ভালোবাসা দিবসের মেসেজ, পাঠাতে পারেন আপনার প্রিয়জনকে




দুমকিতে দুই প্রতিবন্ধী পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): জেলার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত হেমন্ত বিশ্বাসের প্রতিবন্ধী মেয়ে হরিবালা বিশ্বাস (৫০) ও তার একমাত্র বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী সহদর হেমলাল বিশ্বাসের (৪৮) পাশে নেই কেউ।

সহায় সম্বলহীন সংখ্যালঘু ভাইবোন পৈতৃক সূত্রে মাত্র দেড় শতাংশের ভিটিতে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে হেলে পড়া জরাজীর্ণ ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়া কর্মক্ষমহীন ভাইবোন এলাকাবাসীর কাছে চেয়েচিন্তে খেয়ে না খেয়ে শীত, বর্ষায় কষ্ট করে চরম দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।

একসময় পরিবারটির জমিজমা অর্থবিত্তে ভরপুর থাকলেও আজ তারা চরম অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আসলেই পরিবারটি খুবই অসহায়। বসবাসের জন্য একটা ঘর প্রয়োজন। আমি পরিষদের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে কিছু খাদ্য সহায়তা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। পরিবারটিকে স্থায়ী পুনর্বাসন করা প্রয়োজন। সহায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী পরিবারটির সহায়তায় দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।




রোজা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: গবেষণা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  দীর্ঘক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকার অনেক সুফল আছে। তা কমবেশি অনেকেরই জানা। বিশেষ করে ওজন কমানোর রেসে যারা এখন দৌড়াচ্ছেন, তাদের নিশ্চয়ই ধারণা আছে ইন্টারমিটিং ফাস্টিংয়ের বিষয়ে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, একটানা ২৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলেই নাকি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ যৌথভাবে একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, ফাস্টিং করলে শরীরের অনেক উপকার হয়।

প্রদাহ নিয়ে গবেষণা

এই গবেষণায় শরীরের একটি বিশেষ সমস্যা নিয়ে গবেষণা করা হয়। সমস্যাটির নাম প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন। সাধারণত মেটাবলিজম থেকে ইনফ্লেমেশন তৈরি হয়। এর ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো নানা রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে।

এই প্রদাহ কমানোর জন্য চিকিৎসকরা জীবনযাপনে বদল আনার পরামর্শ দেন। এই ইনফ্লেমেশনের অন্যতম কারণ হলো এনএলআরপি৩ ইনফ্লেমেসাম।

আর্থ্রাইটিস ছাড়াও ইনফ্লেমেশন থেকে একদিকে যেমন ওবেসিটি হতে পারে, অন্যদিকে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের মতো কঠিন রোগও হতে পারে। তার পিছনে দায়ী স্নায়ুর ইনফ্লেমেশন।

২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং

২১ জন ব্যক্তিকে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। গবেষকদের মতে, ২৪ ঘণ্টা ফাস্টিংয়ের আগে যারা ৫০০ ক্যালোরির খাবার খান, ২৪ ঘণ্টা পর আবার তাদের খাবার দেওয়া হয়।

এর মধ্যেই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন দেখা যায়। দেখা যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে ওই ব্যক্তিদের। ৫০০ ক্যালোরি খাবার খাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয় ওই ব্যক্তিদের।

সেই সময় দেখা যায়, রক্তে আরাকিডোনিক অ্যাসিড নামের একটি বিশেষ উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এটিই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম উপাদান। এটি আদতে এক ধরনের লিপিড। এ

ই লিপিডের পরিমাণ আবার খাবার খেলেই কমে যায়। ২৪ ঘণ্টা পর ৫০০ ক্যালোরির খাবার খাওয়ানো হয় ওই ব্যক্তিদের। তখনই আরাকিডোনিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায়।

এই পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের মতামত, উপোস থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যা প্রদাহ কমায়। তবে কেন এটা হয়, তার কারণ জানা যায়নি এখনও।




৫ লক্ষণে আপনার শিশু টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত কি না?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  কারও ডায়াবিটিস থাকলে পরিবারের ছোট সদস্যদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের মতে, শহুরে খাদ্যাভাসের জেরেই শিশুদের মধ্যে এই সঙ্কট বাড়ছে। কারণ, বাড়িতে রান্না করা খাবারের বদলে প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত খাবারের উপরেই বেশি নির্ভর করেন অভিভাবকেরা। তাই শিশুদের মধ্যে চকোলেট, স্যান্ডউইচ, পাস্তা কিংবা ইনস্ট্যান্ট নুডল্‌সের পাশাপাশি মোমো, চিপ্‌স, বার্গার খাওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে। আর এই অভ্যাসের ফলেই রক্তে শর্করা বেড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া, অধিকাংশ শিশুই এখন খেলাধুলোয় অভ্যস্ত নয়। অবসর সময়ে তারা ঘরে বসে ভিডিয়ো গেম খেলে কিংবা ইন্টারনেটেই সময় কাটায়। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জেরেও কিন্তু টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

শিশুদের মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখলে ডায়াবিটিস বিষয়ে সতর্ক হবেন?

১) খুদের কি বার বার জল তেষ্টা পাচ্ছে? এটি কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ডায়াবিটিসের কারণে জিভে লালার পরিমাণ কমে যায়। সে কারণে গলা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যাও হয়। ডায়াবিটিসের মাত্রা অনেক বেড়ে গেলে থাকলে তা থেকে গলায় জ্বালা, আলসার, সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।

২) শিশুর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে? এর কারণ কিন্তু কেবল টিভি দেখার বা মোবাইল ঘাঁটা না-ও হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদেরও চোখের সমস্যা হতে পারে।

৩) খুদের দাঁত মাজতে গিয়ে দেখছেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? আপনি হয়তো ভাবছেন ব্রাশ বদলাতে হবে। ডায়াবিটিস থাকলেও কিন্তু মাড়িতে প্রদাহ হয় এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হয়। শিশুর মুখের ভিতরের অংশ, জিভে মাঝেমাঝেই ঘা হলে বা জ্বালা করলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না। ডায়াবিটিসের কারণে এমন হতেই পারে।

৪) বার বার প্রস্রাব করাও কিন্তু ডায়াবিটিসের লক্ষণ। সন্তান যদি বার বার বাথরুমে যায়, তা হলে বুঝতে হবে তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে।

৫) শিশুর শরীরে মাঝেমধ্যেই র‌্যাশ বেরোচ্ছে? গা-হাত-পায়ে কালো ছোপ পড়ছে? তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে।




ইয়ারবাডস কেনার সময় খেয়াল রাখবেন?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  স্মার্টফোনের সাথে বহুল ব্যবহৃত ডিভাইস ইয়ারবাডস। বর্তমান বিশ্বে ব্লুটুথ ওয়ারলেস ইয়ারবাডসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দাম এবং ফিচারের উপর নির্ভর করে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বিভিন্ন কোম্পানির ইয়ারবাডসের। তবে আপনার বাজেটের উপর ইয়ারবাডস কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা খুব জরুরি।



ফার্টিলিটি বাড়াতে যা খাবেন




কীভাবে জানাবেন ভালোবাসার কথা?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  ভালোবাসার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ  গত ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ পালন করা হয় প্রোপজ ডে। এই প্রোপজ মানে হলো আপনি যে তাকে ভালোবাসেন, সেকথা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে জানানো। এতদিন হয়তো আকারে-ইঙ্গিতে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, সে বুঝেছে কি না তাও আপনি জানেন না। এবার সরাসরি বলেই দেবেন। সে হ্যাঁ বলতে পারে আবার না-ও বলতে পারে।



দুশ্চিন্তা দূর করার জাদুকরী উপায় জেনে নিন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দুশ্চিন্তা এসে ভর করতে সময় লাগে না। এমনকী আলাদা কোনো সময়েরও প্রয়োজন হয় না। নানা কাজের মাঝেও সে এসে উপস্থিত হতে পারে। যেকোনো বিষয় নিয়ে একবার দুশ্চিন্তা ভর করলে তা দূর করা কঠিন হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে পুরো জীবনযাপনেও। তখন আর কোনোকিছু ভালোলাগে না, কাজে অলসতা লাগে, কারও সঙ্গে কথা বলতেও ইচ্ছা করে না। কিন্তু দুশ্চিন্তাও কখনো কোনো সুফল বয়ে আনে না। তাই এ থেকে মুক্তি পেতে চেষ্টা করতে হবে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক দুশ্চিন্তা দূর করার কিছু জাদুকরী উপায়-



প্রিয়জনের মন ভালো হবে কী করলে?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  ব্যক্তিগত জীবনে দৈনন্দিন নানা ঘটনার প্রভাব পড়ে। ফলে কখনো কখনো মন খারাপ কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। আর এসব কারণে আপনার প্রিয়জনও হয়তো আপনার সঙ্গে অভিমান করে বসেন।

আপনার কোনো ব্যবহার কিংবা কথাবার্তার কারণেও মন খারাপ হতে পারে প্রিয়জনের। তখন আপনার উচিত প্রিয়জনের মন ভালো করা। তবে কীভাবে প্রিয়জনের মন ভালো করবেন? জেনে নিন ৭ উপায়-

১. সঙ্গীর মন ভালো করতে তাকে নিতে পারেন প্রিয় কোনো রেস্টুরেন্টে। প্রিয় খাবার খেলে কার না মন ভালো হয়ে যায়? খাওয়ার পাশাপাশি প্রিয়জনের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠুন। দেখবেন তার মন ভালো হয়ে যাবে মুহূর্তেই।

পারলে নিজেও রান্না করে খাওয়াতে প্রিয়জনকে। তার পছন্দের খাবার যখন আপনি নিজ হাতে রান্না করবেন, তা দেখে সঙ্গীর মন অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে।

২. একটি ছোট্ট উপহারও মন খারাপ ভালো করে দিতে পারে। উপহার পেলে কার না মন ভালো হয়? প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তাকে খুশি করতে ছোট্ট কোনো উপহার দিন। দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে তার।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়জনকে নিয়ে ভালো কিছু লিখুন। এটি হতে পারে নিজেদের মজার কোনো ঘটনা, রোমান্টিক কিংবা মধুর স্মৃতি। এর মাধ্যমে তার প্রতি আপনার ভালোবাসা জানান। দেখবেন আপনার প্রিয় মানুষটি মনে মনে খুব খুশি হবেন।

৪. প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে? প্রশংসার মাধ্যমে কঠিন মনকেও নরম করে তোলা যায়। তাই প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তার প্রশংসা করুন। দেখবেন এক সময় ঠিকই তার মন খারাপ দূর হয়ে যাবে।

৫. প্রিয়জনের মন কেন খারাপ সে বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। কারণ মনে পুষে রাখতে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে সমস্যা বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।

দু’জন মিলে আলোচনা করুন সমস্যা কীভাবে সমাধান করা সম্ভব। সমস্যার কথা শেয়ার করলে তার মন আপনাআপনিই ভালো হয়ে যাবে।




বরগুনা রঙিন স্বপ্নে আগাম তরমুজের চাষ

বরিশাল অফিস:: উপকূলীয় জেলা বরগুনা। এই জেলার চারদিকে নদী থাকায় কৃষিকাজে রয়েছে বাড়তি সুবিধা। জেলার আমতলী উপজেলা উৎপাদন হয় প্রচুর রসালো তরমুজ। আর সুস্বাদু তরমুজের জন্য বিখ্যাত উপজেলাটি। অল্প সময়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে দিন দিন তরমুজ চাষে ঝুঁকছে এখানকার বেশিরভাগ কৃষক। তরমুজ চাষের জন্য উপজেলার কৃষক পরিবারের সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আমতলী সদর, আঠারোগাছিয়া, গুলিশাখালী, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া ইউনিয়নে এ বছর ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের পর মাঠ তরমুজের চারা রোপণের জন্য গর্ত তৈরি করছে। কেউ কেউ চারা রোপণ করছে।

সাহেববাড়ি এলাকার কৃষক মো. বাহাদুর বলেন, ‘গত বছর ভালো ফলন পাওয়ায় এবারও তরমুজ চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। কারও দম ফেলার অবস্থাও নেই। এ বছর ৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি।’ কুকুয়া এলাকার কৃষক মো. ইউসুফ বলেন, ‘এ বছর ১৬ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। ঘরের নারীরাও সাহায্য করছে। সবাই এখন ব্যস্ত।’

পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী সদস্যরাও কাজ করছে মাঠে। বেতমোড় গ্রামের রিজিয়া বেগম বলেন, ‘গত বছর বৃষ্টিতে তরমুজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এ বছর আগাম চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। আমরাও কাজে সহযোগিতা করছি। আশা করি এবার লাভবান হব সবাই।’

হলদিয়া এলাকার রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর দুই বিঘা বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান হব। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। নারী-পুরুষ সবাই মিলে মাঠে কাজ করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ঈসা বলেন, ‘এ বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় কৃষি অফিস কৃষকদের পাশে রয়েছে। সুপারভাইজাররা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে আমতলীসহ বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি মৌসুমে তরমুজের বীজ রোপণ শুরু করেছে কৃষকরা। জমি তৈরি থেকে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাসের মতো সময় লাগে তরমুজ বিক্রি করতে। এ ছাড়া তরমুজ উচ্চফলনশীল হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ শুরু করেছে। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তরমুজ চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশে সব সময় আছি।’