দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণ কী? সতর্ক হোন, হতে পারে মাইল্ড কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট

আজকাল অনেকেই দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকে, বিশেষ করে যারা রাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না। তবে দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুমানো বা ঝিমুনির অনুভূতি কোনো সাধারণ সমস্যা নাও হতে পারে, বরং এটি ‘স্লিপিং ডিজঅর্ডার’ বা ঘুমের ব্যাধির কারণে ঘটতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় ঘুমের সমস্যা নিয়ে গুরুতর সতর্কতা প্রকাশ করা হয়েছে, যা স্মৃতিনাশের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ৬০-৭৫ বছর বয়সী ৪৪৫ জনের ওপর ৩ বছর ধরে একটি গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা ছিল, তারা দিনে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করতেন এবং কোনো কাজই সঠিকভাবে করতে পারতেন না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের লক্ষণ যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তবে তা স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, রাতে ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘুমানোর প্রবণতা, এবং মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া এসব সমস্যা মাইল্ড কগনিটিভ ইমপেয়ারমেন্ট (এমসিআর) বা মস্তিষ্কের সক্ষমতা হ্রাসের প্রথম লক্ষণ হতে পারে। এমসিআর হলো এমন একটি মানসিক অবস্থা, যেখানে রোগী সদ্য ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোও ভুলে যেতে শুরু করে এবং এর পরবর্তী পর্যায়ে স্মৃতিনাশের সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যদি এমন লক্ষণগুলো দীর্ঘকাল ধরে চলতে থাকে, তবে এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং স্মৃতিনাশ বা ডিমেনশিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতে পা ফাটার সমস্যা: চর্মরোগের কারণেও দীর্ঘমেয়াদী ফাটা

শীতে পা ফাটার সমস্যা সাধারণ হলেও অনেকেরই এটি দীর্ঘমেয়াদী হয়ে থাকে। কখনো কখনো এই সমস্যা এতটাই গুরুতর রূপ নেয় যে, ফাটা স্থান থেকে রক্ত ঝরে। যদিও পা ফাটা সাধারণত শীতকালীন সমস্যা হিসেবে পরিচিত, এটি কখনো কখনো বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন বা পানির অভাব থেকে শুরু করে চর্মরোগের কারণেও পা ফাটতে পারে।

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণসমূহ

ভিটামিনের অভাব
ভিটামিনের অভাব পা ফাটার একটি সাধারণ কারণ। বিশেষ করে ভিটামিন বি ও সি ত্বকের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি ভিটামিনের অভাবে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যার মধ্যে পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়াও অন্যতম।

ডিহাইড্রেশন
পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনও পা ফাটার আরেকটি কারণ। কম পানি পান করা, শুষ্ক পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা আর্দ্রতার অভাবের কারণে পায়ের ত্বক শুকিয়ে ফেটে যেতে পারে।

অ্যাকজিমা
পা ফাটার আরেকটি কারণ অ্যাকজিমা বা অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস নামক চর্মরোগ। এই রোগের কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে এবং এর সঠিক কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরাও অনেক সময় নিশ্চিত নন।

সোরিয়াসিস
সোরিয়াসিসের কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পারে। এটি একটি ত্বকের রোগ, যার ফলে পায়ের তালুতে খোসার মতো চামড়া উঠতে থাকে। এই রোগ একবার শরীরে হলে, এটি পুরোপুরি সারানো সম্ভব নয়, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।

রোগের লক্ষণ এবং চিকিৎসা

বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীতে শুষ্কতার কারণে পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা সম্ভব হলেও, দীর্ঘমেয়াদী ফাটার সমস্যা বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে এটি ডায়াবেটিক ফুটের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পা ফাটার সমস্যায় ভুগছেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মার্ক জাকারবার্গের স্ত্রীকে চমক, ‘গেট লো’ গানের রিমিক্স উপহার

মেটা (ফেসবুক) সিইও মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার ভক্তদেরও চমকিত করেছেন তিনি। জাকারবার্গ প্রকাশ করেছেন নতুন একটি গান, যা ২০০০ সালের জনপ্রিয় গান ‌‘গেট লো’-এর রিমিক্স।

এই রিমিক্সটি স্পটিফাইতে মুক্তি পেয়েছে, যেখানে তাকে সহায়তা করেছেন অটো-টিউন মিউজিকের জন্য পরিচিত শিল্পী টি-পেইন। গানটি প্রকাশ করা হয়েছে ‘জেড-পেইন’ নামে, যেখানে জাকারবার্গ এবং টি-পেইনের নামের অংশ মিলিয়ে এ নামকরণ করা হয়েছে। গানটির মজার লিরিক্সে ক্লাবে যাওয়া এবং সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে দেখা করার মতো হাস্যকর মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে।

জাকারবার্গ জানিয়েছেন, গানটি তার এবং প্রিসিলা চ্যানের জন্য বিশেষ অর্থ বহন করে। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে তিনি লেখেন, এই গানটি তাদের প্রথম দেখা হওয়ার সময় বাজছিল। হার্ভার্ডের কলেজ পার্টিতে প্রথমবার প্রিসিলার সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। সেই থেকে, এই গানটি তাদের সম্পর্কের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রতি বছর তাদের প্রথম ডেটের দিনটি উদযাপন করতে গিয়ে তারা এই গানটি শুনে থাকেন।

এই সারপ্রাইজ উপহার পেয়ে প্রিসিলা চ্যান বলেছেন, “এটি খুবই রোমান্টিক”। তিনি মজার ছলে আরও বলেন, “বিশ বছর পর আমি আর আগের মতো ‘লো’ যেতে পারি না, তবে এটি অনেক সুন্দর স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।”

জাকারবার্গ তাদের হার্ভার্ডে তোলা একটি পুরনো ছবি এবং স্টুডিওতে গান তৈরির কিছু দৃশ্য শেয়ার করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসের প্রকোপ অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত, যা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সংকটের দিকে ইঙ্গিত করছে। ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ডায়াবেটিস সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রোগটির প্রতিরোধে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা। এবারের বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “ডায়াবেটিস: সুস্বাস্থ্যই হোক আমাদের অঙ্গীকার”।

গবেষণায় জানা গেছে, গত ৩০ বছরে ডায়াবেটিস রোগী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৮০ কোটির বেশি পৌঁছেছে। ১৯৯০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডায়াবেটিসের হার প্রায় ৭% থেকে ১৪% বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। বিশেষ করে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর মধ্যে এই বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের ২১২ মিলিয়ন, চীনের ১৪৮ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ মিলিয়ন, এবং পাকিস্তানের ৩৬ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ানোর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, এবং অর্থনৈতিক দুর্দশা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিসের প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে এই রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব হয়।

বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক নীতি-নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শিশুকে সকালবেলা শিখান কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস

শিশুদের জীবনের প্রথম বছরগুলোই তাদের ভবিষ্যতের পথে নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। যদি তাদের ছোটবেলা থেকে সঠিক অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তবে তারা সেই অভ্যাসগুলো সহজেই পরবর্তী জীবনে অনুসরণ করতে পারবে। তাই মা-বাবা বা অভিভাবকদের উচিত শিশুকে ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস শেখানো, যাতে তারা সুস্থ ও সুখী জীবন কাটাতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিছু অভ্যাস যা শিশুকে সকালে শেখানো উচিত:

১. খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা:
রাতে আগেভাগে ঘুমিয়ে, পরদিন খুব ভোরে ওঠা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। শিশুকে এই অভ্যাস শেখাতে হবে, কিন্তু শিশুরা সবচেয়ে বেশি বড়দের আচরণ দেখে শেখে। তাই আপনাকেও এই অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হবে। শিশুকে যখন নিয়মিত ভোরে ঘুম থেকে ওঠা শিখানো হবে, তখন তার দৈনন্দিন রুটিন স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং তার শরীর ও মন অনেক বেশি সতেজ থাকবে।

২. খালি পেটে হালকা গরম পানি:
সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শিশুর অন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, শরীরে সক্রিয়তা আনে এবং পুরো দেহকে সতেজ রাখে। নিয়মিত এই অভ্যাস শিশুকে শিখালে তার স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকবে এবং খাবার হজমেও সাহায্য করবে।

৩. যোগব্যায়াম:
শিশুকে যোগব্যায়াম শেখানো শারীরিক ও মানসিক উন্নতির জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষত সকালে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে শিশুর শরীর সুস্থ থাকে এবং তার মনও শান্ত থাকে। এটি তাকে শারীরিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠবে।

৪. স্বাস্থ্যকর খাবার:
সকালের খাবারের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়া উচিত। কারণ সারারাতের অনাহারের পর শিশুর শরীরে শক্তির অভাব থাকে। শিশুকে বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দিন, যেমন ফল, শাক-সবজি, ডিম, রুটি ইত্যাদি, যাতে সে সারাদিন সুস্থ এবং শক্তিশালী থাকতে পারে। একঘেয়েমি এড়াতে প্রতিদিন নতুনভাবে খাবার পরিবেশন করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কেন টক্সিক সম্পর্ক ছেড়ে যায় না মানুষ?

টক্সিক সম্পর্ক ত্যাগ করা একটি জটিল এবং কঠিন প্রক্রিয়া। এটি শুধুমাত্র শারীরিকভাবে দূরে সরে যাওয়ার বিষয় নয়, বরং মানসিকভাবে দূরে সরে যাওয়া আরও বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের জন্য যেসব সম্পর্ক শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচারী হতে পারে, সেখান থেকেও তারা কেন চলে যায় না? এই প্রশ্নের কিছু কারণ রয়েছে, চলুন সেগুলো দেখি।

১. আত্মসম্মান বোধের অভাব এবং অসহায়ত্ব:
যারা টক্সিক সম্পর্কের মধ্যে আছেন, তারা সাধারণত বা তো শুরু থেকেই কম আত্মসম্মান বোধ করেন, অথবা সম্পর্কের মধ্যে সঙ্গীর খারাপ ব্যবহার ও মানসিক অত্যাচারের কারণে তাদের আত্মসম্মান নষ্ট হয়ে যায়। এই আত্মসম্মানের অভাব তাদের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অনুভূতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, ফলে তারা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।

২. সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক চাপ:
অনেক সময়ে সামাজিক প্রত্যাশা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক বিধিনিষেধের কারণে মানুষ টক্সিক সম্পর্ক ত্যাগ করতে চাইলেও পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেন না। পরিবার বা সমাজের ভয় এবং লজ্জার কারণেও তারা এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে, বিশেষত যদি তাদের সন্তান থাকে।

৩. ট্রমা:
টক্সিক সম্পর্ক মানে কেবল খারাপ ব্যবহার নয়। অনেক সময় সঙ্গী কখনও অপমান করে, আবার পরক্ষণেই ক্ষমা চেয়ে নেয়। এই চক্রটি মনের মধ্যে ট্রমা তৈরি করে, যার ফলে ভিকটিমের পক্ষে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। এমন আচরণ সম্পর্কের মধ্যে মানসিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করে, যা মানুষকে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাধা দেয়।

৪. পরিবর্তনের আশা:
অনেক সময় মানুষের মধ্যে একটি আশা থাকে যে সঙ্গী পরিবর্তন হবে বা সম্পর্কের পরিস্থিতি উন্নত হবে। সঙ্গী যদি কখনো ক্ষমা চায় বা ভালো আচরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়, তখন তারা আশা করতে থাকে যে সম্পর্কের মধ্যে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু এই অপেক্ষা মাঝে মাঝে মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে একটানা অপব্যবহারের শিকার হতে থাকতে বাধ্য করে।

৫. প্রতিশোধের ভয়:
অনেক টক্সিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যদি ভিকটিম সম্পর্ক থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তারা প্রতিশোধের ভয় অনুভব করেন। অপব্যবহারকারী শিকারকে ভয় দেখিয়ে, তাদের এবং তাদের পরিবার বা পোষা প্রাণীদের ক্ষতি করতে পারে। এই হুমকি ভিকটিমের মনে এমন ধারণা সৃষ্টি করে যে সম্পর্ক ত্যাগ করার চেয়ে সম্পর্কের মধ্যে থাকা নিরাপদ।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



দীর্ঘ কর্মঘণ্টা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: গবেষণা বলছে সতর্ক থাকার আহ্বান

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশেষত, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০১৫ সালে দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করা কর্মীদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৩% বেশি ছিল, যারা সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা কাজ করেন তাদের তুলনায়।

WHO’র সতর্কবার্তা

২০২১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। WHO’র তথ্য অনুযায়ী, যারা সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫% বেড়ে যায়। তাই দীর্ঘ সময় কাজ করার আগে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।

দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রভাব

দীর্ঘ সময় কাজ করার ফলে শারীরিক ও মানসিক চাপ তৈরি হয়, যা রক্তচাপ, প্রদাহ এবং সামগ্রিক কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। নিচে উল্লেখ করা হলো দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রভাবগুলো যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

১. রক্তচাপ বৃদ্ধি

চাপযুক্ত পরিবেশে একটানা বসে কাজ করলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে, যা স্ট্রোকের মূল ঝুঁকিগুলোর একটি।

২. স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি

দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে, যা কর্টিসল ও অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই হরমোনগুলো রক্তনালীগুলোকে দুর্বল করে দেয় এবং ধমনীতে প্লাক তৈরি করে, যা রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. অলস জীবনযাপন

ডেস্ক জবের ফলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে নড়াচড়ার অভাব হয়। এটি অলস জীবনযাপনের দিকে ঠেলে দেয়, যা রক্তসঞ্চালন হ্রাস, ওজন বৃদ্ধি এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যের অবনতির কারণ হতে পারে। এসব সমস্যার ফলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে।

৪. ঘুমের ঘাটতি

দীর্ঘ কর্মঘণ্টার ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘুমের অভাব দেখা যায়। অপর্যাপ্ত ঘুম উচ্চ রক্তচাপ এবং প্রদাহের কারণ হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি আরও বাড়ায়। তাই সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ও সঠিক ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতের সকালের জন্য আরামদায়ক ও পুষ্টিকর ৪ পানীয়

শীতের আগমনে প্রকৃতি শীতল হতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে আমাদের শরীরেও আলস্যের প্রভাব পড়ছে। শীতের সকালে আরামদায়ক বিছানা ছেড়ে ওঠা যেন পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটি হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কাজের তাগিদে আরামদায়ক বিছানাকে বিদায় জানানো ছাড়া উপায় নেই। তবে শীতের সকালে নিজেকে সতেজ রাখতে ও শরীরকে উষ্ণ রাখতে চুমুক দিতে পারেন কিছু উষ্ণ পানীয়তে। আসুন জেনে নিই, শীতের সকালের জন্য কোন কোন পানীয় হতে পারে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর।

১. আদা-লেবু চা

শীতের সকালে আদা-লেবু চা হতে পারে দারুণ উপকারী। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এবং পেশীকে প্রশমিত করে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি-কাশির মতো মৌসুমী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই চা তৈরি করতে, গরম পানিতে কয়েক টুকরা আদা ফেলে দিন এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। উষ্ণ এই পানীয় আপনাকে শীতের সকালে আরাম দেবে।

২. হলুদ দুধ (গোল্ডেন মিল্ক)

হলুদ দুধ, যা গোল্ডেন মিল্ক নামে পরিচিত, এটি প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। হলুদে থাকা কারকিউমিন হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিসহ বিভিন্ন উপকার দেয়। এটি তৈরি করতে গরম দুধে এক চা চামচ হলুদের গুঁড়া মেশান, তার সঙ্গে যোগ করুন এক চিমটি কালো মরিচ, যা শরীরে কারকিউমিন শোষণ করতে সাহায্য করে। ইচ্ছা হলে মধু দিয়ে মিষ্টি করতে পারেন।

৩. দারুচিনি-মধুর পানি

দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দারুচিনিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সহায়ক। শীতের সকালের জন্য এটি একটি চমৎকার পানীয়। এক কাপ গরম পানিতে একটি দারুচিনির টুকরা বা আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে দিন, এরপর এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। শীতের সকালে এটি আপনাকে উষ্ণ রাখবে এবং সতেজ অনুভূতি দেবে।

৪. ক্যামোমাইল-ল্যাভেন্ডার চা

ক্যামোমাইল ও ল্যাভেন্ডার চা তার শান্তিপূর্ণ প্রভাবের জন্য সুপরিচিত। এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং বিশেষ করে শীতের সকালে মানসিক প্রশান্তি দেয়। ক্যামোমাইল হালকা হওয়ায় এটি হজমে সহায়ক এবং ল্যাভেন্ডার প্রশান্তিদায়ক সুবাস যোগ করে। চা তৈরি করতে গরম পানিতে ক্যামোমাইল ও ল্যাভেন্ডার মিশিয়ে কয়েক মিনিট জ্বাল দিন। চা তৈরি হয়ে গেলে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

এই পানীয়গুলো শুধু শীতের সকালে আপনাকে উষ্ণ রাখবে না, বরং আপনার শরীরের জন্যও হবে উপকারী। তাই এই শীতে শুরু করুন আপনার দিনটি স্বাস্থ্যকর কোনো পানীয় দিয়ে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মানসিক শক্তির মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন

মানসিক শক্তি শুধুমাত্র মনই ভালো রাখে না, বরং শরীরকেও সুস্থ রাখে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে মানসিক শক্তির প্রভাবে মানুষ কঠিন রোগ থেকেও সুস্থ হয়ে উঠেছে। এক এমন উদাহরণ ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা হারিয়াতি লওইজায়া। তিনি বলেন, ‘ক্যান্সার হওয়ার পর আমার জীবনযাপন ও উদ্দেশ্য পুরোপুরি বদলে গেছে। আগে ক্যারিয়ার ছিল আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, কিন্তু এখন আমি জানি জীবনটাই আসলে ক্যারিয়ার।’

২০১৬ সালের অক্টোবরে হারিয়াতির শরীরে চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা মূত্রাশয়, যকৃত এবং অন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ বলে জানিয়েছিলেন। প্রথমদিকে তিনি হতাশ হলেও, দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে মানসিক শক্তি ও পজিটিভ মনোভাব নিয়ে লড়াই শুরু করেন। কেমোথেরাপি চলাকালীনও তিনি হাঁটা এবং শারীরিক ব্যায়াম চালিয়ে গিয়েছিলেন। এবং এক অলৌকিকভাবে ২০১৭ সালে ডাক্তাররা জানান, তার শরীর থেকে ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে গেছে।

হারিয়াতি শুধু নিজেকে সুস্থই করেননি, তিনি পরবর্তীতে ম্যারাথনের জন্য ট্রেনিং শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি ভুটান থেকে হিমালয়ে ম্যারাথন সম্পন্ন করেন, যা তার জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তার মতে, ‘মাংস না খেলে ম্যারাথন শেষ করা সম্ভব নয়, এমন ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছি।’

একইভাবে, ভারতের কণিকা শর্মা যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মাধ্যমে নিজের জীবনের অস্থিরতা কাটিয়ে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন করেছেন। কণিকা বিশ্বাস করেন যে, যোগব্যায়াম শুধু শারীরিক ব্যায়াম নয়, বরং এটি মন, শরীর এবং আত্মার মিলন। তিনি বলেন, ‘যোগব্যায়াম জীবনকে নতুনভাবে সাজানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি শুধু শরীরের বিষয় নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক অভ্যস্ততা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের প্রতি যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নারীদের নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি মনে করি, নারীদের জন্য একটি যোগাশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, যেখানে তারা নিজেদের জীবনকে নতুন করে সাজাতে শিখবে, তা হবে আমার জীবনের সার্থকতা।’

হারিয়াতি এবং কণিকার মতো অসংখ্য মানুষ মানসিক শক্তি, যোগব্যায়াম এবং শারীরিক সচেতনতার মাধ্যমে নিজেদের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে নিজেদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছেন। সবার জন্য একটি বার্তা— শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য নিজেকে ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




নাচের মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন স্টিভ জায়রা, জয় করলেন ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’ সিজন ৪

ছোটবেলায় হাঁটার ক্ষমতা না থাকা স্টিভ জায়রা এবার টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’-এর চতুর্থ সিজনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এই গ্র্যান্ড ফিনালে স্টিভ জয় ছিনিয়ে নেন বিচারকদের মন ও দর্শকদের ভালোবাসা।

পুরস্কার হিসেবে স্টিভ জায়রা পেয়েছেন ১৫ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা)। পাশাপাশি, তিনি একটি ট্রফি ও একটি বিলাসবহুল গাড়িও উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

বিজয়ী হওয়ার পর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ বলেন, “যখন আমি আমার যাত্রা এবং ট্রফি বিজয়ের মুহূর্তগুলো মনে করি, সত্যিই গা শিউরে ওঠে। কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ আমাকে এই সাফল্যের পথে নিয়ে এসেছে। কঠোর পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না। সত্যিই, ধৈর্যের ফল মিষ্টি।”

স্টিভ আরও জানান, “ছোটবেলায় আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারতাম না। আমার মা এবং নানি আমাকে হাঁটতে শিখিয়েছেন। সেই ছেলেটি আজ নিজের ফুটওয়ার্ক দিয়ে পরিচিত হয়েছে, এটা এক অবিশ্বাস্য যাত্রা। আমার মা ও নানির অনুপ্রেরণা ছাড়া আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না।”

এই আসরে স্টিভ ছাড়াও ফাইনালে প্রতিযোগিতা করেছেন হর্ষ কেশরী, নেক্সশন, নেপো, আকাঙ্ক্ষা মিশ্রা (আকিনা) এবং আদিত্য মালব্য। বিচারকের আসনে ছিলেন বলিউড তারকা কারিশমা কাপুর, গীতা কাপুর ও টেরেন্স লুইস। শোটি সঞ্চালনা করেন জয় ভাঁনসালি ও অঙ্কিতা চৌহান।

স্টিভের এই জয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, শারীরিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম দিয়ে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

সুত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম