প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হতে পারে?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: নারীর সাজের অন্যতম অনুষঙ্গ লিপস্টিক। প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁটে কোনো ক্ষতি হয় কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে। বিশেষ করে, অনেকেই মনে করেন যে প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।

চিকিৎসকদের মতে, কিছু লিপস্টিকের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান ঠোঁটের মতো স্পর্শকাতর অঙ্গে ক্ষতি করতে পারে। তবে সব লিপস্টিকের ক্ষেত্রে এই ক্ষতির আশঙ্কা নেই। ঠোঁটের স্বাস্থ্য এবং লিপস্টিকের গুণাগুণের ওপরই মূলত নির্ভর করে এ সমস্যাগুলো।

#### যেসব সমস্যায় লিপস্টিক ব্যবহার থেকে সতর্ক থাকতে হবে:

1. **শুষ্ক ঠোঁট:** কিছু লিপস্টিক ঠোঁটকে শুষ্ক করে তুলতে পারে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এই সমস্যা গুরুতর হতে পারে। তবে তেল বা মাখনযুক্ত লিপস্টিক ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

2. **অ্যালার্জি:** যাদের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানে অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের লিপস্টিক ব্যবহারের আগে সতর্ক হওয়া উচিত। নতুন প্রসাধনী ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া জরুরি।

3. **কালচে ছোপ:** রোদের অতিবেগুনি রশ্মি বা জিনগত কারণেও ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়তে পারে। শুধুমাত্র লিপস্টিক ব্যবহারের কারণেই ঠোঁট কালো হয়ে যাবে এমন ধারণা সঠিক নয়।

#### ঠোঁটের স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয়:
1. **হাইড্রেশন:** পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার মাধ্যমে ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখা উচিত। এছাড়া, ঠোঁটের জন্য নিরাপদ এবং UV সুরক্ষার উপযোগী লিপবাম ব্যবহার করা যেতে পারে।

2. **এক্সফোলিয়েশন:** নিয়মিত ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করতে নরম স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েট করা উচিত।

3. **প্রাইমার ব্যবহার:** লিপস্টিক ব্যবহারের আগে প্রাইমার ব্যবহার করলে ঠোঁটে রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।




কিডনি সমস্যার লক্ষণ: আপনি কি ভুগছেন?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, এবং এই অঙ্গের সমস্যার লক্ষণগুলো চিনতে পারা খুবই জরুরি। কিডনিতে সমস্যা হলে কিছু বিশেষ লক্ষণ প্রকাশ পায়, যা আগে থেকে জানলে চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয়। টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন।

**কিডনির সমস্যা সাধারণত দুই ধরনের:**
১. একিউট কিডনি ইনজুরি
২. ক্রনিক কিডনি ডিজিজ

একিউট কিডনি ইনজুরি হঠাৎ করে হয়, আর ক্রনিক কিডনি ডিজিজ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। কিডনি রোগের লক্ষণগুলো জানা থাকলে সমস্যা জটিলের দিকে যাওয়ার আগে চিকিৎসা নেয়া সম্ভব।

**কিডনির সমস্যার কিছু লক্ষণ:**
– প্রস্রাবে ফেনা ভাব; এটি প্রোটিনের প্রভাবে হয়ে থাকে এবং প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে।
– ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে।
– দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস না শনাক্ত হলে বা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কিডনি, লিভার, ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
– শরীরের বিভিন্ন অংশে পানি জমা, যেমন হাত-পা বা মুখ ফোলাফোলা ভাব।
– প্রস্রাবের পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে, সঙ্গে জ্বালা করতে পারে।
– ঘন ঘন প্রস্রাবে যাওয়ার অনুভূতি।
– ক্লান্তি বা বমি বমি ভাব।
– শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথর বা প্রস্টেটের সমস্যা থাকলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, কিডনি ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।




ব্রণের কালো দাগ দূর করতে কী করবেন?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ব্রণ ও এর দাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও এই সমস্যার শিকার। ব্রণ সেরে যাওয়ার পর এর যে কালো দাগ তা সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাই ব্রণ দূর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতে হবে ব্রণের কালো দাগের।

### ১. ফেসিয়াল করুন
ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ফেসিয়াল করা দারুণ কাজে দেয়। এটি ত্বকের দাগ হালকা করতে এবং ত্বককে প্রাণবন্ত রাখতে সাহায্য করে।

### ২. অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন
ত্বকের গ্লো ফিরে আনতে এবং ব্রণের দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ত্বকের লোমকূপের ছিদ্র খুলে দেয় এবং ত্বককে শ্বাস নিতে সাহায্য করে, ফলে ব্রণ ও দাগ কমে যায়।

### ৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ত্বককে প্রাণবন্ত ও সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা অপরিহার্য। প্রতিদিন ৩ লিটার পানি পান করলে ত্বক ভালো থাকবে এবং ব্রণ বা কালো দাগের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। ডিটক্স ওয়াটার পান করাও ভালো।

### ৪. প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন
অনেকেই ত্বকের যত্নে ব্রণের কালো দাগ দূর করতে আপেল সিডার ভিনেগার, লেবু, অথবা টমেটোর রস ব্যবহার করেন। এগুলোও দারুণ কাজ করে ব্রণের কালো দাগ মলিন করতে। আলুর রস ব্যবহার করা এবং নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া ব্রণের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করবে।

### ৫. রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
রূপ বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত ফেসিয়াল এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রণের কালো দাগ থেকে মুক্তির পরামর্শ দেন।

সঠিক যত্ন এবং নিয়মিত রূপচর্চা করলে ব্রণের কালো দাগ দূর করা সম্ভব।




দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার: আপনি কি জানেন কেন দাঁত শিরশির করে?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আপনি কি কখনো অনুভব করেছেন যে আইসক্রিম খেতে পারছেন না, মিষ্টি খেলে দাঁত শিরশির করছে, টক জিনিস খেলে অল্পতেই দাঁত টক হয়ে যাচ্ছে, কিংবা ঠান্ডা বাতাস দাঁতে লাগলে শিরশির করছে? এসবের কারণ হচ্ছে ডেন্টিন হাইপারসেনসিটিভিটি।

ডেন্টিন হচ্ছে দাঁতের সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশ। এনামেল আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্ত হাড়, যা সহজেই ব্যাকটেরিয়াল অ্যাসিডের জন্য ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পারে। এনামেল ক্ষয় হলে ডেন্টিন শক্তি বের হয়ে যায়, আর তখন দাঁত শিরশির করে। যখন দন্তমজ্জা বের হয়ে যায়, তখন দাঁতে তীব্র ব্যথা হয়। দাঁত শিরশির করা সাময়িক বা দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে। এটা একটি দাঁতে অনুভূত হতে পারে অথবা অনেক দাঁতেও।

### দাঁত শিরশির করার কারণ

দাঁত শিরশির করার অনেক কারণ থাকতে পারে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

– গরম খাদ্য ও পানীয়
– ঠাণ্ডা খাদ্য ও পানীয়
– ঠান্ডা বাতাস
– মিষ্টিজাতীয় খাদ্য ও পানীয়
– টকজাতীয় খাদ্য ও পানীয়
– ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কারের সময়
– অ্যালকোহলসমৃদ্ধ মাউথওয়াশ

### এনামেল ক্ষয়ের কারণ

কিছু কিছু কারণে এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে দাঁত শিরশির করতে পারে:

– শক্ত ব্রাশ দ্বারা দাঁত ব্রাশ করা
– বেশি জোরে এলোমেলোভাবে দাঁত ব্রাশ করা
– টকজাতীয় বা এসিডিক খাদ্য ব্যবহার
– পরিপাকতন্ত্রের পীড়ার কারণে এনামেল ক্ষয় হতে পারে
– দাঁত ভেঙে গেলে বা আঘাতজনিত কারণে এনামেলের আবরণী উঠে গেলে
– দাঁত ফিলিং বা ক্যাপ করার সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত এনামেল কেটে ফেললে
– দাঁত সাদা করার প্রক্রিয়ার কারণে
– দাঁতের ফিলিং উঠে গেলেও দাঁত শিরশির করতে পারে
– বয়সজনিত কারণে এনামেল ক্ষয় হতে পারে

### প্রতিকার

দাঁত শিরশির করার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণের ওপর। এ জন্য দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

– বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেডিকেটেড টুথপেস্ট পাওয়া যায়, যা শিরশির রোধ করে।
– সঠিক উপায়ে দাঁত পরিচর্যা করা।
– টকজাতীয় খাদ্য না খাওয়া।
– ফ্লুরাইডেটেড ডেন্টাল সামগ্রী ব্যবহার করা।
– ৬-১২ মাস অন্তর দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।

 




মন খারাপ হলে কি শারীরিক অসুস্থতা বাড়ে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: যেকোনো মানসিক বিপর্যয় দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করে। জীবনসঙ্গীর মৃত্যুর অল্প কিছুদিনের মধ্যে যদি কেউ মারা যান বা শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন, তখন অনেকেই ধারণা করেন, প্রিয় মানুষের মৃত্যুর শোক সামলাতে না পারার কারণেই এমনটা ঘটেছে। আদতে কি শোকের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার যোগসূত্র আছে? এমন ঘটনার কি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে?

কথায় বলে, সুস্থ দেহে সুস্থ মনের বাস। দেহ সুস্থ না থাকলে মন ভালো থাকে না। আবার মন ভালো না থাকলেও কিছু শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে। দেহ আর মনের এই আন্তঃসম্পর্কের ব্যাখ্যা দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. হেলালউদ্দীন আহমেদ।

যেকোনো মানসিক বিপর্যয়ের কারণেই দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক রোগ নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, একজনের ডায়াবেটিস আছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁকে একটি নির্দিষ্ট ধারায় জীবনযাপন করতে হয়। খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা, ওষুধ সেবন—সব ঠিক থাকলে তবেই সুস্থ থাকেন। মাঝেমধ্যে রক্তের সুগার মেপেও দেখতে হয়। যদি কোনো কারণে মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন, তাহলে তাঁর এই সুনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা ব্যাহত হতে পারে।

তিনি হয়তো তখন সময়মতো খাওয়াদাওয়া করলেন না বা এমন কিছু খেয়ে ফেললেন, যা তাঁর জন্য ক্ষতিকর; নিয়মমাফিক ওষুধ সেবন করলেন না কিংবা দস্তুরমতো শরীরচর্চা করতে পারলেন না। এ রকম হলে তাঁর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সময়মতো খাবার না খেলে রক্তের সুগারের মাত্রা ভয়াবহ পর্যায়ে নেমেও যেতে পারে।

ডায়াবেটিসের মতোই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্‌রোগ, হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। যেসব রোগকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, সে রকম যেকোনো রোগ থাকলেই মানসিক বিপর্যয়ের সময়টাতে জটিলতা বাড়তে পারে।

মানসিকভাবে ভালো না থাকার কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। বাড়তে পারে মানসিক চাপের সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোনের মাত্রা, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে শরীরের ওপর। অর্থাৎ মন ভালো না থাকলে নানান কারণেই শারীরিক অসুস্থতা বাড়ার ঝুঁকি থাকে।

কারও প্রিয়জনের মৃত্যু হলে কিংবা অন্য কারণে কেউ মারাত্মক কোনো মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলে তাঁর পরিচিতজনদের দায়িত্ব বেড়ে যায়। কেবল প্রথম কয়েকটা দিন তাঁর জন্য খাবার পাঠানো কিংবা তাঁর কাছে থাকাই যথেষ্ট নয়। অন্ততপক্ষে তিনি মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরা পর্যন্ত তাঁর শরীর ও মনের প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।

যেসব রোগের চিকিৎসায় জীবনধারাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, সে রকম কোনো রোগ থাকলে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার বিষয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এমনকি আগে থেকে কোনো ধরনের রোগ না থাকলেও খেয়াল রাখতে হবে তাঁর মনের। অস্বাভাবিক দুঃখবোধ বিষণ্নতার একটি উপসর্গ। কিছু শোক কখনোই পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না, তবু শোক সামলে একসময় স্বাভাবিক ছন্দে জীবনকে এগিয়ে নিতে হয়।




টয়লেটে ফোন ব্যবহার করলে ভয়াবহ রোগ হয় শরীরে!

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: টয়লেটের দরজার লক, ফ্লাশ, কমোড, পানি ট্যাপ ইত্যাদিতে জমে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া। টয়লেট যেহেতু বেশিরভাগ সময় ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকে, তাই এই পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া আরও দ্রুত ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের পরিবেশ ক্ষতিকর সেসব ব্যাকটেরিয়ার জন্য সহায়ক। এগুলো যদি কোনোভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে, তাহলে রোগ বিস্তারে সময় লাগে না।

২০১৬ সালে একটি বিশেষ জরিপে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার প্রায় ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা টয়লেটে মোবাইল ফোন নিয়ে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি রীতিমতো বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

### টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হয়?

১. **ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ:** বাথরুমে প্রচুর জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকতে পারে, বিশেষ করে ই. কোলাই, সালমোনেলা এবং স্টেফাইলোকক্কাস। ফোন নিয়ে বাথরুমে গেলে এই জীবাণুগুলো সহজেই ফোনে জমে যেতে পারে। পরে যদি ফোনটি মুখ, চোখ বা হাতের সংস্পর্শে আসে, তাহলে এটি রোগের কারণ হতে পারে।

২. **পেটের অসুখ ও খাদ্যবাহিত রোগ:** বাথরুমের জীবাণু ফোনের মাধ্যমে খাদ্য বা হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে পেটের অসুখ বা ডায়রিয়া হতে পারে। খাদ্যবাহিত রোগের জীবাণু যেমন ই. কোলাই বা নরোভাইরাস বাথরুমের ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেশি থাকে, যা ফোনের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

৩. **হাতের হাইজিনে অবহেলা:** বাথরুম ব্যবহারের পর ফোনে মনোযোগ দিলে হাত ধোয়ার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো বা উপেক্ষিত হতে পারে। ফলে জীবাণু হাত থেকে ফোনে এবং অন্য বস্তুতে ছড়িয়ে যেতে পারে।

৪. **মনের একাগ্রতা ব্যাহত হওয়া:** বাথরুমে ফোন ব্যবহার করলে মনোযোগ বিভক্ত হতে পারে। অনেকেই ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা মেইলে ডুবে থাকেন, যা দীর্ঘসময় বাথরুমে থাকার কারণ হতে পারে এবং এর ফলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে। দীর্ঘসময় বসে থাকলে মলদ্বারে চাপ পড়তে পারে, যা হেমোরয়েডের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. **ফোনের ক্ষতি:** ফোনে পানি বা আর্দ্রতা ঢোকার ঝুঁকি থাকে, যা ফোনের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে। বাথরুমের স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় ফোনে ফাঙ্গাস বা অন্যান্য জীবাণু জন্ম নিতে পারে, যা ফোনের স্ক্রিন বা মাইক্রোফোনের ক্ষতি করতে পারে।

### উপসংহার

বাথরুমে ফোন নেওয়া মানসিকভাবে আরামদায়ক মনে হলেও এটি জীবাণু সংক্রমণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং ফোনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এসব ঝুঁকি এড়াতে বাথরুমে ফোন না নেয়াই ভালো।




গরমে ডাবের পানি কতটা জরুরি?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: গরমের প্রচণ্ড তাপে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য ডাবের পানি এক অমৃততুল্য পানীয়। এটি শুধু পানিই নয়, বরং এটি একটি প্রাকৃতিক শরীর সুস্থ রাখার উপাদান।

### ডাবের পানির উপকারিতা

1. **শরীরকে ঠান্ডা রাখে:** গরমের দিনে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়, ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হওয়ায় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডিহাইড্রেশন রোধ করে।

2. **পুষ্টিগুণে ভরপুর:** ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই খনিজ পদার্থ ও ভিটামিনগুলি হাড় মজবুত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে শক্তিশালী করে।

3. **কিডনির জন্য উপকারী:** ডাবের পানি কিডনিকে পরিষ্কার করে, কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমায় এবং কিডনি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

4. **ত্বকের জন্য উপকারী:** ডাবের পানি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, ত্বকের কোষগুলিকে পুষ্টি যোগায় এবং ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

5. **শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে:** গরমের দিনে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়। ডাবের পানি শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে।

### কাদের জন্য ডাবের পানি বিশেষ উপকারী?

– **গর্ভবতী মহিলা:** গর্ভাবস্থায় শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যায়, ডাবের পানি এই চাহিদা পূরণে সাহায্য করে।
– **শিশু:** শিশুরা খুব তাড়াতাড়ি ডিহাইড্রেট হয়ে যায়, ডাবের পানি শিশুর শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
– **বয়স্ক ব্যক্তি:** বয়স্ক ব্যক্তিদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, ডাবের পানি তাদের জন্য উপকারী।
– **অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমকারী ব্যক্তি:** অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, ডাবের পানি এই ঘাটতি পূরণ করে।
– **উচ্চ রক্তচাপের রোগী:** ডাবের পানিতে পটাশিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

### কাদের জন্য ডাবের পানি এড়ানো উচিত?

– **যাদের কিডনির সমস্যা আছে:** কিডনির সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়।
– **যাদের হৃদরোগ আছে:** হৃদরোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়।
– **যাদের ডায়াবেটিস আছে:** ডায়াবেটিস থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়।

### কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি

– **পরিমাণ:** অতিরিক্ত ডাবের পানি খাওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে।
– **পরিচ্ছন্নতা:** পরিষ্কার না হওয়া ডাবের পানি পেট খারাপ করতে পারে।
– **ঠান্ডা:** খুব ঠান্ডা ডাবের পানি গলা ব্যথা হতে পারে।

গরমকালে ডাবের পানি এক অমৃততুল্য পানীয়। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে, পুষ্টি যোগায় এবং বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। তবে, নিজের শারীরিক অবস্থার অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

 




সন্তানের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে মেনে চলুন এই টিপসগুলো

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সন্তানের সাফল্যের জন্য আত্মবিশ্বাসের বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মবিশ্বাসের অভাবে শিশুদের সামনে এগিয়ে চলার পথে নানা বাধা সৃষ্টি হয়। কিছু কার্যকরী টিপস মেনে চললে বাবা-মায়েরা সন্তানদের হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এবং বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারেন।

#### ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন
শিশুর ঘর ও চারপাশে একটি ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। নেতিবাচক পরিবেশ শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে ইতিবাচক পরিবেশ তাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে এবং পরবর্তীতে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিন।

#### সামাজিকীকরণ শেখান
শিশুদের পারিবারিক কাজে অংশগ্রহণ করান এবং তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিন। এতে তারা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে এবং নিজেদের ভাব প্রকাশ করতে শিখবে।

#### প্রশংসা করুন
ছোট ছোট সাফল্যের জন্য শিশুর প্রশংসা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের মধ্যে ভয় দূর করে এবং নতুন কাজের প্রতি উৎসাহ যোগায়। শিশু প্রশংসা পেলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং আরও বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আগ্রহী হয়।

এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই সন্তানের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাবে। তিনি নিজের মতামত প্রকাশে আর দ্বিধাবোধ করবেন না।




ধীরে খাবার খেলে কী হয়? অভ্যাস করবেন যেভাবে

ধীরে ধীরে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া রোধ, হজমের উন্নতি, ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে, যা খাবারের সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। যারা তাদের খাওয়ার গতি কমাতে চায় তাদের জন্য বিশেষজ্ঞরা সহজ কৌশল এবং পদ্ধতির পরামর্শ দেন। এটি শুধু স্বাস্থ্য ঝুঁকিই কমায় না, সেইসঙ্গে খাবারের সময়কে আনন্দদায়ক করে তোলে।

১. খাওয়ার পরিবেশ পরিবর্তন করা

যদিও প্রাথমিকভাবে এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করার জন্য সংগ্রাম করতে হতে পারে তবে শেষ পর্যন্ত সাফল্য পাবেন। টিভির আশপাশ থেকে খাবার টেবিলে স্থানান্তর করা আপনাকে খাওয়ার দিকে মনোযোগ রাখতে এবং আপনি যে খাবার খাচ্ছেন তার সঙ্গে আরও সংযুক্ত বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

২. চিবানো গণনা

ধীরে ধীরে খাওয়ার এই পদ্ধতিটি বেশিরভাগের জন্য কম কার্যকর বলে মনে হতে পারে। কারণ এটি গণনা করতে ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক বা এই পদ্ধতিকে বিভ্রান্তিকর বলে মনে করতে পারে। তবে একবার খাবার গলানোর আগে ২৪ বার চিবিয়ে নিলে এটি অভ্যাসে পরিণত হবে।

৩. অল্প অল্প পানি পান করা

ধীরে ধীরে খাওয়ার আরেকটি কৌশল হলো পানির ছোট চুমুক নেওয়া বা আসল খাবারের মধ্যে সালাদ খাওয়া। এটি হাইড্রেশন উন্নত করে এবং খাদ্য গ্রহণ করা কমায়। সেইসঙ্গে এটি আপনাকে ধীরে ধীরে খেতেও সাহায্য করতে পারে।

৪. ধীরে খায় এমন কারও সঙ্গে খাওয়া

ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো আপনার গতিকে একজন ধীরে খাবার খাওয়া বন্ধুর সঙ্গে মেলানো। আপনার বন্ধুর খাওয়ার গতি অনুকরণ করার চেষ্টা করলে তা খাবার খাওয়ার সময় আপনাকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. চামচ নামিয়ে রাখুন

যারা ধীরে ধীরে খেতে চান তাদের জন্য এই সহজ কৌশলটি সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। একটি কামড় খাওয়া এবং তারপর প্লেটে চামচটি বিশ্রামে রাখার অভ্যাস আপনাকে আরও ধীরে ধীরে খেতে এবং খাবার উপভোগ করতে সহায়তা করতে পারে।




ডিপ্রেশন কেন হয়? জানুন মুক্তির উপায়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ডিপ্রেশন একটি মানসিক অবসাদ যা দেহের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং বিভিন্ন কারণে ঘটে। ব্যক্তির জীবনের চাহিদা বৃদ্ধি ও প্রাপ্তির মধ্যে অসঙ্গতি থাকলে তা ডিপ্রেশনে রূপান্তরিত হতে পারে।

### ডিপ্রেশনের কারণ:

**১. অপমান বোধ:**
যারা আত্মমর্যাদার ওপর নির্ভরশীল, তারা অপরের দ্বারা অপমানিত হলে মানসিকভাবে আহত হতে পারেন। এ অবস্থায় তারা ডিপ্রেশনে পড়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

**২. একাকিত্ব:**
যারা সামাজিক, কোলাহল পছন্দ করেন, কিন্তু একাকী জীবন যাপন করতে বাধ্য হন, তারা মানসিকভাবে অসহায় অনুভব করতে পারেন।

**৩. বংশগত কারণ:**
কিছু পরিবারের সদস্যরা জিনগতভাবে ডিপ্রেশনের প্রতি ঝোঁক থাকতে পারেন। এরা সাধারণত ছোট বিষয়গুলোকে বড় করে দেখেন।

**৪. জীবনে বড় পরিবর্তন:**
কোনও বড় পরিবর্তন, যেমন চাকরি হারানো, জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে এবং এটি ডিপ্রেশনে রূপান্তরিত হতে পারে।

### ডিপ্রেশনের লক্ষণ:

– হতাশা, রাগ, এবং দুঃখ
– খিদে ও ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি
– একাকী হয়ে যাওয়া, কারো সাথে কথা বলতে না চাইলে
– শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব করা
– কোন বিষয়ে আগ্রহের অভাব

যদি উপরের লক্ষণগুলোর পাঁচটি বা তার বেশি দু’সপ্তাহ ধরে থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া উচিত।

### ডিপ্রেশনের ধরনের পরিচয়:

– **মেজর ডিপ্রেশন:** দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণ প্রকাশ পেলে, যা আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
– **মাইনর ডিপ্রেশন:** কোন দুঃখজনক ঘটনার কারণে ঘটে।
– **অ্যাটিপিকাল ডিপ্রেশন:** মেজর ডিপ্রেশনের একটি ধরনের যা চিকিৎসা ও সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে।

### মুক্তির উপায়:

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে:

– **চিকিৎসা:** চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।
– **সমর্থন:** কাছের মানুষের সমর্থন ও বোঝাপড়া প্রয়োজন।
– **স্বাস্থ্যকর খাদ্য:** পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।

 

নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুখের দায়িত্ব নিতে হবে। নিজের মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন এবং অন্যান্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমান। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।