পোষা বিড়ালের জন্য খাবার নির্বাচনে করণীয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: পোষা বিড়াল পালনের ক্ষেত্রে খাবার নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই বিড়ালের জন্য প্যাকেটজাত শুকনা খাবার ব্যবহার করেন। যদিও এটি সুবিধাজনক, তবে এতে রয়েছে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি। শুকনা খাবারে পানির পরিমাণ কম থাকায় বিড়াল পর্যাপ্ত পানি পায় না, ফলে তাদের কিডনি ও মূত্রথলির ওপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া, শুকনা খাবারে ক্যালোরি বেশি থাকায় বিড়ালের মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিড়ালের জন্য ঘরের খাবার, বিশেষত সেদ্ধ মুরগি বা মাছ নিরাপদ ও পুষ্টিকর। এর মাধ্যমে তারা প্রাকৃতিক পুষ্টি পায় যা তাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে অনেক সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী প্যাকেটজাত খাবার দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে এক বেলা শুকনা খাবারের সঙ্গে দুই বেলা ভেজা খাবার খাওয়ানো উচিৎ। এছাড়া, শুকনা খাবার খাওয়ালে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে, যেন বিড়াল পানিশূন্য না হয়।

যদি বিড়াল শুকনা খাবারে অভ্যস্ত হয়ে ঘরের খাবার না খেতে চায়, তবে সেদ্ধ মুরগির মাংসের সঙ্গে শুকনা খাবারের গুঁড়া মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে ধীরে ধীরে ঘরের খাবারে অভ্যস্ত করানো সম্ভব।




ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক ::বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা শরীরে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১. স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ: প্রতিদিন সুষম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। শস্যজাতীয় খাবার, তাজা ফল, শাক-সবজি ও চর্বিহীন আমিষ গ্রহণে মনোযোগী হোন। বাইরের বা প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি স্ন্যাকস রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই এড়িয়ে চলুন।

২. নিয়মিত শরীরচর্চা: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা, সাইক্লিং, সাঁতার কাটা বা ভারী জিনিস বহনের মাধ্যমে শরীরচর্চা করুন। এতে শরীর সক্রিয় থাকে এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করা অপরিহার্য। সামান্য ওজন কমালেও শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

৪. রক্তে শর্করার পরিমাপ: ডায়াবেটিস থাকলে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। গ্লুকোজ মিটার বা গ্লুকোজ মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

৫. চিকিৎসকের পরামর্শ: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা পাবেন।

৬. নিয়মিত চেকআপ: ডায়াবেটিস একবার নিয়ন্ত্রণে আসার পরও নিয়মিত চেকআপ করা জরুরি। এটি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




গরম থেকে মাথাব্যথার কারণ ও করণীয়: চিকিৎসকের পরামর্শ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: তীব্র গরমের কারণে মাথাব্যথা এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম থেকে সৃষ্ট মাথাব্যথা সাধারণত ডিহাইড্রেশন ও ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার ফলে হয়। দিল্লির সিকে বিড়লা হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিভাগের ডিরেক্টর ডা. রাজীব গুপ্ত জানিয়েছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের হলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা থেকে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।

গরম থেকে মাথাব্যথা এড়াতে করণীয়:

1. হাইড্রেশন বজায় রাখা: পর্যাপ্ত পানি পান করুন, এতে শরীর তরতাজা থাকে। ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয়ও সহায়ক হতে পারে।

2. ছায়াযুক্ত পরিবেশ: সরাসরি সূর্যের তাপ এড়িয়ে শীতল জায়গায় থাকার চেষ্টা করুন।

3. পর্যাপ্ত ঘুম: ভালো ঘুম ও বিশ্রাম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

4. ডিহাইড্রেটিং পানীয় এড়িয়ে চলা: ক্যাফিন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করে।

5. সানগ্লাস ব্যবহার: সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে বাইরে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

 

প্রয়োজনে তীব্র মাথাব্যথা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।




প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি হার্টের জন্য উপকারী?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ডিম, প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার, যুগ যুগ ধরে মানুষের খাদ্য তালিকার একটি অপরিহার্য অংশ। মুরগির ডিম সবচেয়ে পরিচিত হলেও, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ডিমের নানা জাত পাওয়া যায়। এটি সহজলভ্য এবং সস্তা হওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ।

অতীতে ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, পরিমিত ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যকর হতে পারে। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে রান্না করা ডিম স্বাস্থ্যকর হতে পারে এবং এটি শরীরের টিস্যু বজায় রাখতে সহায়তা করে।

ডিমের প্রোটিন পেশী তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর। এতে ভিটামিন এ, বি ১২ এবং সেলেনিয়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিমের কোলিন হৃদরোগের জন্য ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।

ডিমের উপকারিতা

ডিমে থাকা ভিটামিন ও খনিজগুলি মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমে সাহায্য করে, শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লুটেইন ও জেক্সানথিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ডিমের প্রভাব

ডিম একটি কম-ক্যালোরি খাবার, তবে যারা হৃদরোগে ভুগছেন তাদের জন্য ডিম খাওয়া সীমিত করা উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।

ঝুঁকির কারণ

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ডিম খাওয়া হৃদরোগ ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ডিমে থাকা উচ্চ কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এসবের জন্য দায়ী। অধিক ডিম খাওয়া হজমের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে, যেমন ফোলাভাব, গ্যাস এবং বদহজম।




হলুদ ও মধুর উপকারিতা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: হলুদ এবং মধু, দুটি প্রাকৃতিক উপাদান, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকারিতা প্রদান করে। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়, সেগুলো নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

১. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি পাওয়ার হাউস
হলুদ ও মধুর সংমিশ্রণ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে, যা বাতের মতো প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যারা এসব সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য হলুদ ও মধু খাওয়া বিশেষ উপকারী।

২. ইমিউন সিস্টেম বুস্টার
হলুদ ও মধুর মিশ্রণ একটি শক্তিশালী ইমিউন-বুস্টিং সিস্টেম। হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক, কারণ এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। এটি ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। অপরদিকে, কাঁচা মধু এনজাইম ও পুষ্টির ভালো উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তাই ঠান্ডা ঋতুতে এই দুই উপাদান একসঙ্গে খেলে সংক্রমণ ও অসুস্থতা থেকে দূরে থাকা সম্ভব।

৩. হজমের সামঞ্জস্য
মধু এবং হলুদ দুর্দান্ত হজমকারী উপাদান। এটি পিত্তের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা শরীরের চর্বি হজমে সহায়তা করে। মধু একটি হালকা রেচক, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকে শান্ত করে এবং পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা দূর করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়ক, যা পুষ্টি শোষণ এবং পর্যাপ্ত হজমের জন্য অপরিহার্য।

৪. উজ্জ্বল ত্বক সমাধান
হলুদ ও মধুর মিশ্রণ ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। হলুদ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যে ভরপুর, যা ব্রণ ও জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে, মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এই দুটি উপাদান সম্মিলিতভাবে মুখের উজ্জ্বলতা এবং স্বাস্থ্যকর টেক্সচার নিশ্চিত করতে পারে।

৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি নিউরোইনফ্লেমেশন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসকে বাধা দেয়, যা নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করে। মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। তাই এই দুই উপাদান একসঙ্গে খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা সম্ভব।




ঋতু পরিবর্তনের কারণে নাক বন্ধ ও পানি পড়ছে? জেনে নিন করণীয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ঋতু পরিবর্তনের শুরুতে সর্দি, নাক বন্ধ এবং পানি পড়ার মতো সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। বিশেষ করে এই সময়ে জ্বর, খুসখুসে কাশি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, নাক চুলকানো কিংবা নাক দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা বেশ পরিচিত। কলকাতার বিশিষ্ট ইএনটি সার্জেন ডা. দ্বৈপায়ন মুখার্জির মতে, এসব সমস্যা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৫-৬ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

১. ওষুধ সেবন:
হালকা জ্বর থাকলে প্রথমে প্যারাসিটামল সেবন করুন। নাক বন্ধ থাকলে জাইলোমিথাজোলিন জাতীয় ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামাইন ওষুধ সহায়তা করতে পারে। এগুলোতে নাক বন্ধ ও চুলকানির মতো সমস্যাগুলি দ্রুত কমে।

২. প্রচুর পানি পান:
শরীর থেকে ভাইরাস দূর করতে বেশি করে পানি পান করতে হবে। স্টিম নেওয়া ও গার্গল করার মাধ্যমে দ্রুত আরোগ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা হলে তাদের কিছুদিন স্কুলে না পাঠানোই ভালো।

৩. অ্যালার্জি থাকলে সতর্কতা:
অ্যালার্জির সমস্যায় আক্রান্তরা ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকতে হবে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস সমস্যায় নাক দিয়ে পানি পড়া ও বন্ধ হওয়ার সমস্যা দীর্ঘমেয়াদে হতে পারে।

৪. নাকের স্প্রে:
স্টেরয়েড নাকের স্প্রে ও ড্রপ ব্যবহারে এই সমস্যাগুলি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কখনো জটিলতা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।




সময়ের অভাবে সকালে নাশতা বাদ দিচ্ছেন? জানুন কী ক্ষতি হতে পারে শরীরে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালের নাশতা এড়িয়ে চলেন। কেউ হয়তো ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য, আবার কেউ সময়ের অভাবে সকালে নাশতা করতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদ চার্লি রিফকিনের মতে, সকালের নাশতা শরীরের বিপাকক্রিয়ায় সহায়ক হওয়ায় এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।

১. কর্মশক্তি হ্রাস:
সকালের নাশতা এড়িয়ে গেলে শরীরে শক্তি সঞ্চয় কম হয়, যা কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সকালের খাবার গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সারাদিনের কাজের শক্তি যোগায়।

২. মুড সুইং ও মনোযোগের ঘাটতি:
সকালে খালি পেটে কাজ করলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং মনোযোগ নষ্ট হয়। সকালের নাশতা মস্তিষ্কে সুখী হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মনকে শান্ত রাখে।

৩. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:
সকালে সঠিকভাবে নাশতা করলে সারাদিন ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। অন্যথায়, ক্ষুধার কারণে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

৪. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা:
নাশতা এড়ালে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। প্রোটিনসমৃদ্ধ নাশতা কর্টিসলের নিঃসরণ কমায় এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
সকালের নাশতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে শরীরের কোষগুলি সক্রিয় থাকে এবং জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে নিয়মিত সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন, যা সারাদিন আপনার শরীরকে সজীব রাখবে।




অস্টিওপোরোসিস: ‘নীরব’ ঘাতকের ক্ষতি এবং প্রতিকার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমানে অনেক মানুষ অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত হচ্ছেন, যা হাড়ের খনিজ ঘনত্বের কমে যাওয়ার কারণে ঘটে। এর ফলে হাড়গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা বাড়ে। নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশন (আইওএফ) গবেষণা করেছে এবং জানিয়েছে যে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই রোগে ভুগছেন। অস্টিওপোরোসিসকে ‘নীরব’ রোগ বলা হয় কারণ এটি সাধারণত কোনো লক্ষণ ছাড়াই বাড়তে থাকে এবং শুধুমাত্র ফ্র্যাকচার হলে এটি ধরা পড়ে। তাই এই সমস্যাকে গুরুত্বের সাথে মোকাবেলা করা জরুরি।

অস্টিওপোরোসিসের প্রধান ঝুঁকি হলো বয়সের বৃদ্ধি। বিশেষ করে মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে এই রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কারণ মেনোপজের সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়, যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর অভাব, ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানও এ রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এএম মেডিক্যাল সেন্টারের কনসালট্যান্ট অর্থোপেডিক সার্জন এবং মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ অভিরূপ মৌলিক বলেন, “অনেকে জানেন না যে তারা অস্টিওপোরোসিসে আক্রান্ত যতদিন না তাদের ফ্র্যাকচার হচ্ছে। মেনোপজ-পরবর্তী মহিলারা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে আছেন।”

হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে খাদ্য ও পরিপূরকের মাধ্যমে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গ্রহণ করা উচিত। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং শাকসবজি, এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ এবং দুর্গযুক্ত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, বিশেষ করে ওজন বহনকারী এবং পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম, হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে।

অস্টিওপোরোসিস নির্ণয়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হলো হাড়ের খনিজ ঘনত্ব (বিএমডি) পরীক্ষা, যা সাধারণত ডেক্সা স্ক্যানের মাধ্যমে করা হয়। এটি সাধারণত উভয় নিতম্ব, কব্জি এবং এপি মেরুদণ্ডে পরীক্ষা করা হয়। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, মেনোপজ-পরবর্তী মহিলা, ক্যান্সার রোগী এবং দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েড চিকিৎসা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি।




কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ৩ খাদ্য

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কোলেস্টেরলের নাম শুনলেই অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। কিন্তু শরীরে কোলেস্টেরল থাকা বিপজ্জনক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের দুই প্রকার—ভালো এবং খারাপ। ভালো কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে এটি এক ধরনের দরজার মতো কাজ করে, যা আরও নানা রোগকে শরীরে প্রবেশের সুযোগ দেয়। তাই দ্রুত এটির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে কিছু খাদ্য উপাদান সাহায্য করতে পারে। নিচে তিনটি খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হলো, যেগুলো ডায়েটে নিয়মিত রাখলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সম্ভব:

১. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর। ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, বাদাম এবং সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খেলে শরীরের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ হবে।

২. উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার: খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। সিরিয়াল, ওটস, বাজরা এবং বার্লি এই ধরনের খাবারের উদাহরণ। সবজির পরিমাণ বাড়ানোর মাধ্যমে ভাতের সাথে এর ব্যবহার বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

৩. পেকটিন সমৃদ্ধ খাবার: পেকটিনযুক্ত খাবার খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে। আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি এবং সাইট্রাস ফলগুলো পেকটিন সমৃদ্ধ।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা সাধারণত ওষুধের পরামর্শ দেন, কিন্তু সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তাই ওষুধের উপর নির্ভর না হয়ে এই তিনটি খাবারে আস্থা রাখতে পারেন।




ঘরের বায়ুদূষণের কারণ এবং প্রতিকার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::আমাদের পরিবেশ বর্তমানে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে, বায়ুদূষণের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বায়ু হলো জীবজগতের একটি অপরিহার্য উপাদান, যার অভাব মানবসহ অন্য প্রাণীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। বায়ুদূষণ মানে হচ্ছে এমন বায়বীয় পদার্থের উপস্থিতি যা প্রাণীদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

মানবসৃষ্ট নানা কারণে আমাদের ঘরের বায়ুও অজান্তেই দূষিত হয়ে উঠছে। ঘরের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য নিচে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ: ঘরের বায়ুদূষণের উৎসগুলো খুঁজে বের করা জরুরি। রান্নার তেল, কীটপতঙ্গ দূর করার কয়েল, মোমবাতি এবং রাসায়নিক পরিষ্কারের সামগ্রী বায়ু দূষণের কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে ফরমালডিহাইড এবং ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড নিঃসৃত হয়।

২. বায়ু চলাচল: ঘরের মধ্যে যথাযথ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সূর্যের আলো প্রবাহিত হলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের প্রভাব কম হয়। দরজা-জানালা খুলে রাখা উচিত, বিশেষ করে শীতকালে, যাতে বাতাসের গুণগত মান বজায় থাকে।

৩. ধূমপান: ঘরের বায়ুদূষণের একটি প্রধান কারণ ধূমপান। সিগারেটের ধোঁয়া বদ্ধ স্থানে দ্রুত বায়ু দূষিত করে।

৪. বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থা: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চিমনি, এসি, এয়ারকুলার ইত্যাদি ঘরের প্রাকৃতিক বায়ু পরিস্থিতি নষ্ট করে। এই যন্ত্রগুলোর কারণে ধূলাবালি ঘরে বন্দী হয়ে যায়।

৫. ফেসমাস্ক: করোনা মহামারির সময় মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব বেড়েছিল, তবে এখন তা কমে গেছে। বাইরের বায়ুতে ধূলা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, তাই বাইরে বের হলে মাস্ক পরা উচিত।