শুধু দামি কন্ডিশনার মাখলেই হবে না, চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নজর দিতে হবে ৩ বিষয়ে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  শুধু বাইরে থেকে প্রসাধনীর ব্যবহার কমালেই এই সমস্যা দূর হওয়ার নয়। জীবনধারায় বদল আনার পাশাপাশি তিনটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি।

শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণ পরই চুল উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে বেরোলে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। নামী-দামি শ্যাম্পু থেকে কন্ডিশনার কোনও কিছুর প্রভাবই দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। ইদানীং অনেকেই আবার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভিজে অবস্থাতেই লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, চুলেও তার প্রভাব পড়ে। উপর থেকে রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর ব্যবহার মাথার ত্বককে আরও বেশি রুক্ষ করে দেয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু বাইরে থেকে প্রসাধনীর ব্যবহার কমালেই এই সমস্যা দূর হওয়ার নয়। জীবনধারায় বদল আনার পাশাপাশি তিনটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি।

রুক্ষ চুলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখতে হবে?

১) পর্যাপ্ত জল খেতে হবে

জল কম খেলে যেমন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তেমন চুলও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। শীতের সময়ে জল খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহের কাজটি সহজ হয়। যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

২) মরসুমি ফল, সব্জি খেতে হবে

শুধু চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেই নয়, চুলের মান ভাল রাখতেও মরসুমি ফল এবং সব্জি খাওয়া প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে মরসুমি সব্জি এবং ফল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩) মদ্যপানে লাগাম টানতে হবে

শীতকাল জুড়েই চলে উৎসব পর্ব। ইচ্ছে থাকলেও মদ্যপানে লাগাম টানা সম্ভব হয় না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীর ডিহাইড্রেটেড করে দিতে পারে। শরীরে টক্সিনের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসে। যার ফলে চুল, মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।




আগামী বছর থেকে উঠে যাচ্ছে বিজ্ঞান-মানবিক-বাণিজ্য বিভাগ

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন থাকছে না। চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার মতো আলাদা বিভাগ বেছে নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হচ্ছে। সব শিক্ষার্থী পড়বে একই পাঠ্যবই।

২০২৫ সালে এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যখন দশম শ্রেণিতে উঠবে, তখন সেখানেও বিভাগ বিভাজনের সুযোগ থাকবে না। আর ২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। সেখানে সবার পরীক্ষার বিষয় ও প্রশ্নপত্র একই থাকবে। মূল্যায়ন করা হবে সূচক বা চিহ্নভিত্তিক

সোমবার (২৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি মাধ্যমিক-২) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণিতে বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) বিভাজন না থাকার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে পত্র জারির প্রশাসনিক অনুমোদন নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।




ভূরিভোজ করলেও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, কীভাবে জানুন

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : উৎসবের মাঝেও একটু নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ভাবছেন কীভাবে? চলুন নিম্নে জেনে নেই-

১) পর্যাপ্ত পানি খাওয়া: দিনে কতখানি পানি খাচ্ছেন উৎসবের দিনগুলিতে তার হিসাব রাখা কঠিন। তবে ওজন বাগে রাখতে চাইলে পানি খাওয়ার ব্যাপারে কিন্তু বাড়তি নজর দিতেই হবে। দিনে অন্তত ১০ গ্লাস পানি খান।

শরীরে পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি থাকলে খিদে কম পায়। তাই ভাজাভুজি, মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে না।

২) উৎসবের দিনগুলিতে জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শরীরচর্চা করার সময় হয় না। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারা দিনে মিনিট ১৫ কার্ডিয়ো করলেই হবে।

৩) অনেকেই রাতে শেষপাতে একটা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। এটা একেবারেই ভুল। এভাবে মিষ্টি খাবেন না। এই সময় আমাদের বিপাকক্রিয়া খুব ধীর গতিতে হয়। তাই মিষ্টিতে থাকা চিনি খুব সহজে শরীরে মেদ হিসাবে জমে।

৫) উৎসবের মরসুমে নিমন্ত্রণ লেগেই থাকে। আর সেখানে গিয়েই একের পর এক লোভনীয় খাবার দেখে নিজেকে আটকে রাখা যায় না। চেষ্টা করুন কারও বাড়িতে যাওয়ার আগে এক বাটি স্যালাড বা স্যুপ খেয়ে যেতে। পেট ভরা থাকলে খুব বেশি ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছে করবে না।




রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ুক প্রকৃতিগতভাবে

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : মৌসুমের সামান্য রদবদলেই হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। সম্ভবত দুর্বল ইমিউনিটিই এর কারণ। অনেকেই ভাবেন, ভালো ইমিউনিটি জিনগত ব্যাপার। কিন্তু জিন ছাড়াও এমন অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলো ইমিউনিটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। স্ট্রেস, পুষ্টি, এক্সারসাইজ এবং মেডিটেশন এর মধ্যে অন্যতম। ইমিউনিটি আসলে শরীরের ডিফেন্স সিস্টেম, যা বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক টক্সিন, কেমিক্যালস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। তবে অসুস্থ হওয়া মানে এই নয়, আপনার লাইফস্টাইলে কোনো ত্রুটি রয়ে গেছে। চূড়ান্ত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষও অসুস্থ হতে পারেন। তবে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া অপুষ্টি এবং দুর্বল ইমিউনিটির পরিচায়ক। ইমিউনিটি বাড়াতে তাই নজর দিন বিশেষ কিছু দিকে।

পুষ্টি হোক শরীরের অস্ত্র: আমাদের শরীরে যে ইমিউন বডিস রয়েছে, তারা মূলত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। সুতরাং, ভালো ইমিউনিটির জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকা জরুরি। ডেইরি প্রডাক্ট, লিন মিট, মাছ এবং ডাল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ডেইরি প্রডাক্টের মধ্যেও টক দই এবং ইয়োগার্ট ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে ভালো। এ ছাড়া প্ল্যান্ট ফুডসও ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্যান্সার প্রতিরোধে নিরামিষাশীদের শরীরের শ্বেতরক্তকণিকা আমিষাশীদের চেয়ে বেশি কার্যকরী। নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও এ ক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি, ই, ক্যারোটিনয়েডস, জিঙ্ক, আয়রন, কপার এবং সেলেনিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন সি’র জন্য কাঁচালঙ্কা, পেয়ারা, টমেটো, খরমুজ, ভিটামিন ই’র জন্য চীনাবাদাম, ভেজিটেবল অয়েল, কাজু ইত্যাদি খেতে পারেন। এই দুই প্রকার ভিটামিনের সঙ্গে ক্যারোটিনয়েডস খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো! তরমুজ, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, আম ইত্যাদি শরীরে ন্যাচারাল কিলার সেল এবং টি-লিম্ফোসাইটের পরিমাণ বাড়িয়ে ইমিউনিটি আরও শক্তিশালী করে তোলে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে হুইট ব্র্যান, জোয়ার, বাজরা, শেলফিশ, বাদাম, বাদামের তেল খেলে সর্দি-কাশি থেকেও সুরক্ষা পাবেন। তবে অনেক সময়ই খাবারের গুণগত মানের জন্য শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। তাই এর সঙ্গে কোনো মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে পারলে ভালো।

ন্যাচারাল ইমিউন বুস্টার: ‘সুপার ফুডস’ প্রতিদিন ডায়েটে রাখলে সুস্থ থাকাও সহজ হবে। আমাদের চারপাশে যেসব সুপার ফুডস রয়েছে, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়া মৌরি, হলুদ, আদা, লবঙ্গ এবং দারচিনিও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ঘন ঘন চা-কফির অভ্যাস কমিয়ে গ্রিন টি বেছে নিতে পারেন। এতে থাকা ক্যাটেকিনসের অ্যান্টি-কারসিনোজেন হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। মনে রাখবেন, মজবুত ইমিউনিটি গড়ে তুলতে অনবরত শরীরের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আর সেখানে আপস করলে মাশুলটাও আপনাকেই গুনতে হবে।




যে ৭ লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন বি১২ এর অভাব

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ভিটামিন বি১২ কোবালামিন নামেও পরিচিত। যেহেতু আমাদের শরীর নিজে ভিটামিন বি-১২ তৈরি করতে পারে না, তাই আমাদের এটি বিভিন্ন খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হয়। এই ভিটামিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন বি-১২ কমে গেছে।

১। ভিটামিন বি-১২ এর অভাবের সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা। এটি ঘটে কারণ এই ভিটামিন রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা সারা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। পর্যাপ্ত রক্তকণিকা ছাড়া টিস্যু এবং অঙ্গগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। ফলে ক্লান্ত এবং দুর্বল লাগে।

২। মস্তিষ্কসহ সুস্থ স্নায়ুতন্ত্র বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন বি-১২। এর মাত্রা কমে গেলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেজাজের ব্যাঘাত ঘটতে পারে যেমন হতাশা এবং বিরক্তি।

৩। শারীরিক অসাড়তা বিশেষ করে হাত ও পায়ে অসাড়তা ভিটামিন বি-১২ কমে যাওয়ার লক্ষণ। পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিত এই অবস্থাটি ঘটে কারণ বি-১২ এর ঘাটতি স্নায়ুকে ঘিরে থাকা একটি উপাদানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলস্বরূপ স্নায়ুগুলো সঠিকভাবে সংকেত প্রেরণ করতে পারে না। যার ফল অসাড়তার অনুভূতি হয়। ধীরে ধীরে এই অবস্থা আরও গুরুতর হতে পারে যেমন পেশী দুর্বলতা, ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের সাথে অসুবিধা।

৪। কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হতে পারে। অপটিক নিউরোপ্যাথি এমন একটি অবস্থা যেখানে অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা বা বিঘ্নিত হতে পারে, রঙ চিনতে অসুবিধা হতে পারে এবং গুরুতর ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।

৫। জিহ্বার প্রদাহ, জিহ্বা ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া ভিটামিন বি-১২ এর অভাবজনিত লক্ষণ। এমনকি মুখের আলসারো হতে পারে এই ভিটামিনের অভাবে।

৬। ভিটামিন বি-১২ এর ঘাটতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি স্নায়বিক উপসর্গের দিকে ধাবিত হতে পারে। যেমন হাঁটাচলা এবং ভারসাম্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭। ত্বকের বিবর্ণ হয়ে পড়া ভিটামিন বি-১২ কম এ যাওয়ার লক্ষণ। এটি ঘটে কারণ পর্যাপ্ত ভিটামিন বি-১২ এর অনুপস্থিতিতে উৎপাদিত লোহিত রক্তকণিকা অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং ভঙ্গুর হতে পারে। এতে সঞ্চালনে সুস্থ লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। এতে ত্বক ফ্যাকাশে বা হলুদ বর্ণের হয়ে যেতে পারে, যা ‘মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া’ নামে পরিচিত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




খালি পেটে যা খেলে উপকার মেলে

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : স্বাস্থ্য আমাদের খাওয়া দাওয়ার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রাখা জরুরি। চাইলেই আমরা যখন-তখন যে কোনো কিছু খেতে পারি না। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে কী খাব আর কী খাব না এই নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস আপনাকে ফিট এবং ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া একটি সঠিক ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ ছাড়া আপনাকে চেষ্টা করতে হবে চাপ মুক্ত জীবনযাপন করার, সব সময় হাইড্রেটেড থাকা ও ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। সকাল শুরু করুন যেকোনো একটি কাজের মাধ্যমে। এতে আপনার দিন ভালো যাবে।

পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকারের মতে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আপনি এক গ্লাস স্বাভাবিক পানি পান করতে পারেন। তারপরে, আপনি কলা, বাদাম বা কালো কিশমিশ এই তিনটি জিনিসের মধ্যে একটি খেতে পারেন। কেননা, আপনি যদি এই খাবারগুলো খাওয়া নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে দিনের শেষে আপনার মিষ্টি খাবার খাওয়ার লোভ হবে না। এ ছাড়া আপনার বিরক্তিভাব কিংবা ক্ষুধাও পাবে না।

ফল
খাবার খাওয়ার পরে যদি আপনার হজমের সমস্যা, গ্যাস, ফোলাভাব, কম শক্তি বা চিনির ক্ষুধা থাকে, তাহলে একটি কলা দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। অথবা আপনি যেকোনো মৌসুমি ফল দিয়ে আপনার দিন শুরু করতে পারেন।
বাদাম
আপনার যদি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স থাকে বা ডায়াবেটিস থাকে অথবা আপনি যদি মনে করেন যে আপনার চোখ সত্যিই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি ভেজানো বাদাম খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। পুষ্টিবিদের মতে, মিনিমাম চারটি বাদাম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খোসা ছাড়িয়ে বাদামগুলো খান। এতে উপকার মিলবে।
কালো কিশমিশ
আপনার যদি কম হিমোগ্লোবিন বা পিএমএস সমস্যা যেমন স্তনের কোমলতা, ফোলাভাব, অ্যাসিডিটি, ক্র্যাম্প, খিটখিটে বা মেজাজ পরিবর্তন নিয়ে সমস্যায় থাকেন তবে কালো কিশমিশ খান। কালো কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে সেগুলো খান।



দাঁত ভালো আছে কি না বুঝে নিন ৬ লক্ষণে

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি, না হলে বিভিন্ন রাগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আগে দাঁতের যত্ন নিতে হবে। অনেকেই আছেন যারা দাঁত ভালো রাখতে শুধু নিয়ম করে এক বা দু’বেলা ব্রাশ করেন।

তবে জানলে অবাক হবেন, দাঁত ভালো রাখার অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করা ও বছরে বা ছয় মাস অন্তর ডেন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া।

হয়তো ভাবছেন, আপনার দাঁত ভালো আছে তবে আদতে তা নাও হতে পারে। সুস্থ দাঁতের কয়টি লক্ষণ থাকে, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-

স্বাস্থ্যকর মাড়ি
২. দুর্গন্ধমুক্ত শ্বাস-প্রশ্বাস
৩. ক্যাভিটিসমুক্ত দাঁত
৪. মজবুত দাঁত
৫. একই রঙের দাঁত
৬. স্বাস্থ্যকর জিহ্বা।

আপনার মুখ ও দাঁতের সুস্থতা ধরে রাখতে নিয়মিত ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে। কোমলপানীয় যতটা সম্ভব বর্জন করতে হবে।

বেশি বেশি দুধ-ডিম খেতে হবে। দাঁত সুন্দর রাখতে খাওয়া যেতে পারে পনিরও। পাশাপাশি নিয়মিত রাতে খাবার পর ও সকালে নাস্তার পর দুইবার ব্রাশ করতে হবে।




শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে উপকারী ৭ খাবার

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সুষম খাবার খুবই জরুরি। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ হয়, তাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। যেমন-

ডিম: ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। শিশুদের পুষ্টির জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী।

ঘি এবং দই: ঘি এবং দই- দুই খাবারেই প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। দুটি খাবারই মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়।

ওটমিল: প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর ওটমিল মস্তিষ্কের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

আপেল: শিশুকে নিয়মিত আপেল খাওয়াতে পারেন। এই ফলটি মস্তিষ্কের গঠনে সহায়তা করে।

বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। দুধের সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন।

মাছ : মাছ ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি’র দুর্দান্ত উৎস। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের গঠনের জন্য উপকারী।

শাক ও সবজি: শাক ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে।




হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে যা করবেন

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : যেকোনো সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ১২০/৮০। হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে অর্থাৎ রক্তচাপ ৯০/৬০ বা এর কাছাকাছি থাকলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার বলা হয়। প্রেশার খুব বেশি কমে গেলে তা কিডনি, হৃৎপিণ্ড ও মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এর ফলে সেসব জায়গায় রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম, ভয়, দুশ্চিন্তা ও স্নায়ুর দুর্বলতার কারণে এমনটা হতে পারে।

প্রেশার কমে যাওয়ার লক্ষণ

প্রেশার কমে যাওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, অবসাদ, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া, অনেক বেশি বমি হওয়া ইত্যাদি। গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রথম ৬ মাস হরমোনের প্রভাবে প্রেশার কমে যেতে পারে।

যা যা করতে হবে

লবণ-পানি: হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে এক গ্লাস পানিতে ২ চা-চামচ চিনি ও ১-২ চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিতে হবে। কারণ লবণে সোডিয়াম থাকে, তাই এটি রক্তচাপ বাড়াতে কাজ করে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে চিনি এড়িয়ে যাবেন।

কফি: কফি প্রেশার বাড়াতে দারুণভাবে কাজ করে। স্ট্রং কফি, হট চকোলেট ও ক্যাফেইন রয়েছে এমন যেকোনো পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেশার বাড়াতে কাজ করে। আপনার যদি অনেক দিন ধরে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সকালে ভারী নাস্তা করার পর ১ কাপ কফি খেয়ে নেবেন। এতে উপকার পাবেন।

পুদিনা পাতা: উপকারি পাতা পুদিনা। এর সুগন্ধ ও স্বাদ অনন্য। তবে এসব ছাড়াও পুদিনার রয়েছে দুর্দান্ত উপকারিতা। এই পাতায় থাকে ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান। এগুলো দ্রুত ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর পাশাপাশি দূর করে মানসিক অবসাদও। পুদিনা পাতা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

বিটের রস: হাই ও লো প্রেশার দুই ক্ষেত্রেই সমান উপকারী হলো বিটের রস। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে এক সপ্তাহ বিটের রস খেলেই উপকার পাবেন। পেশ্রার কমে গেলেও ৫টি কাঠবাদাম ও ১৫-২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।

যষ্টিমধু: যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। হঠাৎ প্রেশার কমে গেলেও এটি কাজে লাগাতে পারেন। এককাপ পানিতে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পানিটুকু খেয়ে নিন। এতে প্রেশার বেড়ে যাবে।




বর্ষার পানি ও ঘাম দুয়ে মিলে বারোটা বাজায় ত্বকের: হতে পারে ফাংগাল ইনফেকশন

বৃষ্টির পানি আর ঘাম, মিলেমিশে ফাংগাল ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই এই আবহাওয়ায় খুব সতর্ক থাকগে হবে। ভারতীয় এসএসকেএম হাসপাতালের ডার্মাটোলজিস্ট ডা. অলিম্পিয়া রুদ্রের পরামর্শ অবলম্বনে লিখেছেন মোহাম্মদ খান।

বর্ষাকাল মানেই বৃষ্টি। আর বৃষ্টি মানেই শরীর-মনে একটা শান্তির সুর। গরম থেকে স্বস্তি, রোদের চোখরাঙানি থেকে মুক্তি। তবে, কথায় আছে না, ভালর আড়ালে কালো। তেমনই বেশ কিছু সমস্যাও আছে বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বিশেষত ত্বকের জন্য বর্ষা মোটেই ভরসাযোগ্য নয়।

এই সময় বিভিন্ন ফাংগাস ত্বকের আনাচে-কানাচে বাসা বাঁধে। কারণ ভেজা বা আধভেজা জায়গাই এদের মোক্ষম বাসস্থান। তাই এই সময়টা ত্বকের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

চিন্তার উপসর্গ: সাধারণত ত্বকে যে কোনও স্থানেই লালচে গোল গোল চাকাচাকা দাগ দেখা দেয়। এগুলো চুলকায়, হালকা চামড়া উঠতে থাকে। অনেকের চুলকাতে থাকে। শরীরে যে কোনও স্থানে এই ফাংগাস ইনফেকশন হতে পারে। বিশেষত শরীরের ভাঁজে এমন হয়। অনেকের যৌনাঙ্গে, স্তনের নিচে, পশ্চাৎ অংশে এই সমস্যা বেশি হয়। প্রথমে চুলকানি দিয়ে সমস্যা শুরু হয়। তারপর চাকাচাকা দাগ দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে যদি না চিকিৎসা করানো হয়।

ভুলটা হয় যেখানে: সাধারণত এই ধরনের সমস্যা অধিকাংশ রোগীই এড়িয়ে যান। আর খুব সমস্যা হলে ওষুধের দোকান থেকে ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ কিনে লাগাতে শুরু করেন। এইভাবে নিজের ডাক্তারি নিজে করতে গিয়ে এই সমস্যা আরও জটিল হয়। প্রথম চোটে এই ধরনের ওষুধে সমস্যা কমে, তারপর আবার কয়েকদিন পর শুরু হয়। কারণ, এই ধরনের ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। এইভাবে ফেলে রাখতে রাখতে ফাংগাস ইনফেকশন আরও বেড়ে যায়।

ফাংগাল ইনফেকশন কি ছোঁয়াচে? এই ধরনের সংক্রমণ এমন নয় যে হাত দিলেই অন্যের হয়ে যাবে। কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষ কিছু পরিচ্ছন্নতা মানতে হবে। শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি জমে সেই স্থানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। নিত্য তোয়ালে, গামছা কেচে নেওয়া প্রয়োজন। এগুলো কারও সঙ্গে শেয়ার না করাই ভাল। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ত্বকের যে কোনও স্থানে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সুপরামর্শ নেওয়া। নিজে থেকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া এই অসুখে মারাত্মক। প্রয়োজনে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রত্যন্ত গ্রামে থাকলেও এইভাবে চিকিৎসা করে এই রোগ প্রতিহত করা যায়।

বারবার ঘুরে আসে: অসমাপ্ত ট্রিটমেন্ট এক্ষেত্রে দায়ী। রিক্যালসিট্রেন্ট ফাংগাল ইনফেকশন হল, যে ফাংগাল ইনফেকশন বারবার ফিরে আসে। কী হয়, রোগী কিছু দিন ওষুধ ব্যবহার করেন। তারপর যে-ই সমস্যা একটু ঠিক হয় তখন আর নিয়মিত ওষুধ খান না বা লাগান না। নিজের মতোই বন্ধ করে দেন। কিছুদিন পর আবার সেই সমস্যা ফিরে আসে। এই করে রোগ সারার বদলে রোগ আরও বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে মেন্টেনেন্স থেরাপি খুব প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ চিকিৎসক যখন ওষুধ শেষ হলে আবার পরামর্শ নিতে আসতে বলেন তখনই যেতে হবে, প্রতি ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মাফিক ত্বকের যত্ন নিতে হবে। তাহলেই ধীরে ধীরে রোগ সারবে। না হলে ধীরে ধীরে সারা শরীরে এই ফাংগাল ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এমন রোগীর সংখ্যাটাও বেশ বেড়েছে।