার আগেই ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, একই নীতি ব্রাজিলের ওপরও প্রয়োগ করবেন।

মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) তার বাসভবন মার-এ লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প এই হুমকি দেন। তিনি বলেন, “যদি কোনো দেশ আমাদের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রও সেই দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে কর চাপাবে।”

ভারত ও ব্রাজিলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এই দুই দেশ প্রায় সব ক্ষেত্রেই আমেরিকান পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। অথচ এতদিন আমেরিকা তাদের ওপর কোনো শুল্ক চাপায়নি। ট্রাম্প আরো বলেন, “বাণিজ্যে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি। যদি ভারত আমেরিকান পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপায়, তবে আমেরিকাও সেই পরিমাণ শুল্ক চাপাবে।”

এসময় তিনি ভারত এবং ব্রাজিলকে সতর্ক করে বলেন, “ওরা আমাদের ওপর শুল্ক চাপাক, তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে আমরাও তাদের ওপর শুল্ক চাপাবো।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫ নভেম্বর বিজয়ী হলেও, তিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণের দিন নির্ধারিত। তবে শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত শর্তাবলী নিয়ে হুমকি দিয়েছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




সিরিয়ায় এক গণকবরেই লাখো মরদেহের সন্ধান

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে একটি গণকবরেই অন্তত এক লাখ মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সিরিয়ার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান এমার্জেন্সি টাস্ক ফোর্স এই তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার দামেস্ক থেকে টেলিফোনে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সংস্থাটির প্রধান মোয়াজ মোস্তফা বলেছেন, দামেস্কের বাইরের ওই গণকবরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারের হাতে নিহত কমপক্ষে এক লাখ মানুষের মৃতদেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরের আল কুতায়ফাহ এলাকায় গণকবরটি অবস্থিত। ওই এলাকায় গত কয়েক বছরে তিনি আরও একই ধরনের অন্তত পাঁচটি গণকবর শনাক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন।




যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে দুর্বৃত্তদের বন্দুক হামলা, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের রাজধানী ম্যাডিসন-এ একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পুলিশ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে অ্যাবন্ড্যান্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্র জানায়, হঠাৎই এক বন্দুকধারী স্কুলে গুলি চালায়।

ম্যাডিসন পুলিশের মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে জানান, “আমরা একাধিক হতাহতের খবর পেয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” স্কুল সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

ম্যাডিসন পুলিশ প্রধান শন বার্নস জানান,
“নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও থাকতে পারে। হামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ও আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার পেছনের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




অভূতপূর্ব শৈত্যপ্রবাহে জমে যাচ্ছে সৌদি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: অভূতপূর্ব শৈত্যপ্রবাহে জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরব। গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া শৈত্য প্রবাহে ২১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির অনেক স্থানে তাপমাত্রা নেমে গেছে শূন্যের নিচে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইতোমধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, রাতের বেলা মাটির ওপর বোতল থেকে পানি ঢালা হচ্ছে, আর সেই পানি মাটিতে পড়ামাত্র বরফ হয়ে যাচ্ছে। সৌদির আল জৌফ প্রদেশের তাবারজাল জেলায় ইতিহাসে এই প্রথমবার পানি জমে বরফে পরিণত হচ্ছে বলে জানা গেছে।




১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত, দাবি মোদির

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনেই বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

এদিকে “বিজয় দিবসে” সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭১ সালে এই বিজয় দিবসে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত। ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয়ে সাহসী সৈনিকদের আত্মত্যাগকে সম্মানও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ, বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈনিকদের সাহস এবং আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।”

তার দাবি, “তাদের নিঃস্বার্থ নিবেদন এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে।”

মোদি আরও বলেন, “এই দিনে তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং তাদের অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।”

প্রসঙ্গত, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।

ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার ভয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিরা মুখ খুলছে না

এ বছরের বিজয় দিবস মহা আনন্দের বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মাত্র কয়েক মাস আগে পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসককে (শেখ হাসিনাকে) পালিয়ে যেতে বাধ্য করে আমাদের প্রিয় দেশকে মুক্ত করেছে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার তাগিদে ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রক্ত দিয়ে চার মাস আগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল, সে ঐক্য এখনও পাথরের মতো মজবুত আছে। মাত্র কয়েক দিন আগে জাতি আবার গর্জে উঠে সমগ্র পৃথিবীকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে।

১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসন, ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার রোষানলের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করছে।