শীতের কাপড় ব্যবহারের আগে যা করবেন

দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই শীতের অনুভূতি শুরু হচ্ছে। এখনই সময় আলমারি বা বাক্সে রাখা গরম কাপড় বের করার। তবে দীর্ঘদিন ধরে রাখা জামাকাপড় ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করার কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

দীর্ঘ সময় বাক্সে রাখা কাপড়ে ধুলা এবং ভ্যাপসা গন্ধ জমে যায়। এসব দূর করতে উলের তৈরি সোয়েটার, মাফলার বা শীতের পোশাক একবার ধুয়ে নেওয়া উচিত। তবে উলের পোশাক ধোয়ার সময় অন্য পোশাকের সঙ্গে মেশাবেন না। শুকানোর সময় চড়া রোদে না দিয়ে হালকা ছায়ায় শুকানো ভালো, নইলে পোশাকের রং মলিন হয়ে যেতে পারে।

বাক্সবন্দি কাঁথা ব্যবহারের আগে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কাঁথা ধোয়ার আগে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। পরে ধুয়ে শুকানোর জন্য কড়া রোদে দিন।

লেপ বা কম্বলও পরিষ্কার রাখতে রোদে মেলে দেওয়া প্রয়োজন। তুলার লেপ বা কাঁথার ক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার কভার বদলে পরিষ্কার করুন। যদি কম্বল তুলার না হয়, তাহলে শ্যাম্পু মিশ্রিত পানিতে ধুয়ে নিলে তা নরম এবং পরিষ্কার থাকবে।

শীতের পোশাক ব্যবহারের আগে এসব নিয়ম মেনে চললে কাপড় দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং স্বাস্থ্যকর থাকবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতের দিনে ত্বক সুস্থ রাখতে যা করবেন

শীতের আগমন মানেই ত্বকে শুষ্কতা, ফাটা ও চুলকানির মতো সমস্যা বাড়ে। শীতের বাতাসে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে যেসব সমস্যা দেখা দেয়, সেগুলোর সমাধান করতে প্রয়োজন সঠিক যত্ন। শীতের এই সময়টাতে ত্বক ভালো রাখতে কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক ত্বক শুষ্কতা কমাতে কীভাবে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনবেন।

১. পানি বেশি পান করুন
শীতের সময়ে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে এবং শুষ্কতা কমে যাবে।

২. তরল খাবার খান
শীতকালে ত্বক আর্দ্র রাখতে ডায়েটে তরল খাবারের পরিমাণ বাড়ান। ডাব, দুধ, ফলের রস, স্যুপ ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখলে ত্বক থাকবে মোলায়েম ও সুস্থ।

৩. সঠিক সাবান ও বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন
তবে বাইরে বের হওয়ার সময় ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো।

৪. গোসলের পর ত্বক মসৃণ রাখুন
গোসলের পানিতে গ্লিসারিন এবং গোলাপজল মেশান। গোসলের পর ভেজা ত্বকে নারিকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। এতে ত্বক শুষ্ক হবে না বরং আরও মসৃণ ও জেল্লাদার হয়ে উঠবে।

শীতকালে ত্বক সুস্থ রাখতে সহজ কিছু অভ্যাস পরিবর্তনই যথেষ্ট। প্রতিদিনের রুটিনে এই পরিবর্তনগুলো আনলে ত্বক থাকবে কোমল, সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ভিটামিনের অভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি: জেনে নিন প্রয়োজনীয় তথ্য

ভিটামিন আমাদের শরীরের সুষ্ঠু কার্যক্রম বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোষের বৃদ্ধি, জিনের কার্যক্ষমতা, বিপাক এবং ইমিউন সিস্টেমে ভিটামিনের ভূমিকা অপরিহার্য। তবে ভিটামিনের ঘাটতি ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিনযুক্ত খাবার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। নিচে বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ভিটামিন সি-এর অভাব
ভিটামিন সি, যা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড নামে পরিচিত, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ক্ষত নিরাময়, কোলাজেন গঠন এবং ইমিউন প্রতিক্রিয়ায় সাহায্য করে। ভিটামিন সি-এর ঘাটতি খাদ্যনালী, পাকস্থলী এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে বলে গবেষণায় জানা গেছে।

ভিটামিন এ-এর অভাব
ফ্যাট-দ্রবণীয় এই ভিটামিনটি সেলুলার বিকাশ, দৃষ্টিশক্তি এবং ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ-এর অভাব কোষের বিকাশে সমস্যা তৈরি করে এবং পাকস্থলী, ফুসফুস ও খাদ্যনালীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়।

ভিটামিন ডি-এর অভাব
চর্বি-দ্রবণীয় এই ভিটামিনটি ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি স্তন, প্রোস্টেট, কোলোরেক্টাল এবং অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষত সূর্যালোকের অভাব থাকা অঞ্চলে এই ঘাটতি বেশি দেখা যায়।

সেলেনিয়ামের অভাব
একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান সেলেনিয়াম, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। সেলেনিয়ামের অভাবে ত্বক, ফুসফুস, প্রোস্টেট এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এবং সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



আত্মহত্যার ঝুঁকিতে প্রিয়জন? করণীয় জানালেন সাইকোলজিস্ট

বর্তমান যুগের প্রতিযোগিতামূলক জীবনে মানুষের মানসিক চাপ ও হতাশা ক্রমশ বাড়ছে। এর ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি আঁচল ফাউন্ডেশনের গবেষণায় জানা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন, যেখানে নারী শিক্ষার্থীদের হার (৬০.২%) পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না যে আমাদের প্রিয়জন হতাশার মধ্যে আছেন কিনা। তাই তাদের এই অবস্থা থেকে কীভাবে বের করে আনা যায় তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে চ্যানেল 24 অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন সাইকোলজিস্ট সূরাইয়া ইসলাম মুন্নি।

আত্মহত্যার পূর্ব লক্ষণসমূহ:

আপনার পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুর মধ্যে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে:

সবসময় মনমরা হয়ে থাকা এবং আত্মহত্যার ইচ্ছা প্রকাশ করা।

মৃত্যু নিয়ে লেখা কবিতা, চিঠি বা ব্যক্তিগত নোট।

ইন্টারনেটে আত্মহত্যার পদ্ধতি খোঁজা বা এর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ।

জীবনে কোনো আশা নেই বা বেঁচে থাকার কোনো কারণ নেই বলে বারবার বলা।

মাদকের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া।

আচরণে হঠাৎ করেই উদ্বিগ্নতা বা উত্তেজনা, বেপরোয়া আচরণ।

স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজগুলো করতে না পারা।

একাকিত্ব অনুভব করা এবং অন্যদের থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া।

আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিলে করণীয়:

১. আপনার কাছের মানুষটির আচরণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তা তাকে জানান। তার কথা কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়া শুনুন।

২. শান্ত পরিবেশে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন, “তুমি কি আত্মহত্যার চিন্তা করছো?” যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তাকে সহানুভূতির সাথে বুঝান।

৩. তাকে কখনো একা রেখে কোথাও যাবেন না। তার নিরাপত্তার জন্য সর্বদা পাশে থাকুন।

৪. এমন কিছু বলবেন না যাতে তার অপরাধবোধ বাড়ে। যেমন, “তুমি মারা গেলে সবাই বিপদে পড়বে” বা “জাহান্নামে যাবে” ইত্যাদি কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

৫. শান্ত থেকে মনোযোগ সহকারে তার কথা শুনুন। তাকে দোষারোপ করা যাবে না।

৬. কাউকে প্রতিশ্রুতি দেবেন না যে তার আত্মহত্যার কথা গোপন রাখবেন।

৭. বিশেষজ্ঞ সাইকোলজিস্টের পরামর্শ নিন। পেশাদার কাউন্সেলিং সেবা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

আপনার প্রিয়জনের মধ্যে যদি এ ধরনের লক্ষণ দেখতে পান, তবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সচেতনতা এবং সহানুভূতি দিয়ে আপনি একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন: চোখের সুস্থতা রক্ষার ৩ কারণ

অনেক সময় আমরা অজান্তেই চোখ ঘষি, যা চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। চোখের চুলকানি, শুষ্কতা বা ক্লান্তি অনুভব করলে এই অভ্যাসটি স্বাভাবিক মনে হলেও এটি দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন চোখ ঘষা থেকে দূরে থাকা উচিত।

১. জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি

আমাদের হাত সারাদিনে বিভিন্ন ধরনের বস্তুর সংস্পর্শে আসে, ফলে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া সংগ্রহ করে। চোখ ঘষলে এই জীবাণুগুলো সহজেই চোখে প্রবেশ করতে পারে। ইউটা ইউনিভার্সিটি থেকে জানা যায়, হাত না ধুয়ে চোখ স্পর্শ করার ফলে কনজেক্টিভাইটিস বা ‘পিংক আই’ এর মতো সংক্রমণ হতে পারে, যা চোখে লালভাব, জ্বালা এবং পানি পড়ার কারণ হতে পারে। চোখে হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

২. অ্যালার্জি ও চোখের জ্বালা বৃদ্ধি

চোখ ঘষার ফলে চোখের চারপাশের নরম টিস্যুতে চাপ পড়ে, যা অ্যালার্জি এবং শুষ্কতার লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দেয়। হিস্টামাইন নামক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়, যা চোখকে চুলকানি ও লাল করে তোলে। বিশেষ করে যাদের মৌসুমী অ্যালার্জি বা চোখের শুষ্কতা রয়েছে, তাদের জন্য এটি আরও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে চোখে শীতল, ভেজা কাপড় ব্যবহার করতে পারেন, অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

৩. কেরাটোকোনাস হওয়ার ঝুঁকি

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অফথালমোলজির একটি গবেষণা অনুসারে, অতিরিক্ত চোখ ঘষার অভ্যাস কর্নিয়ার গঠন পরিবর্তন করতে পারে, যা কেরাটোকোনাস রোগের দিকে নিয়ে যেতে পারে। কর্নিয়া দুর্বল ও পাতলা হয়ে যায়, ফলে আকারে বিকৃত হয়। এর ফলে চোখে ঝাপসা দেখা, আলোর সংবেদনশীলতা এবং এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। তাই চোখের কোনো অস্বস্তি অনুভব করলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া সমাধান

সাইনাসের সমস্যা যারা ভোগেন, তাদের জন্য এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা ও চোখের জ্বালা—এসব সমস্যা সাইনাস রোগীদের জন্য খুবই কষ্টকর।

সাইনাস দুই প্রকারের হতে পারে: তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী। দীর্ঘস্থায়ী সাইনোসাইটিসে সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। তবে তীব্র সাইনোসাইটিসের জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে চললে দ্রুত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সাইনাসের কারণ ও লক্ষণ

সাইনাস সংক্রমণ সাধারণত ডাস্ট অ্যালার্জি, কেমিক্যাল, ধোঁয়া ইত্যাদি কারণে হতে পারে। এটি দীর্ঘস্থায়ী হলে মাথাব্যথা, মুখে ব্যথা, সাইনাসে চাপ, কান ও দাঁতে ব্যথা, জ্বর, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, ফোলাভাব ও কাশি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

কিছু খাবার আছে যা সাইনাসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেমন:

ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম

তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার

এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো সাইনাসের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

সাইনাসের ব্যথা থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

আপনি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সাইনাসের সমস্যার সমাধান করতে পারেন। নিচে কিছু কার্যকরী সমাধান দেওয়া হলো:

1. পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
শরীর সুস্থ রাখতে বেশি পরিমাণে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে, পাশাপাশি শ্লেষ্মা পাতলা করে, যা সাইনাসের ব্যথা কমাতে সহায়ক।

2. গরম ভাঁপ নিন:
সাইনাসের ব্যথা কমাতে গরম ভাঁপ নেওয়া খুবই উপকারী। পানিতে পুদিনা পাতা মিশিয়ে বাষ্প গ্রহণ করলে নাকের বন্ধ ভাব কমবে এবং চোখের জ্বালা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

3. গরম স্যুপ পান করুন:
ঠান্ডা বা মাথাব্যথা কমাতে এক বাটি গরম স্যুপ খেতে পারেন। এটি আপনার শ্লেষ্মা পাতলা করবে এবং প্রশান্তি দেবে।

4. নাক পরিষ্কার রাখুন:
নিয়মিত নাক পরিষ্কার করা সাইনাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। গরম পানির ভাঁপ গ্রহণের মাধ্যমে নাকের ব্যাকটেরিয়া দূর করা সম্ভব।

5. আপেল সিডার ভিনেগার পান করুন:
আপেল সিডার ভিনেগার সাইনাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এক গ্লাস গরম পানিতে ১-২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলে ব্যথা কমবে।

6. ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন:
ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাজর, পালং শাক ইত্যাদি রাখুন।

এসব ঘরোয়া উপায় মেনে চললে সাইনাসের ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব। তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস: কেন ত্যাগ করবেন এখনই?

দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। যদিও এটি সাধারণ একটি কাজ বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এর রয়েছে নানা ক্ষতিকর দিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে শুধু নখের ক্ষতি হয় না, পাশাপাশি দাঁতের স্বাস্থ্যেরও মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার কিছু বড় ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব।

দাঁত দিয়ে নখ কাটার ক্ষতিকর দিকসমূহ

১. নখের গঠন দুর্বল হওয়া: দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে নখের স্বাভাবিক গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে নখ সহজেই ভেঙে যেতে পারে। এর পাশাপাশি নখের শেপ বা আকৃতিও বিকৃত হতে পারে, যার কারণে নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধিও ব্যাহত হয়।

২. কিউটিকেল ও আশপাশের চামড়ার ক্ষতি: দাঁত দিয়ে নখ কাটার সময় কিউটিকেল বা নখের আশপাশের নরম চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নখের চারপাশে সংক্রমণ ও ক্ষতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৩. দাঁতের ক্ষতি: শুধুমাত্র নখই নয়, দাঁত দিয়েও ক্ষতি হতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ কাটার সময় দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে দাঁতে ব্যথা ও দাঁতের মাড়িতে আঘাত লাগতে পারে।

৪. বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি: নখের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নোংরা ও ব্যাকটেরিয়া দাঁত দিয়ে কেটে মুখে প্রবেশ করে। এর ফলে পেটের সমস্যা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৫. ফাঙ্গাল ইনফেকশন: যারা দীর্ঘদিন ধরে দাঁত দিয়ে নখ কাটেন, তাদের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সংক্রমণ নখের সঠিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে।

৬. ঠোঁট ও মুখের আঘাত: দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে নখের আঘাতে ঠোঁট, চোয়াল বা মুখের ভেতরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে মুখের ভিতরের নরম টিস্যুতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

৭. দাঁতের আশপাশের টিস্যুর ক্ষতি: দাঁত দিয়ে নখ কাটার সময় শুধু দাঁতেরই নয়, নখের আশপাশের নরম টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে মুখের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

কিভাবে এই অভ্যাস ত্যাগ করবেন?

এই বদভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েকটি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- নিয়মিত নখ কেটে রাখা, তেতো নেলপলিশ ব্যবহার করা, নখ কাটার সময় হাতে ব্যস্ত রাখা ইত্যাদি। এতে ধীরে ধীরে এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




মুখের কোণে ঘা হলে কীভাবে দ্রুত সেরে উঠবেন: ঘরোয়া উপায়

মুখের কোণে ঘা হলে খাওয়া, কথা বলা এবং হাসা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এই ঘা সাধারণত মানসিক চাপ, ছোটখাটো আঘাত বা কিছু খাবারের কারণে হয়। যদিও এটি সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, তবে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার এই প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করতে এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, মুখের কোণে ঘা হলে তা দূর করার কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায়-

নারিকেল দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
নারিকেল দুধ শুধু খাবারের উপাদান নয়, এটি মুখের ঘা সেরে উঠাতে অদ্ভুতভাবে কার্যকরী। ফাইটোথেরাপি রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নারিকেল দুধের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য মুখের আলসারের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এর শীতল প্রভাব আক্রান্ত স্থানকে প্রশমিত করতে সহায়তা করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
পানির সঙ্গে গ্রেট করা নারিকেল ব্লেন্ড করে এবং ছেঁকে নারিকেলের দুধ বের করুন। দিনে ২-৩ বার, ৩০ সেকেন্ডের জন্য আপনার মুখের চারপাশে দুধটি লাগান।

মধু ও হলুদের মিশ্রণ
মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, এবং হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক যৌগ থাকে যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এই দুটি উপাদান মিশিয়ে মুখের ঘা দূর করা যায় দ্রুত।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
১ চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আক্রান্ত স্থানে এই পেস্টটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা তার ত্বক নিরাময়ের জন্য সুপরিচিত, এবং মুখের ঘা বা আলসারের ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা কম নয়। এটি প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন:
একটি তাজা অ্যালোভেরার পাতা কেটে জেল বের করে নিন এবং একটি পরিষ্কার তুলো দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। দ্রুত ফলাফলের জন্য দিনে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




গোপনে ব্রেইনের ক্ষতি করে যে অভ্যাস

আমরা প্রায়ই শারীরিক সুস্থতার দিকে মনোযোগী থাকলেও, কিছু দৈনন্দিন অভ্যাস মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে গোপনে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। ফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো, প্রয়োজনীয় পুষ্টি না নেওয়া, এবং কিছু সহজ অভ্যাস যা স্বাভাবিক মনে হয়, তা আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং সুস্থতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু অভ্যাস যেগুলো ব্রেইনের স্বাস্থ্যকে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে, আসুন জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে।

ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার
আমাদের দিনকে ফোন ছাড়া কল্পনা করাও যেন অসম্ভব। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার আমাদের মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি মনোযোগের মাত্রা কমিয়ে দেয়, মানসিক চাপ বৃদ্ধি করে এবং ঘুমের গুণগত মানেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মানসিক স্বচ্ছতা কমে যায়। সময়-সুযোগে ফোন-মুক্ত সময় কাটানো এবং স্ক্রীন থেকে বিরতি নেওয়া মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
ভাজা খাবার, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি আকর্ষণ মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। এ ধরনের খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ব্রেইনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে ব্রেইনকে সুস্থ রাখা সম্ভব। সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছসহ সঠিক খাবারের মাধ্যমে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।

নতুন কিছু না শেখা
মস্তিষ্ক সব সময় নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ পায় এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যখন আমরা নতুন কিছু শেখা বন্ধ করে দিই, তখন মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যায়। মস্তিষ্কের সংযোগ শক্তিশালী রাখতে পড়াশোনা, নতুন ভাষা শেখা কিংবা মস্তিষ্কের গেমস খেলা প্রয়োজন। এটি মস্তিষ্কের ধার্মিকতা এবং তীক্ষ্ণতা বজায় রাখে।

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা
শারীরিক কার্যকলাপ কেবল শরীরের জন্য নয়, এটি মস্তিষ্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, যা স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগের জন্য উপকারী। দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই কিছুক্ষণ পরপর দাঁড়িয়ে হাঁটাহাঁটি বা ডেস্ক এক্সারসাইজ করা উচিত।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণ কী? সতর্ক হোন, হতে পারে মাইল্ড কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট

আজকাল অনেকেই দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকে, বিশেষ করে যারা রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। তবে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুমানো বা ঝিমুনির অনুভূতি কোনো সাধারণ সমস্যা নাও হতে পারে, বরং এটি ‘স্লিপিং ডিজঅর্ডার’ বা ঘুমের ব্যাধির কারণে ঘটতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ঘুমের সমস্যা নিয়ে গুরুতর সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে, যা স্মৃতিনাশের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬০-৭৫ বছর বয়সী ৪৪৫ জনের ওপর ৩ বছর ধরে একটি গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা ছিল, তারা দিনে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করতেন এবং কোনো কাজই সঠিকভাবে করতে পারতেন না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের লক্ষণ যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে তা স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, রাতে ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘুমানোর প্রবণতা, এবং মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া এসব সমস্যা মাইল্ড কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট (এমসিআর) বা মস্তিষ্কের সক্ষমতা হ্রাসের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। এমসিআর হলো এমন একটি মানসিক অবস্থা, যেখানে রোগী সদ্য ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোও ভুলে যেতে শুরু করে এবং এর পরবর্তী পর্যায়ে স্মৃতিনাশের সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যদি এমন লক্ষণগুলো দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে, তবে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম