যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে দুর্বৃত্তদের বন্দুক হামলা, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের রাজধানী ম্যাডিসন-এ একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্যের পুলিশ।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে অ্যাবন্ড্যান্ট লাইফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্র জানায়, হঠাৎই এক বন্দুকধারী স্কুলে গুলি চালায়।

ম্যাডিসন পুলিশের মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে জানান, “আমরা একাধিক হতাহতের খবর পেয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” স্কুল সংলগ্ন এলাকা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

ম্যাডিসন পুলিশ প্রধান শন বার্নস জানান,
“নিহতদের মধ্যে বন্দুকধারীও থাকতে পারে। হামলার পরপরই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল ও আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হামলার পেছনের কারণ এখনও জানা যায়নি। বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




অভূতপূর্ব শৈত্যপ্রবাহে জমে যাচ্ছে সৌদি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: অভূতপূর্ব শৈত্যপ্রবাহে জমে যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যের মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরব। গতকাল রোববার থেকে শুরু হওয়া শৈত্য প্রবাহে ২১ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির অনেক স্থানে তাপমাত্রা নেমে গেছে শূন্যের নিচে মাইনাস ৩ ডিগ্রিতে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইতোমধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, রাতের বেলা মাটির ওপর বোতল থেকে পানি ঢালা হচ্ছে, আর সেই পানি মাটিতে পড়ামাত্র বরফ হয়ে যাচ্ছে। সৌদির আল জৌফ প্রদেশের তাবারজাল জেলায় ইতিহাসে এই প্রথমবার পানি জমে বরফে পরিণত হচ্ছে বলে জানা গেছে।




১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত, দাবি মোদির

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। হাজার বছরের গর্বিত বাঙালি জাতির বীরত্বের অবিস্মরণীয় দিন আজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনেই বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের।

এদিকে “বিজয় দিবসে” সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ১৯৭১ সালে এই বিজয় দিবসে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত। ভারতের সেই ঐতিহাসিক জয়ে সাহসী সৈনিকদের আত্মত্যাগকে সম্মানও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ, বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈনিকদের সাহস এবং আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই।”

তার দাবি, “তাদের নিঃস্বার্থ নিবেদন এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে।”

মোদি আরও বলেন, “এই দিনে তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং তাদের অদম্য চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাদের আত্মত্যাগ চিরকাল প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের জাতির ইতিহাসে গভীরভাবে গেঁথে থাকবে।”

প্রসঙ্গত, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে।

ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার ভয়ে গুম হওয়া ব্যক্তিরা মুখ খুলছে না

এ বছরের বিজয় দিবস মহা আনন্দের বলে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মাত্র কয়েক মাস আগে পৃথিবীর ঘৃণ্যতম স্বৈরাচারী শাসককে (শেখ হাসিনাকে) পালিয়ে যেতে বাধ্য করে আমাদের প্রিয় দেশকে মুক্ত করেছে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, একটি বৈষম্যহীন দেশ গড়ার তাগিদে ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রক্ত দিয়ে চার মাস আগে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল, সে ঐক্য এখনও পাথরের মতো মজবুত আছে। মাত্র কয়েক দিন আগে জাতি আবার গর্জে উঠে সমগ্র পৃথিবীকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছে।

১৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা স্বৈরাচারী শাসন, ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর জন্য ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার রোষানলের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এ বছর স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর, বাংলাদেশের নবযাত্রায় জাতি নতুন উদ্যম ও উদ্দীপনা নিয়ে দিনটি পালন করছে।




এক বছর ধরে বাশারের পতনের পরিকল্পনা করেছেন বিদ্রোহীরা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত আসাদ সরকারের পতনের পর এইচটিএস বিদ্রোহীরা সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে এবং তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ করেছে দেশটি।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন শনিবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সিরিয়ার যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সবার আগে এগিয়ে আসে, মার্কিন কর্মকর্তারা সেই হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।

যদিও তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যরা দেশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে অতীতে অভিহিত করেছে।

ব্লিংকেন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কর্মকর্তা যিনি বাইডেন প্রশাসন এবং আসাদকে গত রোববার ক্ষমতাচ্যুতকারী সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীর জোটের নেতৃত্বদানকারী হায়াত তাহরির আল-শাম বা এইচটিএস’এর মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন।

জর্ডানের আকাবায় এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ব্লিংকেন এই যোগাযোগের বিষয়ে জানান। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই গোষ্ঠীটির আচরণ এবং অন্তর্বর্তী সময়ে তারা কিভাবে শাসন পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তাটি পাঠানো জরুরি ছিল।

ব্লিংকেন আরও বলেন, “হ্যাঁ, আমরা এইচটিএস ও অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগযোগ বজায় রেখেছি”। তিনি আরও বলেন, “সিরিয়ার জনগণের প্রতি আমাদের বার্তা হচ্ছে এই যে— আমরা চাই তারা সফল হোক , আর সে জন্য আমরা তাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি”।

উল্লেখ্য, এক সময়ে আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত এইটিএস’কে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করেছিল এবং তাদেরকে কোনও রকম বস্তুগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে সেই নিষেধাজ্ঞায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের ওপরে আইনত কোনও বিধিনিষেধ নেই।

প্রসঙ্গত, এইচটিএস দামেস্ক দখলের পর নিরাপত্তা স্থাপনের জন্য এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে উগ্রবাদীদের নিয়ে জনগণের উদ্বেগের মুখে তাদেরকে নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। বিদ্রোহীরা বলছে— তারা উগ্রবাদীদের সঙ্গে তাদের অতীতের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছে।

গোষ্ঠীটির নেতা আহমাদ আল-শারা গত শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় “এই বিজয়ের জন্য সিরিয়ার মহান জনগণকে” অভিনন্দন জানান। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, সংখ্যালঘু এবং নারীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য শারা খুব ভালো মন্তব্য করছেন।




ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকাভুক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে এবার ভারতকেও ‘অসহযোগী’ দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত করেছে কথিত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।

আইসিইর বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক খবরে জানিয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এই তালিকায় এমন দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে থাকে যারা প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা করে না।

আইসিই জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত দেশগুলো সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু ও নির্ধারিত ফ্লাইটে নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে ব্যর্থ।




ইউনের ভাগ্য এখন আদালতে

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের পক্ষে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) ৩০০ সদস্যের সংসদে ২০৪ জন ভোট দিয়েছেন। এই অভিশংসনের মাধ্যমে দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রস্তাব পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ইওলকে তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। এখন প্রেসিডেন্ট ইউনের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সাংবিধানিক আদালতের রায়ের ওপর। আদালতই ঠিক করবে যে ইওলের অপসারণ বহাল থাকবে কি না।

দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে অভিশংসনের ছয় মাসের মধ্যে সাংবিধানিক আদালতের রায় প্রদান করতে হয়। এই আদালত যদি অভিশংসনকে সমর্থন করে, তবে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

দেশটির সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সাংবিধানিক আদালতের পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট ইউন ৩ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানান, তিনি সারা দেশে সামরিক আইন বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের মদতে দেশীয় বিরোধীরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে, আর তাই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এসময় তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন-সুকে সামরিক আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন।

ইওলের ভাষণের পর, দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। বিরোধী দলসহ শাসক দলের সদস্যরাও সামরিক আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। পার্লামেন্টের বিরোধী সদস্যরা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভবনে গিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি তীব্র হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট সামরিক আইন প্রত্যাহার করেন। তবে প্রত্যাহারের পরেও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ কমেনি, এবং বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

শুক্রবার, পার্লামেন্টে ভোটাভুটি চলার সময় হাজার হাজার মানুষ স্লোগান দিতে দিতে প্রেসিডেন্ট ইওলের বরখাস্তের দাবি তোলেন।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ইউন বলেন, “আমি সাময়িকভাবে সব কার্যক্রম বন্ধ রাখছি, তবে আমি জানি, গত আড়াই বছর ধরে যে পথে হাঁটছি, সেই পথ থামবে না।”

প্রেসিডেন্ট ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং-হোন বলেছেন, তিনি ভোটের ফলাফল মেনে নিয়েছেন এবং এটিকে গুরুত্বের সাথে দেখছেন। তিনি প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন।

এছাড়া, প্রেসিডেন্ট ইউন এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগেও তদন্ত শুরু হয়েছে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




অভিশংসিত হলেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন |
আকস্মিক সামরিক আইন জারি ঘিরে সৃষ্ট অচলাবস্থার মাঝে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে দ্বিতীয় দফার ভোটে অভিশংসিত হয়েছেন। শনিবার দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এর আগে, গত ৩ ডিসেম্বর উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তির হুমকি থেকে মুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্র রক্ষা, জনগণের স্বাধীনতা ও সুখ লুণ্ঠনকারী ঘৃণ্য উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল এবং উদার সাংবিধানিক সুরক্ষার ঘোষণা দিয়ে হঠাৎ করে দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল।

যদিও বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও সংসদে ভোটাভুটির পর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সেই সামরিক আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্টের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আদালত। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান আছে।




দামেস্কের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে ইসরাইলি বাহিনী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে আছে ইসরাইলি বাহিনী। ইতোমধ্যে তারা দেশটির ১০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছে। সিরিয়ার এতটা ভেতরে ইসরাইল আগে কখনোই প্রবেশ করতে পারেনি। বাশার আল-আসাদ উৎখাত হওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরাইল। এর অংশ হিসেবেই তারা সিরিয়ার ভেতরে প্রবেশ করছে।

ইসরাইলি বাহিনীর ৬০৩তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন উরি আরমগ ইসরাইলি বাহিনীর সিরিয়ায় প্রবেশের ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা গত বুধবার সাপ্তাহিতক ছুটির জন্য আল-হিয়াম ত্যাগ করি। শনিবার আমরা ডাক পেয়ে ওই দিন রাতের মধ্যেই পুরো কোম্পানি গোলান মালভূমিতে জড়ো হই। রোববারের মধ্যে আমরা সিরিয়ার মাটিতে চলে যাই।’




হামাসের সম্মতির উপর নির্ভর করছে গাজার যুদ্ধবিরতি : ব্লিঙ্কেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: হামাসের সম্মতির উপর নির্ভর করছে গাজার যুদ্ধবিরতি। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনাকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন এমন মন্তব্য করেন।

আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, এখন হামাস যদি যুদ্ধবিরতিকে হাঁ বলে দেয়, তাহলে অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের ভূমিকার প্রশংসা করি। তারা গাজা ইস্যুতেও ভূমিকা রাখতে পারে। তারা হামাসের সাথে কথা বলে যুদ্ধবিরতি বিষয়ে একটি সমাধান বের করতে পারে।




ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো