বাচসাস নির্বাচনে সভাপতি কামরুল হাসান ও সম্পাদক রাহাত সাইফুল নির্বাচিত

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুল হাসান দর্পণ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন রাহাত সাইফুল। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ঘিরে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ছিল।

সকাল থেকে শুরু হওয়া এই দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে কামরুল-রাহাত পরিষদ জয়ী হয়। নির্বাচন শেষে কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, “ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেয়ে আমরা আনন্দিত ও দায়িত্বশীল। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাচসাসের উন্নয়নে কাজ করবো।” সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, “ভোটারদের উপস্থিতি ও সমর্থন আমাদের আরও দায়িত্বশীল করে তুলেছে। আমরা সংগঠনের সার্থকতার জন্য কাজ করে যাবো।”

এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে লিটন রহমান ও সালাম মাহমুদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, অর্থ সম্পাদক ইরানী বিশ্বাস এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য পদে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন আবু হুরায়রা মুরাদ (আন্তর্জাতিক ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক), ইসরাত জাহান স্বর্ণা (সমাজকল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক), আনিসুল হক রাশেদ (সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সম্পাদক), আমিনুর ইসলাম লিটন (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক) এবং রুহুল আমিন ভূঁইয়া (দপ্তর সম্পাদক)। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সেলিম কামাল, রুহুল সাখাওয়াত, শাকিল হোসেন, সাজু আহমেদ, শফিউল্লাহ সুমন, হাফিজ রহমান, পান্থ আফজাল, মহিব আল হাসান ও নিয়াজ মোর্শেদ শুভ।

নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আলিমুজ্জামান এবং কমিশনার হিসেবে ছিলেন আমিনুল ইসলাম রাজু, এরফানুল হক নাহিদ, হাফিজুর রহমান সুরুজ এবং আবুল হোসেন মজুমদার।




এআই উপস্থাপক নিয়োগ: সাংবাদিকদের প্রতি নতুন চ্যালেঞ্জ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উপস্থাপক নিয়োগের মাধ্যমে পোল্যান্ডের একটি রেডিও স্টেশন নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ক্রাকোভের ওএফএফ রেডিও ক্রাকোভ এআইয়ের মাধ্যমে তাদের সম্প্রচার পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেশটির মিডিয়া ক্ষেত্রে একটি প্রথম।

এই রেডিও স্টেশনটি সাংবাদিকদের পরিবর্তে এআই-নির্মিত ভার্চুয়াল চরিত্র ব্যবহার করে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার পরিকল্পনা করছে। তারা আশা করছে যে, তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। স্টেশনটির প্রধান মার্সিন পুলিত জানিয়েছেন, “মিডিয়া ও সাংবাদিকতার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভাবনা নাকি হুমকি—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আমরা।”

এদিকে, সাবেক সাংবাদিক মাতেউশ ডেমস্কি এক খোলা চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এআইয়ের মাধ্যমে মানব কর্মীদের প্রতিস্থাপন একটি বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করছে। তিনি বলেছেন, “এটি সংবাদমাধ্যম ও সৃজনশীল শিল্পের অভিজ্ঞ কর্মীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।” তার খোলা চিঠিতে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫,০০০-এরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে, এবং তরুণদের মধ্যে এ ধরনের পরীক্ষার বিরুদ্ধে বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে।

পুলিত জানিয়েছেন, এআইয়ের জন্য কাউকে চাকরি থেকে সরানো হয়নি, বরং শ্রোতাদের সংখ্যা কম থাকায় সাংবাদিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। অপরদিকে, দেশটির ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিশ্টোফ গাওকভস্কি এআইয়ের ব্যবহার বিষয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।




ফ্যাক্ট চেকিং ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য এআই টুল তৈরি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব বৃদ্ধির সাথে সাথে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ছড়াছড়ি বেড়ে গেছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে এই সমস্যাটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, যেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে বর্ণবাদ, সহিংসতা এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের তথ্যমতে, গত সাত বছরে মহাদেশে ৩০ কোটি মানুষ সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে, এবং ৬০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংবাদ সংগ্রহের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে।

ভুয়া তথ্যের বিস্তার

২০২৩ সালে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৮৯টি বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণার ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় ৩০০ শতাংশ বেশি। নাইজেরিয়া এবং কেনিয়া সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে এবং ভুল তথ্যের ঝুঁকিতে আছে।

এআই টুল উদ্ভাবন

এই পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য সাব-সাহারা আফ্রিকার সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠানগুলো এআই টুল এবং কৌশল নিয়ে কাজ করছে। মাইএআইফ্যাক্টচেকার নামে একটি টুল তৈরি করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য সংবাদ, সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট এবং অন্যান্য ডিজিটাল কন্টেন্ট যাচাই করতে সহায়তা করে। এই টুলটি ব্রেইন বিল্ডারস ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের ফ্যাক্টচেকিং শাখা ফ্যাক্টচেকআফ্রিকা দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

অন্যান্য এআই টুলস

দুবাওয়া এআই চ্যাটবট ও অডিও প্ল্যাটফর্ম

নাইজেরিয়ার সেন্টার ফর জার্নালিজম ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দুবাওয়া প্রকল্পের অধীনে ফ্যাক্ট-চেকিং কার্যক্রমকে জোরদার করতে চ্যাটবট এবং অডিও প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। দুবাওয়া চ্যাটবটটি দ্রুত সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে সক্ষম।

নুবিয়া এআই স্টোরি ক্রিয়েশন টুল

নরওয়ের সংবাদপত্র ফেদ্রেলান্দসভেন্নেনের সাথে যৌথভাবে ডেটাফাইট নুবিয়া নামক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত সংবাদ বিতরণ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এটি তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে সক্ষম।

এই নতুন এআই টুলগুলো ফ্যাক্ট চেকিং এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, যা ভুয়া তথ্যের বিস্তার রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।




আদালতে ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মিরপুরে যুবদল নেতা ও বাঙালিয়ানা ভোজের সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল হালিম এ রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।




সিজেএফবি’র নতুন সভাপতি এনাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক রানা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্টস ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) তাদের ২৫তম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছে। ২০২৪-২৫ মেয়াদে এসএটিভির বার্তা সম্পাদক এনাম সরকারকে সভাপতি এবং দৈনিক আজকের পত্রিকার বিনোদন বিভাগীয় প্রধান এম এস রানাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এই নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন এটিএন বাংলার এ্যাডিশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান মাসুম এবং সমকালের সাব এডিটর রাসেল আজাদ বিদ্যুৎ। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পদে রয়েছেন রেডিও আমার-এর তামিম হাসান।

কমিটির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা হলেন জাহিদ শাওন (সাংগঠনিক সম্পাদক), শারমিন জাহান (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মীর নাসিফ আক্তার শুভ (প্রচার সম্পাদক), এমদাদুল হক মিল্টন (দফতর সম্পাদক), নাজমুল আহসান তালুকদার (সাহিত্য সম্পাদক), সানজানা আইভী (ক্রীড়া সম্পাদক), এবং মেহনাজ পারভীন (অর্থ সম্পাদক)।

এই নতুন কমিটি সিজেএফবি’র ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গুলশানে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গঠন করা হয়।




আরও ৪টি কমিশন গঠন করেছে সরকার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আরও চারটি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিশনগুলো হলো, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক বিষয়ক কমিশন ও নারী বিষয়ক কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

এর মধ্যে, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন ড. এ কে আজাদ খান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে কামাল আহমেদ, শ্রমিক বিষয়ক কমিশনে সৈয়দ সুলতান আহমেদ এবং নারী বিষয়ক কমিশনের প্রধান হিসেবে থাকবেন শিরীন পারভিন হক। আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিশন ঘোষণা করা হবে বলেও জানান উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের ভেরিফায়েড তালিকা হয়েছে। এর বাইরেও আরেকটি তালিকা করা হচ্ছে। আন্দোলনের সময় তৎকালিন সরকারের নির্দেশে হাসপাতাল থেকে অনেক কাগজপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর সাথে জড়িতদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

আগামী সপ্তাহে আহতদের পুনর্বাসনে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন তাদেরকে সেখানে পাঠানো হবে। আহতদের চিকিৎসায় কোনও শৈথিল্য সহ্য করা হবে না। যেসকল বেসরকারি হাসপাতাল আহতদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে। অন্যথায় সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

এর আগে, রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। সেগুলো হলো, সংবিধান সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও দুদক সংস্কার কমিশন।




এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যর্থ কৌশল ইসরাইল বেছে নিয়েছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী পশ্চিমা মিডিয়া সাম্রাজ্যের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে এবং কিছু সময়ের জন্য নিপীড়ক হওয়ার ভান করে তার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল এবং নিজেকে বিজয়ী এবং নৃশংস যুদ্ধের দৃশ্যের অধিকারী হিসাবে উপস্থাপন করেছিল।কিন্তু তারপর তার ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ ও বর্বরতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের সমর্থনকারী চরমপন্থি মিডিয়াও তাদের সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে।

৭ অক্টোবরের অভিযানের বার্ষিকী পেরিয়ে গেছে কয়েকদিন। কেউ কেউ গত বছরের যুদ্ধের জয় বা পরাজয়ের দিকটি মূল্যায়ন করার চেষ্টাা করছেন। দৃশ্যত কিছু কৌশলী পদক্ষেপ যেমন অবকাঠামো ধ্বংস করা,পেজার বিস্ফোরিত করা, কিছু কমান্ডার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শহীদ করা এবং কিছু জায়গায় আক্রমণ করা কিছু লোকের জন্য এই মানসিকতা তৈরি করেছে যে ইসরাইলি সরকার এই যুদ্ধে অনেক কিছু অর্জন করে ফেলেছে। পার্সটুডের মতে জম জম পত্রিকার একটি সম্পাদকীয়তে আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশ্লেষক “আসগর জাবরজাদি” ​​এই ক্ষেত্রে ইসরাইলের কৌশলগত ৬টি ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন।

প্রথম কৌশল হল জয়ের ভান করা। কিছু চিন্তাবিদ আজকের বিশ্বকে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত জগত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যুদ্ধের শুরুতে ইহুদিবাদী শাসক পশ্চিমা মিডিয়া সাম্রাজ্যের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে এবং কিছু সময়ের জন্য নিপীড়ক হওয়ার ভান করে তার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল এবং নিজেকে বিজয়ী এবং নৃশংস যুদ্ধের দৃশ্যের অধিকারী হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। কিন্তু তারপরে তার ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ ও নৃশংসতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের সমর্থনকারী চরমপন্থি মিডিয়াও তাদের সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে এবং কার্যত ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা আগের চেয়ে সরব হয়েছে এবং আজ বিশ্ব জনমতের কাছে শাসনটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

দ্বিতীয় কৌশল হল প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের নেতাদের নির্মূল করা। বিক্ষোভকারী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে নেতাদের অপসারণ করা হলে আন্দোলন দুর্বল হতে পারে এবং এটি একসময় ধ্বংস হতে পারে তবে প্রতিরোধ আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটি একটি চরম ভুল ধারনা। প্রতিরোধের একটি উচ্চ আধ্যাত্মিক মূল্য রয়েছে যার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুপ্রেরণা রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি পরিকল্পিতভাবে সুসংগঠিত হয়েছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে বিগত বছর হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে এবং এর বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কমান্ডারদের নির্মূল করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা এবং এই ব্যর্থ কৌশলের ফলে নতুন নেতাদের পুনরুত্থান হয়েছে।

তৃতীয় কৌশলটি হল দখলকৃত অঞ্চলের আশপাশের ভূমিতে একটি বাফার জোন তৈরি করা। প্রতিরোধকামী বাহিনীগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে তাদেরকে দমন করার নীতি ইসরাইলের ব্যর্থ হয়েছে।

চতুর্থ কৌশলটি হ’ল যুদ্ধের ব্যয় অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অঞ্চল এবং বিশ্বে সংকট জিইয়ে রাখা। এই সিদ্ধান্ত একটি কৌশল কিন্তু স্ট্রেটিজি নয়। হয়ত শুরুতে দেশগুলো সংকট রোধ করতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা মৌলিকভাবে এটি সমাধানের জন্য কাজ করতে বাধ্য হয়। এখন পর্যন্ত কৃত্রিম শান্তির পদ্ধতিগুলো অঞ্চল দ্বারা গৃহীত হয়নি এবং মনে হচ্ছে এই কৌশলের প্রভাব ভবিষ্যতে এই শাসনের অবসানই হবে দেশগুলোর একমাত্র ঐক্যমত্য সমাধান।

ইসরাইলের পঞ্চম কৌশল হল মানুষকে প্রতিরোধের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলকনীতি তৈরি করা। ইসরাইল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার অভাব প্রবর্তন করতে চাইছে এবং প্রতিরোধ অক্ষ ধ্বংস করতে চাইছে কিন্তু তার শিকড় জনগণের গভীরে প্রথিত। ইসরাইল এটা অস্বীকার করার চেষ্টা করছে যে অতীত সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা অনেক আলাদা এবং তারা ঠিক জানে যে এই অঞ্চলের সংকটের মূল ক্যান্সারের টিউমার কুখ্যাত ইহুদিবাদী শাসন। এই কৌশলটি বেছে নেওয়ার ফলে ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব অঞ্চলে জনপ্রিয় আন্দোলন গড়ে উঠেছে এবং এই আন্দোলনগুলো গতি এত বেশি যে আরব শাসকরা তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর নাগরিক বিক্ষোভ সৃষ্টির কারণে উদ্বিগ্ন।

ষষ্ঠ কৌশল হলো যুদ্ধ সম্প্রসারণ করা। এই ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর অবশ্যই জানা উচিত যে এর কৌশলগত গভীরতার উপাদানের অভাব রয়েছে। তবে প্রতিরোধের ফ্রন্ট প্রশস্ত এবং ইরান থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত কৌশলগত গভীরতা রয়েছে। অতএব, বিমান বাহিনীর উপর নির্ভর করে নেতানিয়াহু কৌশলগত অপারেশন পরিচালনা করছেন। তাই তাকে খুব ভাল করেই জানতে হবে যে মূল যুদ্ধটি স্থলভাগে এবং তিনি এখনও স্থলে কাজ করেননি এবং তিনি সব সময় স্থল যুদ্ধের ভয় পান। প্রতিরোধের বিভিন্ন ফ্রন্টের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তথ্য, অস্ত্র ও রাজনীতির দিক থেকে ইসরাইলি শাসনকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।




কুয়াকাটা সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে জামায়াতে ইসলামীর কুয়াকাটা পৌরসভা শাখার নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) শেষ বিকেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌর শাখার আমীর মাওলানা মোঃ মাঈনুল ইসলাম মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।

সভায় জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আ. কাদির, ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি পল্লী চিকিৎসক আ. হালিম, শ্রমিক ফেডারেশনের মহিপুর থানা শাখার সভাপতি মারুফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, প্রভাষক সাইদুর রহমান সাঈদ, আনোয়ার হোসেন আনুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জামায়াতে ইসলামী কুয়াকাটা পৌরসভার আমীর বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের আগে কথা বলতে পারিনি। রাজনীতি করতে পারিনি। জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। ৫ আগস্টের পর বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাজনীতি করে এবং সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।” এ সময় তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল কার্যক্রমে সাংবাদিকদের সহযোগিতার আহবান জানান। আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্রসহ ইসলামী বই বিতরণ করা হয়।




ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অবশেষে জানা গেল ইসরায়েলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরান প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সোমবার ব্লুমবার্গ ও জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে ওই হামলায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরা হয়। তবে সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও প্রকাশ করেনি ইসরায়েল সরকার।

জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আনুমানিক ৪ কোটি থেকে ৫ দশমিক ৩ কোটি ডলারের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এই হিসাব খোদ ইসরায়েলের কর কর্তৃপক্ষের। ফলে এক বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর এটি সবচেয়ে ব্যয়বহুল হামলায় পরিণত হয়েছে।

ইরানের হামলার পর দুই সপ্তাহে প্রায় ২ হাজার ৫০০টি ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির দাবি জমা দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। ক্ষয়ক্ষতির অর্ধেকেরও বেশি ইসরায়েলের প্রাণকেন্দ্র উত্তর তেল আবিবে। সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে। তবে হামলার কেন্দ্রস্থল ছিল হড হাশারন শহর। সেখানে ১ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত আরেকটি হলো উত্তর তেল আবিবের উপকূলের কাছে একটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক কমপ্লেক্স।  যেখানে কয়েক ডজন অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি রেস্তোরাঁ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলের অন্যান্য অংশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তেল নোফ এবং নেভাটিমের ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ঘাঁটির ক্ষতি এর অন্তর্ভুক্ত নয়।

গত বছর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হলে হামাসের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হামলা শুরু করে লেবাবনের হিজবুল্লাহ। এর ফলে ৬০ হাজার ইসরায়েলি উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে।  কবে তারা বাড়িতে ফিরতে পারবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ এবং তেহরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান গত ১ অক্টোবর চিরশত্রু ইসরায়েলে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর আগে গত এপ্রিলে ৩০০টি ড্রোন এবং ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালানো হয়। তবে ১ অক্টোবরের আঘাত ছিল ইসরায়েলের ওপর ইরানের দ্বিতীয় সরাসরি আঘাত।

ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইরান উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং তার বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। হামলায় পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছে একজন নিহত এবং অন্যত্র বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা গত সপ্তাহে বৈঠকে মিলিত হয়। তবে ইসরায়েলের জবাব নিয়ে এখনও ভোটাভুটি হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চান ইরানের তেল এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা থেকে ইসরায়েল বিরত থাকুক।




যুবদল নেতা জসিম সিকদারের সংবাদ সম্মেলন: খায়ের মোল্লার অভিযোগ মিথ্যা দাবি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: কুয়াকাটার হোটেল ব্যবসায়ী এম এ খায়ের মোল্লার অভিযোগে যুবদল নেতা মো. জসিম সিকদার পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবিবার অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে তিনি বিস্তারিতভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন।

মহানগরীতে খায়ের মোল্লা অভিযোগ করেছেন যে, অপহরণের পর তিনি দুর্বৃত্তদের কবল থেকে বেঁচে ফিরলেও প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় জসিম সিকদার বলেন, “আমি ঢাকায় লেখাপড়া করেছি এবং ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ছিলাম। বর্তমানে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছি। রাজনৈতিক কারণে আমি খায়ের মোল্লা ও আওয়ামী সন্ত্রাসের শিকার হয়েছি।”

জসিম জানান, কুয়াকাটার লতা চাপলী মৌজায় ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় জমি কিনে সেখানে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। এই জমির দাগ নং এসএ ১২৬২/১। তিনি অভিযোগ করেন যে, খায়ের মোল্লার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ২০১৭ সালে তাকে অপহরণ করা হয় এবং পরে আইনের সাহায্যে তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা নং ১৬২/২৪ ইং (১৮-৭-২৪) দায়ের করেন। আদালত ১৯-০৯-২৪ তারিখে সাক্ষী গ্রহণের পর এম এ খায়ের মোল্লার জোরপূর্বক নেওয়া ৭৯৪/২০১৭ নং দলিল বাতিল করেন।

জসিম বলেন, “ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে তার সংবাদ সম্মেলন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি আজ এই প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এবং তিনি আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের আশায় আছেন।