ঘরের বায়ুদূষণের কারণ এবং প্রতিকার

পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::আমাদের পরিবেশ বর্তমানে বিভিন্ন নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে, বায়ুদূষণের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বায়ু হলো জীবজগতের একটি অপরিহার্য উপাদান, যার অভাব মানবসহ অন্য প্রাণীদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। বায়ুদূষণ মানে হচ্ছে এমন বায়বীয় পদার্থের উপস্থিতি যা প্রাণীদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

মানবসৃষ্ট নানা কারণে আমাদের ঘরের বায়ুও অজান্তেই দূষিত হয়ে উঠছে। ঘরের বায়ুদূষণ কমানোর জন্য নিচে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো:

১. দূষণের উৎস চিহ্নিতকরণ: ঘরের বায়ুদূষণের উৎসগুলো খুঁজে বের করা জরুরি। রান্নার তেল, কীটপতঙ্গ দূর করার কয়েল, মোমবাতি এবং রাসায়নিক পরিষ্কারের সামগ্রী বায়ু দূষণের কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে ফরমালডিহাইড এবং ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ড নিঃসৃত হয়।

২. বায়ু চলাচল: ঘরের মধ্যে যথাযথ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে। সূর্যের আলো প্রবাহিত হলে গ্রীনহাউজ গ্যাসের প্রভাব কম হয়। দরজা-জানালা খুলে রাখা উচিত, বিশেষ করে শীতকালে, যাতে বাতাসের গুণগত মান বজায় থাকে।

৩. ধূমপান: ঘরের বায়ুদূষণের একটি প্রধান কারণ ধূমপান। সিগারেটের ধোঁয়া বদ্ধ স্থানে দ্রুত বায়ু দূষিত করে।

৪. বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থা: বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চিমনি, এসি, এয়ারকুলার ইত্যাদি ঘরের প্রাকৃতিক বায়ু পরিস্থিতি নষ্ট করে। এই যন্ত্রগুলোর কারণে ধূলাবালি ঘরে বন্দী হয়ে যায়।

৫. ফেসমাস্ক: করোনা মহামারির সময় মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব বেড়েছিল, তবে এখন তা কমে গেছে। বাইরের বায়ুতে ধূলা ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ থাকে, তাই বাইরে বের হলে মাস্ক পরা উচিত।




মোবাইলে একটানা কথা বলার নিরাপত্তা: কত সময় সঠিক?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মোবাইল ফোনের ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। মোবাইল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন, বিকিরণ থেকে বাঁচতে ফোনটি মাথার থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা উচিত। কারণ, ফোনের কাছে থাকা কোষগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং ফোনের দূরত্ব বাড়ালে কোষের ক্ষতি কমে।

একটানা মোবাইলে কথা বললে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জরুরি প্রয়োজনে যদি দীর্ঘ সময় কথা বলতে হয়, তাহলে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মোবাইলে টানা ৩ থেকে ৪ মিনিট কথা বলা মোটামুটি নিরাপদ। তবে ১০ মিনিটের বেশি কথা বলার পর মোবাইল ফোন গরম হয়ে যায় এবং মাথাব্যথা বা শোনার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

মোবাইলে কথা বলার সময় মাসল ক্লান্ত হয়ে যায়, এবং একই কানে কথা বলার ফলে শুনতে সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘসময় ফোন ব্যবহার করলে কানের ‘হেয়ার সেল’ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই, একটানা ১০ মিনিট কথা বলার পর থেকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে ঘুমের সমস্যা ও মাথাব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।

তবে, লাউড স্পিকার অন করে মোবাইলকে দূরে রেখে কথা বললে ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।




ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের ভোগান্তি বাড়াতে পারে যেসব রোগ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: অক্টোবর মাসের শেষে শীত আসতে চলেছে, এবং এই ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের প্রতি এই সময়ে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন।

সর্দি-কাশি প্রতিরোধে পরামর্শ
ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের সর্দি-কাশি বেশ সাধারণ। পরিবারের কেউ যদি সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, তবে শিশুদের থেকে দূরে থাকুন এবং প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন। শিশুদের নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে এবং সর্দি-কাশি হলে তাদের স্কুলে না পাঠানোই ভালো।

পেটের সমস্যা থেকে রক্ষার উপায়
বৃষ্টির কারণে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই শিশুদের ফুটানো বা ফিল্টার করা পানি পান করাতে হবে। পরিবারে সবাইকে নিরাপদ পানি পান করানোর ব্যবস্থা করুন এবং খাবার ঢেকে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

স্ক্রাব টাইফাসের ঝুঁকি এড়ানোর উপায়
স্ক্রাব টাইফাসের ক্ষেত্রে বিশেষ পোকার কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটে। তাই ঘর ও আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং বিছানা ও সোফা নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সতর্কতা
বৃষ্টির সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত রাখতে বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে দেবেন না। জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।




ফ্রোজেন শোল্ডার প্রতিরোধে ৮ কার্যকর উপায়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ফ্রোজেন শোল্ডার হলে কাঁধের সন্ধিস্থলে ব্যথা হয় এবং জোড়া শক্ত হয়ে যায়, যা নড়াচড়া করলেই ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি এড়ানোর জন্য কিছু কার্যকরী পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:

১. প্রাথমিক সতর্কতা
কাঁধের জোড়ায় সামান্য ব্যথাও উপেক্ষা করা উচিত নয়। যদি দীর্ঘদিন এ ব্যথা থাকে, তবে ফ্রোজেন শোল্ডারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

২. চিকিৎসকের পরামর্শ
কাঁধে আঘাত পেলে বা ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৩. অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলুন
কাঁধে অতিরিক্ত ওজন তুলবেন না, কারণ এতে কাঁধে চাপ পড়ে ফ্রোজেন শোল্ডার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৪. ভুল শারীরিক ভঙ্গি এড়িয়ে চলা
কাঁধে অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে এমন ভঙ্গি এড়িয়ে চলুন এবং সঠিক ভঙ্গি মেনে চলুন।

৫. নিয়মিত স্ট্রেচিং
কাঁধের মাংসপেশি শিথিল রাখতে ফিজিওথেরাপিস্টের নির্দেশ অনুযায়ী স্ট্রেচিং করুন।

৬. বিশেষ যত্ন
বয়স্ক ব্যক্তিদের কাঁধের ব্যথায় বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

৭. নারীদের জন্য সতর্কতা
৪০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের কাঁধে অতিরিক্ত চাপ নেওয়া উচিত নয়।

৮. ঘাড়ব্যথা থেকে সতর্কতা
যাদের ঘাড়ব্যথা আছে তাদের দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকলে ফ্রোজেন শোল্ডারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকুন।

 




জ্বরের সময় পানি পান: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: জ্বরের সময় পানি পান করা স্বাস্থ্যকর না ক্ষতিকর, এ বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হন, যা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে, চিকিৎসকেরা বেশি করে পানি পানের পরামর্শ দেন, তবে কিছু লোক মনে করেন, জ্বরের সময় পানি পান করা উচিত নয়।

ডাক্তারের মতে, জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে এবং বমি, পায়খানা, ও ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়। এ অবস্থায় শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, যা ক্লান্তি এবং ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই, জ্বর হলে পানির পরিমাণ বাড়ানো উচিত।

জ্বরের সময় কতটা পানি পান করা উচিত? সাধারণত, প্রতিদিনের পানির পরিমাণের থেকে ৫০ শতাংশ বেশি পানি পান করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ দিনে ৩ লিটার পানি পান করেন, তবে জ্বরের সময় ৪.৫ লিটার পানি পান করা উচিত।

এছাড়া, শুধু পানি নয়, ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পেতে ওআরএস পান করা উচিত। এর জন্য ১টি ওআরএস প্যাকেট পানিতে মিশিয়ে খেলে ইলেকট্রোলাইটসের ভারসাম্য বজায় থাকে। ঘরোয়াভাবে ওআরএস তৈরি করলেও উপকার পাওয়া যায়।

জ্বরের কারণে মুখের স্বাদ হারিয়ে যেতে পারে, তাই শাক-সবজি, ফলমূল, ডিম, মাছ ইত্যাদি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। জ্বর দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকলে এবং ওষুধ সেবন করার পরও তাপমাত্রা কম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।




অতিরিক্ত লবণে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি, কম খেলে হতে পারে মৃত্যুও

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: খাবারের স্বাদ বজায় রাখতে লবণের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, লবণ শুধু স্বাদ বাড়ায় না, এটি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের রটগার্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল ব্রেসলিন বলেছেন, ‘লবণ আমাদের জীবনের জন্য অপরিহার্য।’

তিনি জানান, নিউরন, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড, পেশি, ত্বক এবং হাড়সহ আমাদের সব কার্যকর কোষের জন্য লবণ গুরুত্বপূর্ণ। সোডিয়াম লবণে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শরীর ও মনে শক্তি যোগায়। পল বলেন, “ক্যালসিয়ামের মতো আমাদের শরীর সোডিয়ামও সংরক্ষণ করতে পারে না।”

সুতরাং, শরীরে সোডিয়াম কমে গেলে, সোডিয়াম তথা লবণ খাওয়া একমাত্র সমাধান। পর্যাপ্ত সোডিয়াম গ্রহণ না করলে তা মৃত্যুর কারণও হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

শরীরে সোডিয়াম কম থাকলে হাইপোনাট্রেমিয়া দেখা দেয়, যার ফলে বিভ্রান্তি, বমি, খিঁচুনি এবং খিটখিটে মেজাজ হতে পারে, এমনকি কোমায় যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

লবণ কি কেবল স্বাদ বাড়ায়? লবণ খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি তিক্ততা লুকানোর কাজও করে, যেমন টক বা তিতাসমূহে। এছাড়া, পাউরুটি বানানোর সময় লবণ ব্যবহার না করলে তা ফ্যাকাশে দেখাবে এবং সঠিক ঘ্রাণ আসবে না। লবণ খাবারের চেহারা এবং ঘ্রাণেও প্রভাব রাখে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, একজন ব্যক্তির নিয়মিত পাঁচ গ্রাম লবণ গ্রহণ করা উচিত, যাতে শরীর দুই গ্রাম সোডিয়াম পেতে পারে। তবে, বর্তমানে ব্যক্তি প্রতি গড় লবণ গ্রহণ প্রায় ১১ গ্রাম। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ হৃদরোগ, গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস, স্থূলতা এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, লবণ বেশি গ্রহণের কারণে প্রতি বছর প্রায় ১৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তবে শরীরে লবণের প্রভাব ব্যক্তির জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। বিশ্বব্যাপী এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, এবং লবণ কম খাওয়া এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

 




বরিশালে শীতকালীন সৌন্দর্য: ভ্রমণের অসাধারণ গন্তব্য

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: শীতকাল আসন্ন, কুয়াশার মেঘে ঢাকা পড়ছে প্রকৃতি। এই সময়টি ভ্রমণের জন্য আদর্শ, যেখানে ভ্যাপসা গরমের প্রতিকূলতা থাকে না। বরিশাল, যে জায়গাটি বাংলার সৌন্দর্যের একটি অন্যতম প্রতিনিধিত্ব, ভ্রমণকারীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

বরিশালের সাতলা শাপলা গ্রাম থেকে শুরু করে নদী ও বন, শীতের সময়ে এ অঞ্চলের সৌন্দর্য অনুভব করা যায়। জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতোই বাংলার এই দৃশ্যগুলো আপনাকে বিমোহিত করবে।

কিভাবে যাবেন বরিশাল

ঢাকা থেকে বরিশালে যেতে হলে সড়ক ও নৌপথ উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। সড়কপথে বিভিন্ন বাস পরিষেবা রয়েছে যা গাবতলীর বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়ে। ভাড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। অন্যদিকে, সদরঘাট থেকে নৌকায় রাতের নীরবতায় বরিশালে পৌঁছাতে পারেন, যেখানে ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে শুরু।

বরিশালে থাকার ব্যবস্থা

বরিশালে বিভিন্ন হোটেল ও মোটেলও রয়েছে, যেখানে সাধ্যের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করা যায়।

দর্শনীয় স্থান

বরিশালে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:

লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

দুর্গাসাগর দিঘী

গুঠিয়া মসজিদ

সাতলা শাপলা গ্রাম

জীবনানন্দ দাশের বাড়ি

গুঠিয়া মসজিদ

বরিশালের বিখ্যাত বায়তুল আমান জামে মসজিদ, যা গুঠিয়া মসজিদ নামে পরিচিত। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি।

ভাসমান পেয়ারা বাজার

বরিশালের ভাসমান পেয়ারা বাজার একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। এখানে নৌকায় করে পেয়ারা কিনতে পারেন এবং এটি একটি বিশেষ আকর্ষণ।

সাতলা শাপলা গ্রাম

শীতকালে সাতলা শাপলা গ্রাম ভ্রমণের জন্য আদর্শ। এখানে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন, যা আপনাকে প্রকৃতির মধ্যে নিমজ্জিত করবে।

বরিশাল, প্রকৃতির এক অপূর্ব রূপ। শীতের সময়ে এখানে ভ্রমণ করে নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করুন এবং বাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

 




বাদাম কি সত্যিই ওজন বাড়ায়? এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক জানালেন পুষ্টিবিদ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাদাম আমাদের সবার প্রিয় একটি খাবার। রোদ-বৃষ্টি কিংবা আড্ডা—সব ক্ষেত্রেই বাদাম থাকে আমাদের সঙ্গে। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও, বাদাম খাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকেই মনে করেন, বাদাম খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদ কোয়েল পাল চৌধুরী বলছেন, বাদামের উপকারিতা এবং সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বাদামের পুষ্টিগুণ

বাদামকে পুষ্টির খনি বলা হয়। এতে প্রচুর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এ কারণে বাদাম খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটে। বাদামে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ও ব্রেনের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

বাদাম কি আসলেই ওজন বাড়ায়?

পুষ্টিবিদ কোয়েল জানিয়েছেন, বাদাম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। তবে, চিনা ও কাজুবাদামের মতো কিছু বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকায়, অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং, যদি কেউ নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খান, তবে এটি শরীরের জন্য উপকারি হবে।

কী পরিমাণ খেতে হবে?

কোয়েল বলেন, প্রতিদিন ৫০ গ্রাম বাদাম খাওয়া উপযুক্ত। সবসময় এক ধরনের বাদামের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের বাদাম মিশিয়ে খাওয়া ভালো, যেমন চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, আমন্ড এবং ওয়ালনাট। এতে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কমে যায় এবং আরও বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।

লবণযুক্ত বাদাম এড়িয়ে চলুন

লবণযুক্ত বাদাম বা তেলে ভাজা বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত। লবণ শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়, যা প্রেসার বাড়াতে পারে এবং কিডনির ক্ষতি করতে পারে। তাই, বালিতে ভাজা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে চেষ্টা করুন।

গ্যাস-অ্যাসিডিটিতে সতর্কতা

যদি বেশি পরিমাণে বাদাম খাওয়া হয়, তাহলে গ্যাস-অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে আইবিএস বা অন্যান্য পেটের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্ক থাকা উচিত।

বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার, তবে সঠিক পরিমাণে এবং সঠিকভাবে খাওয়া উচিত। নিয়মিত এবং পরিমিত বাদাম খেলে শরীরের জন্য উপকার আসবে, তবে অতিরিক্ত খেলে অসুবিধা হতে পারে।

 




সুস্বাদু মিষ্টি আনারস চেনার সহজ উপায়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আনারস একটি সুস্বাদু ও রসালো ফল, যা শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এবং নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে কার্যকরী। তবে, বাজার থেকে আনারস কেনার সময় অনেকেই ভালো আনারস চিনতে পারেন না, যার ফলে তারা ঠিক পাকা ও মিষ্টি আনারস পান না। আনারসের স্বাদ তার পরিপক্বতা, জাত এবং পরিবেশগত অবস্থার উপর নির্ভর করে।

তীব্র গরমে আনারস খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এতে ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে এবং ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি কমাতে সাহায্য করে।

আনারস কেনার সময় মিষ্টি আনারস চেনার কিছু উপায় জানা যাক:

১. রঙ: আনারসের বাইরের খোসার রঙ যদি উজ্জ্বল হলুদ বা সোনালি হয়, তবে তা সাধারণত বেশি পাকা ও মিষ্টি হয়।

২. গন্ধ: আনারসের গোড়া থেকে যদি মিষ্টি গন্ধ আসে, তবে এটি সাধারণত বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে।

৩. ওজন: আনারস যদি তুলনামূলকভাবে ভারী হয়, তবে এর মধ্যে রস বেশি থাকে, যা মিষ্টতার ইঙ্গিত দিতে পারে।

বারোমাসি আনারসের মিষ্টতা চাষের পরিবেশ ও জাতের গুণমানের ওপর নির্ভর করে। তাই, মিষ্টি বারোমাসি আনারস কিনতে হলে অবশ্যই পাকা এবং ভালো গন্ধযুক্ত আনারস বেছে নেয়া উচিত।




টয়লেটে ফোন ব্যবহারের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: টয়লেটে ফোন ব্যবহার করা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে, এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। টয়লেটের দরজার লক, ফ্লাশ, কমোড, এবং পানি ট্যাপ ইত্যাদিতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। যেহেতু টয়লেট বেশিরভাগ সময় ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, তাই এখানে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত ছড়াতে পারে।

২০১৬ সালে একটি জরিপে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষ টয়লেটে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এই অভ্যাসটি বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এটি বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। দেখে নেওয়া যাক, টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শরীরে কী কী ক্ষতি হতে পারে:

১. ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ: বাথরুমের পরিবেশে প্রচুর জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকতে পারে, বিশেষত ই. কোলাই, সালমোনেলা এবং স্টেফাইলোকক্কাস। ফোনের মাধ্যমে এই জীবাণুগুলো শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে।

২. পেটের অসুখ ও খাদ্যবাহিত রোগ: টয়লেটের জীবাণু ফোনের মাধ্যমে খাদ্য বা হাতের সংস্পর্শে আসলে পেটের অসুখ বা ডায়রিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৩. হাতের হাইজিনে অবহেলা: টয়লেট ব্যবহারের পর ফোনে মনোযোগ দিলে হাত ধোয়ার প্রক্রিয়া অবহেলিত হতে পারে, ফলে জীবাণু ফোনে এবং অন্যান্য বস্তুতে ছড়িয়ে যেতে পারে।

৪. মনের একাগ্রতা ব্যাহত হওয়া: বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে মনোযোগ বিভক্ত হয়ে যায়, যা দীর্ঘ সময় বাথরুমে থাকার কারণ হতে পারে এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. ফোনের ক্ষতি: টয়লেটে ফোনের মাধ্যমে পানি বা আর্দ্রতা ঢোকার ঝুঁকি থাকে, যা ফোনের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বাথরুমে ফোন নেয়া মানসিকভাবে আরামদায়ক মনে হতে পারে, তবে এটি জীবাণু সংক্রমণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি, এবং ফোনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই বাথরুমে ফোন না নেয়াই শ্রেয়।