সিএসবি নিউজ ইউএসএ-তে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে যোগ দিলেন এসএলটি তুহিন 

বরিশালের সুপরিচিত সাংবাদিক এসএলটি তুহিন সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএসবি নিউজ ইউএসএ-তে স্টাফ করেসপন্ডেন্ট হিসেবে যোগদান করেছেন। এই পদে দায়িত্বগ্রহণের মাধ্যমে তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

পেশাগত জীবনে এসএলটি তুহিন বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য টেলিভিশন এবং পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। দক্ষতা, সততা এবং পেশাদারিত্বের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বর্তমানে তিনি বার্তা২৪.কম এবং চন্দ্রদ্বীপ নিউজ-এর বরিশাল ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ এবং ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ আপডেট-এর বরিশাল ব্যুরো প্রধান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

বরিশালসহ আশপাশের অঞ্চলের সংবাদ সংগ্রহে তিনি বরাবরই সক্রিয় ছিলেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে কাজের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করেছেন।

সিএসবি নিউজ ইউএসএ-তে এই নিয়োগকে এসএলটি তুহিনের সাংবাদিকতা জীবনের এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার নতুন এই দায়িত্ব অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতাকে আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি বরিশালের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবেন।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এসএলটি তুহিন বলেছেন,“সিএসবি নিউজ ইউএসএ-এর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। সঠিক ও নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে আমি নতুন এই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে সম্পন্ন করতে চাই। সকলের সহযোগিতা পেলে এই যাত্রা সহজ হবে।”

তাঁর এই সাফল্যে সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং পাঠকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর নতুন পথচলার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সিএসবি নিউজ ইউএসএ খুব শীঘ্রই আন্তর্জাতিক মিডিয়া হিসেবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার শুরু করতে যাচ্ছে। টেলিভিশনটির প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ৫১৪৩ ল্যাংস্টন ব্লvd, আর্লিংটন, ভার্জিনিয়া ২২২০৭-এ অবস্থিত। বিশ্বব্যাপী নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রচার করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

আল আমিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




‘ভারতের উসকানিতে পা না দিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে জনগণ’

চন্দ্রদীপ ডেস্ক: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ভারতের উসকানিতে পা না দিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশের জনগণ’

চট্টগ্রামে আমাদের আইনজীবী ভাইকে হত্যার মাধ্যমে তারা একটি হত্যার হোলি খেলার ফাঁদ পেতেছিল, কিন্তু বাংলার জনগণ ধৈর্য এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তাদের মুখে চুনকালি মেরে দিয়েছে।

আজ দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা জীবন দেব কিন্তু বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়ব না। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা সমতা, ভালোবাসা, অহিংস ঐক্য সাম্যের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। এদেশে সব ধর্মের-বর্ণের মানুষ মিলেমিশে আছি। বাংলাদেশ আমাদের সবার। আমরা সোচ্চারভাবে বলেছি বাংলাদেশে কোনো মেজরিটি এবং মাইনোরিটি মানি না। এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা সবাই এদেশের গর্বিত নাগরিক। মাইনোরিটি শব্দটি ব্যবহার করে দেশের বাইরে থেকে একটি গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।

তিনি বলেন, ভারতের কিছু হলুদ মিডিয়া যখন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে, তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের হিন্দু ভাইয়েরা মিছিল করে তার প্রতিবাদ করেছেন। তারা প্রমাণ করেছেন দেশ আমাদের সবার। আমরা ভারতের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করি না, কিন্তু তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী এখন পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে। যারা অকাতরে জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাদের প্রতি দোয়া এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গুম-খুন আর ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের নামে পরিকল্পিতভাবে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস অফিসারকে হত্যা করেছে। ষড়যন্ত্র করে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ভিশন নিয়ে তারা নেমেছিল। জাতি ২০২৪ সালের গণহত্যাসহ প্রতিটি হত্যার বিচার চায়। আইনের মাধ্যমে এ বিচার অবশ্যই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য সবার সহযোগিতা চাই। এই দেশ নতুনভাবে গড়তে হবে। এই দেশ গড়তে হলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ কলঙ্কমুক্ত কিছু মানুষ দরকার। সংস্কার এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।




প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হলেন ফয়েজ আহম্মদ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের স্পেশাল করেসপনডেন্ট ফয়েজ আহম্মদ।

আজ (বৃহস্পতিবার) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ফয়েজ আহম্মদকে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) ৫ম গ্রেডভুক্ত ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০/- টাকা স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপ ৬৯,৮৫০/- টাকা (নির্ধারিত) বেতনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিবের শূন্য পদের বিপরীতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং-এ ‘সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব’ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।




১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ। হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে বলে বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় বলা হয়।

রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএফআইইউয়ের দেয়া চিঠিতে বলা হয়, লেনদেন স্থগিতের নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে। চিঠিতে আলোচিত ব্যক্তিদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।

ব্যাংক হিসাব জব্দের তালিকায় রয়েছেন- দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী।




১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিরা হলেন— দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী।

হিসাব জব্দ করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।




শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: জুলাই অভ্যুথানের সময় যেসব গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া হয়েছে, সেসব গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ (বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে গত ১৬ বছর কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। গত নির্বাচনগুলোকে কারা বৈধতা দিয়েছে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিটি প্রেস কনফারেন্সকে প্রমাণ ধরে কোন সাংবাদিকের ভূমিকা কেমন ছিল সেটা ধরে ধরে পদক্ষেপ নেবে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে ১৫-১৬ বছর আমাদের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে; কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে… এ ধরনের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিচিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই। বাংলাদেশে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশে জারি থাকুক।

শফিকুল আলম বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করব। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে। কে কী করেছেন সেটা রয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনা ধরে ধরে কার কী রোল ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করব। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে দেখে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু গত ১৫ বছরে কী ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।

ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম চাই-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন শিশিরের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র প্লাবন তারিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক এস এম রাশেদুল ইসলাম, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চিফ রিপোর্টার আব্বাস উদ্দিন নয়ন, গবেষক ও শিক্ষক মাহাবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আওয়াল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও একতার বাংলাদেশের সদস্য সচিব তাহমিদ আল মুদাসসির, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যরিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, নিউ এইজের সিনিয়র সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।




৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত

 

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বেশ কজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকসহ ৩৭ সাংবাদিকের জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যায় উস্কানি প্রদান এবং পতিত সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার দায়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩৭ জন সদস্যের সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। গত ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নোটিশে জানানো হয়।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের যাদের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে এই তালিকায় সিনিয়র অনেক সাংবাদিকের নাম রয়েছে। তারা হলেন- নূরুল আমিন প্রভাষ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, মোজাম্মেল বাবু, আশীষ সৈকত, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ফরজানা রুপা, অশোক চৌধুরী, আজমল হক হেলাল, আবুল খায়ের, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রণব সাহা, নঈম নিজাম, খায়রুল আলম, আবেদ খান, সুভাষ চন্দ বাদল।

এই তালিকায় আরও আছেন জহিরুল ইসলাম মামুন (জ.ই মামুন), জাফর ওয়াজেদ, সাইফুল ইসলাম কল্লোল, পাভেল রহমান, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাবান মাহমুদ, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল সরকার, অজয় দাশগুপ্ত, আলমগীর হোসেন, রমাপ্রসাদ সরকার বাবু, সঞ্জয় সাহা পিয়াল, ফারাজি আজমল হোসেন, আনিসুল রহমান, নাঈমুল ইসলাম খান, মো. আশরাফ আলী, ইখতিয়ার উদ্দিন ও আবু জাফর সূর্য।




গভীর রাতে আহতদে নিটোরে চার উপদেষ্টা: হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ : বুধবার দিবাগত গভীর রাতে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আসেন। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাসে সড়ক থেকে হাসপাতালে ফিরতে রাজি হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সচিবালয়ে আহতদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হবে। কীভাবে তাদের পাশে সরকার থাকতে পারে, সে বিষয়ে সেখানে আলোচনা করা হবে।

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা আছে, ভুল আছে। আপনাদের প্রতি আমাদের অনেক অনেক অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি। চেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু আমরা করতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছি। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে বলেছিলেন যে সবার চিকিৎসাসহ যা কিছু দরকার, তা উনি করবেন। আমাদের অবশ্যই ঘাটতি ছিল। আপনাদের এভাবে বসে থাকা আমাদের ভালো লাগছে না। এটি আমাদের জন্যও হৃদয়বিদারক ঘটনা।

এদিন রাত ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় সেখানে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা যে চারজন উপদেষ্টাকে এখানে আসার দাবি জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজন ঢাকার বাইরে, একজন বিদেশে ও আরেকজন ক্যানসারের রোগী। তারা চাইলে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এখানে আসতে পারেন। আর তা না হলে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত সময় দেওয়া যায়, তখন উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসা যাবে। উপদেষ্টাদের কাছ থেকে আহত ব্যক্তিদের দাবির বিষয়ে লিখিত নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এ সময় আহত আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একজন বলেন, ‘আমরা হাসনাত ভাইয়ের সঙ্গে একমত। কালকে চার উপদেষ্টা আসা পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করব।’ হাসপাতাল থেকে বিছানাপত্র নিয়ে এসে সবাই সড়কে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি। এরপর থেকে ক্ষুব্ধ আহতরা বিছানাপত্র নিয়ে এসে পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।

ঘটনার শুরু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনে যাওয়ার পর। তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তারা চলে যেতে চাইলে তিন তলার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীনদের দেখতে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণআন্দোলনে আহতরা। পরে নিচে এসে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন কয়েকজন।

হাত, পা, চোখে ব্যান্ডেজ বাঁধা এই রোগীরা হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন। তারা বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সবার সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না। এ ছাড়া ঘোষণার পর এখনও আহত ব্যক্তিদের ১ লাখ করে টাকা না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এর পর অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার অন্য গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন।




কোনো সংবাদপত্রের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না: প্রেস সচিব

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ :: কোনো সংবাদপত্রের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কোনো মিডিয়া বা নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, আমাদের তরফ থেকে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে একটা ফোন করা হয়নি কোনো সংবাদের বিষয়ে যে এই সংবাদটা নামান বা এই সংবাদটা ওঠান। একে টকশোতে নিতে পারবেন না বা একে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে পারবেন না।

গত ১৫ বছরে এরকম চর্চা ছিল। কিন্তু আমাদের তরফ থেকে একটা কিছু বলা হয়নি। আমরা যদি মনে করেছি যে কোনো নিউজ ভুল হয়েছে, আমরা নম্রভাবে বলেছি যে এই নিউজটা ভুল, আপনারা একটু দেখেন। আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অনেক সাংবাদিক জেনেশুনে গুজব ছড়িয়েছেন। আমরা সেগুলো ধরছিই না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে আমরা শতভাগ অঙ্গীকারাবদ্ধ। গত তিন মাসে কাউকে বলিনি যে এই রিপোর্ট যাবে না কিংবা এটা কেন গেল, বলিনি।

সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।




২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলে উদ্বেগ সিপিজের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় ২০ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক এই সংগঠন বলেছে, ওই সাংবাদিকদের মধ্যে চারজন আটক আছেন। আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ‘দৃশ্যত প্রতিশোধ’ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে।

সিপিজে বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের এ সিদ্ধান্ত সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগজনক নজির তৈরি করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই সংকটকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।

গত ২৯ অক্টোবর আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদপ্তর।