গণহত্যার পক্ষে কাজ করা গণমাধ্যমের বিচার হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: গণহত্যার পক্ষে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে কাজ করা গণমাধ্যমগুলোর বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ঢাকার সৈয়দপুর বিমানবন্দরে রংপুর যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যাকে সমর্থন করে যারা গণমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েছে, তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে। আমরা এদের কেউই ছাড় দেব না।”

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর ই আলম সিদ্দিকী, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীসহ স্থানীয় প্রশাসনের ব্যক্তিরা।

উল্লেখ্য, নাহিদ ইসলামের সফরে তার সাথে নাগরিক ঐক্য কমিটির সদস্য সচিব আকতার হোসেনও ছিলেন।




পূজামণ্ডপে গান পরিবেশন নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ২

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : চট্টগ্রামের জে এম সেন হল পূজামণ্ডপে গান পরিবেশন নিয়ে বিতর্কের ঘটনায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম কোতয়ালি থানায় একটি মামলাটি করা হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম জানা যায়নি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনসে নগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

কাজী তারেক আজিজ আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মণ্ডপে অনুষ্ঠানের মঞ্চে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম রাতেই পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।

জানা গেছে, পূজা উদ্‌যাপন কমিটির এক নেতার আমন্ত্রণে সংগঠনটি পূজামণ্ডপে গান করতে যায়। সংগঠনটির সদস্যরা শাহ আবদুল করিমের বিখ্যাত গান ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এবং ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ গান দুটি পরিবেশন করে। এর মধ্যে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’ গানটির ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল জানান, সংগঠনটির সদস্যরা যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে গান পরিবেশন করেছেন। তারা আমাদের অনুমতি নিয়ে এসেছেন।

অন্যদিকে সংগঠনের সভাপতি সেলিম জামান দাবি করেন, তারা কোনো জোরপূর্বক কাজ করেননি, বরং দাওয়াত পেয়ে গান করতে গিয়েছিলেন।




টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ভারতের টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আরেক শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইটে রতন টাটার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর দ্য ওয়াল ও সংবাদ প্রতিদিন।

গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন। কিন্তু বুধবার আবার ভারতীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

এর আগে জানা গিয়েছিল, হেলথ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন রতন টাটা। কিন্তু বুধবার বিকেলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, হঠাৎ রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, রতন টাটার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এজন্য নিয়মিত চেকআপেও থাকতে হতো তাকে।

এ বিষয়ে জানতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাটা গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানানো হয় তারা বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এ নিয়ে গ্রুপের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেবেন।

১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম রতন টাটার। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাতের সুরতে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান।

মুম্বাই, শিমলা হয়ে নিউইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলে পড়তে যান রতন টাটা। ১৯৫৯ সালে স্থাপত্য নিয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি হন কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। সাতের দশকে টাটা গ্রুপে ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পান রতন টাটা। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা দায়িত্ব ছাড়লে রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রুপের ভেতরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে তার।

যে ২১ বছর রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ছিল, তাতে গ্রুপের আয় বেড়ে হয় ৪০ গুণ, মুনাফা বাড়ে ৫০ গুণ। মধ্যবিত্তকে চার চাকার স্বপ্ন দেখান রতন টাটাই। পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা গড়ে ওঠে। যদিও রাজনৈতিক টানাপড়েনে পরে গুজরাতে কারখানা সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়।

৭৫ বছর বয়সে ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের নির্বাহী ক্ষমতা ছেড়ে দেন রতন টাটা। সেই জায়গায় পারিবারিক আত্মীয় সাইরাস মিস্ত্রিকে আনা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে সাইরাসকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে ফেরেন রতন টাটা। এরপর ২০১৭ সালে নটরাজন চন্দ্রশেখরণকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমাজসেবামূলক কাজে আরও বেশি করে যুক্ত হন রতন টাটা।

২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পান রতন টাটা। ২০০৮ সালে পান ‘পদ্ম বিভূষণ সম্মান’। মহারাষ্ট্র, আসাম সরকারও তাকে সম্মান প্রদান করে। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স, আইআইটি বম্বে, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাজা তৃতীয় চার্লসের থেকেও বিশেষভাবে সম্মানিত হন।

রতন টাটা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। তবে ২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জীবনে প্রেম এসেছিল বলে স্বীকার করে নেন। চার-চারবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার উপক্রম হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক পরিণতি পায়নি বলে জানান।




ভারতীয় গণমাধ্যম গণঅভ্যুত্থান নিয়ে উদ্দেশমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে – তথ্য উপদেষ্টা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা (ভারতীয় গণমাধ্যম) বাংলাদেশের এ অভ্যুত্থানকে একধরনের ইসলামি উগ্রবাদের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ তৈরি হলে ভারতের যারা উগ্রবাদী রয়েছে, তাদের জন্য সহায়ক হয়। সেই জায়গা থেকে এই অপপ্রচার চালানো হয়ে থাকতে পারে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব বলেন নাহিদ ইসলাম। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে ভারতের দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা দেখবেন, আমাদের এই আন্দোলনের অন্যতম একজন মাহফুজ আলমকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের পত্রিকা ইকোনমিক টাইমস কোনো ধরনের তথ্য প্রমাণ ছাড়া তাঁকে হিজবুত তাহরীর সদস্য হিসেবে অভিহিত করে। আমরা দেখলাম, সেই একই সুর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছে। একই সুরে কথা বলছেন তসলিমা নাসরিন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারতের যারা গণতন্ত্রকামী মানুষ রয়েছেন, তাঁরাও এসবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবেন বলে আশা করি। আমরা যদি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া গড়তে চাই, তাহলে অবশ্যই আমাদের এ ধরনের প্রোপাগান্ডা, মিসইনফরমেশন ও মিথ্যা বয়ানের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, দাঁড়াতে হবে।




আমলাতন্ত্রই হাসিনাকে ফের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে পারে : টাইম ম্যাগাজিন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন? গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ১৫ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা শেখ হাসিনা। গতকাল তার দেশত্যাগের দুই মাস পার হয়েছে। এরই মধ্যে তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হাসিনা এখন ভারতে কোন পরিচয়ে আছেন তা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ভারত সরকারও সে দেশে তার অবস্থান নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে। খবর বেরিয়েছে হাসিনা এখন অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ দিকে ৮০ বছরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া হাসিনার রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে আলোচনা চলছে। দলের সভাপতির দেশত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রায় সর্বস্তরের নেতারাই দুর্নীতি আর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অনেক একনিষ্ঠ কর্মী মনে করেন তাদের নেত্রী আবার বাংলাদেশে ফিরে দলের হাল ধরবেন।
কিন্তু রাজনীতিতে হাসিনার ফেরা কি আদৌ সম্ভব? হাজারো শহীদ আর অসংখ্য আহত মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বৈরাচার পতনের সফল আন্দোলন কি ব্যর্থ হয়ে যাবে?

এ নিয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিন। তাদের প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির যে নেতৃত্বশূন্যতা, সেটিই এক সময় শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরে আসার পথ এবং রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।

নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-গবেষক এবং বাংলাদেশের নাগরিক মোবাশ্বের হাসান এ প্রসঙ্গে টাইম সাময়িকীকে বলেন, ‘বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারের বৈধতা রয়েছে, জনসমর্থনও রয়েছে; কিন্তু এই সরকার নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। নির্বাচিত সরকারের মতো তাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। শেখ হাসিনা যদি চান, তাহলে এই দুর্বলতাকে ব্যবহার করে এক সময় দেশে ফিরে আসতে পারবেন। এটা কেবলই সময়ের অপেক্ষা।’

যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানও এমনটা মনে করেন।
টাইম সাময়িকীকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন শুধু সম্ভবই নয়, খুবই সম্ভব। কারণ পরিবারতন্ত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রাজনীতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যুগ যুগ ধরে দক্ষিণ এশিয়ায় এটি চলে আসছে। মাত্র বাংলাদেশে সহসাই এ সংস্কৃতির অবসান ঘটবে এমনটা প্রত্যাশা করা যায় না। তার পরও হয়তো বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যেতো, যদি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হতো। কিন্তু দেশটির যে রাজনৈতিক বাস্তবতা, তাতে এটি একেবারেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ এখনও বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান টাইম ম্যাগাজিনকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং তার চলে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে আগামী এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকতে পারে তা একেবারেই ভিত্তিহীন কল্পনা। অবশ্য এই সরকার যদি সার্বিকভাবে ভেঙে পড়ে, তাহলে যেকোনো কিছুই সম্ভব।’ এবং এই সরকারের ভেঙে পড়ার আশঙ্কা বেশ ভালোভাবেই রয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক শহীদুল হক।

টাইম ম্যাগাজিনকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। পনের বছর কিন্তু অনেক দীর্ঘ সময়। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পুরো আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনকে নিজের মতো করে সাজিয়েছে দলটি। বর্তমান সরকার কয়েকজন চিহ্নিত আমলা ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু পুরো প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া প্রশাসন ঢেলে সাজাতে গেলে আমলাতন্ত্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকার পারত পক্ষে কোনোভাবেই এ ঝুঁকি নিতে চাইবে না। আর এই প্রশাসন এবং আমলাতন্ত্রই আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে ফের বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনবে।’

তবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সচেতন মহল বিষয়টা বুঝতে পেরে নড়ে চড়ে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক মহল দাবি তুলেছে হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীদের প্রশাসন থেকে দ্রুত সরিয়ে বঞ্চিত ও সৎ লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসানো হোক। সরকারও প্রশাসনে সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তার ফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন যে, তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। পরে অবশ্য তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে যে, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তিনি (জয়) দলের হাল ধরবেন। তিনি সত্যিই এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে টাইম ম্যাগাজিনকে জয় বলেন, ‘আমার কখনওই রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা ছিল না; কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে ভবিষ্যতে কী হয় তা কে বলতে পারে? আমি এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।’

তবে জয় যদি রাজনীতিতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এই মুহূর্তে সেটি সঠিক সিদ্ধান্ত হবে কী না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ভারতের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ মীনাক্ষী গাঙ্গুলী।

টাইম সাময়িকীকে মীনাক্ষী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, দলটির রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার পুরোটা জুড়েই রয়েছেন শেখ হাসিনা। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যার বাইরে অন্য কাউকে দলীয় প্রধান বা সরকার প্রধানের পদে দেখতে প্রস্তুত নয়। আওয়ামী লীগ যদি তার ভুলগুলো স্বীকার করে, দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা বৃদ্ধি করে এবং নিজেকে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে, কেবল তাহলেই বর্তমান সঙ্কট থেকে দলটির উত্তরণ সম্ভব।’




ডিসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি: ‘ডলারে দিও ৫ কোটি, বাকিটা ক্যাশ’

চন্দ্রদ্বীপ অনলাইন : বেসামরিক প্রশাসনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে ভয়াবহ কেলেঙ্কারিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ও যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং আলী আযম সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে এর কিছু প্রমাণও মিলেছে, যা নেটদুনিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। জাতীয় দৈনিক কালবেলার নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ছিল আজকে টক অব দ্য কান্ট্রি। তবে জন প্রশাসন সচিব একে ফেক প্রতিবেদন হিসেবে উল্লেখ করে প্রেস কাউন্সিলে যাওয়ার কথা বলেছেন।

কালবেলা প্রকাশিত প্রতিবেদনে হোয়াটসপ্অ্যাপের সংবেদনশীল কথোপকথনে এই কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা বর্তমানে প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

এই কেলেঙ্কারির মূল বিষয় হলো ডিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর্থিক সুবিধা নেয়া। মোখলেস উর রহমান ও ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে উঠে এসেছে, ডিসি নিয়োগের বিনিময়ে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। মোখলেস উর রহমান কথোপকথনে নিজেকে ‘নির্লোভ’ দাবি করলেও পাঁচ কোটি টাকার চাহিদা প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, ড. জিয়া তাকে ১০ কোটি টাকা রাখার পরামর্শ দেন। কথোপকথনে আর্থিক লেনদেনের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা উঠে আসে, যার মধ্যে বলা হয় ‘ডলারে দিও অর্ধেক 5c; বাকিটা ক্যাশ দিও আমার লোকের কাছে।’

ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, মোখলেস এবং জিয়াউদ্দিনের মধ্যে ডিসি নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা হয়। তারা নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিকে ডিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে পরামর্শ দেন এবং সেই নিয়োগের জন্য আর্থিক সুবিধা নেয়া হয়। এসব কথোপকথন সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহলে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত চেক ও ডিসি নিয়োগের নথি উদ্ধার হওয়ার কথা প্রকাশিত হয়, যা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান ফোন ধরেননি। তবে পরে একটি এসএমএসে তিনি লিখেছেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না।’ অন্যদিকে, যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ড. জিয়াউদ্দিন ও আলী আযমের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

প্রকাশিত কেলেঙ্কারির পর প্রশাসন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সন্দেহভাজন যুগ্ম সচিবকে সরিয়ে সিলেটে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্ত করার জন্য এক সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনও মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে তা প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে।




নবাগত ওসির সাথে গলাচিপা প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপা নবাগত ওসি আসাদুর রহমান সঙ্গে গলাচিপা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে থানা মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নবাগত ওসি আসাদুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, চাঁদাবাজিসহ সব অপরাধ কমে যাবে।

মতবিনিময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় , সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান রিচার্জ প্রমুখ।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি বাবুল মিয়া, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি জাকির হোসেন, দৈনিক কালের ছবির গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রুবেল, দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সাইমুর রহমান এলিট, আমাদের সময় পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি মনতাসির মামুন, ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি কমল সরকার , দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি রিয়াদ হোসেন, দৈনিক আমাদের অর্থনিতি পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা, মাই টিভির উপজেলা প্রতিনিধি হাসান এলাহী, ৭১ টিভির গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি শাকিব হাসান, বিজয় টিভির গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি আহসানুল হক জিকু, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সঞ্জিব দাস, দৈনিক আজকের পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি বিনয় কর্মকার, দৈনিক নিউনেশন পত্রিকার গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি সঞ্জীব সাহা, সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ ।




পটুয়াখালীতে সাংবাদিকদের নিয়ে এডভান্স মাল্টিমিডিয়া স্টোরিটেলিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীতে প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন সাংবাদিকদের নিয়ে এডভান্স মাল্টিমিডিয়া স্টোরিটেলিং বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী প্রেসক্লাব ভবনের ড. আতহার উদ্দিন মিলনায়তনে পটুয়াখালী প্রেসক্লাব, জেসি আই বরিশাল, জেগানতাই ঢাকা আপটাউন সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সোহরাব হোসেন কর্মশালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

জেসিআই বরিশাল এর প্রেসিডেন্ট ও সহযোগী অধ্যাপক জামিল খান, সেক্রেটারী জেনারেল ও সিনিয়র লেকচারার সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন ও জেসিআইয়ের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট লিপি ঘোষ প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।

কর্মশালায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইনের ৩৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় মোবাইল জার্নালিজমের বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের প্রবীণ সদস্য নির্মল কুমার রক্ষিত বক্তব্য রাখেন।

পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়ের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. সোহরাব হোসেন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




মোবাইল চার্জে দিয়ে ঘুম, বিস্ফোরণে চিকিৎসকের মৃত্যু

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ময়মনসিংহে বিছানায় চার্জে রাখা মোবাইল বিস্ফোরণ হয়ে তারিকুল আলম নোমান (৪২) নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জমির মুন্সি লেন এলাকার তার নিজ বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারিকুল আলম নগরীর জমির মুন্সি এলাকার মৃত তাহের উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার ভোর রাত ৪টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মুঠোফোনটি বিস্ফোরিত হয়ে দগ্ধ হন ঘুমন্ত তারিকুল। এতে ওই চিকিৎসকের দুই হাত, বুক, নাক-মুখ পুড়ে যায়। ভোর চারটার দিকে কক্ষ থেকে পোড়া গন্ধ আসে। এ অবস্থায় পরিবারের লোকজন দরজা খুলে তারিকুল ইসলামকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহতের ভাই তাসরিকুল আলম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার আবেদন করেন। চিকিৎসক মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

 

 

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, রাত ১টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিনের মতো অস্ত্রোপচার শেষে বাসায় ফেরেন চিকিৎসক। পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরক্ত না করে তিনি আলাদা রুমে ঘুমাতে যান। বিছানার পাশে রাখা মাল্টিপ্লাগে নিজের ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

ওসি জানান, আমরা ধারণা করছি চার্জে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনটি বিস্ফোরণ হয়ে শরীরে আগুন ধরে যায়। পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কি কোম্পানির মোবাইল ছিল তা জানা যায়নি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।




‘বিদেশি প্রভুদের নিয়ে বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে শেখ হাসিনা’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : পরাজিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা বিদেশি প্রভুদের নিয়ে ছাত্র জনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। দীর্ঘ ৬ বছর পর তুরষ্ক থেকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময়টায় সবাইকে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান।

উদ্ভট মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে ৭ বছরের সাজা দিয়েছে হাসিনা সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শতাধিক মামলা রয়েছে আমার নামে। এসব মামলার আইনি মোকাবেলা করা হবে। ’

হাসিনার আমলে ৫ বছর জেল খাটার কথা উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘এ সরকারের আমলে আরও ৫ মাস জেল খাটলেও অসুবিধা নেই। জেল থেকে বের হয়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলবো। ’

এ সময় যে বিপ্লব অর্জিত হয়েছে, তা যেন দীর্ঘমেয়াদি হয় এমন প্রত্যাশা করেন মাহমুদুর রহমান।