দিনে ৪ হাজার ধাপ হাটঁলেই কমবে মৃত্যু ঝুকিঁ

চন্দ্রদীপ নিউজ ডেস্ক:  শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটার বিকল্প নেই। এতোদিন বলা হতো যদি আপনি দৈনিক ১০ হাজার পদক্ষেপ ফেলতে পারেন তবে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু নতুন একটি গবেষণা বলছে, ফিট এবং সুস্থ থাকতে প্রতিদিন চার হাজার কদম হাঁটাই যথেষ্ট।

ইউরোপীয় জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে দুই হাজার ৩৩৭ ধাপ হাঁটলে কার্ডিওভাসকুলার রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেকে নেমে আসে। এছাড়া দিনে কমপক্ষে তিন হাজার ৯৬৭ কদম হাঁটলে যে কোনো কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি কমতে শুরু করে।

সারাবিশ্বে পরিচালিত ১৭টি গবেষণা থেকে দুই লাখ ২৬ হাজার ৮৮৯ জন অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। এসব গবেষণা বলছে, হাঁটার পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আপনি প্রতি ৫০০ থেকে এক হাজার কদম হাঁটলে যে কোনো রোগ বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে আপনার মৃত্যুর সম্ভাবনা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়।

পোল্যান্ডের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব লজের গবেষক এবং ম্যাকিয়েজ বানাচের নেতৃত্বে পরিচালিত জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধের জন্য সিকারোন সেন্টারের গবেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন। তা দেখেছেন যে মানুষ প্রতিদিন ২০ হাজার কদম হাঁটলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস পায়। অধ্যাপক বানাচ বলেন, গবেষণা থেকে জানতে পেরেছি যে, যত হাঁটবেন তত আপনি ভালো থাকতে পারবেন।

তিনি বলেন, এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমনকি বয়স বা আপনি বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে, যে কোনো অঞ্চলে বা জলবায়ুতেই বসবাস করেন না কেনো এটা সবার জন্য একি। এছাড়া আমাদের বিশ্লেষণ থেকে আমরা এমনটা ইঙ্গিত পেয়েছি যে কোনো কারণে হওয়া মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ থেকে মৃত্যু কমাতে দিনে চার হাজার কদমের মতো হাঁটা প্রয়োজন।

বিভিন্ন তথ্য থেকে এটা দেখা গেছে যে, অলস জীবনযাপন কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং আয়ু কমাতে পারে। সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের সমীক্ষা অনুসারে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়ামের সঙ্গে যুক্ত নয়।

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর যেসব সাধারণ কারণ রয়েছে সে ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের কারণে মৃত্যুকে চতুর্থ স্থানে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। করোনা মহামারির কারণে শারীরিক কার্যকলাপের মাত্রা হ্রাস পেয়েছে এবং এই অবস্থার এখনও কোনো উন্নতি হয়নি।




ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে যাওয়ার আতংক

চন্দ্রদীপ নিউজ ডেস্ক:  ডেঙ্গু জ্বর হলে প্লাটিলেট নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। শুধু যে ডেঙ্গুর কারণেই প্লাটিলেট কমে, তা কিন্তু নয়। নানা কারণেই এটি কমতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, প্লাটিলেট কাউন্ট ৫০ হাজারের নিচে নামলে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

প্লাটিলেট কমলেই যে প্লাটিলেট দিতে হবে, সেটাও ঠিক নয়। প্লাটিলেট দিলেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে, এমনটিও নয়। আবার ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট ঠিক থাকলেই রোগী ভালো, দুশ্চিন্তামুক্ত তা-ও নয়। কেবল রক্তক্ষরণের চিহ্ন দেখা দিলে এবং প্লাটিলেট কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নামলে অথবা রক্তক্ষরণ নেই, কিন্তু প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে নামলে রোগীকে ক্ষেত্রবিশেষে প্লাটিলেট দেওয়া হয়।

প্লাটিলেট পাঁচ হাজারের নিচে নেমে গেলে ব্রেন, কিডনি, হার্টে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে। তবে ডেঙ্গুতে প্লাটিলেট কমে নয়, বরং রোগী মারা যায় ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে। অর্থাৎ ডেঙ্গু ভাইরাসের সৃষ্ট প্রদাহের কারণে রক্তনালিগুলো আক্রান্ত হয়। রক্তনালির গায়ে যে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে, সেগুলো বড় হয়ে যায়। তা দিয়ে রক্তের জলীয় উপাদান বা রক্তরস বের হয়ে আসে। এতে রক্তচাপ কমে যায়।

এই পরিস্থিতিতে রোগীকে পর্যাপ্ত ফ্লুইড বা তরল দিতে হবে। এই তরল মুখে খাওয়ানো বা শিরায় দেওয়া যেতে পারে। তবে খুবই সতর্কতার সঙ্গে ও মেপে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। এ জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা আছে।

মনে রাখতে হবে, প্লাটিলেট কমে যাওয়া কোনো মেডিকেল ইমারজেন্সি নয়। অর্থাৎ প্লাটিলেট কমে যাওয়া মাত্রই রোগী রক্তক্ষরণ হয়ে হঠাৎ মারা যাবে না। প্লাটিলেট কমলে শরীরে একধরনের মাইনর ক্যাপিলারি ব্লিডিং বা ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে।

পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

 

 




কাজের বাইরেও জীবন আছে, সময় থাকতে বোঝেননি বিল গেটস

জীবনে কাজের বাইরেও যে একটি জীবন রয়েছে তা বার্ধক্য আসার আগে বুঝতে পারেননি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন বিল গেটস। সম্প্রতি নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (এনএইউ) এক বক্তৃতায় বিল গেটস বলেছেন, তারুণ্য পেরিয়ে বার্ধক্যে পা রাখার আগ পর্যন্ত তিনি উপলব্ধি করতে পারেননি যে, কাজের বাইরেও মানুষের আলাদা একটা জীবন রয়েছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে লিখেছেন মোহাম্মদ খান

বিপুল অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি মানবসেবা ও দানের জন্যও সমান খ্যাতি রয়েছে বিল গেটসের। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়া এক বক্তৃতায় গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যখন আমি আপনাদের বয়সে ছিলাম, তখন আমি অবকাশ যাপনে বিশ্বাস করতাম না। সপ্তাহান্তে ছুটি নেয়াতে বিশ্বাস করতাম না। আমি আমার আশেপাশের সবাইকে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতাম।’
৬৭ বছর বয়সী এই বিজনেস ম্যাগনেট জানান, মাইক্রোসফটের শুরুর দিনগুলোতে তিনি কর্মজীবনে ভারসাম্য আনার গুরুত্ব বুঝতে পারেননি, তাই কোন কোন কর্মী অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে যাচ্ছে তা নজরে রাখতেন সেসময়।
বিল গেটস বলেন, ‘আমার শিক্ষাটা পেতে যতদিন সময় লেগেছে, তোমাদের যেন এত দীর্ঘ সময় না লাগে। নিজের সম্পর্কগুলোকে যত্ন করার জন্য, সফলতা উদযাপনের জন্য এবং ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্যেও সময় নাও। যখনই প্রয়োজন মনে হবে বিরতি নাও। তোমার আশেপাশের মানুষের যখন এই বিরতি দরকার হবে, তখন তাদের সঙ্গেও স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখো।’



ঘুমকে ‘অলসতা’ ভাবা বিল গেটসের উপলব্ধি ‘খুবই জরুরি’


বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর একজন বিল গেটস। একসময় বিশ্বের শীর্ষ ধনী থাকলেও সম্প্রতি সেই তকমা খুইয়েছেন তিনি। জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কাজের পেছনে ব্যয় করেছেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা, পেয়েছেন সাফল্যও। কিন্তু এত সফলতা পাওয়ার পরও তার জীবনে রয়েছে বেশ কিছু অনুশোচনা।

সম্প্রতি এক পডকাস্টে নিজের অনুশোচনার কথা তুলে ধরে বিল গেটস জানিয়েছেন, আবারও সুযোগ পেলে পরিবারের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতেন তিনি, তার ছেলে-মেয়ে যখন বড় হচ্ছিল; সেসময় তাদের সঙ্গে অবকাশ যাপন করতেন।

কাজের প্রতি নিজের চরম আত্মনিয়োগের বিষয়টি আরও একবার তুলে ধরেন তিনি। কর্মজীবন শুরুর সময় কতটুকু বিশ্রাম নিতেন, জানিয়েছেন সে কথাও।

পডকাস্ট ‘আনকনফিউজ মি উইথ বিল গেটস’- এ তিনি বলেছেন, ‘অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে ঘুম নিয়েও আমি প্রতিযোগিতা করেছি। তবে এই প্রতিযোগিতা ছিল, কতটা কম ঘুমানো যায় তা নিয়ে।’

বিল গেটস জানান, ঘুমিয়ে তিনি আপাতদৃষ্টিতে কতটা সময় ‘নষ্ট’ করেছেন একসময়, সেই হিসাবও রেখেছেন।

বলেন, ‘আমার বয়স যখন ৩০ বা চল্লিশের ঘরে তখন সহকর্মীদের সঙ্গে ঘুম নিয়ে কথা হতো। কে কত ঘণ্টা ঘুমিয়েছে সে বিষয়ে। একবার আমি বললাম, আমি মাত্র ৬ ঘণ্টা ঘুমাই এবং আমার এক সহকর্মী জানালেন, তিনি মাত্র ৫ ঘণ্টা ঘুমান। এরপর আমি ভাবলাম, আমাকে আরও চেষ্টা করতে হবে (কম ঘুমানোর)। কারণ, ঘুম আমার কাছে ছিল অলসতা এবং অপ্রয়োজনীয়।’

তবে এখন নিজের সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছেন এই ধনকুবের। তার মতে, ‘এখন আমরা জানি, মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম হওয়া প্রয়োজন। কারণ পর্যাপ্ত না ঘুমালে আলঝেইমারসহ যেকোনো ধরনের ডিমেনশিয়া হতে পারে। এ থেকে বাঁচতে ঘুম অতি জরুরি।’




চুল উঠে যাচ্ছে? ৫ ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখলে চুল গজাবে দ্রুত

টাক পড়ে যাওয়া আটকাতে অনেকেই নানা রকম চেষ্টা করে থাকেন। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকায় ভরসা রাখলে উপকার পেতে পারেন।

মানসিক উদ্বেগ, দৈনন্দিন জীবনের অনিয়ম, পর্যাপ্ত খাওয়াদাওয়া না করা, সঠিক যত্নের অভাব— এমন বেশ কিছু কারণ চুল ঝরার নেপথ্যে থাকে। অনেকেই টাক পড়ে যাওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন। তবে টাক পড়ে যাওয়ার কারণ যা-ই হোক, তা নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না। বরং কোন টোটকায় চুল গজাবে, তা ভাবা জরুরি। টাক পড়ে যাওয়া আটকাতে অনেকেই নানা রকম চেষ্টা করে থাকেন। বাজারে চলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকায় ভরসা রাখলে উপকার পেতে পারেন।

তেল মালিশ: চুলহীন মাথায় তেল মালিশ করা নিয়ে অনেকেরই অস্বস্তি হতে পারে। তবে অস্বস্তি কাটিয়ে যদি নিয়মিত মাথায় তেল মালিশ করা যায়, তা হলে কিন্তু টাক মাথায় চুল গজাতে বেশি দিন লাগবে না।

অ‍্যালোভেরা: ত্বকের যত্নে অ্যালো ভেরার উপকারিতা কমবেশি সকলেরই জানা। কিন্তু টাক পড়ে যাওয়ার সমস্যা রুখতেও যে অ্যালো ভেরার ভূমিকা রয়েছে, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। পাতা থেকে জেল বার করে মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। ঘণ্টাখানেক পরে ধুয়ে নিন। উপকার পাবেন।

ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসি়ড:  সব চুলে উঠে গিয়ে একেবারে টাক পড়ে যাক, তা না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড। ক্যাপসুল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে চুল ধীরে ধীরে গজাতে শুরু করবে।

পেঁয়াজের রস:  চুল ঝরা বন্ধ করতে পেঁয়াজের রস ফলদায়ক। অনেকেই ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। তাই টাক পড়ে যাওয়ার আগের পরিস্থিতিতে ভরসা রাখতে পারেন পেঁয়াজের রসের উপর।

পাতিলেবু:  নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি মাথায় মেখে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। অল্প কয়েক বার ব্যবহার করে ছেড়ে দিলে চলবে না। ধৈর্য ধরে ব্যবহার করুন। উপকার পাবেন।




শরিয়তের দৃষ্টিতে পায়খানা-প্রসাবের (এসতেনজার) আদব ও সুন্নত

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। বিশেষ করে পায়খানা ‍ও প্রসাবের পরে পবিত্রতা অর্জনের জন্য ইসলামে বিশেষ তাগিদ দেয়া হয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, মিরাজের সময়ে আল্লাহতায়ালা তাকে যখন জাহান্নাম দেখিয়েছেন, তখন তিনি দেখেছেন পুরুষের মধ্যে যারা জাহান্নামী তাদের বেশিরভাগ পায়খানা-প্রসাবের পর ভালোভাবে পবিত্র হয়নি। ধর্ম ও জীবন এই পর্বে এ সম্পর্কে লিখেছেন মাওলানা মানজুরুল হক, মুহতামিম, বাইতুল ফালাহ মাদরাসা  ও এতিমখানা,  আফতাব নগর, বাড্ডা, ঢাকা।

এসতেনজার আদব ও সুন্নতসমূহ:

১. এস্তেনজাখানায় প্রবেশের আগে বিসমিল্লাহ বলা

২. খালি পায়ে প্রবেশ না করা। প্রথমে ডান পায়ে জুতা পরা ( সহিহ বুখারী : ১৬৮, বাইহাকী: ৪৫৯)

৩. এস্তেনজাখানায় প্রবেশর পূর্বে এই দোয়া পড়া-বিসমিল্লাহী আল্লাহুম্মা ইন্নি আওজুবিকা মিনাল খুবসি অল খাবায়েস (সহিহ বুখারী ১৪২, ইবনে মাজাহ: ২৯৭, মুসান্নাফে আবি শাইব: (ভুলে গেলে প্রবেশের অথবা কাপড়  উঠানোর পর মনে মনে দোয়া পড়া / মুখে উচ্চারণ  না করা)

৪. এস্তেনজাখানায় প্রথমে বাম পা দিয়ে প্রবেশ করা (সহিহ বুখারী: ১৬৮, আবু দাউদ ৩২)

৫. এস্তেনজাখানায় বসার সময় প্রথমে ডান পা দিয়া পাদানিতে বসা এবং নামার সময় প্রথমে বাম পা দিয়ে নামা (আবু দাউদ: ৩২)

৬. বাম পায়ে ভর দিয়ে এস্তেনজা করা (ত্বাবারানি কবীর: ৬৪৭৬, বাইহাকী: ৪৬২)

৭. কেবলার দিকে মুখ ও পিঠ করে না বসা (বুখারী: ১৪৪, মুসলিম: ২৬৪)

৮. এস্তেনজাখানা হতে বের হ ওয়ার সময় প্রথমে ডান পা দিয়ে বের হয়ে এই দোয়া পরা -গোফরানাকা আলহামদুলিল্লা হীললাযি আযহাবা আন্নি আল আযা অ আফানি (আবুদাউদ: ৩২ ইবনে মাজাহ: ৩০০ ও ৩০১)

৯. কবরস্থান,মানুষ চলাচলের রাস্তার পাশে, গোসল খানায়, ছায়াদার ও ফলদার গাছের নিচে পেশাব-পায়খানা করা মাকরুহে তাহরিমি (সহিহ মুসলিম: ২৫৯, আবুদাউদ ২৭,মুজামুল আওসাত: ২৩৯২)

১০. বেজোড় সংখ‍্যায় ঢিলা ব‍্যবহার করা (বুখারী: ১৬১ ও মুসলিম ২৩৭)




কেনো এত ক্ষুধা লাগে? নিয়ন্ত্রণে করণীয়

পরিমিত খাওয়া দরকার আমরা সবাই বুঝি। কিন্তু ঘন ঘন ক্ষুধা লাগে। ফলে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এখন নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?

ক্ষুধা লাগলে অবশ্যই খেতে হবে। ক্ষুধার্ত অবস্থায় না খেয়ে থাকা যাবে না। তবে এই ছয়টি কারণ জানলে অকারণ ক্ষুধা লাগা বন্ধ হবে ইনশাআল্লাহ।

১. পিপাসার জন্য ক্ষুধা

আমরা দুইটা বাজে অভ্যাস করে ফেলেছি। এক- পানি কম খাই, দুই- পানিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি কম খাই। উল্টো যেসব ফাস্টফুড খাই তাতে পানি থাকে না বললেই চলে। তাই শরীরে পানির অভাব দেখা দিলেই ক্ষুধা লাগে, যাতে শরীর একটু পানি পায়।

সমাধান- পর্যাপ্ত পানি পান করলে অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা লাগবে না।

২. পুষ্টির অভাবে ক্ষুধা

যেহেতু পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি কম খাই তাই শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। শরীর তো পুষ্টি তৈরি করতে পারে না। শরীরে পুষ্টির উৎস হচ্ছে খাবার। তাই ক্ষুধা লাগে। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার না খেয়ে যদি চকলেট, চিপস, আইসক্রিম, বিরিয়ানি ইত্যাদি খাই তাহলে পুষ্টির অভাব থেকেই গেল।

সমাধান- খাবার তালিকায় পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল ও সবজি রাখলে বারে বারে ক্ষুধা লাগবে না।

৩. বৈচিত্র্যের অভাবে ক্ষুধা

জীবনটাকে বড়ই একঘেয়ে করে ফেলেছি। ডেইলি একই রুটিন। অথচ মানুষের মন বৈচিত্র্য তালাশ করে। কিন্তু পায় না। এজন্য ঘুরে ফিরে ক্ষুধা লাগে। খাবার খেয়ে একঘেয়েমি দূর করার চেষ্টা করি। অফিসে চা-কফি মূলত একঘেয়েমি দূর করে।

সমাধান- একঘেয়েমি দূর করার অন্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যেমন- গল্প করা, একটু হেঁটে আসা, টিভি দেখা, পত্রিকা পড়া, মোবাইলে পরিবারের সাথে কথা বলা ইত্যাদি।

৪. শরীরে সুগার কমে যাওয়ার ক্ষুধা

আমরা সুগার বার্ন করে চলি। শরীরে প্রচুর চর্বি থাকলেও চর্বি বার্ন করে চলা শরীরকে শেখাইনি। ফলে সুগার কমে গেলেই ক্ষুধা লাগে।

সমাধান- প্রতিদিন যে সময়ে ক্ষুধা লাগে তার ৩০ মিনিট আগে হালকা ব্যায়াম করতে হবে। এতে কিছু দিনের মধ্যে ক্ষুধা কমে আসবে। চর্বি বার্ন করতে মূলত দুইটা জিনিস দরকার হয়। এক হচ্ছে- ব্যায়াম, দুই হচ্ছে- সুগার ফ্রি খাওয়া। এই দুইটার সমন্বয়ে চর্বি বার্ন হওয়া শুরু হয়।

সুগার ফ্রি মানে চিনি ছাড়া চা-কফি খেতে হবে। কেউ কেউ জিরো-ক্যাল খেয়ে থাকেন। এটা আরও ক্ষতিকর। শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৫. খালি পেটের ক্ষুধা

পেট খালি থাকলেই আমরা খেতে চাই। আমাদের পাকস্থলি আমাদের প্রত্যেকের মুষ্টিবদ্ধ কবজির সমান। কিন্তু পাকস্থলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এটা বেলুনের মতো ফুলতে পারে। অতিরিক্ত খেতে খেতে আমাদের পাকস্থলির আকার বড় হয়েগেছে।

সমাধান- পেট খালি থাকা আর ক্ষুধা লাগা দুটো ভিন্ন বিষয়। মূলত ক্ষুধা লাগলে খেতে হবে।

৬. আবেগের ক্ষুধা

মন খারাপ থাকলে আমরা আইসক্রিম, চা-কফি, ফাস্টফুড খেয়ে থাকি। আবার মন ভালো থাকলেও এগুলো খাই। এটা আমাদের কালচারে মিশে গেছে।

ফলে যেকোনো সেলিব্রেশনে খাওয়াটাই আমাদের কাছে মূখ্য। দাওয়াতে গেলে, ভালো রেজাল্ট করলে মিষ্টি নিতেই হবে। ঘুরতে গেলে আমাদের প্রধান আগ্রহ থাকে কী খাবো। সবাই মিলে বেড়ানো, গল্প করা, খেলাধুলা করা, প্রকৃতি দেখা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা সেলিব্রেশন করতে পারি না।

সামধান- বেড়াতে গিয়ে অবশ্যই আমরা কিছু খাবো। তবে সেলিব্রেশনের অন্য উপায়ে ফোকাস করতে হবে। যেমন- প্রকৃতি দেখা, ঘুরাঘুরির মজা, এডভেঞ্জার ইত্যাদি।

ব্যবসায়ী Eric Edmeades এর লেকচার অবলম্বনে ফিচারটি  লিখেছেন লতিফুর রহমান। এরিকের Wildfit নামেস্বাস্থ্যবিষয়ক কোর্স রয়েছে।




ঠাণ্ডা-কাশির জন্য ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই

ঠাণ্ডা-কাশির জন্য ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। আছে ঘরোয়া চিকিৎসা। ঠাণ্ডা দূর করার ক্ষেত্রে জাফরান খুবই উপকারি।

জাফরান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা। এই মসলা বেশির ভাগ আমদানি করা হয় ইরান থেকে।

ঠাণ্ডা সমস্যায় খেতে পারেন জাফরান চা। এই চায়ের ব্যবহারের উপায় জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

আসুন জেনেই কীভাবে তৈরি করবেন জাফরান চা।

জাফরান চা

সামান্য পরিমাণ জাফরান, লবঙ্গ, দারুচিনি পানিতে ভিজিয়ে রেখে এর মধ্যে এলাচ মিশিয়ে চা তৈরি করুন। এই চা শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।




৬ মাসে আপনার জীবন বদলে দেবে এই ৬ অভ্যাস, এখনই জেনে নিন

পৃথিবী প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে চলতে পারছে দিনশেষে সেই হাসে বিজয়ীর হাসি। কিছু পরিবর্তন আনন্দের পাশাপাশি জীবনে ভারসাম্য আনে। এমন একটি জীবন সবাই চায় যেখানে ইতিবাচকতা, উৎপাদনশীলতা এবং সুস্থতা বজায় থাকে। কিছু সহজ ও সাধারণ অভ্যাস আপনাকে এমন জীবন দিতে পারে। এমন ৬টি অভ্যাস রয়েছে যা ধারণ করতে পারলে মাত্র ৬ মাসেই আপনার জীবন বদলে যাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা

ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার নিয়ম করুন। সকালে আপনার দিনটি সতেজভাবে শুরু করুন এবং বাকি দিনটিকে ফলপ্রসূ করুন। এই অভ্যাস আপনাকে পরিকল্পনা, ওয়ার্কআউট, পড়া ইত্যাদির জন্য আরও সময় দেবে।ঘুমের সময়সূচী ঠিক করুন। শরীর এবং মনকে রিচার্জ করার জন্য প্রতি রাতে পর্যাপ্ত ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন। সামঞ্জস্যপূর্ণ ঘুমের সময়সূচী শরীরের ফাংশন এবং মেজাজ উন্নত করে। তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন এবং বাকি দিনের জন্য পরিকল্পনা সাজান।

৩০ মিনিটের জন্য কোনো অনলাইন স্কিল শিখুন

প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার অভ্যাস করুন। অনলাইন কোর্স নিন এবং আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা প্রসারিত করুন। অনলাইনে নতুন কোনো স্কিল শিখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় দিন। এই নতুন দক্ষতা আপনাকে পেশাগত এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং বা ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি শিখতে পারেন।

বাইরে হাঁটুন

প্রকৃতি মাঝে হাঁটা একটি বিস্ময়কর অভ্যাস যা আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অনেক উপকারী। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে তা আপনার জীবনে শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে, উদ্বেগ কমাতে পারে এবং আপনার সামগ্রিক মেজাজকে উন্নত করে তুলতে পারে। প্রতিদিন এভাবে ৩০ মিনিট হাঁটলে তা আপনার জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে।

ডায়েরি লিখুন

এটি হলো আরেকটি জীবন পরিবর্তনের অভ্যাস যা অবশ্যই আপনার জীবনে যোগ করা উচিত। এই অভ্যাস জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোর প্রতি ফোকাস করে, যার ফলে সুখ বৃদ্ধি পায়। ঘুমানোর আগে লিখলে আপনার ঘুমের মান উন্নত হবে। আপনি আপনার চিন্তাভাবনা, যে জিনিসগুলোর জন্য আপনি কৃতজ্ঞ, আপনার লক্ষ্য ইত্যাদি লিখতে পারেন। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর আশ্চর্যজনক প্রভাব ফেলবে।

প্রতিদিন ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন

আপনার মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা ব্যায়াম করুন। সেজন্য জিমে যোগদান করা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি বাড়িতে ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়ামের বিকল্প হিসেবে সাঁতার কিংবা দৌড়ের মতো অভ্যাসও বেছে নিতে পারেন। এটি আপনাকে ফিট এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে।

দিনে অন্তত ১০ পৃষ্ঠা পড়ুন

পড়া আমাদের মনের জন্য সেরা ব্যায়াম। পড়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই সচেতন। তবে আমাদের অনেকেরই পড়ার জন্য কোনো সময় থাকে না। তাই প্রতিদিন অন্তত ১০ পৃষ্ঠা পড়া দিয়ে শুরু করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। পড়ার অভ্যাস আপনার মনকে শক্তিশালী করবে।




৫ অভ্যাস বাড়ায় কঠিন রোগের ঝুঁকি

দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিক অনিয়ম কানুন মেনে চলার ওপর মানুষের সুস্থতা অনেকটা নির্ভর করে। শরীরের প্রতি অযত্ন থেকেই জন্ম নেয় রোগবালাই। তাই সুস্থ থাকতে কয়েকটি নিয়মে জীবনকে বাঁধা জরুরি। ব্যস্ততম জীবনে সব নিয়ম সব সময় মানা সম্ভব হয় না। তবে একেবারে সাধারণ কিছু অভ্যাসে নিজেকে অভ্যস্ত না করালে বিপদ হতে পারে।

যে অভ্যাসগুলো মারাত্মক কিছু রোগ ডেকে আনতে পারে?

পানি কম খাওয়া

কাজের চাপে পানি খাওয়ার কথা মনেই থাকে না অনেকেরই। কিছুক্ষণ অন্তর পানি খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে পানি খাচ্ছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। সুস্থ থাকতে পানি খাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পানির অভাবে কঠিন রোগ হওয়ারও ঝুঁকি থেকে যায়। নিজেকে সুস্থ রাখতে তাই বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কম ঘুমানো

নিজেকে সুস্থ রাখার আরও একটি ধাপ হলো বেশি করে ঘুমানো। দৌড়ঝাঁপের জীবনে ঘুমই সবচেয়ে কম হয়। কাজের চাপ তো আছেই, সেই সঙ্গে মানসিক অস্থিরতাও ঘুম কম হওয়ার কারণ। দীর্ঘ দিন ধরে ঘুমের ঘাটতি অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তচাপের মাত্রা ঠিক রাখা, সবই সম্ভব যদি ঘুম ঠিকঠাক হয়।

রাত করে খাবার খাওয়া

সুস্থ থাকতে চিকিৎসকেরা রাত আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে বলেন। এতে হজমও ভালো হয়। গ্যাস-অম্বলের কোনো ভয় থাকে না। তাড়াতাড়ি খেয়ে নিতে পারলে তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সবার পক্ষে তা সম্ভব হয় না। অনেকেরই বাড়ি ফিরতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। রাতের খাবার খেতেও আরও বিলম্ব হয়। রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে তাই ভেতরে ভেতরে অসুস্থ হয়ে পড়ে শরীর।

শরীরচর্চা না করা

নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসনের উপকারিতা বহু। সারা দিনে অন্তত যদি ১০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, তা হলেও সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকেরই শরীরচর্চার সঙ্গে একেবারে কোনো সম্পর্ক নেই। জিমে যাওয়া তো দূরের বিষয়, হাঁটাচলাও করেন না অনেকে। শরীরচর্চা না করার ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগবালাই।

বাইরের খাবার খাওয়া

আট থেকে আশি, বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক কমবেশি সবারই আছে। প্রতিনিয়ত এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে জমা হচ্ছে ফ্যাট। বাড়ছে ওজন। স্থূলতার হাত ধরেই জন্ম নিচ্ছে কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো নানা রোগ।