মানসিক শক্তির মাধ্যমে সুস্থ জীবনযাপন

মানসিক শক্তি শুধুমাত্র মনই ভালো রাখে না, বরং শরীরকেও সুস্থ রাখে। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে মানসিক শক্তির প্রভাবে মানুষ কঠিন রোগ থেকেও সুস্থ হয়ে উঠেছে। এক এমন উদাহরণ ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা হারিয়াতি লওইজায়া। তিনি বলেন, ‘ক্যান্সার হওয়ার পর আমার জীবনযাপন ও উদ্দেশ্য পুরোপুরি বদলে গেছে। আগে ক্যারিয়ার ছিল আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য, কিন্তু এখন আমি জানি জীবনটাই আসলে ক্যারিয়ার।’

২০১৬ সালের অক্টোবরে হারিয়াতির শরীরে চতুর্থ পর্যায়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা মূত্রাশয়, যকৃত এবং অন্ত্রে ছড়িয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকরা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ বলে জানিয়েছিলেন। প্রথমদিকে তিনি হতাশ হলেও, দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে মানসিক শক্তি ও পজিটিভ মনোভাব নিয়ে লড়াই শুরু করেন। কেমোথেরাপি চলাকালীনও তিনি হাঁটা এবং শারীরিক ব্যায়াম চালিয়ে গিয়েছিলেন। এবং এক অলৌকিকভাবে ২০১৭ সালে ডাক্তাররা জানান, তার শরীর থেকে ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে গেছে।

হারিয়াতি শুধু নিজেকে সুস্থই করেননি, তিনি পরবর্তীতে ম্যারাথনের জন্য ট্রেনিং শুরু করেন। ২০১৮ সালে তিনি ভুটান থেকে হিমালয়ে ম্যারাথন সম্পন্ন করেন, যা তার জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তার মতে, ‘মাংস না খেলে ম্যারাথন শেষ করা সম্ভব নয়, এমন ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করেছি।’

একইভাবে, ভারতের কণিকা শর্মা যোগব্যায়াম এবং ধ্যানের মাধ্যমে নিজের জীবনের অস্থিরতা কাটিয়ে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন করেছেন। কণিকা বিশ্বাস করেন যে, যোগব্যায়াম শুধু শারীরিক ব্যায়াম নয়, বরং এটি মন, শরীর এবং আত্মার মিলন। তিনি বলেন, ‘যোগব্যায়াম জীবনকে নতুনভাবে সাজানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এটি শুধু শরীরের বিষয় নয়, এটি একটি আধ্যাত্মিক অভ্যস্ততা।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের প্রতি যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি নারীদের নিজের শরীর ও স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আমি মনে করি, নারীদের জন্য একটি যোগাশ্রম প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, যেখানে তারা নিজেদের জীবনকে নতুন করে সাজাতে শিখবে, তা হবে আমার জীবনের সার্থকতা।’

হারিয়াতি এবং কণিকার মতো অসংখ্য মানুষ মানসিক শক্তি, যোগব্যায়াম এবং শারীরিক সচেতনতার মাধ্যমে নিজেদের জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে নিজেদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছেন। সবার জন্য একটি বার্তা— শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য নিজেকে ভালোবাসা ও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




নাচের মঞ্চে ইতিহাস গড়লেন স্টিভ জায়রা, জয় করলেন ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’ সিজন ৪

ছোটবেলায় হাঁটার ক্ষমতা না থাকা স্টিভ জায়রা এবার টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়াস বেস্ট ড্যান্সার’-এর চতুর্থ সিজনের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। রোববার (১০ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত এই গ্র্যান্ড ফিনালে স্টিভ জয় ছিনিয়ে নেন বিচারকদের মন ও দর্শকদের ভালোবাসা।

পুরস্কার হিসেবে স্টিভ জায়রা পেয়েছেন ১৫ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা)। পাশাপাশি, তিনি একটি ট্রফি ও একটি বিলাসবহুল গাড়িও উপহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

বিজয়ী হওয়ার পর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টিভ বলেন, “যখন আমি আমার যাত্রা এবং ট্রফি বিজয়ের মুহূর্তগুলো মনে করি, সত্যিই গা শিউরে ওঠে। কঠোর পরিশ্রম ও আত্মত্যাগ আমাকে এই সাফল্যের পথে নিয়ে এসেছে। কঠোর পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না। সত্যিই, ধৈর্যের ফল মিষ্টি।”

স্টিভ আরও জানান, “ছোটবেলায় আমি ঠিকমতো হাঁটতে পারতাম না। আমার মা এবং নানি আমাকে হাঁটতে শিখিয়েছেন। সেই ছেলেটি আজ নিজের ফুটওয়ার্ক দিয়ে পরিচিত হয়েছে, এটা এক অবিশ্বাস্য যাত্রা। আমার মা ও নানির অনুপ্রেরণা ছাড়া আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতাম না।”

এই আসরে স্টিভ ছাড়াও ফাইনালে প্রতিযোগিতা করেছেন হর্ষ কেশরী, নেক্সশন, নেপো, আকাঙ্ক্ষা মিশ্রা (আকিনা) এবং আদিত্য মালব্য। বিচারকের আসনে ছিলেন বলিউড তারকা কারিশমা কাপুর, গীতা কাপুর ও টেরেন্স লুইস। শোটি সঞ্চালনা করেন জয় ভাঁনসালি ও অঙ্কিতা চৌহান।

স্টিভের এই জয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, শারীরিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম দিয়ে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

সুত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



অল্প বয়সে টাক পড়ার কারণ এবং প্রতিকার

চুল পড়ার সমস্যা এখন শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। অনেক পুরুষেরই এখন অল্প বয়সে টাক পড়া শুরু হয়ে যায়, যা তাদের জন্য চিন্তার বিষয়। যখন চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে এবং নতুন চুল গজায় না, তখনই টাক দেখা দেয়। সাধারণত বয়স পঞ্চাশ পার হলে পুরুষদের মধ্যে টাক পড়া শুরু হয়, তবে এর আগেও অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই সমস্যার পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে? চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই।

জেনেটিক কারণ:

টাক পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল জেনেটিক বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। যদি দাদা বা বাবা-চাচাদের মধ্যে টাক পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের সন্তানদেরও একই সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা মূলত পরিবার থেকে আসে এবং এর প্রতিকার সহজ নয়। তবে কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারেন, কিন্তু পুরোপুরি প্রতিকার পেতে অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

পুষ্টির অভাব:

চুলের স্বাস্থ্য সঠিক পুষ্টির উপর অনেকটা নির্ভরশীল। যদি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকে, তবে চুল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং পড়তে শুরু করে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাটের মতো পুষ্টিকর খাবার চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আয়রন, জিংক, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ খাবার চুলের গঠন মজবুত করে এবং টাক পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।

স্ট্রেস:

মানসিক চাপ বা স্ট্রেস চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যখন মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, তখন চুল পড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যারা একটানা চাপের মধ্যে থাকেন, তাদের চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং চুল পড়তে থাকে। স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত ধ্যান বা শিথিলকরণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে।

দূষণ:

পরিবেশ দূষণের কারণে চুলের স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। অতিরিক্ত তাপ, ঠান্ডা, তীব্র রোদ, ধুলোবালি বা আর্দ্রতা চুলের ক্ষতি করতে পারে। যারা দূষিত অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের চুল পড়ার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। চুলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দূষণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পেটের জন্য উপকারী ৪ খাবার

বর্তমান সময়ে আমাদের খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারের প্রভাব পরিপাকতন্ত্রে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। অনেকেই খাবারের পর পেট ফাঁপা, বুকে জ্বালাপোড়া কিংবা অস্বস্তিতে ভোগেন। তবে কিছু খাবার রয়েছে যা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সহায়তা করতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক পেটের জন্য উপকারী ৪টি খাবারের কথা।

১. হলুদ:

হলুদ একটি জনপ্রিয় মসলা, যা ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হজম প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ খেলে এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ এবং পরিপাকতন্ত্রকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। আপনার প্রতিদিনের খাবারে হলুদ যোগ করা এক দারুণ উপায় হতে পারে।

২. বাটারমিল্ক:

বাটারমিল্ক হল এক প্রকারের পানীয় যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। খাবারের পর এক গ্লাস বাটারমিল্ক পান করলে এটি পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমায়। এর সঙ্গে গোলমরিচ, জিরা বা পুদিনা যোগ করা যেতে পারে।

৩. আমলকি:

আমলকি ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস এবং এটি পেটের জন্যও উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজমের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আমলকি নিয়মিত খেলে ডায়রিয়া এবং পেশীর ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

৪. ঘি:

ঘি একটি স্বাস্থ্যকর সুপারফুড যা আমাদের পরিপাকতন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। এতে বিউটরিক অ্যাসিড থাকে, যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে এবং পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে মনে রাখতে হবে, এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গরম পানি পান করার উপকারিতা: সুস্থ থাকার সহজ পদ্ধতি

গরম পানি পান করা একটি সহজ অথচ অত্যন্ত কার্যকরী অভ্যাস, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করা আপনার দিনটিকে শুরু করতে সাহায্য করবে। তবে, এটি হতে হবে টগবগে গরম নয়, বরং হালকা গরম পানি, কারণ অত্যধিক গরম পানি পান করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরম পানি পান করার নানা উপকারিতা।

১. হজম শক্তি বৃদ্ধি

হালকা গরম পানি হজম শক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি আমাদের পাকস্থলীতে হজমকারী এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, ফলে খাবার দ্রুত ভেঙে এবং শোষিত হয়। এছাড়া, গরম পানি মলকে নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

২. শরীরের ডিটক্সিফিকেশন

গরম পানি পান করলে শরীরের ভেতরের বিষাক্ত পদার্থ বের হতে সহায়তা করে, যা আমাদের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সহায়ক। এটি পাচনতন্ত্রের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক এবং সহজ উপায়।

৩. উন্নত রক্ত সঞ্চালন

গরম পানি পান রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীরের সমস্ত অঙ্গকে কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীর প্রসারণ ঘটায়, পেশী শিথিল করতে সাহায্য করে এবং শরীরে উত্তেজনা কমিয়ে দেয়।

৪. ওজন হ্রাসে সহায়ক

গরম পানি পান করলে শরীরের বিপাক বৃদ্ধি পায়, ফলে ওজন কমানো সহজ হয়। এটি ক্ষুধা কমায়, ক্যালোরি-মুক্ত হাইড্রেশন প্রদান করে, এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্যায়ামের সময় শক্তির স্তর বজায় রাখতে এবং শারীরিক কার্যকলাপের দক্ষতা বাড়াতে এটি কার্যকর।

৫. ব্যথা কমানো

গরম পানি পান করা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যথা, যেমন জয়েন্টের ব্যথা, পেশী শিথিলকরণ এবং মাথাব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এটি প্রদাহ কমাতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা শরীরের শান্তি বজায় রাখতে কার্যকর।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ঘুমের আগে মোবাইল ব্যবহার বন্ধে সতর্কতা

আধুনিক জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এখন অনেকের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। অনেকেই ঘুমানোর আগে মোবাইল হাতে নিয়ে গেম খেলে বা সোশ্যাল মিডিয়া চেক করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েন, যা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব

ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহারের ফলে শরীরের ঘুমের হরমোন ‘মেলাটোনিন’-এর নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি হয়। মোবাইলের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো চোখের রেটিনায় ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা ঘুমের চক্র ব্যাহত করতে পারে। ফলে গভীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে এবং শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায় না।

মোবাইল ব্যবহারের ক্ষতি কমানোর উপায়

১. ফোন দূরে রাখুন: ঘুমানোর সময় মোবাইলটি হাতের নাগালের বাইরে রাখুন। এটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন, যেন ঘুমের সময় এটি হাতে নেওয়ার প্রবণতা না থাকে।

২. বালিশের নিচে ফোন রাখা থেকে বিরত থাকুন: ফোনটি বালিশের নিচে রাখলে, এর কম্পন ও শব্দ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই ঘুমানোর আগে ফোন বন্ধ করে রাখুন বা দূরে সরিয়ে রাখুন।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলুন: ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইমেইল চেক করা বন্ধ করুন। এগুলো আপনার মানসিক চাপ বাড়াতে পারে এবং ঘুমের মান নষ্ট করতে পারে।

এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলো করলে আপনার ঘুমের গুণগত মান উন্নত হবে এবং সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



নিয়মিত রক্তচাপ মাপার পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক

স্বাস্থ্যবিষয়ক খবরে জানা যায়, রক্তচাপ বা প্রেশার মাপা এক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যপরীক্ষা, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা অনেকেই জানি না, কত বছর বয়স থেকে নিয়মিত রক্তচাপ মাপা উচিত। এই বিষয়ে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রেশার বাড়লে একাধিক শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, তাই প্রাথমিকভাবে তা ধরা জরুরি।

রক্তচাপের ধরণ এবং তার গুরুত্ব

রক্তচাপ দুই ধরনের হয়— সিস্টোলিক (উপরে) এবং ডায়াস্টোলিক (নীচে)। যদি সিস্টোলিক প্রেশার ১৩০ বা ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০-এর বেশি হয়, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য হয়। তবে একদিনের রিডিং অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়া যায় না, তাই তিনদিন পর পর রিডিং নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে রক্তচাপের সঠিক অবস্থা বোঝা সম্ভব।

কত বয়সে রক্তচাপ মাপা উচিত?

ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন, “আজকাল অনেক তরুণ বয়সেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই ২০ বছর বয়স পেরোলেই একবার রক্তচাপ মাপা উচিত। এবং যদি ৩০ বছর বয়স অতিক্রম করে, তাহলে প্রতি ৬ মাস অন্তর নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি।” এই নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রথম অবস্থায় ধরা পড়বে এবং তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা

যারা অতিরিক্ত ওজনের শিকার এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদিতে ভুগছেন, তাদের রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া, যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই রোগের ইতিহাস থাকে, তবে তাদেরও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ত্বকের যত্নের পাশাপাশি অন্ত্রের যত্নও জরুরি

ত্বক সুন্দর রাখতে নানা ধরনের স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কি জানেন, ত্বকের সুস্থতা সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপর অনেকটা নির্ভরশীল? ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাইরের সৌন্দর্যচর্চা নয়, অভ্যন্তরীণ যত্নও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে অন্ত্রের সুস্থতা ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা অনেকেই জানেন না।

অন্ত্রের স্বাস্থ্যের প্রভাব ত্বকে

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্ণ রাজন তার এক ভিডিওতে জানিয়েছেন, রঙিন ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ত্বকেও এর সুপ্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে টমেটো, বেল পেপার, গাজরের মতো খাবারগুলো অন্ত্রের জন্য উপকারী। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বাড়ায় এবং ত্বককে সোনালী আভা দেয়।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর একজিমা রয়েছে, তাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি থাকে, আর প্রোবায়োটিকসের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ানো হলে তাদের চামড়ার অবস্থার উন্নতি হয়।

প্রিবায়োটিকস ও ত্বকের যত্ন

ডা. রাজন আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, প্রিবায়োটিকস জাতীয় খাবার ত্বকের জন্য ভালো। এই ধরনের খাবারে কিছু নির্দিষ্ট উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগের উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে।

ফল ও শাকসবজি ত্বকের জন্য কীভাবে উপকারী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রঙিন শাকসবজি ও ফলের মধ্যে উচ্চ প্রিবায়োটিকস এবং ভিটামিন এ, সি, ও ই থাকে, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। এই খাবারের পুষ্টি ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। আদা, পেঁয়াজ, কলা ইত্যাদিও প্রিবায়োটিকস উপাদানে সমৃদ্ধ, যা ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

পেটের যত্ন নিলে ত্বকও থাকবে সুস্থ

পেটের যত্ন নেওয়া ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খাদ্যতালিকা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে ত্বক এবং অন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



সম্পর্ক ভাঙার পরে সামলে ওঠার ৫ কার্যকরী উপায়

প্রত্যেকেই চায় একটি সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে, তবে বাস্তবতার চাপে অনেক সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও জীবন এগিয়ে চলে, এবং এটি সামলানোর জন্য কিছু করণীয় আছে যা নতুন করে শুরু করতে সহায়তা করতে পারে। সম্পর্ক ভাঙার পর নিজেকে সামলে নেওয়ার জন্য অনুসরণ করতে পারেন এই উপায়গুলো:

১. বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে বন্ধু ও পরিবারের কাছ থেকে মানসিক সমর্থন নিন। তারা আপনাকে সাহস জোগাবে, খুশি রাখবে এবং আপনাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এই সময় বন্ধু ও পরিবার আপনার সবচেয়ে বড় সমর্থন হতে পারে।

২. অন্য সম্পর্কে তাড়াহুড়ো নয়
ব্রেকআপের পর তাড়াহুড়ো করে অন্য সম্পর্কে না গিয়ে কিছু সময় বিরতি নিন। নিজের অনুভূতিগুলো বুঝে এবং কী ভুল হয়েছে তা অনুধাবন করার জন্য নিজেকে সময় দিন। এটি আপনাকে নিরাময় প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে।

৩. সময় নিন
সম্পর্ক শেষ হলে অবশ্যই নিজেকে নিরাময় করার জন্য সময় দিন। দ্রুত নতুন সম্পর্কে না গিয়ে ব্যর্থ সম্পর্কের কষ্ট থেকে বের হয়ে আসার জন্য সময় ও স্পেস নিন।

৪. নিজের দিকে মনোযোগ দিন
সম্পর্ক ভাঙার পর শূন্যতা অনুভব করতে পারেন। এই সময় শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রতি মনোযোগ দিন এবং নিজেকে ভালোবাসার সুযোগ দিন। নতুন শখ শুরু করা, দক্ষতা বাড়ানো ইত্যাদি নিজের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।

৫. ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে সময় কাটান
ব্রেকআপের মানসিক চাপ সামলাতে ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান। নেতিবাচক আবেগের পরিবর্তে ইতিবাচক মানসিকতা ও আনন্দ খুঁজে পেতে তাদের সঙ্গে সময় কাটান।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




অতিরিক্ত প্রত্যাশা কমিয়ে হতাশা এড়ানোর পরামর্শ

প্রত্যাশা রাখা স্বাভাবিক, তবে অতিরিক্ত প্রত্যাশা প্রায়ই হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যাশা কি এবং কিভাবে এটি মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, এ বিষয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট ডা. তানজিরা বিনতে আজাদ তাঁর পরামর্শ দিয়েছেন।

ডা. আজাদ বলেন, প্রত্যাশার ধারণা মূলত অন্যের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশা প্রকাশ করে। তবে অতিরিক্ত প্রত্যাশা অনেকসময় হতাশার সৃষ্টি করতে পারে, যা মানসিক সুস্থতার পথে বাধা সৃষ্টি করে। এটি অনেকক্ষেত্রে অলীক কল্পনা বা অবাস্তব আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকে। এই ধরণের প্রত্যাশা পূরণ না হলে হতাশার অনুভূতি জন্ম নিতে পারে। তাই প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি অর্জন সম্ভব।

তিনি জানান, প্রত্যাশা কমিয়ে আনার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি নিজেকে আরও দৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো যায়। অন্যের প্রতি অভিযোগ না করে নিজেকে আগে যাচাই করা, সামান্য ভালোবাসাকে গুরুত্ব দেওয়া এবং অল্পতে সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশা কমানো সম্ভব। এর সঙ্গে ধৈর্য ধরার মতো গুণাবলী চর্চা করা এবং ক্ষমাশীলতার মনোভাব গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিক্টর ভ্রুমের ‘প্রত্যাশা তত্ত্ব’ অনুযায়ী, প্রত্যাশার তীব্রতা এবং অর্জনের বাস্তবতা এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেছেন, প্রত্যাশা ও অর্জনের বাস্তবতাকে মিলিয়ে চলার অভ্যাস ব্যক্তিকে মানসিকভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

অতিরিক্ত প্রত্যাশা কমানোর কিছু কার্যকরী পরামর্শ:

১. নিজের প্রতি মনোযোগ বাড়ান ২. জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন ৩. সবসময় সৎ থাকুন ৪. আত্ম-মূল্য ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করুন ৫. সবসময় অন্যের প্রত্যাশা পূরণ করতে না যাওয়া ৬. চাওয়ার সীমা নির্ধারণ করুন ৭. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন এবং আবেগ সম্পর্কে সচেতন থাকুন ৮. নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন ৯. কৃতজ্ঞতার মনোভাব গড়ে তুলুন ১০. অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সহজভাবে নিন ১১. স্বার্থপর না হওয়া ১২. ক্ষমার অভ্যাস গড়ে তুলুন ১৩. নিয়ম মেনে জীবনযাপন করুন

ডা. তানজিরার মন্তব্য:
তিনি বলেন, “জীবনে কারো কাছ থেকে সবসময় বেশি কিছু আশা করা অবাস্তব হতে পারে। তাই নিজের কাজ নিজে করা এবং নিজের যোগ্যতার মূল্যায়ন করা উচিত।”

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম