জীবন পাল্টে দিতে পারে এ পি জে আব্দুল কালামের এই ১০ বাণী




বন্যায় স্বাস্থ্য রক্ষার উপায় কী?

চন্দ্রদ্বীপ স্বাস্থ্য ডেক্স :: ভারি বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলা। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি উঠায় ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে অতি দ্রুত। আর বন্যায় স্বাস্থ্যসচেতনতার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে উত্তেজিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু বিষয় অনুসরণ করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থরক্ষার বিষয়টিও অনুসরণ করতে হবে।

১. বন্যার সময় পানির উৎস দূষিত হয়ে যায়। তাই পানি ভালোমতো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে পান করাসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করতে হবে। বন্যার পানিতে টিউবওয়েল তলিয়ে গেলে এক কলস পানিতে তিন-চার চা চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে টিউবওয়েলের ভেতর এই পানি ঢেলে আধা ঘণ্টা রেখে এরপর একটানা আধা ঘণ্টা চেপে পানি বের করে ফেলে দিলে সেই পানি খাওয়ার উপযোগী হতে পারে। ব্লিচিং পাউডার না থাকলে এক ঘণ্টা টিউবওয়েলের পানি চেপে বের করে ফেলতে হবে।

২. বন্যায় প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা ডায়রিয়া। এ জন্য খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। পায়খানা করার পর হাত একইভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা শুরু হলে পরিমাণমতো খাওয়ার স্যালাইন খেতে হবে।

৩. দুই বছরের কম শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০-১২ চা চামচ এবং ২ থেকে ১০ বছরের শিশুকে ২০ থেকে ৪০ চা চামচ খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। খাওয়ার স্যালাইন বা ওআরএস না থাকলে বিকল্প হিসেবে লবণ-গুড়ের শরবত খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি ভাতের মাড়, চিঁড়ার পানি, ডাবের পানি, কিছু পাওয়া না গেলে শুধু নিরাপদ পানি খাওয়ানো যেতে পারে।

৪. বন্যায় পচা-বাসি খাবার খেতে বাধ্য হয় অসংখ্য মানুষ। ফলে ছড়িয়ে পড়ে ডায়রিয়াসহ অন্যান্য আন্ত্রিক রোগ। খিচুড়ি খাওয়া এ সময় স্বাস্থ্যোপযোগী। খাবার প্লেট সাবান ও নিরাপদ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পানি বেশি খরচ হয় বলে অনেকে প্রথমে একবার স্বাভাবিক পানিতে থালাবাসন ধুয়ে তারপর ফুটানো পানিতে ধুয়ে নেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। এতে থালাবাসনে অনেক ধরনের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে পরিষ্কার পানিতে ধুলেও দূর হতে চায় না। তাই খাবার গ্রহণের আগে থালাবাসন পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৫. বন্যার সময় মলত্যাগে সতর্কতা অবলম্বন খুব জরুরি। যেখানে-সেখানে মলত্যাগ করা উচিত নয়। এতে পেটের পীড়া ও কৃমির সংক্রমণ বেড়ে যায়। সম্ভব হলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগ করতে হবে এবং মলত্যাগের পরে সাবান বা ছাই দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।

৬. এ সময় সাধারণত বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে যাওয়া, সাপ ও পোকামাকড়ের কামড়ের ঘটনাগুলো বেশি ঘটে। এ বছরের বন্যায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অনেক মানুষ। এ ছাড়া পানির নিচে বহু বৈদ্যুতিক টাওয়ার, খুঁটি, ট্রান্সফরমার লাইনের তার ডুবে থাকে। এসব বৈদ্যুতিক লাইনের নিচ দিয়ে নৌকা বা ভেলা চালানোর ক্ষেত্রে বা চলাচলের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক হতে হবে।




ত্বকের সমস্যায় উপকারী পুঁইশাক

চন্দ্রদ্বীপ লাইফস্টাইল :: পুঁইশাক বাজারে সারা বছর কম-বেশি পাওয়া যায়। প্রবাদ আছে শাকের মধ্যে পুঁই, মাছের মধ্যে রুই। দেশের জনপ্রিয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর শাকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক। ইলিশ-পুঁই ও চিংড়ি-পুঁই অনেকের অতি প্রিয় খাবার। নানা ধরনের ভিটামিনসমৃদ্ধ এই শাক এক দিকে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

সবুজ ও লাল-এই দুই রঙের হয়ে থাকে পুঁইশাক। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ‘বি`, ‘সি` ও ‘এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন আছে। নানা ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ এই শাকটি একদিকে যেমন বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সহজলভ্য বলে এই শাক কম-বেশি সবার কাছে প্রিয়।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণের কারণে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। আসুন এবার জেনে নিই পুঁই শাকের উপকারিতা সম্পর্কে-

১. পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, দেহের বর্জ্য বের করতে সাহায্য করে।

২. পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে।

৩. নিয়মিত পুঁইশাক খেলে পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।

৪. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

৫. যারা ত্বকে ব্রণের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য পুঁইশাক খুবই ভালো।

৬. বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এই শাক রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

৭. পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়।

৮. শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোঁড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক।

৯. যাদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তারা উপকার পাবেন খুব দ্রুত। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্যসচেতনতায় খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন পুঁইশাক।




‘মাঙ্কিপক্স’র প্রকোপ বাড়ছে, কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?

চন্দ্রদ্বীপ লাইফস্টাইল :: কোভিডের মর্মান্তিক স্মৃতি এখনও কারও মন থেকেই মুছে যায়নি, তার মধ্যে নতুন করে মাঙ্কিপক্সের চিন্তা। এই নিয়ে দু’বছরে দুইবার মাঙ্কিপক্স নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ছাড়িয়েছে ১৭ হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে কী দেখলে বুঝবেন আপনি মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত।

আসুন জেনে নিই কি কি উপসর্গ দেখা দিতে পারে:

> প্রবল জ্বর হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের ফলে শরীরে ব্যথাও হতে পারে। ত্বকে র‌্যাশ দেখা যেতে পারে। সেই র‌্যাশ আবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাল ফোঁড়ার মতো আকার ধারণ করতে পারে। হাত, পা, পায়ের পাতা, মুখ এবং শরীরের নানা অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই র‌্যাশ।

> কোভিডের মতোই ছোঁয়াছে এই রোগ। পশু থেকে মানুষে বা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আক্রান্তের ক্ষত বা দেহ তরলের সংস্পর্শে আসা জামাকাপড় থেকেও কিন্তু ছড়াতে পারে এই মাঙ্কিপক্স।

এই রোগের উপসর্গ দেখলে যা করবেন:

> প্রথমেই এই রোগের উপসর্গ দেখলে পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বর, ক্লান্তি, গা ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ত্বকে ক্ষত তৈরির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

> মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যায়। যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসেন, তবে আগে থেকেই আলাদা থাকা ভালো। তাতে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

> আলাদা থাকার সঙ্গেই গোসলের গামছা, তোয়ালে আলাদা করতে হবে। যতক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছে, ততক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।




দ্রুত ওজন কমাতে পারে যে একটিমাত্র খাবার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ওজন কমানো সহজ কথা নয়। এবার ওজন বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন। আপনি যদি ওজন কমাতে ব্যর্থ হন তবে একটি খাবারের ওপর ভরসা রাখতে পারেন। যার নাম শসা। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, শসা খেলে দ্রুত ওজন কমে। শুধু কি তাই? শসার রয়েছে নানাবিধ উপকার। জানুন বিস্তারিত।

​ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার​ শসা: এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ খেকে শুরু করে একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। সেই সঙ্গে এই ফলে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফাইবারের খোঁজও মেলে। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। যেই কারণে নিয়মিত শসা খেলে দেহে প্রদাহ কমে। দূরে থাকে একাধিক জটিল অসুখ। তাই চেষ্টা করুন রোজ শসা খাওয়ার। তাতেই একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।

ওজন কমবে দ্রুত : আগেই বলা হয়েছে শসায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এই ফলে অনেকটা জলীয় অংশ রয়েছে। আর ফাইবার এবং পানির সৌজন্যে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকে। যার ফলে আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাতেই ওজন কমে। এছাড়াও এতে মজুত কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে বাড়ে বিপাকের হার। সেই সুবাদেও ঝটপট মেদ কমে যেতে সময় লাগে না। তাই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে অবশ্যই শসাকে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

বশে থাকবে হাই সুগার : ডায়াবেটিস রোগীদের নানা খাবারে বারণ থাকে। তবে আপনারা চাইলে অনায়াসে শসা খেতে পারেন। কারণ, এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই কম। যেই কারণে শসা খেলে সুগার বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। উল্টো এতে মজুত ফাইবারের গুণে রক্তে উপস্থিত সুগারকে অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই মধুমেহ রোগীরা রোজের ডায়েটে অবশ্যই শসাকে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।

সুস্থ-সবল থাকবে হাড়: ​হাড়ের জোর বাড়াতেই হবে। নইলে অকালেই হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা নেবে পিছু। এরপর সঙ্গী হবে অসহ্য ব্যথা। হাঁটাচলা করতেও সমস্যা হবে। তাই বিপদের ফাঁদে পড়ার আগেই চেষ্টা করুন হাড়ের জোর বাড়িয়ে ফেলার। আর সেই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে অত্যন্ত উপকারী শসা। আসলে এই ফলে রয়েছে ভিটামিন কে-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন হাড়ের শক্তি বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এই ফল খেয়ে রসনাতৃপ্তি করার পরামর্শ দেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকবে দূরে: ​আপনার কি প্রতিদিন ঠিকমতো পেট পরিষ্কার হয় না? সেক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন শসার উপর। কারণ, এই ফলে রয়েছে জল এবং ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই দুইয়ের গুণে পেটের হাল ফিরতে সময় লাগে না। এমনকি মলকে নরম করতে এবং তার গতিবিধি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় জল এবং ফাইবার। যার ফলে সহজেই পেট পরিষ্কার হয়ে যায়। তাই এই রোগে ভুক্তভোগীরা রোজের ডায়েটে অবশ্যই শসাকে জায়গা করে দিতে পারেন।




জ্বর কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ

চন্দ্রদ্বীপ লাইফস্টাইল :: জীবনে কখনো জ্বর হয়নি- এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোটরা তো বটেই, বড়রাও বছরে অন্তত একবার জ্বরে আক্রান্ত হন। জ্বরের মাত্রা রোগ ভেদে অল্প বা বেশি হতে পারে। কেউ কেউ অল্প কিছুদিন জ্বরে ভোগেন, কারও আবার দিনের পর দিন, এমনকি মাসের পর মাস জ্বর আসে। আসলে জ্বর কোনো অসুখ নয়, অসুখের লক্ষণ, একটি সাধারণ উপসর্গ। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে জ্বর বলে।

বিভিন্ন কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। জ্বরের প্রধান কারণ হলো জীবাণুর আক্রমণ বা ইনফেকশন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হতে পারে আর এর মূলে থাকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ইত্যাদি জীবাণু। এছাড়া অনেক সময় ইনফেকশন ছাড়াও জ্বর হতে পারে, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের কানেকটিভ টিস্যু ডিজিজ, লিম্ফোমা, এমনকি ক্যানসারেও। আশ্চর্য মনে হলেও সত্য, ওষুধ খাওয়ার কারণেও জ্বর হয়, যাকে বলে ‘ড্রাগ ফিভার’। তাই রোগী অন্য কোনো রোগে কি কি ওষুধ খায়, তা দেখে নিয়ে বিশ্লেষণ করা জরুরি।

ডাক্তারদের খেয়াল রাখতে হবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগী কৃত্রিমভাবে থার্মোমিটারের তাপমাত্রা বাড়িয়ে জ্বর দেখাতে পারে। একে ‘কৃত্রিম জ্বর’ বা ‘ফাক্টিসিয়াস ফিভার’ বলে। এসব রোগীর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরী। আবার অনেক রোগী আছেন, যাদের জ্বর না থাকলেও জ্বর-জ্বর লাগে বলে অভিযোগ করেন ও ঘনঘন ডাক্তারের কাছে যান। পরীক্ষায় এদের কিছুই ধরা পড়ে না, থার্মোমিটারেও জ্বর পাওয়া যায় না। আরও একটা বিষয় রোগী চিকিৎসকের মনে রাখতে হবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্বরের কারণ সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে পিইউও বা পাইরেক্সিয়া অফ আননোন অরিজিন অর্থাৎ যে জ্বরের কারণ জানা যায় নেই। অনেক সময় ডাক্তারের জন্যও এ ধরনের জ্বরের রোগী অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেখা যায়, অনেকদিন ধরে বিভিন্ন রকমের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও কোনোভাবেই জ্বরের কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ি। দেখা যায়, একদিনের সামান্য জ্বরেই কেউ কেউ চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাই, নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য অনুরোধ করি। অনেকে আছেন, যারা অনেক দিনের জ্বর নিয়েও ঘোরা ফেরা করছেন, চিকিৎসার প্রয়োজন বোধ করছেন না। দুটোই খারাপ। দীর্ঘদিনের অল্প-অল্প জ্বর থাকলে বা সাধারণ চিকিৎসায় সেগুলোর কোনো উন্নতি না হলে তখন তাকে অবহেলা না করে অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

ডাক্তারদের উচিত হবে, রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত ইতিহাস নেওয়া, জ্বর কখন আসে কখন যায়, অন্য কোনো উপসর্গ আছে কিনা, যেমন কাশি, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, বিকেলে জ্বর রাতে ঘাম, গিরায় গিরায় ব্যথা ইত্যাদি। এই ধরনের জ্বরের কারণ হিসেবে মনে রাখা দরকার, কোনো কোনো বিশেষ রোগ, যেমন যক্ষ্মা, কোলাজেন ডিজিজ, নানা রকম ক্যানসার, এইডস ইত্যাদি জ্বরের কারণ হতে পারে। চিকিৎসক রোগীর উপসর্গ ও লক্ষণ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগের কারণ বের করবেন। মনে রাখতে হবে, অযথা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেন না করা হয়, আবার যা প্রয়োজন তা যেন বাদ না যায়।




ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে যেসব খাবার খাবেন




সালাদ খেলে কমবে ওজন

চন্দ্রদ্বীপ লাইফস্টাইল  :: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেসব প্রস্তাবনা দিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, অস্ত্র ছিনিয়ে মিছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের

প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
প্রাইভেটকারে পাওয়া গেল ৮৮ লাখ টাকা
বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা বহিষ্কার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেসব প্রস্তাবনা দিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, অস্ত্র ছিনিয়ে মিছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের
প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
প্রাইভেটকারে পাওয়া গেল ৮৮ লাখ টাকা
বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা বহিষ্কার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেসব প্রস্তাবনা দিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক
সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন, অস্ত্র ছিনিয়ে মিছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের
প্রধান বিচারপতি হলেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ
প্রাইভেটকারে পাওয়া গেল ৮৮ লাখ টাকা
বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা বহিষ্কার।

অতিরিক্ত ওজন দেহের জন্য কখনই মঙ্গল বয়ে আনে না। অসংক্রামক অনেক রোগের জন্য বাড়তি ওজন দায়ী। অস্বাস্থ্যকর বিভিন্ন খাবার সহ প্রসেস ফুড খাওয়ার অভ্যাস দিন দিন দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ সহ নানা অসংক্রামক ব্যাধি বেড়েই চলছে।

তবে অনেকেই ওজন কমাতে চায় ঠিকই, কিন্তু খাওয়ার সময় সেটা মনে থাকে না। ফলে ওজনও কমে না। তবে নিয়মিত পেট ভরে খেয়েও ওজন কমানো সম্ভব। এজন্য দিনে অন্তত একবার সালাদ খেতে হবে।

কম ফ্যাট, কম ক্যালোরি এবং পানিযুক্ত সবজি ও ফল যেমন ক্যাপসিকাম, লেটুস পাতা, শসা, টমেটো, মুলা, গাজর, পেঁয়াজ, তরমুজ, আঙ্গুর, আম, স্ট্রবেরি দিয়ে সালাদ খেতে পারেন। কারণ সালাদ ফাইবারের ভালো উৎস, এতে হজমশক্তি বাড়ে। নিয়মিত সালাদ খেয়ে আপনি ওজন কমাতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু মজাদার সালাদের রেসিপি যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে:

ডিমের সালাদ

যা লাগছে

ডিমের সাদা অংশ ( ২টি ডিম),সবুজ আপেল: ১টা,টমেটো: ২টো,অলিভ অয়েল: ১ চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া

 

যেভাবে বানাবেন

 

ডিম, আপেল, টমেটো চৌকো করে কেটে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। লেটুস পাতা দিতে পারেন। সেই সঙ্গে সিজনিং করুন অলিভ অয়েল, লবণ আর গোলমরিচের গুঁড়াতে। প্রতিদিন সকালে একবাটি করে খেলে ওজন কমবেই।

চিকেন-বুট সালাদ

অনেকের দুপুরবেলা বেশি খাওয়া হয়ে যায়। যার ফলে ওজন কমার বদলে বাড়তে থাকে। তাদের জন্য রইল দুপুর বেলার এক সুস্বাদু সালাদ। এই সালাদ ভোজনরসিকদের মনকে শান্ত রাখবে এবং পাশাপাশি ওজনও কমাবে।

 

যা লাগছে

মুরগির সেদ্ধ হাড় ছাড়া মাংস ২৫ গ্রাম, ফ্যাট ছাড়া দই ২ টেবিল চামচ (টক মিষ্টি দই ব্যবহার করতে পারেন), ১ টি শসা, ১ কাপ ছোলা বুট সেদ্ধ, লেটুস, ১০/১৫ টি আঙুর লবণ, সামান্য লবণ এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল।

যেভাবে বানাবেন

ছোলাবুট সারারাত ভিজিয়ে রেখে সেদ্ধ করে নিন। মুরগির সেদ্ধ মাংস ছোট ছোট টুকরা করে নিন। শসা কেটে নিন কিউব করে। এরপর সব উপকরণ একসাথে দই এবং অলিভ অয়েল দিয়ে মিশিয়ে নিন। দুপুরে ভারী খাবার বাদ দিয়ে এই সালাদটি খান ওজন কমবে।

সবজি সালাদ

 

যা লাগছে

গাজর: ২টি, মুলা: ১টি, ক্ষীরা/ শসা: ২টি , টমেটো: ৪টি, ক্যাপসিকাম (ঐচ্ছিক): ১টি, পেঁয়াজ পাতা বা পেঁয়াজকলি: ১ আঁটি, লেটুস পাতা: ৬টি

যেভাবে বানাবেন ::

সব সবজি ধুয়ে রাখুন। গাজর খোসা ছাড়িয়ে ৬ সে.মি. লম্বা ফালি করুন। মুলা খোসাসহ গোল চাক করে কাটুন। ক্ষীরা খোসা ছাড়িয়ে লম্বা ফালি করুন। টমেটো ও ক্যাপসিকাম লম্বা টুকরো করুন। পেঁয়াজ পাতার পেঁয়াজের পাতলা খোসা ছাড়ান। পেঁয়াজসহ পেঁয়াজ পাতা লম্বা রেখে আগা কেটে ফেলুন। কচি এবং ছোট আকারের লেটুস পাতা নিন। আয়তাকার স্বচ্ছ কাচের পাত্রে সবজিগুলো রং মিলিয়ে নিজের পছন্দমতো সাজিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।

 




ফজরের নামাজ আদায়কারীর ৮ পুরস্কার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : নামাজের মধ্যে যেমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৭)

অন্য হাদিসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (বুখারি ও মুসলিম)

নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ৮ পুরস্কার…

১. ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো। ’ (মুসলিম শরিফ)

২. ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। ’ (মুসলিম)

৩. ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে – ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও। ’ (আবু দাউদ)

৪. সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি – ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর। ’ (বুখারী)

৫. রিজিকে বরকত আসবে – আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।

৬. ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে – ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ’ (তিরিমিযি)

৭. সরাসরি মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে – ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিল। ’ (বুখারি)

৮. ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন- ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন। ’ (তিরমিযী)




সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক

বরিশাল অফিস :: শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের জের ধরে দেশে একরকম অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চলমান এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জানমালের। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই তার প্রভাব বেশ প্রকটভাবেই দৃশ্যমান।

বাস চলাচল, বাজারঘাট তো বন্ধ রয়েছেই, তার সাথে স্কুলকলেজ আর অফিস-আদালত কোনো কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে না। সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ার মতো ঘটনা হলো বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ডেটা ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় সারাদেশে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা সংযোগ ফিরিয়ে আনার পূর্ণ চেষ্টা করছে। তবুও, এখনো অবধি ইন্টারনেট সংযোগ করতে নানারকম প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু যোগাযোগ বা বিনোদন নয়. জরুরি যোগাযোগ এবং দেশের পরিস্থিতির তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিথিল হওয়ার এই ব্যাপার টায় আমাদের নেতিবাচকে নজর দেওয়ার চেয়ে ইতিবাচক দিকগুলোতে দৃষ্টিপাত করা উচিত। এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ফলে দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। মুহূর্তেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে। তবে অতিরিক্ত কোনোকিছুই ভালো নয়, এসবের অতিরিক্ত ব্যবহারও তাই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে। খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে এটা আসক্তিও বলা যেতে পারে।

‘সিনেট’- এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার মানুষের উদ্বিগ্নতা বাড়িয়ে দেয়। এক মুহূর্তও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে মনে হতে থাকে, ‘হয়ত কোনো জরুরি খবর সময়মতো জানতে পারলাম না!’ তাই অকারণেই অনেকে জরুরি কাজ ছাড়াও সারাক্ষণ মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, টিভির সামনে বসে থাকে। এর ফলে দেখা যায়, কোনো কাজে ভালোভাবে পরিপূর্ণ মনোযোগ ধরে রাখা যায় না। বারবার অবচেতন মন এইসব ডিভাইসের দিকেই ঝুঁকে পড়ে।

তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আমাদের নির্ভরতাকে অনুধাবন করে, এইসব অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেন আসক্তি তৈরি না হয়, সেই চেষ্টা করতে হবে। অবসর সময় কাটাতে বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।