শীতকালে সহজে পালনীয় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আমল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: শীতকাল ইবাদতের বসন্তকাল হিসেবে পরিচিত, যা মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মৌসুমে ইবাদত করা তুলনামূলক সহজ হয় এবং এতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, “শীতকাল হচ্ছে মুমিনের বসন্তকাল।” (মুসনাদে আহমাদ: ১১৬৫৬)।

নিচে শীতকালে করা যায় এমন পাঁচটি সহজ আমল তুলে ধরা হলো:

১. নফল রোজা রাখা: শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য কম থাকায় রোজা রাখা সহজ হয়। এটি এক ধরনের সওয়াব অর্জনের সুযোগ; হাদিসে বলা হয়েছে, “শীতকালের গনিমত হচ্ছে এ সময় রোজা রাখা।” (তিরমিজি: ৭৯৫)

২. শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো: দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের সহায়তায় শীতের মৌসুমে পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষার অন্যতম অংশ। কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, “আত্মীয়-স্বজনকে দাও তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও।” (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত: ২৬)

৩. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়: শীতকালে রাত দীর্ঘ হওয়ায় শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সহজ হয়। আল্লাহ ঈমানদারদের গুণাবলি সম্পর্কে বলেছেন, “তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে…” (সুরা সাজদাহ, আয়াত: ১৬)

৪. অজু ও গোসলের গুরুত্ব: শীতকালে শরীর শুষ্ক থাকায় অজু ও গোসল যথাযথভাবে আদায় করা জরুরি। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “অজু করার সময় পায়ের গোড়ালি যেসব স্থানে পানি পৌঁছেনি, সেগুলোর জন্য জাহান্নাম।” (মুসলিম: ৪৫৮)

৫. গাছের পাতা ঝরে পড়া দেখে শিক্ষা গ্রহণ: হাদিসে বলা হয়েছে, “কোনো বান্দা ‘আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং লাইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ বললে তা তার গুনাহ এরূপভাবে ঝরিয়ে দেয়; যেভাবে এ গাছের পাতা ঝরে পড়ে।” (তিরমিজি: ৩৫৩৩)




মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কৌশল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: প্রতিদিনের জীবনে রাগ বা মেজাজ হারানো স্বাভাবিক একটি বিষয়, তবে এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কিছু কৌশল রয়েছে, যা মেনে চললে মেজাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।

প্রথমত, কোনো বিষয়ে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না জানানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক অনুভূতিটিকে নিজের মনে রেখে একটু সময় নিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। ধীরস্থির হয়ে প্রতিক্রিয়া জানালে পরিস্থিতি আরও সুন্দরভাবে সামাল দেওয়া যায়।

দ্বিতীয়ত, শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপর নজর দিন। রাগের মুহূর্তে শ্বাস ধীরে ও গভীরভাবে নেওয়া মনের অস্থিরতা কমায় এবং দেহকে শান্ত রাখে। এতে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তৃতীয়ত, মনোযোগ পরিবর্তন করার কৌশলটি কার্যকরী। যদি কোনো বিষয় মেজাজ খারাপ করে দেয়, তবে সাময়িকভাবে সেই পরিবেশ থেকে সরে গিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দিন। একটু হেঁটে আসা, গান শোনা বা প্রিয় বইটি পড়া মেজাজকে ইতিবাচক দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে।

চতুর্থত, নেতিবাচক অনুভূতিকে ভালো কাজে প্রয়োগ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন, পরীক্ষায় খারাপ করলে সেই হতাশা থেকে শক্তি সংগ্রহ করে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানো যায়। এতে ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের সম্ভাবনা তৈরি হয়।

পঞ্চমত, রাগের সময় অন্যের বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ জানা যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে রাগ কমে যায়।

সবশেষে, নিজেকে সংযত রাখতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজেকে শান্ত রাখা এবং সংযত আচরণ বজায় রাখা সমাধানের প্রধান পথ।




ফ্রিজে ভাত কতদিন সংরক্ষণ করা নিরাপদ?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: রান্না করা ভাত বেশি হয়ে গেলে অনেকেই তা ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করেন, তবে এই ভাত কতদিন পর্যন্ত নিরাপদে খাওয়া যাবে তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রান্না করা ভাত সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা নিরাপদ। এর বেশি সময় ফ্রিজে রেখে দিলে ভাতে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে শুরু করে, যা খালি চোখে দেখা না গেলেও পেটে প্রবেশ করলে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।

ভাত ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, ভাত সংরক্ষণের জন্য বায়ুনিরুদ্ধ বা ঢাকনা দেওয়া পাত্র ব্যবহার করা উচিত। এমন পাত্রে রাখা ভাত দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে। অন্যদিকে, বড় বা খোলা পাত্রে ভাত রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে মাত্র এক দিনের মধ্যেই তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ খোলা পাত্রের ভাত দ্রুত আর্দ্রতা হারিয়ে পানি বেরোতে থাকে এবং তাতে বিশ্রী গন্ধ হয়। সুতরাং, ভাত ফ্রিজে সংরক্ষণ করার জন্য সবসময় বায়ুনিরুদ্ধ পাত্রই ব্যবহার করা উচিত।

ভাত রাখার সময় আরও একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে—ভাত গরম অবস্থায় ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। রান্না হয়ে গেলে ভাত ঠান্ডা করে তবেই ফ্রিজে রাখতে হবে। গরম অবস্থায় ফ্রিজে রাখলে তাতে দ্রুত পচন ধরতে পারে। আর খাওয়ার আগে ফ্রিজ থেকে ভাত বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে দিতে হবে। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, ভাত গরম করার সময় তা আবার ফুটিয়ে নেওয়া নিরাপদ।

ফ্রিজ থেকে ভাত বের করার পর যদি দেখা যায় তা নরম হয়ে আঠালো হয়ে গেছে বা কালো বা হলদেটে ছোপ পড়েছে, তাহলে বুঝতে হবে সেই ভাতে ছত্রাক বা জীবাণু বাসা বেঁধেছে। এমন ভাত খাবার ঝুঁকিপূর্ণ এবং তা ফেলে দেওয়াই উত্তম। তাই, একটু সচেতন হয়ে ভাত সংরক্ষণ এবং খাওয়ার প্রক্রিয়া মেনে চললে খাদ্যবিষক্রিয়া এড়ানো সম্ভব।




দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: নিজের শরীরের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যায় ভুগতে হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিশ্চিত করতে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যমে দন্তচিকিৎসকরা এই বিষয়ে কয়েকটি কার্যকরী পরামর্শ দিয়েছেন।

দাঁতের ক্ষতির মূলে চিনি
ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগের প্রধান কারণ চিনি। চিনি দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটির জন্যও প্রধান ভূমিকা পালন করে। প্রখ্যাত যুক্তরাজ্যের ডেন্টিস্ট ট্রিস্টান রবার্টস বলেন, বর্তমানে প্রায় সব খাবারে চিনি থাকে, যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তিনি বলেন, অতীতে ক্যাভিটির সমস্যা কম ছিল কারণ খাবারে এত চিনি ছিল না। চিনি মুখে অগণিত ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়, যা দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করে। তাই চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়া এবং খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেয়া উচিত।

ইলেকট্রিক টুথব্রাশের উপকারিতা
ট্রিস্টান রবার্টসের মতে, দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার দারুণ উপকারী। এটি দাঁত ও মাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই ভালোমানের ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত, যা মাড়ি ও দাঁতের জন্য উপকারী।

স্ন্যাক্স কমিয়ে দিন
দাঁতের যত্নে খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। অনেকেই তিনবেলার খাবারের পাশাপাশি স্ন্যাক্স এবং মিষ্টি পানীয় গ্রহণ করেন। কর্নওয়ালের ডেন্টিস্ট জেনা মুরগাট্রয়েডের মতে, শুধুমাত্র সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার, বিকেলের চা ও রাতের খাবারে মিষ্টি খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণের কারণে বারবার ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়, যা দাঁতের ক্ষতি করে।

সকালের নাশতার আগে এবং রাতে ব্রাশ করুন
সকালে নাশতার আগে এবং রাতে খাবারের পর ব্রাশ করার অভ্যাস থাকা উচিত। ট্রিস্টান রবার্টস বলেন, দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ক্যাভিটি এবং মাড়ির সমস্যা কমে যায়।

ব্রাশ করার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার না করার পরামর্শ
অনেকেই ব্রাশের পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন, যা সঠিক নয়। কারণ টুথপেস্টের ফ্লোরাইড মাউথওয়াশের তুলনায় বেশি কার্যকর। ব্রাশের আধা ঘণ্টা পরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।




ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকরী সবজি বেগুন: চিকিৎসকের পরামর্শ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন কিছু সবজি রয়েছে যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে এবং নানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি কমাতে কিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকদের মতে, এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ সবজি হলো বেগুন। এই সবজি নিয়মিত খেলে কেবলমাত্র ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি এটি ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে একাধিক চিকিৎসক এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেগুনের উপকারিতা
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করলে শরীরে নানা জটিল সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের প্রভাবে চোখ, কিডনি এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেন, বেগুনের মধ্যে থাকা ফাইবার সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং বেগুনে উপস্থিত গ্লুকোজ রক্তে দ্রুত মিশতে দেয় না, যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এছাড়া বেগুনে পলিফেনলস নামে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে সহায়তা করে। এ কারণেই ডায়াবেটিসের রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখতে বলেন চিকিৎসকরা।

ক্যানসার প্রতিরোধে বেগুনের ভূমিকা
বর্তমানে ক্যানসারজনিত রোগের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অনুপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যানসার একটি জটিল রোগ এবং এর চিকিৎসা প্রক্রিয়াও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তবে ক্যানসার প্রতিরোধে বেগুন বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, বেগুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে। বেগুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রদাহ কমায় এবং ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বিকাশে বাধা দেয়। তাই ক্যানসার প্রতিরোধে খাদ্যতালিকায় বেগুন রাখা উপকারী হতে পারে।

হার্টের যত্নে বেগুনের উপকারিতা
হার্টের সুস্থতা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেগুন হার্টের জন্যও উপকারী হিসেবে প্রমাণিত। বেগুনে ফাইবার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা এলডিএল কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

ওজন নিয়ন্ত্রণে বেগুন
ওজন বাড়লেই শরীরে নানা জটিল সমস্যা দেখা দেয়, যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি। অতিরিক্ত ওজনের কারণে এসব রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে খাদ্যতালিকায় বেগুন যুক্ত করা উপকারী হতে পারে। বেগুনে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। এ কারণে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। যারা ওজন কমাতে চান, তারা নিয়মিত বেগুন খেলে উপকৃত হবেন।

স্বাস্থ্য রক্ষায় আরও কিছু পরামর্শ
চিকিৎসকরা বলেন, শুধুমাত্র বেগুনের উপর নির্ভর করে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট জিমে বা ঘরে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং রেড মিটের পরিবর্তে মাছ ও সবজি খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকাও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক হতে পারে।




হার্টের সুরক্ষায় চিনির পরিমাণ কতটা কম হওয়া উচিত? বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বিশেষত, চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য অতিরিক্ত সেবন হার্টের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. আশিস মিত্র সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি জানান, শরীরের সুস্থতার জন্য দিনে কতটুকু চিনি সেবন করা নিরাপদ এবং তা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

ডা. মিত্র বলেন, অতিরিক্ত চিনি খেলে তা ওজন বাড়ায় এবং শরীরে মেদ জমতে থাকে, যা হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রসেসড চিনির অতিরিক্ত সেবন রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়, যার ফলে হার্টের রক্তনালীগুলিতে প্লাক জমতে পারে। এছাড়া ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিনি সেবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ চিনি প্রদাহ বৃদ্ধি করে যা হার্টের রোগের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়ায়।

তবে সুস্থ থাকতে চাইলে সাদা চিনির পরিবর্তে ব্রাউন সুগার, মধু বা তালমিছরির মতো বিকল্প বেছে নেওয়া যেতে পারে, যা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর।

ডা. মিত্র পরামর্শ দেন, সুস্থ ব্যক্তিরা দিনে ২ চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন এবং রান্নায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে চিনি মিশিয়ে খাওয়া নিরাপদ। তবে চিনি সেবনে নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হার্টের সুস্থতা রক্ষায় কিছু পরামর্শ:
১. দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন।
২. বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. রেডমিট, ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করুন।
৪. সুগার, ব্লাড প্রেশার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।




পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও ক্লান্তি লাগছে? ভয়ংকর রোগের আভাস কিনা যাচাই করে নিন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কাজের চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব পালন ও নানাবিধ চিন্তা-ভাবনা অনেক সময় আমাদের ক্লান্ত করে তোলে। অধিকাংশ মানুষই ধরে নেন, অতিরিক্ত কাজের কারণেই ক্লান্তি হচ্ছে। তাই কিছুটা বিশ্রাম বা ঘুম নিয়ে আবার কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যখন ক্লান্তি কাটে না, তখন তা স্বাভাবিক ক্লান্তি নয় বরং ভয়ংকর কিছু রোগের সংকেত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন স্থায়ী ক্লান্তি শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে। ভারতীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ফেমিনা এ বিষয়ে জানিয়েছে যে, আয়রনের ঘাটতির কারণে রক্তাল্পতা দেখা দিতে পারে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

ক্লান্তির কারণ আয়রনের ঘাটতি

মানুষের শরীরকে শক্তি যোগানোর জন্য সঠিক পরিমাণে আয়রনের প্রয়োজন। এটি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সারা শরীরে সরবরাহ করে। কিন্তু যখন আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফলে সাধারণ কাজ করেও ক্লান্ত লাগতে পারে, এবং ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের ক্ষেত্রেই এই ঘাটতির প্রভাব পড়তে পারে, যা কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ

শরীরে আয়রনের অভাব হলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, এবং ত্বকের ফ্যাকাসে ভাবের মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এছাড়া, অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা হতে পারে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় এই সমস্যাগুলো মারাত্মক আকারে প্রকাশ পায়। তাছাড়া, যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও ক্লান্তি বোধ করেন, তাদের দ্রুত আয়রন পরীক্ষা করানো উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সঠিক সময়ে শনাক্ত করা হলে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা যায়।

বিশ্লেষণ ও প্রতিকার

আয়রনের ঘাটতি দূর করতে প্রথমেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। পালং শাক, লাল শাক, চিড়াভাজা বাদাম, ডাল ও মাংস থেকে আয়রন পাওয়া যায়, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া, প্রয়োজনীয় পরিমাণে আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য তালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার যোগ করার পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন কমলা, পেয়ারা ইত্যাদি খেলে আয়রনের শোষণ ক্ষমতা বাড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়রনের ঘাটতি যদি যথাসময়ে পূরণ না করা হয়, তাহলে তা ধীরে ধীরে মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি বা অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।




৫ গুণে কর্মক্ষেত্রে হয়ে উঠতে পারেন সেরা কর্মী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কর্মক্ষেত্রে সেরা কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করা বর্তমান সময়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোঁয়া বাড়ছে এবং প্রতিযোগিতাও বেড়ে চলেছে। তাই কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য নির্দিষ্ট কিছু গুণাবলী থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই, সেই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে সেরা কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

১. মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা: বর্তমান যুগে প্রযুক্তি ও কর্মপরিবেশে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন রিমোট বা হোম অফিস সিস্টেম চালু করেছে। কাজের ধরন ও পরিবেশে পরিবর্তন এলে তা সহজে মানিয়ে নেয়া একজন কর্মীর বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ মানসিকতা থাকলে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আপনাকে কোম্পানির ভবিষ্যৎ ভাবনায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

২. প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা: আধুনিক কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই নতুন প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রে প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখা ও সেগুলো শিখে দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তিগত দক্ষতা না থাকলে চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৩. নতুন দক্ষতা অর্জন: শুধু একটি কাজে দক্ষ হওয়া কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নীতি ও ধরনে নিয়মিত পরিবর্তন আনে। তাই কর্মীদেরও নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজন হয়। নতুন দক্ষতা কর্মীর পেশাগত উন্নতির সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানেও গঠনমূলক অবদান রাখতে সহায়ক হয়।

৪. সৃজনশীলতা: প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে সৃজনশীলতার ভূমিকা অপরিসীম। ব্যতিক্রমী চিন্তা ও নতুন আইডিয়া প্রতিষ্ঠানে আপনাকে বিশেষ কর্মী হিসেবে তুলে ধরতে পারে। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনি কর্মক্ষেত্রে নিজেকে আলাদা করতে পারেন এবং এটি কর্মক্ষেত্রে আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি করবে।

৫. বিশ্লেষণ ক্ষমতা: কোনো পরিকল্পনার সাফল্য নির্ভর করে তার বিশ্লেষণের উপর। সঠিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ একজন কর্মীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ। কর্মক্ষেত্রে দূরদর্শিতা ও নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা আপনাকে অনন্য কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

এই পাঁচটি গুণ কর্মক্ষেত্রে নিজের মূল্য বৃদ্ধি করে এবং সেরা কর্মী হওয়ার পথে সহায়ক হয়।




কাজের ফাঁকে ক্ষুধা মেটাতে যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কাজের মাঝে ক্ষুধা লাগা খুবই স্বাভাবিক, বিশেষত অফিস বা বাসায় ব্যস্ত সময় কাটালে। তবে এ সময় এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং দ্রুত খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের পরামর্শ দিয়েছেন যা শুধু ক্ষুধা মেটায় না, বরং শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণও পূরণ করে। আসুন জেনে নিই কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এমন কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে।

বাদাম ও ড্রাই ফ্রুট: অফিসের কাজের মাঝে বাদাম বা ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। কাজের ফাঁকে অল্প কিছু কাজু, আখরোট বা চিনাবাদাম খেতে পারেন। আখরোট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, আর চিনাবাদাম হাড়ের জন্য উপকারী।

ব্রাউন রাইস কেক ও অ্যাভোকাডো: ব্রাউন রাইস কেক ও অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খুবই কার্যকর। ব্রাউন রাইস কেকে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট আছে, যা এনার্জি বাড়ায়। অন্যদিকে অ্যাভোকাডোতে প্রচুর স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ভিটামিন থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

রোস্টেড ছোলা: কাজের ফাঁকে রোস্টেড ছোলা খাওয়া যেতে পারে, যা প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ। ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর রোস্টেড ছোলায় অলিভ অয়েল, হালকা মসলা ও টমেটো দিয়ে সিজনিং করা যেতে পারে।

পপকর্ন: দ্রুত তৈরি করা যায় এমন স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সের মধ্যে পপকর্ন অন্যতম। এতে অতিরিক্ত মশলা লাগেনা, তাই কাজের ফাঁকে হালকা ক্ষুধার জন্য পপকর্ন খাওয়া ভালো।

ডার্ক চকলেট: কাজের মাঝে ক্লান্তি কাটাতে ডার্ক চকলেট সহায়ক। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, এবং মনোযোগ ধরে রাখে।

কিশমিশ ও খেজুর: প্রাকৃতিক মিষ্টির উৎস হিসেবে কিশমিশ ও খেজুর বেশ কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিন শরীরকে সতেজ রাখতে সহায়ক। কিশমিশ দ্রুত শক্তি যোগায় এবং খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

এই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্সগুলো সহজেই বহনযোগ্য এবং দ্রুত খাওয়া যায়, যা ব্যস্ত কর্মজীবনে আপনার ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।




শীতকালে বারান্দায় যেসব ফুলের গাছ লাগাবেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: শীতের মৌসুম আসলেই আমাদের মন চায় একটু রঙিন করে নিতে। বিশেষ করে বারান্দায় ফুলের বাগান সাজানোর সময়। শীতের এই সময় বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্য আমাদের ঘরের সৌন্দর্য্যকে বৃদ্ধি করে। তাই আসুন, জানি কেমন ফুলগাছ লাগালে আমাদের বারান্দা শীতে হয়ে উঠবে রঙিন।

ফুলগাছের তালিকা:

অর্কিড: অর্কিড ফুলপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। শীতকালে রঙবেরঙের অর্কিড আপনার বাগানকে উজ্জ্বল রাখতে পারে। তবে, শীতের মাসগুলোতে অর্কিডের বৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়। তাই, প্রতি ১০ দিনে একবার পানি দেওয়া সবচেয়ে ভালো।

পিটুনিয়া: শীতকালীন ফুল হলেও, পিটুনিয়া যথাযথ যত্নে আমাদের দেশের আবহাওয়াতেও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। নানা রঙের পিটুনিয়া আপনার বারান্দা বা ছাদের সৌন্দর্য্যকে দ্বিগুণ করবে এবং মন ভালো রাখবে।

গাঁদা: গাঁদা ফুলের মধ্যে হলুদ, কমলা, সাদা রঙের জাত বিশেষভাবে প্রশংসিত। এই ফুলের যত্ন নিতে কিছুটা সময় দিতে হবে, তবে যারা ফুলের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ।

অন্যান্য ফুলগাছ:
শীতের সময় বারান্দায় লাগানোর জন্য আরও কিছু ফুলগাছের নাম উল্লেখ করা যায়, যেমন: চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, পপি, সূর্যমুখী ইত্যাদি। এগুলোও শীতের বাগানে যুক্ত করে ভিন্ন রঙের সৌন্দর্য্য আনতে পারেন।

বসানোর জন্য স্থান নির্বাচন:
বারান্দায় সঠিকভাবে ফুলগাছ বসানোর জন্য গ্রিল বা ওয়ালে কিছু গাছ ঝুলিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ন্যাস্টারশিয়াস, পিটুনিয়া এবং ভারবেনা ফুল ঝোলানোর জন্য ভালো। এছাড়া লতানো গাছের জন্য মর্নিং গ্লোরি ও নীলমণি লতা খুব সুন্দর দেখাবে।

যত্নের টিপস:
গাছের গোড়ায় যদি পানি জমে থাকে, তবে পানি দেওয়ার দরকার নেই। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন গাছগুলোকে রোদে রাখতে হবে। এছাড়া, পুষ্টির জন্য সরিষার খৈল মাসে দুবার গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। নিয়মিত ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে।