ত্রিশের পর সুস্থ থাকতে করণীয়

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ত্রিশের পর থেকে শরীরের ভেতরে নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে। কিছু নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা বাড়তে থাকে। বয়সের চাকা যত সামনের দিকে এগোতে থাকে, ফিটনেসও তত কমতে থাকে। তাই আগে থেকেই লাগাম টানা জরুরি। বয়স ত্রিশ পেরোলেই শরীরের প্রতি বিশেষ যত্নের কথা বলে থাকেন চিকিৎসকেরা। ত্রিশের পর থেকে শরীরের ভেতরে নানা সমস্যা শুরু হতে থাকে। তাই কিছু নিয়ম মেনে না চললে সমস্যা বাড়তে থাকে।

পর্যাপ্ত ঘুম: সারা দিন তো বটেই, রাতেও কাজ নিয়ে বসেন অনেকে। ফলে ঘুম পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে না। দীর্ঘ দিনের এই অনিয়মে শরীর খারাপ হতে শুরু করে। ভেতর থেকে দুর্বল লাগে। ঘুমের ঘাটতি আরও নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানো জরুরি।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা: বয়স ত্রিশ পেরিয়েছে মানেই ক্যারিয়ার নিয়ে তখন চিন্তা বেড়ে যায়। ফলে ব্যস্ততা, কাজের চাপ সবই বেড়ে যায়। নিজের জন্য সময় থাকে না বললেই চলে। তবে শত ব্যস্ততার মধ্যেও সময় বাঁচিয়ে শরীরের যত্ন নেওয়া জরুরি। তা নাহলে দীর্ঘ দিন ধরে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ফিট থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। নিয়ম করে যদি কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ের মতো কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে পারেন, সত্যিই ভালো থাকবেন।

ডায়েট: ঘরোয়া খাবারের কোনো বিকল্প হতে পারে না। তাই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমিয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন প্রোটিন, নানা রকম শস্য, দুগ্ধজাত খাবার বেশি করে খাবেন। সেই সঙ্গে লাগাম টানতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, নরম পানীয়ের মতো খাবার খাওয়ায়।

নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা: অসুস্থ না হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না অনেকেই। কিন্তু মাঝেমাঝেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো জরুরি। অনেক সময়ে শরীরের ভেতরে নানা রোগ বাসা বাধে। কিন্তু বাইরে থেকে তা বোঝা যায় না। ভেতর থেকে সুস্থ আছেন কিনা, তা জানতে পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।




চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না, তালা খোলার সহজ উপায় জেনে নিন

চন্দ্রদীপ ডেস্ক : এমন সমস্যা হতেই পারে যে প্রয়োজনের সময় কিছুতেই চাবি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তখন মন না চাইলেও ভেঙে ফেলতে হয় তালা। না, সেটার দরকার নেই। উপায় জানলে চাবি ছাড়াই ওই ছোট তালা খুলে ফেলা যায়।

নেটমাধ্যমে অনেকেই দাবি করেছেন, এই কাজটি করার জন্য হাতের কাছে এক বাক্স দিয়াশলাই থাকলেই হল। কীভাবে দিয়াশলাই ব্যবহার করে তালা খোলার কথা বলছেন তারা?

• প্রথমে দিয়াশলাই কাঠিগুলোর মাথা থেকে বারুদ ছাড়িয়ে নিতে হবে। তবে মনে রাখবেন, বারুদসহ একটি কাঠি রেখে দিতে হবে। সেটি পরে কাজে লাগবে।

• সব কাঠির মাথা থেকে বারুদ ছাড়িয়ে নেওয়া পরে, সব বারুদ একসঙ্গে একটি কাগজের মধ্যে রাখতে হবে।

•কাগজ থেকে সেই বারুদ আস্তে আস্তে তালার ফুটোর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে।

• এবার চাবি ঢোকানোর ওই ফুটোর মধ্যে বারুদসহ দিয়াশলাই কাঠিটি গুঁজে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, দিয়াশলাই কাঠির বারুদের অংশটি থাকবে বাইরের দিকে।

• এরপর দিয়াশলাই কাঠিটির বারুদে আগুন দিতে হবে। বারুদ জ্বলে যাওয়ার পরে আগুন আস্তে আস্তে কাঠির নিচের দিকে ছড়িয়ে পড়বে। এবং শেষে গিয়ে আগুনটি তালার ভেতরে সেই জায়গায় পৌঁছবে, যেখানে গুঁড়ো বারুদ রয়েছে।

• এই সময়ে তালা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকাই ভালো। কারণ হাল্কা বিস্ফোরণ হতে পারে তালার মধ্যে।

• এই বিস্ফোরণের পরে তালা খুলে যাবে




যেসব মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ সময় সবারই মশা থেকে সাবধান থাকা জরুরি। তবে অবাক করা বিষয় হলেও সত্য যে, কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়। হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউট ও রকফেলার ইউনিভার্সিটির স্নায়ুজীববিজ্ঞানী ও মশা বিশেষজ্ঞ লেসলি ভোশাল ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকানকে’ এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

তার করা এ বিষয়ক গবেষণার তথ্য বলছে, কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ানোর কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। সসেল জার্নালে প্রকাশিত এ গবেষণায় ৬৪ জন অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তথ্য অনুসারে, মানুষের ত্বকের গন্ধই মশাকে অত্যধিক আকর্ষণ করে। এই ত্বকের গন্ধ কি?

ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) অনুসারে, মশা খাদ্য খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ রিসেপ্টর ব্যবহার করে। যা শ্বাস ছাড়ার সময় কার্বন ডাই অক্সাইড ও ত্বকের গন্ধ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

মানুষের ত্বকে যে গন্ধের সৃষ্টি হয়, তা আসলে ঘটে ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার ভাঙনের কারণে। মানুষভেদে তাদের ত্বকের ব্যাকটেরিয়াতেও পার্থক্য থাকতে পারে, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের গন্ধের সৃষ্টি করে।

গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, গায়ের গন্ধের ওপর ভিত্তি করে মশা মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। তবে তা মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।

গবেষকরা আরও দেখেছেন, যাদের মশা বেশি কামড়ায় তাদের ত্বকে ‘উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি’ কার্বক্সিলিক অ্যাসিড পাওয়া গেছে। ত্বকের সিবাম (ত্বকে আবরণকারী তৈলাক্ত স্তর) এই অ্যাসিড উৎপন্ন করে।

এ বিষয়ে গবেষকরা আরও জানান, রক্তের গ্রুপও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ত্বকের গন্ধের পাশাপাশি নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপও মশার কাছে বেশি আকর্ষণীয়। মশারা নাকি ‘এ গ্রুপে’র চেয়ে ‘ও গ্রুপে’র রক্ত আছে যাদের শরীরে; তাদের প্রতি বেশি আকর্ষিত হয়।

মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে যেভাবে : গবেষকরা জানান, মশা যদি আপনার প্রতি বেশিই আকর্ষিত হন, তাহলে তেমন কিছু করেও তাদের সরাতে পারবেন না। তবে কামড়ের ঝুঁকি এড়াতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।

এজন্য পোকামাকড় প্রতিরোধক ব্যবহার করুন, বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে যান। লম্বা-হাতা শার্ট ও লম্বা প্যান্ট পরুন। বাড়ির চারপাশে পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

মশা ফুলের সুগন্ধির মতো ফুলের গন্ধে আকৃষ্ট হতে পারে। তাই মিষ্টিজাতীয় গন্ধ বা ফুলের পারফিউম কিংবা ডিওডোরেন্ট এড়িয়ে চলুন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




যে রঙের পোশাক পরলে মশা বেশি কামড়ায়

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ করবে তার অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন রঙের পোশাক পরেছেন তার ওপর।

অবাক করা বিষয় হলেও এমন তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই তথ্য জানিয়েছে।

এডিস মশা প্রথমে আকৃষ্ট হয় মানুষের দেহ থেকে নিঃসৃত হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইডে। এরপর যে উৎস থেকে ওই কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে ও তার রঙের ওপর ভিত্তি করে আক্রমণ করে মশা।

গবেষকরা জানান, লাল, কমলা, কালো ও সায়ান রঙের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। পাশাপাশি সবুজ, বেগুনি, নীল ও সাদা রং দেখলে দূরে পালায় মশা। অর্থাৎ এসব রং একেবারেই পছন্দ করে না মশা।

এর আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে আক্রমণ করে মশা। নিশ্বাস থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড, ঘাম ও দেহের উষ্ণতা। তবে এই তালিকায় এবার চতুর্থ বিষয়টি যুক্ত হলো।

গবেষণায় আরও জানা যায়। গাঢ় লাল না হলেও ত্বকের লাল রঞ্জক পদার্থে আকৃষ্ট হয় মশা। তাই মশা যেসব রং পছন্দ করে না, সেসব রঙের কাপড় পরেও মশার কামড় এড়াতে পারেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




বরগুনার মানুষের হাইজিন সূচকের প্রভূত উন্নতি

বরগুনা প্রতিনিধি: জেলায় খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে। উন্নত উৎসের পানি পানের হার বেড়েছে। হাইজিন অনুশীলন ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার দপ্তর সমূহের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ‘ওয়াশ এসডিজি প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে।
ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের বরগুনার মনিটরিং ইভালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং অফিসার মো. শামসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালে শেষ জরিপে একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বেইজলাইন ও এন্ডলাইন (২০১৮-২০২৩) জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, উন্নত উৎস থেকে পানি পানের হার বেড়েছে। এছাড়া গড়ে ৯.৫ মিনিট পানীয় জলের উৎসের দূরত্ব কমেছে। বেইজলাইন জরিপে ১৭ শতাংশ গৃহস্থালির পানীয় জলের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগত। এছাড়া খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে। হাইজিন অনুশীলন ৯ শতাংশ থেকে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ জরিপে মোট ১ হাজার ১১০টি খানা, ২৯টি স্কুল, ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক অংশ নেয়।
বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনেয়ারা চম্পা জানান, ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় কর্মসূচি গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বাজেট বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়েছিলো এবং প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন উঠান বৈঠক, ওয়ার্ড কমিটির সভাসহ বাড়ি পরিদর্শনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ফলে পানি, স্যানিটেশনের উন্নতি হয়েছে।
কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কলি ব্যাক্টেরিয়া, -তিনটি প্যারামিটারে মোট ৫৫৫টি খানার পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এত জেলায় পানিতে ব্যাক্টেরিয়ার দূষণ বেড়েছে। বেইজলাইনে যা ছিল ১৯ শতাংশ। এটা দ্রুত নিরসন করা দরকার।




যেভাবে জেকোভিচের আয় কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেল!

মো. লতিফুর রহমান: লনটেনিস তারকা নোভাক জেকোভিচের ক্যারিয়ারের শুরুতে র‌্যাঙ্কিং ছিল ৬৮০। এসময় বছরে তার আয় ছিল মাত্র ৩ লাখ ডলার।

বছর তিনেকের মধ্যে তার আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫০ লাখ ডলারে। এসময় তিনি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩ নম্বরে উঠে আসেন।

এর কিছুদিন পর তিনি বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হন। বেশ কয়েক বছর রাজত্ব করেন। র‌্যাকেট ঘুরিয়ে তার গড় বার্ষিক আয় হতে থাকে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

বিশ্বাস করা কঠিন। তবুও জেকোভিচ এটা পেরেছিলেন। র‌্যাঙ্কিং ও আয়ের ব্যাপক উন্নতি করেছিলেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তার খেলোয়াড়ী দক্ষতার কোন জিনিসটা তাকে বিশ্বের নম্বর ওয়ান টেনিস খেলোয়াড় করলো!

মূলত র‌্যাকেট দিয়ে বল কোন দিকে মারবেন এই সিদ্ধান্তে তিনি পরিপক্ষতা অর্জন করেন। এই কাজে তার সফলতার হার শুরুতে ছিল ৪৯%। বিশ্বসেরা হবার পর তার এই দক্ষতা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫%। পরিবর্তন ছোট হলেও এটাই তার জীবন পাল্টে দিয়েছে।

তাই আসুন নিজের জীবনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বিষয়টি খুঁজে বের করি। ওখানে ঘাম ঝরাই। নোভাক জেকোভিচের চেয়েও ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।




পরিবারের সবাই একই সাবান ব্যবহার করেন?

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: প্রায় সব বাড়িতে গোসলের জন্য একটাই সাবান রাখা হয়। পরিবারের সব সদস্যই এক সাবান ব্যবহার করেন। বিষয়টি পারতপক্ষে স্বাভাবিক। তবে এর ক্ষতিকর দিকও আছে।

২০০৬ সালে ‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ডেন্টাল রিসার্চ’-এর গবেষণায় বলা হয়েছিল, সাবানের ওপরের স্তরে কমপক্ষে পাঁচ ধরণের ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকতে পারে। তারপর অনেকদিন আর এ নিয়ে আলোচনা তেমন হয়নি। অনেক পরে একই বিষয়ে ২০১৫ সালে আবার একটি সমীক্ষা চালায় ‘আমেরিকান জার্নাল অব ইনফেকশন কন্ট্রোল’।

তারা জানায়, একটি হাসপাতালে ব্যবহৃত প্রায় ৬২ শতাংশ বার সাবানে নানা ধরনের রোগজীবাণু রয়েছে। এই সংক্রামিত সাবান ব্যবহার করলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়াগুলো মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তেই পারে বলেও ইঙ্গিত দেয় তারা। তাই সাবান রোগ সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য জরুরি হলেও সাবান একাধিক ব্যক্তি ব্যবহারে সংক্রমণ ছড়ানোর শঙ্কা থাকে অনেক।

এতকিছুর পরও কোনো গবেষণায় সাবানের মাধ্যমে ভয়াবহ সংক্রমণের নজির মেলেনি। বরং জীবাণুর সংক্রমণ রোধে এর ভূমিকা আছে। বাড়িতে তাই একই সাবান ব্যবহার করলে ক্ষতি আছে এমন নয়। শুধু গোসলের সময় গায়ে সাবান দেওয়ার আগে সাবানটি পানিতে ধুয়ে নিন। ওপরের স্তরে জীবাণু বা ময়লা দূর হয়ে যাবে।




বস তিতা হলে কী করবেন?

কর্মজীবনে আতংক কিংবা ভরসার নাম ‘বস’। তাঁর একটু আনুকূল্য পেতে কতোই না প্রাণান্তকর চেষ্টা,  আবার বাগে আনতে না পারলে উল্টো শায়েস্তার নানা ফন্দি। কি করলে  ‘বস’এর মন পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে লিখেছেন মো: লতিফুর রহমান।

‘বস তিতা হলে কী করবেন?’ – এই শিরোনামে একটা লেখা পেলাম হাভার্ড বিজনেস রিভিউ ওয়েবসাইটে। তারা বিভিন্ন গবেষণাপত্র থেকে তথ্য নিয়ে লিখেছে।

খুব আগ্রহ সহকারে পড়া শুরু করলাম। ভাবলাম ‘যতসব বন্দিশালায়, আগুন জ্বালা, ফেল উপড়ি’ ধরণের কিছু পাবো। কিন্তু হতাশ হতে হলো।

তারা লিখেছে- বস যতই তিতা হোক মূলত তোমাকে ঠিক হতে হবে!

খুবই ইন্টারেস্টিং! কী কী ঠিক করতে হবে তার মধ্যে লিখেছে- ভালো ঘুম, ব্যয়াম, পুষ্টিকর খাওয়া এবং মানসিক প্রশান্তিতে থাকা। কারণ এগুলো ব্যক্তির দক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।

এটা কোনো কথা হলো! আশায় গুড়ে বালি। ভাবলাম একটু তলিয়ে দেখি এমন পরামর্শ দেয়ার কারণ কী।

হাভার্ড বিজনেস রিভিউ লিখেছে- বসকে মোকাবেলা করতে হলে নিজের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। অতপর সেখানে উন্নতির জন্য লেগে থাকতে হবে।

তারা নাকি গবেষণা করে পেয়েছে, বেতন-বোনাস বৃদ্ধির চাইতে ব্যক্তিগত উন্নতি ওই ব্যক্তির বেশি উপকার করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি সে খুশি থাকে।

ওই আর্টিকেলে বসকে ঠিক করা নিয়ে কিছুই লেখেনি। আরও যা লিখেছে সবই ভুক্তিভোগীর উন্নতি সম্পর্কে।

লিখেছে- কোম্পানিতে আপনার কাজের প্রয়োজন জানতে হবে। এজন্য পুরো কোম্পানি কীভাবে চলে বুঝতে হবে। এসব বুঝতে পারলে বসের কথায় মন খারাপ না করে নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন। কারণ আপনার ভূমিকা মন্থর হলে কোম্পানির কী ক্ষতি হচ্ছে সেটা তখন আপনাকে পেরেশান করবে।

অতপর তারা বলছে- আপনার একজন গুরু থাকতে হবে। যার কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ নিবেন। আপনার ভুলগুলো তিনি ধরিয়ে দিবেন। সমাধানের উপায় বাতলে দিবেন। সেটা অফিসের ভেতর বা বাইরেও হতে পারে।

যাদের সাথে আপনার ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে তাদের সাথে নিয়মিত সময় কাটাতে হবে। এতে মন উৎফুল্ল থাকবে। তারা আপনাকে সাহস দিবে।

অফিস যখন আপনার কাছে তিতা তখন অফিসের বাইরের জীবন আপনাকে উপভোগ করতে হবে। পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়া, সামাজিক বিভিন্ন উপলক্ষ্যে প্রাণবন্ত অংশ নিতে হবে।

যাইহোক, লেখাটি পড়ে বুঝলাম আমরা যা ভাবি তা আসলে সত্য নয়। আমাদের ভাবনা জুড়ে থাকে বসকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হবে। অথচ গবেষণায় দেখা যাচ্ছে নিজের উন্নতির প্রতি মনোযোগ দিলে তাতে ফায়দা বেশি। বসের সাথে সম্পর্কটাও তিতা থেকে মিঠা হয়।




শিশুর ডেঙ্গু হলে কী করণীয়

ডা. সেলিনা সুলতানা: ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী এডিস মশা কামড় দেওয়ার পর সুস্থ শিশুর শরীরে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এর চার থেকে দশ দিনের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়। ডেঙ্গু যেহেতু ভাইরাসজনিত রোগ, তাই এ রোগে জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণত ১০১ থেকে ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হতে পারে। তবে ডেঙ্গু হলেই যে তীব্র জ্বর থাকবে, এমনটা নয়।

ডেঙ্গুর এ জ্বরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. ফেব্রাইলফেজ : শিশুর ডেঙ্গুজ্বর দুই থেকে তিন দিন বা এর চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হলে।

২.অ্যাফেব্রাইল ফেজ : এ সময় শিশুর আর জ্বর থাকে না। সাধারণত এর সময়কাল থাকে দুই-তিন দিন।

৩. কনভালসেন্ট ফেজ : যখন শিশুর শরীরে র‌্যাশ দেখা যায়। এর সময়কাল থাকে চার-পাঁচ দিন। অ্যাফেব্রাইল ফেজে অভিভাবকদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, এ ক্রিটিক্যাল ফেজে শিশুর জ্বর বা শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পর শিশু সংকটপূর্ণ অবস্থায় চলে যেতে পারে। এ সময়ে শিশুর শরীরে প্লাজমা লিকেজ হয় এবং তা শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয়ে থাকে। এ কারণে রোগীর পেট ফুলে যায় বা রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা দেখা দেয়; যার কারণে শিশুর ডেঙ্গু শক সিনড্রোম হতে পারে। তাই জ্বর সেরে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিন শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা প্রয়োজন।

শিশুরা এ সময় স্বাভাবিক চঞ্চলতা ভুলে প্রচুর কান্নাকাটি করে থাকে, নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শিশুর মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়, কিছুই খেতে চায় না, বমি বমি ভাব হয়। ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে শিশুর প্রস্রাব না হওয়া ডেঙ্গুর মারাত্মক লক্ষণগুলোর একটি। শরীরে লালচে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। এছাড়া মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, পেটে ব্যথা হতে পারে। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ লক্ষণগুলো সাধারণত অ্যাফেব্রাইল স্তরে বেশি হয়ে থাকে। পরিস্থিতি গুরুতর হলে, ডেঙ্গুর কারণে শিশুর শকে যাওয়ার অবস্থা হলে তার পেট ফুলে যেতে পারে বা শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে যেমন-রক্তবমি হওয়া, মলের সঙ্গে বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া।

মেডিকেল পরীক্ষায় যদি শিশুর ডেঙ্গু ধরা পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ডেঙ্গু হলেই যে শিশুকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে তা নয়। বাড়িতে রেখে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব। শিশুর মধ্যে গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পেলে চিকিৎসকরাই তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেবেন।

শিশুর মধ্যে ডেঙ্গুর প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকরা রক্তের পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। এগুলো হলো-কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি), ডেঙ্গু এনএস ওয়ান অ্যান্টিজেন, এসজিপিটি ও এসজিওটি। এসব পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হলে প্রতিদিন একবার সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি নাকি অবনতি হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়।

শিশুর শরীরে যদি জ্বর থাকে, তাহলে পানি দিয়ে শরীর বারবার স্পঞ্জ করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শিশুর ডেঙ্গু শনাক্ত হলে বারবার তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শিশুকে পানি ও মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি বেশি পরিমাণে তরল খাবার, বিশেষ করে খাওয়ার স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের শরবত, সুপ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ডেঙ্গুর ধরন ও লক্ষণ বুঝে চিকিৎসকরা শিশুদের প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ওষুধ দিয়ে থাকেন। রক্তচাপ অস্বাভাবিক থাকলে স্যালাইন দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। এক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রয়োজন। শিশুর শরীরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে রক্ত দেওয়ারও প্রয়োজন হতে পারে। শিশুর রক্তে প্লাটিলেট যদি পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজারের নিচে চলে আসে বা রক্তরক্ষণ হয়, তাহলে শিশুকে আইসিইউতে রেখে প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়। সাধারণত চারজন ডোনার থেকে এই প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়। তাই শিশুর শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হলে অন্তত রক্তের গ্রুপ মিলিয়ে কয়েকজন রক্তদাতাকে প্রস্তুত রাখতে হবে। রোগীর পরিস্থিতি গুরুতর হলে রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি বুকের এক্সরে, পেটের আলট্রাসনোগ্রাফি, ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। এছাড়া প্রস্রাব না হলে ক্রিয়াটিনিনের মাত্রাও দেখা হয়।

শিশুদের ফ্লুয়িড ম্যানেজমেন্ট ঠিকমতো না হলে ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেরি হয়ে গেলে রোগীর পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুর মৃত্যুর পেছনে এটা একটা বড় কারণ। জ্বর এলে অভিভাবকরা দেরি করে হাসপাতালে আসছেন। শুরু থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না হওয়ায় রোগীর পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তাই জ্বর হলে শিশুদের অতি দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে এডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে হবে প্রথমে। এডিস মশা সাধারণত গৃহস্থালির পরিষ্কার পানিতে জন্মে থাকে; যেমন-ফ্রিজে জমে থাকা পানি, এসিতে জমে থাকা পানি, ফুলের টব, গাড়ির টায়ার বা ডাবের খোলে বৃষ্টির জমে থাকা পানি। তাই এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিতে পারে এমন স্থানগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো নষ্ট করে ফেলতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুদের দিনে ও রাতে মশারির ভেতরে রাখতে হবে। বিশেষ করে নবজাতক শিশুকে সার্বক্ষণিক মশারির ভেতরে রাখতে হবে। ফুলহাতা জামা ও প্যান্ট পরিয়ে রাখতে হবে। এছাড়া হাসপাতালে কোনো শিশু যদি অন্য রোগের চিকিৎসাও নিতে আসে, তাহলে তাকেও মশারির ভেতরে রাখতে হবে। কারণ ডেঙ্গু আক্রান্ত কাউকে এডিস মশা কামড়ে পরে আবার অন্য কোনো সুস্থ শিশুকে কামড়ালে তার শরীরেও ডেঙ্গুর ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শিশুরা যে সময় বাইরে ছুটোছুটি বা খেলাধুলা করে, সে সময়টাতে তাদের শরীরে মসকুইটো রেপেলেন্ট অর্থাৎ মশা নিরোধীকরণ স্প্রে, ক্রিম বা জেল ব্যবহার করতে হবে। কয়েক ঘণ্টা পরপর এই রেপেলেন্ট প্রয়োগ করতে হবে।

ডা. সেলিনা সুলতানা : কনসালটেন্ট, নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার এবং চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডিয়াট্রিক ডিপার্টমেন্ট, বেটার লাইফ হসপিটাল




বিশ্বে সবচে কম ক্যান্সার রোগী মধ্যপ্রাচ্যে, কেনো? জানতে পড়ুন

বিশ্বে সবচে বেশি ক্যান্সার রোগী অষ্ট্রেলিয়ায়, কম  মধ্যপ্রাচ্যে, Dr. Eric Berg এর ভিডিও অবলম্বনে লিখেছেন মো. লতিফুর রহমান।

ডাক্তার বার্গ পরিসংখ্যান দিলেন, সবচেয়ে বেশি ক্যান্সার আক্রান্তের দেশ অস্ট্রেলিয়া। সেখানে প্রতি লাখে ৪৬৮ ব্যক্তি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়। অন্যদিকে সৌদি আরবে মাত্র ৯৬ জন। অধিকাংশ মধ্যপ্রচ্যের দেশে ১০০ এর আশেপাশে।

এই কমের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানালেন..

০১.
মুসলিম দেশ হওয়ায় তারা বছরে এক মাস রোজা রাখে। রোজায় সারাদিন এক্সটারনাল ফুড না নিলেও শরীরে ঠিকই এনার্জির প্রয়োজন হয়। এসময় কোষগুলো টক্সিক ও ফ্যাট খেয়ে এনার্জির প্রয়োজন মেটায়। এতে সম্ভাব্য ক্যান্সার কোষগুলো খাওয়া হয়ে যায়।

এছাড়া এসময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কিলার টি সেল উৎপাদন বেড়ে যায় যা ক্যান্সার ও অন্যান্য জীবানুর বিরুদ্ধে সরাসরি কাজ করে।

০২.
মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ধুমপায়ীর সংখ্যা কম, বিশেষ করে নারী ধুমপায়ী। সারা পৃথিবীর ২০% মানুষ যেখানে ধুমপায়ী সেখানে এসব দেশে সেটা ৯% এরও কম। কিছু দেশে সেটা ২-৩%। আর ধুমপান ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

০৩.
মুসলিম দেশ হওয়ায় তারা এ্যালকোহল পান করে না। এটাও ক্যান্সারে কম আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
এই কারণগুলো বলে ডাক্তার সাহেব নিজেই ভাবছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা তো আরও কম হওয়ার কথা। কিন্তু কেনো তারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে? ডাক্তার সাহেব উত্তর দিয়েছেন।

কম হলেও যেকারণে তারা ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছে

০১.
তারা অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করে এবং পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুগার খায়।

০২.
রোদে কম বের হবার কারণে তারা ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগে। অথচ ভিটামিন ডি ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগের কী অবস্থা?

প্রথম আলোর ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় দেড় লাখ মানুষ। আর মারা যায় এক লাখের বেশি।