শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন নির্মূলে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে ইতোমধ্যে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে।

রোববার প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ বাসসকে বলেন, প্রসিকিউশন আবেদন করেছে। পরবর্তী অগ্রগতির বিষয়টি দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পৃথক মামলায় গত ১৭ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে এই অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

সূত্র : বাসস




৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করেছিল দুদক। ওই টিমকেই ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিষয়ে একটি প্রাথমিক তদন্ত করে। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বনাম রিজভী আহমেদ মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম প্রথম নজরে আসে। এফবিআইয়ের তদন্তে সজীব ওয়াজেদ জয়ের গুরুতর আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি উন্মোচিত হয়। বিশেষ করে, তার নামে থাকা হংকং এবং কেম্যান আইল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব থেকে স্থানীয় একটি মানি এক্সচেন্জের মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে টাকা পাচারের তথ্য উঠে আসে। এফবিআই তাদের লন্ডনের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং প্রমাণ পেয়েছে যে সেখানে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম এবং মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের (ডিওজে) সিনিয়র ট্রায়াল এটর্নি লিন্ডা সেমুয়েলস স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেখানে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে রূপপুর ছাড়াও আশ্রয়নসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলোতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।




সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নুর গ্রেফতার

গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় মাওলানা সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিব ইস্কান্দার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাওলানা জোবায়ের অনুসারী এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাদপন্থী মাওলানা সাদ কান্ধলভির ২৯ জন অনুসারীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত কয়েকশ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি মোয়াজ বিন নূর (৪০) রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার হন।

সংঘর্ষের পটভূমি:
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মাঠের ভেতর অবস্থান করা মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদপন্থীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে মাঠে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এই সংঘর্ষে দুইজন ঘটনাস্থলে এবং গুরুতর আহত এক ব্যক্তির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে আহত শতাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মোয়াজ বিন নূর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা। তার পিতার নাম মৃত নুর মোহাম্মদ। মামলায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করতেন শেখ হাসিনা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ বছরে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সিদ্ধান্তে উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক সাইদুজ্জামান নন্দন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এসএম রাশেদুল হাসান ও একেএম মর্তুজা আলী সাগর। বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের পরিচালককে এই টিমের তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও জয়সহ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানকালে তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধকরণ, সম্পদ জব্দ বা ক্রোক করতে পারবে এই কমিটি।

অভিযোগ : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকাসহ বিভিন্ন প্রকল্পে ওঠা ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় দুদক। অভিযোগে রূপপুর ছাড়াও আশ্রয়ণসহ ৮টি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলোতে ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।




২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নতুন করে তদন্ত করা উচিত : হাইকোর্ট

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে এই মামলার তদন্ত করা উচিত।

এই পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।




বিয়ের প্রতিশ্রুতি, পরিণতিতে মা-মেয়ের মর্মান্তিক হ*ত্যা

মোবাইল ফোনে আলাপের মাধ্যমে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান বাগেরহাটের মাধুরী বিশ্বাস (৩৬) এবং পটুয়াখালীর যুবক বিধান দাস (২৫)। সম্পর্ক গভীর হওয়ার পর বিয়ের দাবিতে মাধুরী তার সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে বিধানের কাছে পটুয়াখালী চলে যান। কিন্তু বিধান তাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে।

গত ২৮ নভেম্বর মাধুরী তার মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে খুলনা থেকে বরিশাল পৌঁছান এবং বিধানের সঙ্গে একটি হোটেলে ওঠেন। বিধান তখন পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকার অজুহাতে পটুয়াখালী চলে যান। পরে মাধুরীকে পটুয়াখালী আসতে বলেন। সেখান থেকে একসঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে রওনা হওয়ার সময় তিনি মাধুরী ও তার মেয়েকে বিষ মেশানো পানি খাইয়ে হত্যা করেন।

৪ ডিসেম্বর, দশমিনা বাজার থেকে কীটনাশক সংগ্রহ করেন বিধান। ঢাকার লঞ্চে রওনার সময় পানির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মা-মেয়েকে খাইয়ে দেন। পরদিন লঞ্চ সদরঘাটে পৌঁছালে তিনি তাদের ফেলে পালিয়ে যান।

এক পথচারী তাদের অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাধুরীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মেয়ে শ্রেষ্ঠা গোপালগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ ডিসেম্বর মারা যায়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে বিধানকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বিধান হত্যার দায় স্বীকার করেন।

ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “বিধান একটি বাল্কহেডের শ্রমিক। সম্পর্কের গভীরতার পর মাধুরী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি এই পরিকল্পনা করেন।”

মাধুরীর বড় ভাই নারায়ণ বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। তদন্তের মাধ্যমে ঘটনাটি হত্যায় পরিণত হয়েছে বলে প্রমাণ মেলে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পিলখানায় হত্যা : ট্রাইব্যুনালে হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকীসহ মোট ৫৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দপুর ২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহীদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।




গলাচিপায় ২৬টি কচ্ছপসহ নারী আটক

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বন বিভাগের অভিযানে ২৬টি কচ্ছপসহ এক নারী আটক হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সুহরী ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটক তাপসী রাণী (৪০) রাঙ্গাবালী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কচ্ছপগুলো খুলনায় পাচারের উদ্দেশ্যে বহন করছিলেন।

বন বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, তাপসী রাণী একটি বস্তায় ২৬টি কচ্ছপ নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। কচ্ছপগুলোর মধ্যে ৯টি সন্ধি কচ্ছপ এবং ১৭টি ধুর কচ্ছপ রয়েছে, যেগুলো সংরক্ষিত প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত।

পরবর্তীতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২ অনুযায়ী তাপসী রাণীকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন গলাচিপা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাছিম রেজা।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. নাঈম হোসেন খান জানান, তাপসী রাণী দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণী পাচারের সঙ্গে জড়িত। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলো নিরাপদে রামনাবাদ নদীতে অবমুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাছিম রেজা বলেন, “বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাচার রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সংরক্ষিত প্রজাতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



রাজধানী থেকে নিখোঁজ দুই বোন পটুয়াখালীতে উদ্ধার

রাজধানীর কদমতলী থেকে নিখোঁজ দুই বোনকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৮ এর ওয়ার্ড কমান্ডার এসএম হাসান সিদ্দিকী।

গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার কদমতলী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন দুই বোন। জানা যায়, অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তারা। এ ঘটনায় র‍্যাবের একাধিক ব্যাটালিয়ন যৌথ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দশমিনা থেকে তাদের উদ্ধার করে এবং স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ দুই বোন জাপানি বাজার এলাকায় তাদের নানি ও খালাকে এগিয়ে দিতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তাদের বাবা কদমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ঘটনাটি তদন্তে র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে এবং যৌথ অভিযানের মাধ্যমে দুই বোনকে উদ্ধার করে।

র‍্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত দুই বোন বর্তমানে নিরাপদে আছেন। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বাউফলের কালাইয়া কলেজে হামলায় রিশাদ গ্রেপ্তার

পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ রিশাদকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন দ্বাদশ শ্রেণির সাব্বির হোসেন (১৭) ও জহিরুল ইসলাম (১৭)।

ঘটনার সূত্রপাত হয় কলেজের এক ছাত্রীকে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে। গত রোববার কলেজ প্রাঙ্গণে বহিরাগত কিশোর গ্যাং সদস্য আলভি, তাবজিল, হানিফ ও রিশাদ মিলে ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তার সহপাঠীরা অভিযুক্তদের কলেজ থেকে বের করে দেয়। এর জের ধরে সোমবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ১০-১৫ জন বহিরাগত কলেজে প্রবেশ করে সাব্বির ও জহিরুলকে ছুরিকাঘাত করে।

ঘটনার পর ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে রিশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে তাকে থানায় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী একটি কিশোর গ্যাং। ‘কমরেড’ নামের এই গ্যাংটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আগেও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয় এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতার কারণে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মামলা করতে সাহস পায় না।

থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, রিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম