ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার সহজ ৭ উপায়




পটুয়াখালীতে ভরা মৌসুমেও সবজির দাম চড়া

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীতে হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতকালীন সবজির দাম। কয়েক দিন ধরে সরবরাহ ঘাটতির অজুহাতে পাইকারী ও খুচরা বাজারে ধাপে ধাপে বিভিন্ন সবজির দাম বাড়ানো হচ্ছে।

তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত তদারকির কথা বলছে কৃষি বিপণন কর্তৃপক্ষ।

শীতকালীন সবজিতে বাজার যখন সয়লাব, সে সময়ে সবজীর দাম নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা থাকলেও পটুয়াখালীর সবজির বাজারে এখন উল্টো চিত্র।

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

এজন্য সরবরাহ ঘাটতিসহ নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এদিকে, অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান জেলা কৃষি বিপনন অফিসের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক প্রহলাদ চন্দ্র সাহা।

পটুয়াখালীতে যেসব শীতকালীন সবজি বিক্রি হয় তার বড় একটি অংশ জেলার বাইর থেকে আমদানি করা হয়। সাম্প্রতিক সময় হরতাল অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতাকে পুঁজি করেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি করার অভিযোগ আছে।




দিনে কতটুকু চিনি খাওয়া নিরাপদ?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: চিনি স্বাস্থ্যের জন্য মেটেও উপকারী নয়। তবুও চিনি ছাড়া অনেকেরই চলে না! বিশেষ করে চা-কফি থেকে শুরু করে ডেজার্ট আইটেম চিনি ছাড়া কেউ কল্পনাও করতে পারে না। আর এ অভ্যাসই ডেকে আনে কঠিন সব রোগ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনিতে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। বিশেষ করে অতিরিক্ত মিষ্টান্ন খাবার বা চিনি খাওয়ার প্রবণতা ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

এখন প্রশ্ন হলো দিনে ঠিক কতটুকু পরিমাণে চিনি খাওয়া নিরাপদ? এ বিষয়ে হার্ট.অর্গ জানাচ্ছে, কোনো সুস্থ-সবল পুরুষ মানুষ দিনে ৯ চামচ চিনি (৩৬ গ্রাম বা ১৫০ ক্যালোরি) খেতেই পারেন।

অপরদিকে নারীরা দিনে ৬ চামচ চিনি (২৫ বা ১০০ ক্যালোরি) সেবন করলে সুস্থ থাকতে পারবেন। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে এই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। না হলে পিছু নিতে পারে একাধিক জটিল রোগ। যেমন- ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ক্যানসার ইত্যাদি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ছোটবেলা থেকেই মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। আর এই বদভ্যাসের কারণেই ভবিষ্যতে একাধিক শরীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। তাই ছোটদের মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে রাখুন।

সূত্র: আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন




অতিরিক্ত কফি পান ডেকে আনতে পারে যে বিপদ




শীতে ভুট্টা কেন খাবেন

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শস্যগুলির মধ্যে একটি হল ভুট্টা। বিভিন্ন ধরনের ভুট্টা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আজকাল প্রায় সারা বছরই ভুট্টা পাওয়া যায়। তবে শীতকালে ভুট্টা খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে কয়লার আগুনে শেঁকা ভুট্টা খেতে বেশ লাগে।

হজমে উপকারী: ভুট্টাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের জন্য অত্যান্ত উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য ভুট্টা একটি উপকারী খাবার। পেটের সমস্যা সমাধানেও এটি উপকারী।

হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী: ভুট্টা হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এটি হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ভুট্টায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে তা কমানোর জন্য ভুট্টা খুবই উপকারী। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভুট্টা খুবই উপকারী বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা। ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ভুট্টা ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ভুট্টায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। ভুট্টায় ক্যারোটিনয়েডও রয়েছে, যার ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

চোখের জন্য উপকারী: ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন থাকে। এই দুটি ক্যারোটিনয়েডই চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপাদান চোখকে বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে, যা বয়স্কদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: ভুট্টা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এটি ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।




সুস্থ দাঁত, সুন্দর হাসি

দাঁত ভালো রাখে যে খাবারগুলো

দাঁত ভালো রাখতে বেশকিছু খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন-

ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস যুক্ত লো-ফ্যাট চিজ, দুধ, দই, সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি।

প্রোটিনযুক্ত খাবার ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারগুলো দাঁতের এনামেলের সুরক্ষা করে।

ফলমূল ও শাক-সবজিতে আছে পানি ও ফাইবার, যা মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপাদনে সাহায্য করে।

এনামেলের ক্ষয় হওয়া, দাঁতের ফাঁক থেকে খাদ্যকণা ধুয়ে যাওয়া এবং মুখে স্যালাইভা প্রোডাকশন প্রমোট করতে হেল্প করে পানি। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

দাঁতের ক্ষতি যে সব খাবারে

দাঁত সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সব খাবারই দাঁতের জন্য ভালো নয়।

# কোমল পানীয়: কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এই চিনি শুধু শরীরের জন্যই নয়, দাঁতের জন্যও সমানভাবে ক্ষতিকর। বাজারে ডায়েট কোক নামে কিছু ড্রিংকস আছে। অনেকেই চিনি নেই ভেবে সেগুলো পান করেন। কিন্তু এই ড্রিংকসগুলোতে চিনির পরিবর্তে এর সাবস্টিটিউট ফসফোরিক ও সাইট্রিক এসিড থাকে। এই উপাদানগুলো দাঁতের এনামেল নষ্ট করে দেয়। তাই দাঁতের সুস্থতায় যে কোনো ধরনের কোমল পানীয় খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

# স্টার্চি ফুড : অনেকের বাড়িতেই সকালে নাশতার টেবিলে পাউরুটি থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে পাউরুটি খাওয়া দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। শুধু পাউরুটিই নয়- স্টার্চ আছে এমন যে কোনো খাবার, পাস্তা, আলু, ভাত সবই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই এই খাবারগুলো মিষ্টি না ভেবে রেগুলার ডায়েটে অ্যাড করেন। এই ভুলটাই আমরা করি। স্টার্চি ফুড দাঁতে স্টিকি হয়ে থাকে এবং এগুলো ব্যাকটেরিয়ার খুব ভালো সোর্স। ধীরে ধীরে এই ব্যাকটেরিয়াই দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। তাই স্টার্চি ফুড যখনই খাবেন, অবশ্যই পরিমাণমতো খাবেন এবং খাওয়া শেষে দাঁত ব্রাশ করবেন। আর দাঁত সুস্থ রাখতে হলে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমাতে হবে।

# চকলেট ও স্টিকি ফুড : বাচ্চাদের কাছে ক্যান্ডি ও চকলেট মানেই পছন্দের একটি খাবার। শুধু বাচ্চারাই নয়, বড়দের অনেকের কাছেও চকলেট বেশ প্রিয়। এই চকলেট ও ক্যান্ডিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দাঁতে দেখা দিতে পারে ক্যাভিটি। ফলাফল, দিনে দিনে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া। চকলেট খাওয়া শেষে সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ব্রাশ বা কুলি করে ফেললে এই রিস্ক কিছুটা কমে যায়। কিন্তু ক্যান্ডি দাঁতের সঙ্গে স্টিকি হয়ে থাকে বলে সেটাই ক্ষতি করে বেশি। এ ছাড়া আরও কিছু স্টিকি ফুড যেমন- পিনাট বাটার, পটেটো চিপস দাঁতের ফাঁকে আটকে থেকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করে।

# অ্যালকোহল : অ্যালকোহল পান করার কারণে মুখ শুকিয়ে যায়। মুখ শুষ্ক থাকা মানে লালার পরিমাণ কমে যাওয়া। অথচ দাঁত ভালো রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লালা দাঁতে খাবার লেগে থাকতে দেয় না এবং খাবারের কণাকে ধুয়ে ফেলে। এমনকি দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের অন্যান্য প্রাথমিক লক্ষণগুলোকেও সারিয়ে তুলতে হেল্প করে লালা। তাই মুখ সব সময় হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। আর এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সেই সঙ্গে ওরাল হাইড্রেশন সলিউশনও ব্যবহার করা জরুরি।

# কফি : মুখের ভেতরের স্যালাইভা প্রোডাকশনকে কমিয়ে দেয় কফি। আর স্যালাইভার অভাবে মুখের ভেতর শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া কফি ব্যাকটেরিয়া গ্রো করতে হেল্প করে, সেই সঙ্গে কমে যায় দাঁতের এনামেল। ধীরে ধীরে দাঁতে তৈরি হয় ক্যাভিটি, সেনসিভিটি এবং শুরু হয় দাঁতের ক্ষয়।

সচেতনতা এবং কিছু কথা

সুন্দর দাঁত ও সুন্দর হাসি আমরা সবাই চাই। আর তাই দাঁতের সঠিক পরিচর্যার পাশাপাশি এড়িয়ে চলুন ক্ষতিকর খাবার। মুখ বা দাঁতের কোনো সমস্যাই অবহেলা করবেন না। সমস্যা যতই ছোট হোক না কেন সেটা অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়।




আড়াই প্যাঁচের জিলাপি বেচে সংসার চলে ভোলার কারিগরদের

বরিশাল অফিস: শীত এসে গেছে। শীতকে ঘিরে হাট-বাজারে দেখা মিলছে নিত্য নতুন মৌসুমি জিনিসপত্র আর খাবারের। এরমধ্যে গরম জিলাপি বেশ জনপ্রিয়। আড়াই প্যাঁচের এই জিলাপির দোকানগুলোতে ধুম পড়েছে বেচা-কেনার। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে দোকানগুলো।

ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন হাটে এরই মধ্যে জমে উঠেছে জিলাপি বিক্রি। রসালো এই খাদ্যটি প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা তৈরি করা হয় চালের গুঁড়া দিয়ে। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে দুই ধরনের জিলাপি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে আখের গুড় ও চিনির তৈরি জিলাপী রয়েছে। দুই ধরনের জিলাপীর দাম একই। জিলাপিতে মিলছে বিক্রেতাদের জীবিকা আর ক্রেতাদের মিটছে শখ।

লালমোহন পৌরশহরের মহাজনপট্টি এলাকাতে শীতকে কেন্দ্র করে বসেছে বেশ কয়েকটি জিলাপির দোকান। প্রতি বছরের এ সময়ে দোকানগুলো বসে এখানে।

মহাজনপট্টির জিলাপি বিক্রেতা মো. মিরাজ হোসেন বলেন, বিশ বছর ধরে শীত মৌসুমে জিলাপি বিক্রি করি। অন্য সময় ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রি করি। শীতের এই মৌসুমে মানুষজনের কাছে জিলাপির কদর অনেক বেশি। এক মাস আগ থেকে জিলাপি বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে দোকান।

 ভোলার লালমোহন পৌরশহরের মহাজনপট্টি এলাকার জিলাপির দোকান
ভোলার লালমোহন পৌরশহরের মহাজনপট্টি এলাকার জিলাপির দোকান : চন্দ্রদীপ নিউজ

তিনি আরো বলেন, হাটবারে বিক্রি ভালো হয়। পৌরসভায় সপ্তাহে দুইদিন হাট থাকে। ঐ দুইদিন বিক্রি ভালো হয়। হাটের সময় দুইশ’ কেজিরও অধিক জিলাপি বিক্রি হয়। ২০ থেকে ২৪ হাজার টাকার বিক্রি হয়। এখান থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকার মতো লাভ হয়। মৌসুমি এই জিলাপির দোকান চলবে আরো চার মাসের মতো।

পৌরসভার মহাজনপট্টির আরেকটি জিলাপি দোকানের কারিগর মোরশেদ বলেন, ২৫ বছর ধরে জিলাপি তৈরির সঙ্গে জড়িত। শীতের মৌসুমে এর কদর বেড়ে যায়। সেজন্য প্রতি বছর এ সময় জিলাপি বানানোর কাজ করি। অন্য সময় অটোরিকশা চালাই। জিলাপি বানিয়ে দৈনিক ৮শ’ টাকা পাই। সংসারে দুই মেয়ে আর স্ত্রী রয়েছে। জিলাপি তৈরির আয়ে বর্তমানে সংসার চলছে।

জিলাপি ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম নামে এক কলেজ প্রভাষক বলেন, শীতের সময় জিলাপি খেতে অন্য রকম মজা লাগে। নিজে খাচ্ছি, আর বাড়ি জন্যও নিয়েছি। বাচ্চাদেরও জিলাপি অনেক পছন্দের।

আকলিমা ও সাহিদা বেগম নামে আরো দুই ক্রেতা বলেন, বাজারে কাজে এসেছি। এখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি জিলাপি বিক্রি হচ্ছে। এজন্য বাসার জন্য দুইজন এক কেজি করে কিনেছি।




পটুয়াখালীতে এক সাথে ৪ সন্তানের জম্ম

মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালী শহরের বেসরকারী ক্লিনিক “হলিটাচ হসপিটালে” গতরাতে (বুধবার) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একে একে ৪ টি শিশুর জম্ম হয়েছে।

পটুয়াখালী পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা মাজাহারুল ইসলাম ও স্ত্রী সানজিদা দম্পতির ঘরে এই ৪ সন্তানের জম্ম হয়।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা বলেন,  প্রথম থেকেই এই রোগী আমার তত্ত্বাধায়নে ছিল।  রোগীর  থাইরয়েড, ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকার কারণে সিজারিয়ান অপারেশন এর মাধ্যামে ডেলিভারি করা হয়েছে।  নবজাতকদের ঝুঁকি বিবেচনায় শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।  মা সম্পূর্ন সুস্থ রয়েছে।

১ম ও ২য় সন্তান মেয়ে,  ৩য় সন্তান ছেলে এবং ৪র্থ সন্তান মেয়ে হয়েছে।




সরকারি হাসপাতালে টেস্টটিউব বেবি কিভাবে নেবেন

চন্দ্রদ্বীপ  ডেস্ক:  বিভিন্ন কারণে দেশে বন্ধ্যাত্বের সংখ্যা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টেস্ট টিউব বেবি। তবে এতোদিন শুধু বেসরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রীক এই চিকিৎসা পদ্ধতি চালু থাকায় এতোদিন তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ছিল।

সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি চালু হওয়ায় এখন তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এসেছে।

নীচের লিংকে ক্লিক করলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে জানতে পারবেন কিভাবে সরকারি হাসপাতালে এই সেবা পাবেন।




৫ ঘরোয়া উপাদান: নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রোদে পোড়া দাগ উঠবে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  সানস্ক্রিন মেখেও যদি ত্বকে ট্যান পড়ে, সেই দাগ তুলবেন কী করে? নামী-দামি প্রসাধনী নয়, ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহার করেই এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

গরম যেমন পড়েছে, তেমন পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রোদের তেজ। টুপি, ছাতা— কোনও কিছুতেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না তার দাপট। যতই সানস্ক্রিন মেখে বাইরে যান, কম-বেশি ট্যান পড়বেই। রোদে পোড়া ত্বক থেকে দাগ তোলা কিন্তু খুব কঠিন কাজ নয়। হেঁশেলের কয়েকটি উপকরণেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

১) লেবুর রস এবং মধু

লেবুর রসে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচ, যা ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি, মধু ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখে। তবে এই মিশ্রণ প্রতি দিন ব্যবহার করা যায় না। সপ্তাহে দু’-তিন বার এই মিশ্রণ মাখলেই যথেষ্ট। ত্বক থেকে রোদের কালচে দাগ, ছোপ দূর করতে স্নানের আগে এই মিশ্রণ মেখে রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

২) শসা এবং টক দইয়ের মাস্

রোদে পোড়া ত্বক থেকে দাগ-ছোপ দূর করতে এবং জ্বালাভাব কাটাতে শসা ও দইয়ের প্যাক বিশেষ ভাবে কার্যকর। কয়েক টুকরো শসা এবং এক টেবিল চামচ দইয়ের মিশ্রণ স্নানের গায়ে মেখে নিলে এই সমস্যা দূর করা যায় সহজেই।

৩) পেঁপে এবং মধুর প্যাক

পেঁপের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার উৎসেচক। যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। সঙ্গে মধু, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু ব্লেন্ড করে ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪) আলুর রস

শুধু রোদে পোড়া দাগ নয়, ত্বকের যে কোনও দাগ ছোপ নির্মূল করতে আলুর রস দারুণ ভাবে কাজ করে। আলু ছেঁচে নিয়ে তার থেকে রস বার করে নিন। এর মধ্যে তুলো ডুবিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে রাখুন আলুর রস। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৫) টম্যাটো এবং মধু প্যাক

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর টম্যাটো ত্বকের কালচে ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রসের মতো টম্যাটোতেও প্রাকৃতিক ব্লিচ রয়েছে, যার ফলে খুব সহজেই রোদে পোড়া দাগ উঠে যেতে পারে।