প্রিয়জনের মন ভালো হবে কী করলে?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  ব্যক্তিগত জীবনে দৈনন্দিন নানা ঘটনার প্রভাব পড়ে। ফলে কখনো কখনো মন খারাপ কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। আর এসব কারণে আপনার প্রিয়জনও হয়তো আপনার সঙ্গে অভিমান করে বসেন।

আপনার কোনো ব্যবহার কিংবা কথাবার্তার কারণেও মন খারাপ হতে পারে প্রিয়জনের। তখন আপনার উচিত প্রিয়জনের মন ভালো করা। তবে কীভাবে প্রিয়জনের মন ভালো করবেন? জেনে নিন ৭ উপায়-

১. সঙ্গীর মন ভালো করতে তাকে নিতে পারেন প্রিয় কোনো রেস্টুরেন্টে। প্রিয় খাবার খেলে কার না মন ভালো হয়ে যায়? খাওয়ার পাশাপাশি প্রিয়জনের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠুন। দেখবেন তার মন ভালো হয়ে যাবে মুহূর্তেই।

পারলে নিজেও রান্না করে খাওয়াতে প্রিয়জনকে। তার পছন্দের খাবার যখন আপনি নিজ হাতে রান্না করবেন, তা দেখে সঙ্গীর মন অবশ্যই ভালো হয়ে যাবে।

২. একটি ছোট্ট উপহারও মন খারাপ ভালো করে দিতে পারে। উপহার পেলে কার না মন ভালো হয়? প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তাকে খুশি করতে ছোট্ট কোনো উপহার দিন। দেখবেন মন ভালো হয়ে যাবে তার।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রিয়জনকে নিয়ে ভালো কিছু লিখুন। এটি হতে পারে নিজেদের মজার কোনো ঘটনা, রোমান্টিক কিংবা মধুর স্মৃতি। এর মাধ্যমে তার প্রতি আপনার ভালোবাসা জানান। দেখবেন আপনার প্রিয় মানুষটি মনে মনে খুব খুশি হবেন।

৪. প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে? প্রশংসার মাধ্যমে কঠিন মনকেও নরম করে তোলা যায়। তাই প্রিয়জনের মন খারাপ থাকলে তার প্রশংসা করুন। দেখবেন এক সময় ঠিকই তার মন খারাপ দূর হয়ে যাবে।

৫. প্রিয়জনের মন কেন খারাপ সে বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। কারণ মনে পুষে রাখতে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই প্রিয়জনের সঙ্গে সমস্যা বিষয় নিয়ে আলোচনা করুন।

দু’জন মিলে আলোচনা করুন সমস্যা কীভাবে সমাধান করা সম্ভব। সমস্যার কথা শেয়ার করলে তার মন আপনাআপনিই ভালো হয়ে যাবে।




বরগুনা রঙিন স্বপ্নে আগাম তরমুজের চাষ

বরিশাল অফিস:: উপকূলীয় জেলা বরগুনা। এই জেলার চারদিকে নদী থাকায় কৃষিকাজে রয়েছে বাড়তি সুবিধা। জেলার আমতলী উপজেলা উৎপাদন হয় প্রচুর রসালো তরমুজ। আর সুস্বাদু তরমুজের জন্য বিখ্যাত উপজেলাটি। অল্প সময়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে দিন দিন তরমুজ চাষে ঝুঁকছে এখানকার বেশিরভাগ কৃষক। তরমুজ চাষের জন্য উপজেলার কৃষক পরিবারের সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আমতলী সদর, আঠারোগাছিয়া, গুলিশাখালী, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া ইউনিয়নে এ বছর ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের পর মাঠ তরমুজের চারা রোপণের জন্য গর্ত তৈরি করছে। কেউ কেউ চারা রোপণ করছে।

সাহেববাড়ি এলাকার কৃষক মো. বাহাদুর বলেন, ‘গত বছর ভালো ফলন পাওয়ায় এবারও তরমুজ চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। কারও দম ফেলার অবস্থাও নেই। এ বছর ৯ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি।’ কুকুয়া এলাকার কৃষক মো. ইউসুফ বলেন, ‘এ বছর ১৬ একর জমিতে তরমুজ চাষ করছি। ঘরের নারীরাও সাহায্য করছে। সবাই এখন ব্যস্ত।’

পুরুষের পাশাপাশি পরিবারের নারী সদস্যরাও কাজ করছে মাঠে। বেতমোড় গ্রামের রিজিয়া বেগম বলেন, ‘গত বছর বৃষ্টিতে তরমুজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এ বছর আগাম চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। আমরাও কাজে সহযোগিতা করছি। আশা করি এবার লাভবান হব সবাই।’

হলদিয়া এলাকার রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর দুই বিঘা বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে লাভবান হব। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। নারী-পুরুষ সবাই মিলে মাঠে কাজ করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ঈসা বলেন, ‘এ বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যেকোনো সমস্যায় কৃষি অফিস কৃষকদের পাশে রয়েছে। সুপারভাইজাররা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের সহায়তা ও পরামর্শে আমতলীসহ বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় কম খরচে ভালো ফলনের মাধ্যমে লাভবান হওয়ায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। চলতি মৌসুমে তরমুজের বীজ রোপণ শুরু করেছে কৃষকরা। জমি তৈরি থেকে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় চার মাসের মতো সময় লাগে তরমুজ বিক্রি করতে। এ ছাড়া তরমুজ উচ্চফলনশীল হওয়ায় অনেকেই পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষ শুরু করেছে। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে তরমুজ চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশে সব সময় আছি।’




দ্রুত বয়স বাড়াতে না চাইলে ৫ খাবার বাদ দেবেন




দাম্পত্যে যে সমস্যার কারণে পরকীয়া করেন সঙ্গী

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  পরকীয়ার সমস্যা বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। পরকীয়ার সম্পর্ক কেউই ভালোভাবে দেখে না। অথচ পরকীয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে ব্যক্তিগত নানা কারণ। সে খবর হয়তো অনেকেই রাখেন না। জেনে নিন কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মানুষ জড়িয়ে পড়তে পারেন পরকীয়া সম্পর্কে-

>> অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় অভিভাবকের চাপে পড়ে বিয়ে করেন। অথচ ওই পাত্র বা পাত্রী তার পছন্দ নয়। বিয়ের পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন তারা। তখন কারও সঙ্গে হঠাৎ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

>> অনেকেরই অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। ফলে ওই বয়সেই সামলাতে হয় সংসারের দায়িত্ব। ফলে জীবনকে সেভাবে তারা উপভোগ করতে পরেন না। ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত জীবনে স্থায়িত্ব আসার পর তাই অনেকেই পরকীয়া প্রেমের স্বাদ নিতে চান।

>> জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরেও অনেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যের অসুস্থতা, কারও মৃত্যু, চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক অনটনে অনেকে পরিবারের বাইরে মুক্তির পথ খোঁজেন। এ সময় পরিচিত কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা একেবারেই বিরল নয়

>> বিয়ের আগে বা বিয়ের সময় অনেকেই নিজেদের জীবনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন না। একসঙ্গে পুরো জীবন কাটাতে হলে একে অপরের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা ও বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দু’জনের জীবনের গুরুত্বের জায়গাগুলো আলাদা। সেখান থেকে শুরু হয় দাম্পত্যে কলহ। আর এ কারণে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়তে পারে যে কেউই।

>> স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ১০০ ভাগ মিল কখনো থাকবে না। সংসারে দুজনকে মানিয়ে নিতে হয়, এতে সম্পর্ক ভালো থাকে। তবে দুজন দুই মেরুর মানুষ হলে ওই সংসারে অশান্তি লেগে থাকাটাই স্বাভাবিক। আর এভাবে চলতে থাকলে দাম্পত্যে দুরত্ব বাড়ে ও সঙ্গী পরকীয়ায় ঝুঁকতে পারেন।

>> পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম বড় কারণ বৈবাহিক জীবনে যৌন অতৃপ্তি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরকীয়ার পেছনে লুকিয়ে থাকে এই কারণ।




যে গ্রামে শুধু পুরুষদের বসবাস

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  এটি কোনো সিনেমার গল্প নয়, সত্যিই এমন গ্রাম আছে প্রতিবেশী দেশ ভারতেই। যে গ্রামে কোনো নারী নেই, যারা বসবাস করেন সবাই পুরুষ। মিশরে আল-সামাহা নামক গ্রামে কোনো পুরুষ নেই। সেখানে এখন ৩০৩ জন নারী বাস করছেন। ওই গ্রামে পুরুষ প্রবেশ নিষেধ।

অন্যদিকে বিহারের কাইমুর পাহাড়ের অনেকটা উপরের দিকে বারওয়ান কালা নামে একটি গ্রাম রয়েছে। এ গ্রামে শুধু পুরুষদেরই বাস। পুরো গ্রামে শুধু পুরুষররাই থাকেন। এই গ্রামে নেই কোনো নারী। এই গ্রামের পুরুষেরা কখনো বিয়েও করেন না। চিরকুমার থাকেন।

তবে বারওয়ান কালা গ্রামের পুরুষেরা যে বিয়ে করতে চান না, তা নয়। আসলে কোনো নারী এই গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করতে চান না। গত ৫০ বছরে কোনো নারী এই গ্রামের কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে রাজি হননি। ফলে এ গ্রামের পুরুষরা অবিবাহিতই থেকে যান।

কিন্তু কেন কোনো নারী এ গ্রামের পুরুষদের বিয়ে করতে চান না? আসলে, বিহারের কাইমুর পাহাড়ের অনেকটা উপরের দিকে বারওয়ান কালা গ্রাম। পাহাড়ে চড়াই পথে পাথর কেটে, জঙ্গল কেটে কোনোক্রমে যাতায়াতের একটি পথ বানিয়ে নিয়েছেন গ্রামবাসীরাই।

সেই পথ ধরেই যাতায়াত করতে হয় এই প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে বসবাসের ন্যূনতম পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে। পুরুষেরা কোনোক্রমে যদি বা থেকে যান, নারীদের পক্ষে এই গ্রামে থাকা এককথায় অসম্বব।

তাই কোনো নারী বা তার পরিবার এই গ্রামের কোনো পুরুষের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান না। তাই এ গ্রাম বিয়ে হয় না। এর মধ্যে একটি ব্যতিক্রম আছে। ২০১৭ সালে এ গ্রামের এক যুবক বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে এসেছিলেন। এ গ্রামের গল্পটা বলিউডের সেই সিনেমার মতোই। যেখানে মেয়ে সন্তান হলেই মেরে ফেলা হতো। এক সময় দেখা যায় গ্রামে কোনো মেয়েই নেই। এরপর লুকিয়ে বড় হওয়া এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় পাঁচ ভাইয়ের। তারপর নানান ঘটনায় মোড় নেয় ছবি কাহিনি।

সূত্র: নিউজ ১৮




ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন ‘এডাল্ট স্টার’ পুনম পান্ডে

চন্দ্রদীপ নিউজ: মুম্বাইয়ের আলোচিত ও বিতর্কিত অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে আর নেই! ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন এই অভিনেত্রী। তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের এক পোস্টের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবরটি প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

ওই খবরে বলা হয়, সার্ভিকাল ক্যান্সারের কারণে পুনম আর নেই। ইনস্টাগ্রাম পোস্টটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা হতবাক করে ভক্ত অনুরাগীদের।

পুনম পান্ডের ম্যানেজার পারুল চাওলা ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, ‘‘কিছুদিন আগে পুনমের ক্যান্সারে ধরা পড়েছিল এবং এটি শেষ পর্যায়ে ছিল। তিনি উত্তর প্রদেশে তার নিজ শহরে ছিলেন এবং শেষকৃত্য সেখানেই হবে।’’

এদিকে পুনমের মৃত্যুর খবরে দুঃখ প্রকাশ করছেন অসংখ্য অনুরাগী।

মাত্র ৩২ বছর বয়সে এভাবে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তার ভক্তরা। সামাজিক মাধ্যমে এখন শুধুই পুনমের বিষয়ে আলোচনা চলছে। শোক প্রকাশ করছেন বলিউড তারকারাও।

২০১৩ সালে নাশা দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন পুনম পাণ্ডে। সাহসী, খোলামেলা অভিনয়ের কারণে সবসময়ই আলোচিত ছিলেন তিনি।




সড়কে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে আবারও লঞ্চমুখী বরিশালের যাত্রীরা

বরিশাল অফিস:: পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনিভাবে কমেছে ঢাকা বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রী। ফলে লঞ্চগুলো প্রায় বন্ধের উপক্রম। রোটেশন করে কোনোভাবে টিকে আছে লঞ্চ মালিকরা। তারপরও বন্ধ হয়ে গেছে অনেক বিলাসবহুল লঞ্চ।

এদিকে মহাসড়কে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হওয়া ঢাকামুখী মানুষের স্রোত। আর এই সুযোগে ঢাকা-বরিশাল ও কুয়াকাটা মহাসড়ক পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরছে প্রাণ। মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে তাই আবারও লঞ্চ নির্ভর হতে চায় সাধারণ মানুষ। তবে এবার তাদের বেশিরভাগই চাচ্ছেন দিনে যেয়ে আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসতে। এজন্য ভোর ৫-৬টার মধ্যে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরুর দাবী জানিয়েছেন যাত্রীদের বড় একটি অংশ।

এদের মধ্যে রয়েছেন বাইক রাইডাররাও। বেশিরভাগ যাত্রীরা চান সকাল দশটার মধ্যে ঢাকা পৌঁছাতে এবং রাত দশটায় বরিশালে ফিরতে। আর এজন্য তিন থেকে চারঘন্টায় বরিশাল- ঢাকা থেকে পুনরায় বরিশাল হতে হবে লঞ্চ সার্ভিস। লঞ্চ চালকদের দাবী, এটা সম্ভব। কেননা, রাতে চলাচলকারী বেশিরভাগ লঞ্চ রাত ৯টায় ঢাকা ত্যাগ করে ভোর ৪টার মধ্যেই বরিশালে পৌঁছে যায়। তাই দিনের বেলা গতি কোনো সমস্যা নয়, নদীতে নিয়মিত ড্রেজিং হলে এটা অবশ্যই সম্ভব বলে জানান এমভি আওলাদ ও শুভরাজ লঞ্চের মালিক যুবরাজ।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ার পর প্রথমদিকে এই সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ছিলো। এরপর তা সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এতে সকালে ঢাকায় পৌঁছে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে সন্ধ্যায় ফিরে আসার প্রবণতা বেড়েছে। এসময়ে যাত্রী চাপ বেশি বলে জানান অনেক বাসচালক। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের কয়েকটি কাউন্টারে দেখা গেছে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। তাদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী এবং ইসলামপুরে ও চকবাজার যাচ্ছেন পণ্য কিনতে। কেউ কেউ যাচ্ছেন অফিসিয়াল কাজে।

কাউন্টার ম্যানেজাররা জানান, বেশিরভাগ যাত্রী এখন সকালে যেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসার চেষ্টা করেন, তাই সকাল সন্ধ্যা যাত্রী চাপ বেশী। বরিশাল বিআরটিসির ব্যবস্থাপক জমশেদ আলী জানান, সকালে ঢাকামুখী যাত্রীদের প্রচ- চাপ থাকে বরিশাল কাউন্টারে। এদের বেশিরভাগই সন্ধ্যার ফিরতি টিকিট কেটে রাখেন।

এসময় ঢাকামুখী কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, জরুরী প্রয়োজনে ঢাকা যাচ্ছি। বিকেলের মধ্যে ফিরে আসতে চাই। তবে ঢাকার পোস্তগোলা থেকে যানজটে আটকে যেতে হয়। শহরে ঢুকতে প্রায় ঘন্টা দুই পাড় হয়ে যায়। হানিফ ফ্লাইওভারেই কেটে যায় কয়েকঘন্টা।এসময় বেশ কয়েকজন চালক সকাল ছয়টা থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে লঞ্চ চলাচলের দাবী জানান। তারা বলেন, মোটরসাইকেল বহনের পৃথক সুবিধা দিয়ে ও ভাড়া সহনীয় করে দিনে লঞ্চ চলাচল হলে যাত্রীদের ভিড় হবে লঞ্চে।

এদিকে পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে সড়কে দূর্ঘটনার হারও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে পদ্মা সেতু চালুর পর এক বছরে ৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৯৭ জন। সর্বশেষ গত ৫ জানুয়ারী ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মোটরসাইকেল চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

সড়কের এই দুর্ঘটনা আরো বাড়ার আতঙ্কে ভাঙা থেকে ফরিদপুর ও বরিশাল – কুয়াকাটা মহাসড়কে দ্রুত ফোরলেন তৈরির কাজ সম্পন্নের দাবীতে আন্দোলন করছে স্থানীয় বাস মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীরা। ভাঙা থেকে গৌরনদী পর্যন্ত সড়কের দুপাশের বড় বড় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে সড়ক বর্ধিত করার নামে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এদিকে বরিশাল অংশে সড়ক বর্ধিত হলেও তা ফোরলেন হয়নি তাই পাশাপাশি দিনের বেলা লঞ্চ চলাচলের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সুশীল সমাজ ও সাধারণ যাত্রীদের অনেকে। এখানের নৌ-রুটে আগে যে গ্রীনলাইন ওয়াটার বাস চলতো তা যাত্রী সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে দিনের আলোতে লঞ্চ চলাচলে আগ্রহ পাচ্ছে না বেশিরভাগ লঞ্চ মালিক।

নগর চিন্তাবিদ কাজী মিজানুর রহমান বলছেন, গ্রীনলাইন ওয়াটার বাস বেলা দুটো ও তিনটায় চলাচল করতো। ঢাকা পৌঁছাতে রাত দশটা বেজে যেত। ঐ সময় ইসলামপুর, চকবাজার ও মিটফোর্ড বাজারসহ সব বাজার বা অফিস আদালত বন্ধ। রাতে থেকে পরদিন রাতে লঞ্চে ফিরতে হয়। তাছাড়া এতে মোটরসাইকেল সুবিধা ছিলনা।

লঞ্চ মালিকরা পরীক্ষামূলক একসপ্তাহ ভোর ৫ বা ৬ টা থেকে যাত্রী ও মোটরসাইকেল পরিবহন করে দেখলে ক্ষতি কি? এতে তাদেরই লাভ। তবে ভাড়াটা মোটরসাইকেলসহ পাঁচশ টাকার মধ্যে হলেই ভালো বলে জানান তিনি। তার বক্তব্যে সহমত যাত্রীদের অনেকে। একাধিক যাত্রী বলেন, এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকরা সাধারণ যাত্রীদের জন্য নরমাল চেয়ার সিস্টেম করতে পারেন। ভিআইপি বা ভিভিআইপি পৃথক হতে পারে। তবে অবশ্যই মোটরসাইকেল ওঠানামার জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং ঘাট ইজারাদার ঝামেলা থাকতে পারবে না।

লঞ্চ মালিক সমিতির সহ সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী কমবে এটি আমরা ধরে নিয়েছিলাম। তবে লোকসানে পড়তে হয়নি। কিন্তু দুই দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমরা দিশেহারা। একদিকে যাত্রী সংকট অন্যদিকে তেলের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ঝালকাঠি রুটে সুন্দরবন-১২ লঞ্চটি বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই রুটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু ঝালকাঠি রুট না এমন বেকায়দা দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে। লঞ্চ মালিকরা অনেকেই লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমতাবস্থায় দিনের আলোতে লঞ্চ চলাচলের ঝুঁকি কেউ নিতে চায় না। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে সমিতির বৈঠকে আলোচনা করবো। পরীক্ষামূলক সকাল ছয়টা থেকে চালানো যায় কিনা দেখবো বলে আশ্বাস দেন তিনি।

একই কথা বলেন বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা যে হারে বাড়ছে তাতে যাত্রীরা পুনরায় লঞ্চ নির্ভর হবে বলে আমি আশাবাদী। তবে এজন্য হয়তো আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। মাহবুব উদ্দিন বলেন, দিনের বেলা লঞ্চ চলাচলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই, প্রচারণা চাই। বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদনও প্রয়োজন হবে।

বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, সকাল ছয়টা বা সাতটা থেকে লঞ্চ চলাচল ও মোটরসাইকেল বহন করায় বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ নেই। লঞ্চ মালিকরা যদি মনে করেন তারা দিনে চালাবেন তাহলে শুধু আমাদের কাছে আবেদন করলেই হবে। তবে মোটরসাইকেল বহন ভাড়াটা সহনীয় হওয়াই উত্তম বলে মনে করেন কমোডর আরিফ।




শীতেও জুমার দিনে গোসল করতেই হবে?

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : জুমার নামাজের জন্য অজু করা যথেষ্ট। আর গোসল করা উত্তম। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে বিষয়গুলো সুষ্পষ্ট করেছেন। হাদিসের আলোকে উভয়টিই ভালো ও উত্তম সুন্নাতি আমল।

তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন গোসলের ব্যাপারে খুব বেশি তাগিদ দিয়েছেন। জুমার দিন গোসল করা অতি উত্তম কাজ। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত-

হজরত সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন অজু করল; সে যথেষ্ট করলো ও ভালো করলো। আর যে গোসর করলো সে অধিক উত্তম।

জুমার দিনের গোসল
যে ব্যক্তি জুমার নামাজের জন্য গোসল করলো; সে অধিক উত্তম কাজ করলো। সুন্নাত আমল পূর্ণ করলো। কারণ যে ব্যক্তি জুমার দিন অজুর সঙ্গে সঙ্গে গোসল করলো, তা শুধু অজু অপেক্ষা গোসলের মতো অধিক উত্তম সুন্নাত আমল করলো। প্রসিদ্ধ চার ইমামসহ অধিকাংশ আলেম জুমার দিন অজুর সঙ্গে সঙ্গে গোসলের এ পদ্ধতিকে গ্রহণ করেছেন।

গোসলের গুরুত্ব
তবে জুমার দিন অজুর চেয়ে গোসল করাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা প্রমাণিত-

১. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে আসলে সে যেন গোসল করে। ’ (বুখারি, মুসলিম)

২. জুমার দিন গোসলের তাৎপর্য
হজরত ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু জুমার দিন দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রথম যুগের একজন মুহাজির সহাবা (জুমা পড়তে মসজিদে) এলেন। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে ডেকে বললেন, এখন সময় কত? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ত ছিলাম, তাই ঘরে ফিরে আসতে পারিনি। এমন সময় আজান শুনে শুধু অজু করে নিলাম। ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, শুধু অজুই? অথচ আপনি জানেন যে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গোসলের নির্দেশ দিতেন। ’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

৩. জুমার দিন গোসল করা ওয়াজিব
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিনে প্রত্যেক সাবালকের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। ’ (বুখারি)

৪. জুমার দিন গোসলের মর্যাদা
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (নাপাকি থেকে পবিত্রতার) গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করলো সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। পরে ইমাম যখন খুতবাহ দেওয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতারা (ইমামের খুতবাহ) উপদেশ শোনার জন্য (মসজিদে) উপস্থিত হয়ে থাকে। ‘ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার নামাজের জন্য গোসল করে এ দিনের উত্তম আমলে নিজেদের সম্পৃক্ত করা। একান্ত কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে অজু করেও জুমা পড়ায় দোষ নেই। তবে জুমার জন্য গোসল করাকে আবশ্যক বলেছেন বিশ্বনবি।




গলাচিপায় শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর গলাচিপায় শ্যালকের লাঠির আঘাতে দুলাভাই জহিরুল আলমের (৪১) মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্যালক তরিকুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জহিরুল পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের মৃত সিরাজুল আলমের ছেলে।

সূত্র জানায়, ৩১ জানুয়ারি দুপুরে জহিরুল তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলে পারিবারিক কলহের জেরে শ্যালক তরিকুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে জহিরুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন তরিকুল। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা জহিরুলকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।




স্ত্রীর দাবীতে দুমকীতে তরুণীর অনশন

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): ঢাকায় চাকরির সূত্রে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক; ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক বছর অবস্থান। এর পর স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ে কথিত স্বামীর ভিটেতে অবস্থান নিয়েছেন ওই তরুণী।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোশাররফ মৃধার ছেলে কাইউম মৃধার (৩০) বাড়িতে স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ে অবস্থান নিয়েছে এক তরুণী (২৫)। সোমবার দুপুরে ওই বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ওই তরুণীর বাড়ি বরগুনার পুরাঘাটা এলাকায়। ওই বাড়িতে অবস্থানের পর পরই কাইউম মৃধা পালিয়ে যায়।

ওই তরুণীর অভিযোগ, ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির শোরুমে চাকরির সুবাদে কাইউমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে একত্রে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক বছর অবস্থানের পর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গা-ঢাকা দেয়। পরে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

ওই তরুণী বলেন, বর্তমানে সে বসুন্ধরার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নার্সের চাকরির সময় ভাড়া বাসায় প্রায় এক বছর একসঙ্গে ছিলাম। হঠাৎ কাইউম তাকে না জানিয়ে বাড়ি চলে আসে এবং মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। লোক মারফতে খোঁজ নিয়ে তাই স্ত্রীর অধিকার আদায়ে ওর বাড়িতে এসে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাইউম মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাইউমের বাবা মোশাররফ মৃধা বলেন, চাকরির সুবাদে আমার ছেলে ঢাকায় ছিল। সেখানে ওই মেয়েও চাকরি করার সুবাদে হয়তো পরিচয় হয়ে থাকতে পারে। তবে বিয়ে করেছে কিনা তা আমরা জানি না। অথচ ওই মেয়ে আমার ছেলেকে স্বামী দাবি করছে। এখন ছেলে বাড়ি আসুক তার পরে যা করা দরকার তাই করতে হবে।

দুমকি থানার ওসি তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, ওই এলাকায় স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে এক তরুণী ঢাকা থেকে এসেছে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় সরাসরি কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অনশনেরও কোনো খবর পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।