২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, বলছে গবেষণা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়।



ইফতারে কোন মুসলিম দেশে কী খাওয়া হয়?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ইসলামিক বর্ষপঞ্জি বা হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান হলো সবচেয়ে পবিত্র মাস। রমজানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাসব্যাপী রোজা রাখেন।



কম দামি সানগ্লাস পরলে কী হয়?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  গরম পড়তে শুরু করেছে। এসময় বাইরে বের হলে সচেতন অনেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করেন। এটি নিঃসন্দেহে ভালো অভ্যাস। আবার অনেকে ফ্যাশনের কারণেও সানগ্লাস পরে থাকেন। তবে যে কারণেই ব্যবহার করুন না কেন, সস্তা সানগ্লাস কেনার অভ্যাস আছে কি? চোখে পরলে দেখতে সুন্দর লাগে বলেই যেকোনো সানগ্লাস কিনে ফেলেন? এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা পরিবর্তন করা জরুরি। সস্তার এ ধরনের সানগ্লাস আমাদের চোখ ভালো রাখার বদলে চোখের ক্ষতি ডেকে আনে। চিকিৎসকরাও এই বিষয়ে সতর্কতার বিষয়ে পরামর্শ দেন। সস্তা এবং কম দামি সানগ্লাস পরলে তা বর্ণান্ধতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, এমনটাই বলছেন তারা।



রোজায় শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে করণীয়

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : বিভিন্ন খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানলে এবং খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকলে রোজায় সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকা যাবে।

সতেজ থাকতে করণীয়: সাহরিতে খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়া করে না খেয়ে, একটু আগে উঠতে হবে।

এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেয়ে পেট পরিষ্কার করে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে এবং ধীরে ধীরে চিবিয়ে বিভিন্ন রঙের খাবার যেমন—তিন-চার রঙের সবজি, দু-তিন রকমের ফল ইত্যাদি গ্রহণ করলে খাবার সহজে হজম হবে।

রোজাদারদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে একটি নিয়ম বানিয়ে ফেলতে হবে। যেমন—সাহরিতে তিন গ্লাস, ইফতারিতে পানি ও শরবত মিলিয়ে তিন গ্লাস, তারাবির নামাজের আগে ও পরে দুই গ্লাস, রাতের খাবারের পরে দুই গ্লাস, ঘুমানোর আগে বা সাহরিতে হাফ গ্লাস বা এক গ্লাস দুধ (রোগ ও বিশেষ অবস্থার জন্য ডায়েটিশিয়ানের নির্দেশনা অনুযায়ী এই নিয়ম পরিবর্তিত হতে পারে)।

রোজা ভেঙে অনেক বেশি খাবার একবারে খাওয়া যাবে না। সারা দিন পাকস্থলী বা হজমের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত অঙ্গগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় থাকে। হঠাৎ করে বেশি খাবার পেলে সেগুলোর কাজের গতি বেড়ে যায়। যার দরুন রোজাদারদের অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে।

তাই ইফতারের খাবার হওয়া চাই সহজপাচ্য। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিভেদে খাবার গ্রহণের পরিমাণও নির্দিষ্ট হতে হবে। ডায়াবেটিস, কিডনি রোগী এবং অন্যান্য বিশেষ রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী খাবার তালিকা প্রস্তুত করা উচিত। 

খাবারের পরিমাণের পাশাপাশি খাবার তৈরির পদ্ধতি, রান্নার তেলের মান, খাবার রান্নার পাত্র, পরিবেশনের পাত্র, খাবার প্রস্তুতের পরে সেটা ঢেকে রাখা হচ্ছে কি না, খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে কি না, সালাদ বা ফল কতক্ষণ বাইরে রাখা হয়েছে ইত্যাদি ব্যাপার অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা উচিত। শরবতে চিনির ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

 

ব্যবহার করলেও কম পরিমাণে করতে হবে। প্রাকৃতিক চিনি স্টেভিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। ফল জুস করে না খেয়ে স্বাভাবিকভাবে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। অবশ্যই খাবারের আগে ও পরে হাত ধোয়া অর্থাৎ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

মোটকথা, আপনার কী ধরনের খাবার প্রয়োজন সেটা একজন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে জেনেবুঝে গ্রহণ করতে পারেন। কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগ থাকলে রোজার সময় ওষুধের ডোজের মাত্রা কেমন হবে, কখন কখন খেতে হবে, সেগুলো ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত।

পরামর্শ দিয়েছেন ফাতিম তুজ জুহুরা, মেরিন হেলথকেয়ার হসপিটাল, খিলক্ষেত, ঢাকা।




যে ৩ অভ্যাস ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যাই শুধু বাড়ছে না, সেইসঙ্গে বাড়ছে অল্প বয়সে আক্রান্ত হওয়ার হারও। ফলস্বরূপ হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনি ফেইলরের আশঙ্কাও বেড়ে যাচ্ছে। ডায়াবেটিস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি না করলেশরীর কার্যকরভাবে উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহার করতে না পারলে এর সৃষ্টি হয়। ইনসুলিন হলো এমন একটি হরমোন যা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে।



সেহরির জন্য যেসব খাবার ক্ষতিকর

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  সেহরির জন্য কোন খাবারগুলো ক্ষতিকর তা জানা জরুরি। কারণ সঠিক খাদ্য নির্বাচন করতে না পারলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। রোজায় সুস্থতা ধরে রাখা জরুরি। যে কারণে সাহরির খাবারের প্রতি খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ইফতার ও সেহরিতে কী খাচ্ছেন অথবা খাচ্ছেন না তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে পুরো রমজানজুড়ে আপনি কেমন থাকবেন। কিছু খাবার আছে যেগুলো সেহরির জন্য ক্ষতিকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক-



আপনি কতটা স্মার্ট? মিলিয়ে নিন




রোজা রাখলে শরীরে যা ঘটে




লিভার ভালো রাখতে কী খাবেন?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  লিভার ভালো রাখার জন্য খাবারের প্রতি আপনাকে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। বর্তমানে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই আপনাকে আগেভাগেই হতে হবে সচেতন। মূলত ভুল খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত ফাস্টফুড বা অস্বাস্থ্যকর খাবার, বেশি বেশি ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আপনাকে বেছে নিতে হবে লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে এমন সব খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-



ইফতারে ভাত খাওয়া কি ভালো?

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : অনেকেই ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেল মসলা যু্ক্ত খাবার খেতে পারেন না। এসব খেলে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে। ইফতারের পর অস্বস্তিতে ভোগেন। তাই ইফতারের টেবিলে ভাত-তরকারিকেই বেছে নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে ভাত দিয়ে ইফতার করা কি ভালো?

ইফতারে ভাত খেলে কী হয়?

পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকার মতে, ইফতারে চাইলে ভাত খাওয়া যাবে। ভাতের সঙ্গে মাছ কিংবা মাংসের ঝোল ও সবজি খাওয়া যায়।

তিনি বলেন, যেসব রোগীরা ওজন স্বল্পতায় ভুগছেন তারা চাইলে ইফতারে ভাত যুক্ত করতে পারেন। ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস কিংবা সবজিও খাওয়া যায়।

ইফতারে কতটুকু ভাত খাবেন?

ইফতারে ভাতের পরিমানটা কম হতে হবে। খুব বেশি ভাতে খেলে শরীরের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে ইফতারে ভাতের বদলে সবজি খিচুড়ি ও ডিম খেলে বেশি পুষ্টি মেলে। শরীরও দ্রুত শক্তি পায়।

ইফতারে আনুন বৈচিত্র্য

পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সব সময় ইফতারে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে বলেন। একই খাবার দিয়ে রোজ ইফতার করতে বারণ করেন। অর্থাৎ এক এক দিন এক এক ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। ইফতারে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা উচিত।

পুষ্টির অভাব পূরণ করুন ইফতারে

ইফতারে এমন খাবার রাখা উচিত যেগুলো সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টির অভাব পূরণ করে। এই যেমন আপনি যদি ইফতারে ভাত খান তবে সঙ্গে রাখুন মাছ, মাংস এবং সবজি। সঙ্গে ডালও খেতে পারেন।

ভাতের সঙ্গে শসা, টমেটো ও গাজরের সালাদও খেতে পারেন। মোট কথা হচ্ছে ইফতারে ভাত খেতে বারণ নেই, তবে ভাতের সঙ্গে মাছ, মাংস ও সবজি অবশ্যই খেতে হবে। না হলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না।

ইফতারে ভাত খেলে তার পরিমানটা কম হওয়া উচিত। ভাত কম খেয়ে মাছ, মাংস ও সবজি বেশি খেতে পারেন।