তীব্র গরমে অতিরিক্ত চা-কফি কেন নয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : চা অথবা কফিপ্রেমী যারা আছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কড়া চা অথবা কফি না পান করলে তাদের ঘুম যেন ছাড়তেই চায় না। এর পাশাপাশি চা-কফি পান না করলে যেন তাদের শরীর ম্যাজম্যাজে ভাব আর মাথা ধরাও কমতে চায় না! সকালে আর বিকেলে এক কাপ কড়া চা অথবা কফি, তা না হয় স্বাভাবিক সীমানার ভেতরে রেখেই পান করলেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের গরমের চোটে অতিরিক্ত মাথা ঝিম ভাব সারাতে সারাদিন অন্তত কয়েক দফায় চা-কফি পান করতে হয়, তাদের জন্য কিন্তু অপেক্ষা করছে বিপৎসংকেত! বুঝলেন না? জি, সহজভাবে যদি বলি, তীব্র গরমে বেশি বেশি চা-কফি বা অন্যান্য কার্বনেটেড পানীয় পান করলে হতে পারে বিভিন্ন শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি।
যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশবিষয়ক সংস্থা সিটিইএইচের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক জেসন সিলস বলেন, ‘চিনি এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়গুলো পান করা বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।’ এ ছাড়া উচ্চ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পান করলে ডিহাইড্রেশন কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।
কেন গরমের দিনে চা-কফি বেশি পান করাকে স্বাস্থ্যঝুঁকি বলা হয়? এর কারণ হলো, অনেক ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, বিশেষ করে কফি এবং চা হচ্ছে মূত্রবর্ধক। যার অর্থ, এসব পানীয় বারবার আপনার শরীরকে তরল হারাতে উৎসাহিত করে। ফলাফল হিসেবে এটি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা আরও বাড়িয়ে দেবে, শরীর হয়ে যাবে ডিহাইড্রেটেড। যেহেতু গরম বেড়ে গেলে সবারই অতিরিক্ত ঘাম হয়, এর সঙ্গে বারবার যদি প্রস্রাব হতে থাকে, তীব্র তাপদাহে দীর্ঘমেয়াদি ডিহাইড্রেশন হওয়াও অসম্ভব কিছু না।

এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে চা-কফিতে থাকা ক্যাফেইন বেশি গ্রহণ করার আরও কিছু দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। ক্যাফেইন উপাদান আপনার অনিদ্রা, নার্ভাসনেস, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, উদ্বেগ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এই স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো এমনকি আপনার দুর্ঘটনায় জড়িত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। হয়তো আপনি রাস্তাঘাটে কোনো গাড়ি ড্রাইভ করছেন, অথবা বাসায় রান্না করছেন দেখা গেল, অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান সঙ্গে অতিরিক্ত গরমের প্রভাবে আপনি হুট করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন।

দৈনিক কতটুকু চা-কফি পান করা যাবে?
চা-কফিতে থাকা ক্যাফেইন হচ্ছে আমাদের জন্য ভালো এবং খারাপ জিনিস। ভালো এ জন্য, আপনি যদি নির্দিষ্ট মাত্রায় এটা গ্রহণ করেন আপনার শরীরের ম্যাজম্যাজে ভাব চলে যাবে, মাথা ঝিমঝিম থাকলে সেটিও চলে যাবে। পাশাপাশি আপনি যে কোনো কাজ করার জন্য নতুন করে শক্তি পাবেন। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে বেড়ে যায় অনেক স্বাস্থ্যঝুঁকি।

এজন্য আপনার চা-কফিতে বা অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে কতটা ক্যাফেইন রয়েছে, তা এখানে লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ একটি আট আউন্স কাপ কফিতে প্রায় ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে, যেখানে একটি ১৬ আউন্স এনার্জি পানীয়তে ৩৪০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন থাকতে পারে। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, স্বাভাবিক তাপমাত্রার দিনে প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রামের মতো কফি গ্রহণ করা স্বাভাবিক। এ হিসেবে তাহলে প্রতিদিন আপনি ৩ থেকে ৪ কাপ চা বা কফি পান করতে পারবেন, যদি বাইরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। অন্যথায় প্রচণ্ড গরমের দিনে আপনাকে অবশ্যই এ পরিমাণ অর্ধেকে নামাতে হবে।

তাই এই প্রচণ্ড গরমে, প্রতিদিনের শরীরের শক্তির প্রয়োজনীয় মাত্রা ঠিক রাখতে অতিরিক্ত এনার্জি ড্রিংকস এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের ওপর নির্ভর না করে, সম্ভব হলে দীর্ঘমেয়াদি জীবনধারা পরিবর্তন করার ওপর ফোকাস করুন বা বিকল্প কিছু ভাবুন। বিকল্প পথ হতে পারে আপনার খাদ্যের পুষ্টির মান উন্নত করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখা, স্বাভাবিক তাপমাত্রার প্রচুর পানীয় বা ফলের জুস পান করা ইত্যাদি। এগুলো দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি রোধ করার জন্য দারুণ কার্যকরী সব উপায়।




হাঁটু ব্যথা কেন হয়? জেনে নিন উপসর্গ ও চিকিৎসা 




দুপুরে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি শরীরের জন্য আদৌ ভালো? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরের ঘুম পেশিকে আরও শিথিল করে দিতে পারে।

এ বিষয়ে ভারতীয় আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ঐশ্বর্য্য সন্তোষ জানান, দুপুরের ঘুম মানুষের শরীরে স্নিগ্ধ প্রভাব ফেলে। এটি প্রশান্তি দিলেও এর থেকে নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।

বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরপরই দিনে বা রাতে কখনোই ঘুমানো উচিত নয়। অন্তত শোয়ার ঘণ্টাখানেক আগে হাঁটাচলা করা কিংবা বসে থাকা আবশ্যক বিষয়। না হলে খাবার হজম হবে না। শরীরে দুর্বলতা দেখা দেবে।

তবে শিশুরা দুপুরে ঘুমাতে পারে। আবার যারা অনেক ভোর থেকেই পরিশ্রম করেন শক্তি বাড়ানোর জন্য তারাও ভাতঘুম দিতে পারেন।

এছাড়া বয়স্ক মানুষ ও যারা দীর্ঘক্ষণ ভ্রমণ করেছেন এমন মানুষেরা দুপুরে একটু ঘুমিয়ে নিতে পারেন। এমনকি যারা অসুস্থ, দুর্বল ও কম ওজনে ভুগছেন তারাও দুপুরে ঘুমাতে পারেন।

অন্যদিকে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগী, হজমের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের শরীরে ব্যথা বেশি তারা দুপুরে একেবারেই ঘুমাবেন না।

দুপুরে ঘুমালে অনেকের শরীরে ভারী ভাব, খাবারে অ্যালার্জি, অত্যধিক মাথাব্যথা, নাকে জ্বালাভাব, ক্রনিক রাইনিটিস অথবা পেশিতে টান অনুভব করতে পারেন। তা প্রয়োজন দুপুরের ঘুম এড়িয়ে যাওয়াই শরীরের জন্য ভালো।

সূত্র: ইন্ডিয়ান 

 




রান্নাঘরের এই ৭ খাবার আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে




ফ্রিজ দীর্ঘ বছর ভালো রাখার ৫ উপায়




চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাচসাস’র ভূমিকা প্রশংসনীয়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)-এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সভার শুরুতে সম্প্রতি এফডিসিতে অনাঙ্ক্ষিত ঘটে যাওয়া ঘটনা বাচসাস-এর নেতৃত্বে সমাধান হওয়ায় সাধুবাদ জানান তিনি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য বাচসাসকে সুদৃষ্টি রাখতে বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ বেশকিছু প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা লিখিত আকারে কমিটির পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর কাছে তুলে দেন।

চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাচসাস’র ভূমিকা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে আলী আরাফাত বলেন, বাচসাস ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠন। জেনেছি সম্প্রতি বাচসাস ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক করেছে। এটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে বাচসাসকে পাশে থাকার আহ্বান করব।

অনুদান প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা ও সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে। অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার আরও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়ায় যাতে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহ-সভাপতি অনজন রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর, নির্বাহী সদস্য রুহুল আমিন ভূঁইয়া প্রমুখ।




প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা




স্ট্যামিনা বাড়াতে কী খাবেন?




এই গরমে ক্লান্তি দূর করবে চিয়া সিড




যে কারণে মার্চে ৮০ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : মার্চ মাসে ভারতে ৮০ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ৮০ লাখ অ্যাকাউন্টের মধ্যে ব্যবহারকারীদের কোন রিপোর্ট ছাড়াই প্রায় ১৪ লাখ অ্যাকাউন্ট সক্রিয়ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে এসব অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের ২০২১ সালের বিতর্কিত তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হোয়াইটসঅ্যাপ। সেখানেই ৮০ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধের তথ্য এসেছে।

হোয়াটসঅ্যাপ বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে এই প্ল্যাটফর্মের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড এবং ইউজারদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ভারত। দেশটিতে ৪০ কোটির বেশি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। ফেসবুকের মালিকানাধীন এই মেসেজিং সেবাটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের মূল লক্ষ্য ছিল ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে ক্ষতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত বার্তা আদান-প্রদান কমানো।

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৬৭ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেব্রুয়ারিতে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৬ লাখ ২৮ হাজারে। আর সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে মার্চে। অর্থাৎ, চলতি বছরের তিন মাসেই ভারতে ২ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবে যে অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেই ব্যবহারকারী ফলোয়িং মেসেজ দেখতে পারবে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে না। হোয়াটসঅ্যাপের নিয়ম লঙ্ঘন করলেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নিয়ম লঙ্ঘন করলে শাস্তিও হতে পারে!