প্রথমবার সন্তান নেওয়ার বয়স কোনটি?




মাইগ্রেন দূরে রাখার জাদুকরী টিপস




অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে যা করবেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  হার্টের প্রতি যত্নশীল হওয়ার সময় হয়েছে। কারণ বর্তমান বিশ্বে হার্টের অসুখ কেবল বয়স্কদের সমস্যা নয়, বরং অনেক অল্প বয়সীর ভেতরেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের কারণে অনেকে কম বয়সেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন। তাই মানসিক চাপ, পরিশ্রমহীনতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন থেকে দূরে থাকতে হবে। একটি কর্মঠ দিন ও সুস্থ জীবনযাপন আপনাকে শুধু হার্টের অসুখই নয়, আরও অনেক অসুখ থেকে দূরে রাখবে। কম বয়সীরা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কী করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-



কেনাকাটার সুবিধার্থে গুগল সার্চে আসছে প্রাইস ফিল্টার ফিচার




ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়




শরীর সুস্থ আছে কি না পরীক্ষা করুন হার্টবিট গুণে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  মানুষের স্বাভাবিক রেস্টিং হার্ট রেট হলো প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। শরীরের অন্যতম এক অঙ্গ হলো হার্ট বা হৃদযন্ত্র। অনিয়মিত জীবন যাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এ কারণে ভুগতে হয় হৃদরোগে।

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গ রক্তকে পাম্প করে। হৃৎপিণ্ড রক্তকে পাম্প করে বলেই শরীরের প্রতিটি অংশে পৌঁছে যায় রক্ত। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বিশ্রাম থাকলেও হার্টের কোনো অবসর নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ক্রমাগত এই অঙ্গ কাজ করে চলে।

তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি মানুষেরই উচিত হার্টের যত্ন নেওয়া। আমরা যখন বেশি পরিশ্রম করি তখন হার্ট দ্রুত পাম্প করে। কারণ এ সময় শরীরে বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়।

অন্যদিকে কম পরিশ্রম হলে বা বিশ্রামে থাকলে হার্ট কম অক্সিজেন পাম্প করে। কারণ শরীরে তখন অতিরিক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না।

তবে হার্টের এই পাম্প করার বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি কখনো টের পান বিশ্রামে থাকা স্বত্ত্বেও আপনার হার্ট দ্রুত পাম্প করছে বা হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে তাহলে সাবধান থাকুন। এ সমস্যা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের দিকে ইঙ্গিত করে।

এ কারণেই বিশেষজ্ঞরা প্রথমে রোগীর বুকে বা পিঠে যন্ত্র রেখে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করেন। কারণ হার্ট রেটের বিভিন্ন ধরন শরীর সম্পর্কে নানা বিষয় জানান দেয়। বিশ্রাম নেওয়ার সময় হৃদস্পন্দন কম হয়। এ কারণে একে রেস্টিং হার্ট রেট বা বিশ্রামকৃত হৃদস্পন্দন বলে।

চিকিৎসকদের মতে, এই রেস্টিং হার্ট রেট থেকেই শরীর ও হার্ট সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়। মানুষের স্বাভাবিক রেস্টিং হার্ট রেট হলো প্রতি মিনিটে ৬০-১০০।

রেস্টিং হার্ট রেট ৬০ এর নীচে থাকলে ওই ব্যক্তিকে সুস্থ বলে ধরা হয়। ৫০ এর দিকে হার্ট রেট হলেও আপনাকে সচেতন হতে হবে।

তবে ১০০ এর বেশি রেস্টিং হার্ট রেট হলে ধরে নিতে হবে ওই ব্য়ক্তি অসুস্থ। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তা থেকে শুরু করে অত্যধিক কফি খেলেও হতে পারে এই সমস্যা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ৫০ এর নীচে হার্ট রেট চলে যাওয়া ও মাথা ব্যথা থাকলে বুঝতে হবে হার্টের ইলেকট্রিক প্যাথওয়েতে সমস্য়া দেখা দিচ্ছে। এই অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, রেস্টিং হার্ট রেট ১০০ বা তার বেশি হলে শরীরে কোনো ইনফেকশন বা অ্যারিদমিয়ার মতো হার্টের রোগের ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। পুরুষের শরীরে এই রেস্টিং হার্ট রেট বেশি থাকলে মৃত্যুঝুঁকি থাকে বেশি। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

হার্ট যখন নিজের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় স্পন্দিত হয়, তখন তাকে অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি বলা হয়। সাধারণত যারা খেলাধুলা করেন বা ভারী কাজকর্ম ও শরীরচর্চা করেন তাদের এমন অ্যারোবিক ক্যাপাসিট থাকে।

হার্টের অ্যারোবিক ক্যাপাসিটি থাকা ভালো। এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক বা অন্য কোনো হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যান্যদের চেয়ে অনেক কম থাকে।

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে/ওয়াশিংটন পোস্ট/হেনরিফোর্ড




কলাপাড়ায় অগ্নিকান্ডে বসতবাড়ী পুড়ে ছাই

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী):

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি বসতঃবাড়ী সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ফুলতলী বাজার সংলগ্ন দাসের হাওলা গ্রামে লিটন গাজীর বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লক্ষ টাকা অন্যান্য মালামাল সহ অন্ততঃ ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

লিটন গাজীর স্ত্রী রহিমা বেগম জানান,দুপুর ২ টার দিকে তিনি ঘরের পিছনে বসে কাজ করছিলেন। এ অবস্থায় তার ছোট মেয়ে দৌঁড়ে এসে আগুন ঋগুন বলে চিতকার করে । তাৎক্ষনিক আগুনের লেলিহান শিখা পুরো বাড়িটিতে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন নেভাতে আসা কালাম বলেন,তারা চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দৌঁড়ে এসে দেখেন পুরো ঘরে আগুন জ্বলছে। আগুনের এতই তাপ ছিলো কাছে যাওয়ার কোন পরিস্থিতি ছিলোনা।

ক্ষতি গ্রস্থ লিটন গাজী বলেন,আমাদের পড়নের বস্ত্র ছাড়া আমি কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। তা ছাড়াও তার ঘরে আরও পাঁচজন ভাড়াটিয়া ছিলেন,তাদের মালামালও পুড়ে গেছে।




জেনে নিন শিশুর ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ

চন্দ্রদীপ নিউজ: প্রতিবছর বিশ্বে অন্তত চার লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার থেকে রোগীর সুস্থ হওয়ার হার প্রায় ৮০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে যথাসময়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী ভালো হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতার অভাব, মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাবসহ নানা কারণে বেশির ভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মারা যায়।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে আজ বৃহস্পতিবার পালন করা হচ্ছে ‘বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস’। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসায় শিশু ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শিশুদের ক্যান্সার বা চাইল্ডহুড ক্যান্সার বলতে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়াকে বোঝায়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ক্যান্সার কিছুটা ভিন্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শিশুদের মধ্যে সাধারণত লিউকেমিয়া বা রক্তের ক্যান্সার বেশি হয়। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত। বাংলাদেশের পরিস্থিতিও প্রায় একই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজির বহির্বিভাগে চার হাজার ৭৮০ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে এক হাজার শিশুকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিতে হয়। এসব রোগীর ৭৮ শতাংশের রক্তের ক্যান্সার, ৮.৬ শতাংশের বিভিন্ন ধরনের টিউমার, ১৩ শতাংশের রক্তের বিভিন্ন রোগ। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্য মতে, রক্তের ক্যান্সারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া।

শিশুদের ক্যান্সার কেন হয়

বিএসএমএমইউয়ের শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ক্যান্সারের মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রে অজানা। তবে জিনগত কারণে অনেক শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, শব্দদূষণ, খাদ্যে ভেজাল, অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার ও ক্ষতিকর রশ্মি বা বিকিরণের সংস্পর্শে আসাটা অন্যতম। এ ছাড়া অধিক মাত্রায় অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও উন্নয়ন শিশুদের শরীরে ক্যান্সারের জন্ম দিচ্ছে। তাই সুস্থ ও ক্যান্সারমুক্ত প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব নগরায়ণকে প্রাধান্য দিতে হবে।

শিশুর ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো

শিশুদের ক্যান্সার আক্রান্তের প্রাথমিক উপর্সগের মধ্যে রয়েছে ঘন ঘন জ্বর হওয়া, শরীরের কোনো অঙ্গ থেকে রক্তপাত হওয়া; যেমন—দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া, চামড়ার নিচে রক্তপাত, কান দিয়ে রক্ত আসা, চোখের নিচে রক্ত আসা, গায়ে কালো কালো দাগ। এগুলো হলো সাধারণ রক্তের ক্যান্সারের উপসর্গ। এ ছাড়া শিশুকে ফ্যাকাসে মনে হলে, যদি কোনো কারণ ছাড়াই বারবার সর্দি-কাশি-জ্বর হয়, শরীরে কোনো অঙ্গ হঠাৎ ফুলে যায়, পেটে চাকা হওয়া বা খিঁচুনি হওয়া বা হাঁটতে না পারা।

শিশুদের মধ্যে এসব উপসর্গ থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।




আদা বেশি খাওয়ার অপকারিতা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  আদার অনেক উপকারিতার কথা জেনেছেন নিশ্চয়ই। সর্দি-কাশি সারানো থেকে বমি বমিভাব দূর, নানা উপকারে লাগে এই ভেষজ। আবার আমাদের প্রতিদিনের রান্নায়ও ব্যবহার করা হয় আদা। সবার বাড়িতেই এটি পাওয়া যায়। এত উপকারিতার কথা জানার পরে আপনি কি বেশি বেশি আদা খেয়ে ফেলছেন? ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না। কারণ আদা বেশি খেলেই যে বেশি উপকার মিলবে এমন নয়। বরং বেশি খাওয়ার ফলে মিলতে পারে অপকারিতা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক আদা বেশি খেলে কী হয়?



আজ ১ লা ফাগুন

পঞ্জিকার হিসাবে শীতের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। অবশেষে শীতের রিক্ততাকে আনুষ্ঠানিক বিদায়। রাত পোহালেই পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।

যৌবনদীপ্ত বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানে নতুন প্রাণের কলরব। আনন্দের এ রঙে নাচে কোটি বাঙালির মন। কমলা, বাসন্তী, হলুদসহ বাহারি রঙের পোশাকের সাজে প্রকৃতির সঙ্গে সেজে ওঠে উৎসবপ্রেমীরাও। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে উৎসব।

এ তো গেলো বসন্ত বরণের কথা! রাত পোহালে তো ভালোবাসার দিনও। মন থেকে মনে ভালোবাসার রঙ ছড়িয়ে পড়ার দিন ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইন ডে।

যদিও ভালোবাসা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে আরও এক সপ্তাহ আগেই। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একে একে সাতটি দিবস পেরিয়ে আসে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দিনের উদযাপনেই যেন এক সপ্তাহের উতলা মন, হাহাকার, স্বপ্ন, প্রেম, উষ্ণতা পূর্ণতা পায় ভালোবাসা!

শুধু উচ্ছ্বল তরুণ-তরুণীই নয়, সব বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিনও আজ। এ ভালোবাসা যেমন মা-বাবার প্রতি সন্তানের, তেমনি মানুষে-মানুষে ভালোবাসাবাসির দিনও এটি।

বাঙালির চিরায়ত বসন্ত বরণ, সঙ্গে ভালোবাসার দিবস—জোড়া উৎসবে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলার বকুলতলা, রবীন্দ্র সরোবর, রমনা পার্ক, হাতিরঝিলে যতদূর চোখ যায় দেখা মেলে তরুণ-তরুণীদের।

শুধু রাজধানী নয়, দেশে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদনকেন্দ্র, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, শপিংমল, রেস্তোরাঁ ও পাঁচ তারকা হোটেলে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের আমেজ। ভালোবাসাময় বসন্তের রঙে বাঁধ ভাঙে সব বয়সী মানুষের উচ্ছ্বাস।

বইমেলায় বসন্ত-ভালোবাসার দোলা

ভাষার মাসের প্রথম দিনে শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবার শুরু থেকেই জমজমাট মেলা। তা আরও জমবে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে। টিএসসি, বাংলা একাডেমি চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হয়ে উঠতে পারে বাসন্তী রঙে সাজা তরুণ-তরুণীদের উৎসবের তীর্থস্থান।

বাসন্তী রঙের শাড়ি আর খোঁপায় গাঁদা ফুল গুজে মেলায় আসবেন তরুণীরা। তরুণরা পরবেন বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি-ফতুয়া। আঙুলে আঙুল রেখে ঘুরবেন শহরে নানা জায়গায়। সবশেষে হয়তো আসবেন বইমেলায়। মনের মানুষকে লাল গোলাপের সঙ্গে উপহার দেবেন প্রিয় লেখকের বই। ফলে বসন্ত-ভালোবাসার দিনে বইমেলায় থাকবে ভিন্ন আমেজ।

বসন্ত ও অধিকার আদায়ে আন্দোলন

বাঙালি জীবনে বসন্ত যেন হাজির হয় অধিকার আদায়ের আওয়াজ নিয়েও। বসন্ত আর অধিকারের আন্দোলনও মিলেমিশে একাকার। বসন্তের আগমন বায়ান্নের সেই ফাল্গুন মনে করিয়ে দেয়। যেদিন পিচঢালা রাজপথে শাসকের গুলিতে ভাষা শহীদরা করেছিলেন প্রাণোৎসর্গ। বসন্তেই বাঙালি নেমেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে।

আবার বসন্ত মনে করিয়ে আশির দশকের স্বৈরাচার হটাও আন্দোলনে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের রক্তের কথা। বসন্তেই ২০১৩ সালে নতুন প্রজন্ম জেগে উঠেছিল গণজাগরণে। একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার এ বাংলায় হতেই হবে দাবি নিয়ে আবারও এক হয়েছিল ওরা। তাই কেবল প্রকৃতি আর মনে নয়, বাঙালির জাতীয় ইতিহাসেও বসন্ত আসে বারবার।

এদিকে, বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবস উদযাপনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠন নানা আয়োজন করে থাকে। এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে নানা আয়োজন। অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে প্রিয়জনকে বিভিন্ন ধরনের উপহার দেন অনেকেই। এখন অনলাইনের সুবিধা থাকায় অনেকেই অনলাইন উপহার পাঠান প্রিয়জনকে।