পটুয়াখালীর দুমকিতে মুক্তিযোদ্ধার লাশ আটকে রাখল পাওনাদাররা

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জলিশা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম খানের লাশ পাওনা আদায়ের দাবিতে আটকে রেখেছিলেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ২০১৫ সালে আব্দুল হাকিম খান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা গ্রামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় ৬৭ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং প্রতিষ্ঠানের সরকারি হওয়ার আশ্বাসে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।

কিন্তু গত ৯ বছরেও প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পায়নি। এ সময় শিক্ষকেরা কোনো বেতন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় কাজ করে আসছিলেন। আব্দুল হাকিম খান বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান।

শনিবার সকাল ১০টায় পবিপ্রবি মাঠে জানাজা শেষে লাশ দাফনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা পবিপ্রবির দ্বিতীয় গেটে লাশ আটকে দেন। তারা দাবি করেন, দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত লাশ দাফন করতে দেওয়া হবে না।

প্রায় দুই ঘণ্টা লাশ অবরুদ্ধ থাকার পর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহীন মাহমুদ সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেন। তাদের মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।

দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, “জানাজা নামাজ শেষে আমি চলে আসার পর ঘটনাটি ঘটে। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ধর্মীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন বা সংখ্যালঘু ধারণায় আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে দেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনপাড়া খ্রিষ্টান চার্চে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। এ দেশকে ফুলের বাগানের মতো সুন্দর রাখার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কিছু অপশক্তি এই ঐক্য নষ্ট করতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াত সবসময় অপরাধ, দুর্নীতি, এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তবুও যদি কোনো ভুল হয়, আমরা তা সংশোধন করতে প্রস্তুত। দেশের সব নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াত আপোষহীন।”

জামায়াত আমির বলেন, “বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ঐতিহ্য রয়েছে। সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। জামায়াত এ ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “দেশে দুটি শ্রেণি অপরাধপ্রবণ। একদিকে রয়েছে উচ্চ শ্রেণি, যারা কলমের খোঁচায় মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। অন্যদিকে বস্তির মানুষ, যাদের মাদক ও অস্ত্র দিয়ে অপরাধে ব্যবহার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।”

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের জ্যেষ্ঠ পালক রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা এবং রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ বাইন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



জাতীয় সরকার ছাড়া বর্তমান সরকার ছয় মাসও টিকবে না: নুরুল হক

ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, “জাতীয় সরকার ছাড়া এ সরকার ছয় মাসও টিকবে না। তারা নিজেদের পরিচিত সার্কেল, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে, যা গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারদের হতাশ করেছে।”

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপরীতে হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের গুলশান জোনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

সভায় নুরুল হক বলেন, “বর্তমান সরকার নির্বাচন নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগ ও বিপ্লবীদের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকার তাদের এড়িয়ে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “বারবার আহত ও নিহতদের সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের অর্ধ কোটি এবং নিহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে জানুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।”

নুরুল হক জানান, “আমরা জানি, বিপ্লবের পর প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সরকার আমাদের বার্তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে জনসমর্থন হারিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে পাঁচটি প্রধান চ্যালেঞ্জ : ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ ৬ষ্ঠ সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও প্রয়োজনীয় করণীয়

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আর্থিকখাতের সংস্কার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বেসরকারি খাত সম্প্রসারণের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। ব্যক্তি খাত ও সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তিনি বলেন, বাজারে অলিগার্কিক মার্কেটের প্রভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

বিনিয়োগ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

অর্থনীতিবিদ আরও জানান, বিনিয়োগ স্থবির থাকার কারণ শুধু অর্থনৈতিক নীতি নয়; এর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়গুলোরও জড়িত। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, তবে ধীরে ধীরে সফলতা আসছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের বিশেষ দিক

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থসচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “সঠিক তথ্যের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। তথ্য বিভ্রাটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, আর্থিকখাতের উন্নয়নে দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকিং অ্যালমানাকের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক আবদার রহমান।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আর্থিকখাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিনিয়োগ বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগ এবং ব্যক্তি খাতের সম্পৃক্ততা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বিশ্বব্যাংকের ১.১৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেল বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংক থেকে ১.১৬ বিলিয়ন বা ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার ৯২০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরস এ ঋণ অনুমোদন করেছে। এই ঋণ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, পানি ও স্যানিটেশন খাতে উন্নতি, এবং সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

এই ঋণের মাধ্যমে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

১. সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট

৫০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এতে বায়ুদূষণ হ্রাস, পরিবেশ সুরক্ষা, এবং টেকসই উৎপাদন ও সেবা নিশ্চিত করার জন্য নীতি সংস্কারে সহায়তা করা হবে।

২. স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম

৩৭.৯ কোটি ডলারের এই প্রকল্প সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এটি প্রায় ৫১ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করবে এবং মা ও নবজাতকের মৃত্যু কমাতে ভূমিকা রাখবে।

৩. চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট

২৮ কোটি ডলারের এই প্রকল্প চট্টগ্রামের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ পানির সংযোগ প্রদান করবে এবং প্রায় ২ লাখ নতুন সংযোগ স্থাপন করবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি। এই অর্থায়ন দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর কার্যক্রম, টেকসই স্যানিটেশন, এবং নির্মাণ খাতের সবুজায়ন নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পটুয়াখালীতে বৃষ্টি ও শীতের প্রভাব বৃদ্ধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় শনিবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীত ও বৃষ্টির প্রভাব আরও বাড়তে পারে।

পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান জানান, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিম্নচাপটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এ কারণে পায়রা, চট্টগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রবিবার সারা দেশের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকূলীয় এলাকার জেলেদের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল ‘জনশক্তি’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: জুলাই-আগস্টের আন্দোলন শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে। তবে ধীরে ধীরে এই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচিতে। অবশেষে সফলতা আসে। এরপর আলোচনায় আসে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রসঙ্গ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীরে ধীরে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে এবং জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। এ অবস্থায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবার নিজেদের অবস্থান ভোটের ময়দানে দেখতে চান। তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। বিদ্যমান দলগুলোর তুলনায় এটি বেশ ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হবে বলে জানা গেছে। দলের সম্ভাব্য নাম হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ‘জনশক্তি,’ যদিও সবার মতামতের ভিত্তিতে নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে। ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, নতুন দলের মূল লক্ষ্য হবে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটি কেমন হতে পারে? ছাত্রনেতারা বলছেন, তারা এতদিনের প্রচলিত রাজনীতির ধারা থেকে আলাদা কিছু উপস্থাপন করবেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, এই দলটি হবে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। এখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী কাঠামোর কোনো স্থান থাকবে না। পুরোনো সমস্যা, যেমন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত কর্মকাণ্ড বা কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে তারা হাঁটবে না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সারজিস আলম বলেন, নতুন যে রাজনৈতিক দল আসবে আমরা আশা করছি তারা কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেবে। এই দলকে জনগণের প্রত্যাশা বুঝতে হবে। বিগত সময়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা বুঝতো না। আশা করি, এই দল তেমন হবে না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ যদি চায় আমাদের রাজনৈতিক দল তৈরি করা উচিত তাহলে অবশ্যই আমরা এটি ভাববো।

নতুন দলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি যুক্ত হবেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যায়লের শিক্ষার্থীরা। আসছে সংসদ নির্বাচনেই অংশ নেয়ার পরিকল্পনাও তাদের।

বিষয়টি নিয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আগামীতে যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো আসছে সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা যুক্ত হবে। সেখানে তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসীন হবে। বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতা নয়। দেশের কল্যাণসাধন করা। যদি গণহত্যার বিচারের আগেই নির্বাচন হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেকোনোভাবে খুনিদের বিচার করা।

দলের সম্ভাব্য নাম কী হতে পারে এবং অর্থের উৎস কীভাবে নিশ্চিত হবে? এ বিষয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আন্দোলনগুলোর মতোই এখানে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা জনগণের কাছে নাম প্রস্তাব চাইব এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ‘জনশক্তি’ নামে একটি সম্ভাব্য নাম নিয়ে ভাবনা চলছে।

অর্থের উৎস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে সেগুলোর সাহায্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়।

নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে ফল যাই হোক নিজেদের বিপ্লবী চেতনা ধরে রাখার অঙ্গীকার ছাত্র নেতাদের। জানালেন, রাজনৈতিক জোটেও যোগ দিতে পারেন তারা। নাসিরুদ্দিন জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা-বোঝাপড়া চলছে। সূত্র: যমুনা টিভি




জেলেরা হারাচ্ছে দুর্যোগকালীণ নিরাপদ আশ্রয়

কুয়াকাটা সংলগ্ন শিববাড়িয়া চ্যানেল, যা খাপড়াভাঙ্গা নদী নামে পরিচিত, জেলেদের দুর্যোগকালীন নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গভীর সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে হাজারো ফিশিং বোট এই চ্যানেলে এসে ভিড় করে। তবে দখল, ভরাট ও দূষণের কারণে চ্যানেলটি বর্তমানে কার্যত মৃতপ্রায়।

২০১০-২০১১ অর্থবছরে চ্যানেলটি পুনর্খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রকল্পে মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরের জেলেদের সুবিধা, স্লুইসখালের পানিপ্রবাহ ঠিক রাখা এবং কৃষিকাজে সহায়তার জন্য ৬৭ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছরেও এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি।

চ্যানেলটি ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ হলেও বিভিন্ন অংশে এর দৈর্ঘ্য আরও বেশি। পুনর্খনন হলে জেলেরা দ্রুত নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারতেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন জানান, চ্যানেলের তলদেশ ৩-৮ মিটার গভীর এবং ৩০-৬০ মিটার প্রস্থ খনন করতে হবে।

চ্যানেলের তীরে অবৈধভাবে ইটভাটা, করাতকল স্থাপন ও মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর পাড় দখল করে ভরাট করা হচ্ছে। পলিথিন, জাল ও কর্কশিটের বর্জ্য ফেলে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল নিধন করে পরিবেশের আরও ক্ষতি করা হচ্ছে।

শিববাড়িয়া চ্যানেল ভরাট হওয়ায় জোয়ারের সময়েও নৌযান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। সাগরে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় এই চ্যানেলই জেলেদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

উপকূলীয় মাঝি সমিতির সভাপতি মোঃ নুরু মিয়া এবং মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গাজী ফজলুর রহমান জানান, চ্যানেলটি পুনর্খনন হলে জেলেদের মাছ লোড-আনলোডের সুবিধা বাড়বে। পাশাপাশি কৃষিকাজেও এই চ্যানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চ্যানেলটি পুনর্খননের উদ্যোগ না নিলে এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




QR কোডে পেমেন্ট: প্রতারণা এড়াতে করণীয়

QR কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট এখন ক্যাশ লেনদেনের চেয়ে অনেক সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। যানবাহন ভাড়া, শপিং, রেস্তোরাঁর বিলসহ নানা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে প্রযুক্তির এই সুবিধা ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। অনলাইনে লেনদেনের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে এই প্রতারণা এড়ানো সম্ভব।

প্রতারণা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

১. QR কোডের পরিবর্তে অন্য মাধ্যম ব্যবহার করুন
পেমেন্টের জন্য QR কোড স্ক্যান করার বদলে মোবাইল নম্বর বা ইউপিআই আইডি ব্যবহার করা তুলনামূলক নিরাপদ।

২. অ্যাকাউন্টে কম টাকা রাখুন
যে অ্যাকাউন্টটি দিয়ে অনলাইন পেমেন্ট করেন, সেখানে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার বেশি না রাখার চেষ্টা করুন। এতে প্রতারণার শিকার হলেও বড় অঙ্কের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।

৩. অপরিচিত লিংকে সতর্ক থাকুন
অপরিচিত কেউ লিংক পাঠালে পেমেন্ট করার আগে তা ভালোভাবে যাচাই করুন। প্রতারকদের লিংকে সাধারণত বানান ভুল বা অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য থাকে।

৪. অ্যাপ ব্যবহার করুন সতর্কতার সঙ্গে
শুধুমাত্র পরিচিত এবং অফিসিয়াল পেমেন্ট অ্যাপ থেকে QR কোড স্ক্যান করুন। অপরিচিত বা অনির্ভরযোগ্য অ্যাপ ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

কেন সতর্কতা জরুরি?

অনলাইনে লেনদেনের এই যুগে প্রতারকরা সহজ পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। সতর্ক না হলে মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট। তাই QR কোড স্ক্যান করার আগে ভালোভাবে যাচাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন একাডেমির পরিচালনা বোর্ডে পবিপ্রবির উপাচার্য ড. কাজী রফিকুল ইসলাম

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বাপার্ড) পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিষ্ঠান শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আনিচুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০১২ সালের বাপার্ড আইনের (৭)১ এর (ধ) ধারার ক্ষমতাবলে এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে তিন বছরের জন্য এ নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

ড. কাজী রফিকুল ইসলামকে এ সম্মানজনক পদে মনোনয়নের জন্য পবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মামুন অর রশিদসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা তাকে অভিনন্দন জানান।

তারা বলেন, “এই মনোনয়ন উপাচার্যের পেশাগত দক্ষতা ও সমাজ উন্নয়নে তার অবদানের স্বীকৃতি। এটি পবিপ্রবির জন্যও গর্বের বিষয়।”

ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাপার্ডের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এ দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”

তিনি আরও বলেন, “গ্রামীণ উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করে দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে চাই। এ পদ আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম