গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি দুই বছর পরেও, স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পরেও শুরু হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ। স্থানীয় প্রশাসন এখনো জানে না সেতুর নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময় ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল।

রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সেতু নির্মাণ হলে গলাচিপা উপজেলার মানুষের জন্য বরিশাল বিভাগীয় সদর এবং পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে নিরাপদ ও সহজ সড়ক যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

নদী পারাপারে প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন ফেরির মাধ্যমে চলাচল করে, তবে এতে সময়, খরচের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে গুরুতর রোগী এবং তাদের স্বজনরা। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় গলাচিপা, রাঙ্গাবালী এবং দশমিনা উপজেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

গাড়িচালক মো. রনি বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যক্রম চোখে পরছে না। আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।”

সাবেক এক সেনা সদস্য জানান, “দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি ব্রিজ হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যকর কিছুই হচ্ছে না। জীবিত অবস্থায় ব্রিজটি দেখে যেতে পারবো কি না জানি না।”

গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আশা প্রকাশ করেন যে, শিগগিরই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান বলেন, “যে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা যতো ভালো, সে এলাকা ততো উন্নত হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হয়ে গেলে গলাচিপা আর অবহেলিত থাকবে না।”

গলাচিপা বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “ব্রিজটি লাখ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। কাজেই সেতুটি জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ হওয়া প্রয়োজন।”

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, “রামনাবাদ চ্যানেলে সেতুটি বর্তমানে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত। তবে এর নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কে অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু

কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোস্তফাপুর এলাকায় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে প্রান্ত (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রান্ত উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা সুজন হাওলাদারের পুত্র।

স্থানীয় সূত্র ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে অটোরিকশায় করে নিজ বাড়ি থেকে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে খালাবাড়িতে যাচ্ছিল। মহাসড়কে চলার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ঢালে উল্টে যায়। এতে প্রান্ত গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বরগুনায় আওয়ামী লীগ নেতার হাতে দেশীয় অস্ত্র, ভিডিও ভাইরাল

বরগুনায় এক আওয়ামী লীগ নেতার হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বরগুনা জেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি এবং সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া একটি দেশীয় অস্ত্র (চাকু) হাতে উত্তেজিতভাবে বাগবিতণ্ডা করছেন। ভিডিওটি শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ১৭ সেকেন্ড, যেখানে গোলাম কিবরিয়া একটি ঘরের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করছেন। পরে উত্তেজিত হয়ে তিনি দেশীয় অস্ত্র হাতে উপস্থিত লোকজনের দিকে ধাবিত হতে চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন তাকে বাধা দিলে বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।

বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. তালিমুল ইসলাম পলাশ এই ভিডিওর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, গোলাম কিবরিয়া এক সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তাঁর দাবি, ভিডিওটি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরিচায়ক এবং এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি কিবরিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম বলেন, “এই ভিডিওর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে যদি অভিযোগ পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের বি এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি নতুন বই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুসারে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বই শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ে আনা হয়েছিল। আর এ বইগুলো শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষক নিজে বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে ৪২৮ কেজি বই বিক্রি করেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর দাবি, বিদ্যালয়ের আলমারি খালি করতে কিছু পুরোনো কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে, কিন্তু নতুন বই বিক্রি করার বিষয়টি তিনি জানেন না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. ইউনুছ খান জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং নতুন বই বিক্রির কাজ করেন। তাঁর দাবি, ২০২৩ ও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে, যা সঠিক নয়।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বিদ্যালয়ে গত দুই বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থী বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত বইয়ের চাহিদা দিয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যালয়ে বই এসেছে এবং অধিকাংশ বই বিদ্যালয়ে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। বই রাখা না থাকায় প্রধান শিক্ষক এসব বই বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বই ক্রেতা আশরাফুল সরদার জানান, তিনি প্রধান শিক্ষকের ফোনে ডেকে নিয়ে বিগত বছরের বই কেনার প্রস্তাব পান। পরে ১৫ টাকা কেজি দরে ৪২৮ কেজি বই কিনেন। তাঁর দাবি, বিক্রি হওয়া বইগুলো পুরোনো কিছু কাগজপত্র ছিল না।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোসা. মতিয়া বেগম জানান, তিনি বই বিক্রির বিষয়টি জানেন না। তবে কিছু পুরোনো কাগজপত্র কেজি দরে বিক্রি করেছেন বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, “সরকারি বই বিক্রি করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। অতিরিক্ত চাহিদা দিয়ে বই আনা হলে, সেগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ না করে শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরত দিতে হবে।” এছাড়া পুরোনো বই বিক্রির জন্য বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ (ম্যানেজিং কমিটি) সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। তিনি জানান, বই বিক্রির এই অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ভোলায় গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও দুই সমবায় সমিতি

ভোলার দৌলতখান উপজেলার দুইটি সমবায় সমিতি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। গ্রাহকেরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এবং সমিতির অফিসের সামনে রাত-দিন অপেক্ষা করছেন।

দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় ধরে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এবং নিউ আইডিয়াল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে দুটি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। এই সমিতির সভাপতি আব্দুর রব গ্রাহকদের উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। গ্রাহকদের মাঝে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে এই টাকা সংগ্রহের পর, গত নভেম্বর মাসে সমিতির অফিসে তালা মেরে তিনি আত্মগোপন করেন।

জানা গেছে, সমিতির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এক লাখ টাকার বিপরীতে ১৫ হাজার টাকার উচ্চ মুনাফা দেওয়া হতো এবং দ্বিগুণ লাভের অফারও দেওয়া হতো। এই লোভনীয় অফারগুলোতে আকৃষ্ট হয়ে দৌলতখান এবং আশপাশের এলাকার গ্রাহকরা তাদের পুঁজি জমা রাখেন। একসময় এই সমিতির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত টাকার ফেরত পেতে চরম উদ্বেগে রয়েছেন।

স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম জানান, তিনি তার গরু-ছাগল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি তার টাকার হাল জানেন না। সুরমা বেগমও জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি ৩০ হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন, কিন্তু সেই টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না। বিধবা মাজেদা বেগমও জানিয়েছেন, তার মৃত স্বামী রেখে যাওয়া ৩ লাখ টাকা তিনি সমিতিতে জমা রেখেছিলেন, কিন্তু এখন তিনি অফিসে গিয়ে কাউকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রবের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ফেসবুক আইডিতে তিনি জানান, তার বাড়িঘর বিক্রি করে হলেও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবেন।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “যদি কোনো গ্রাহক থানায় লিখিত অভিযোগ দেন, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা সমবায় কার্যালয়ের উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানিয়েছেন, সমবায় আইন অনুযায়ী যদি কোনো অভিযোগ আসে, তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বরিশালে অবৈধ ঘাটে যাত্রী বহন করে ফিটনেস বিহীন অবৈধ স্পিডবোট

বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন থেকে মেহেন্দিগঞ্জ-পাতারহাট নৌপথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। যদিও এই অঞ্চলের প্রধান বাহন হিসেবে লঞ্চ ব্যবহার করা হয়, তবে অধিকাংশ যাত্রী সময়ের অভাবে স্পিডবোটে যাতায়াত করেন।

তবে, এই নৌপথে চলাচলরত ৫০ থেকে ৫৫টির অধিক স্পিডবোটের একটিরও বিআইডব্লিউটিএ’র লাইসেন্স নেই, যার ফলে এই স্পিডবোটগুলো অবৈধ এবং ফিটনেস বিহীন। বেশিরভাগ বোটে দক্ষ চালকও নেই, যা যাত্রীদের জন্য বিপজ্জনক। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা গেছে, বর্তমানে বরিশাল-মেহেন্দিগঞ্জ-পাতারহাট রুটে অর্ধশতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে, এবং এগুলোর কোনো লাইফ জ্যাকেট নেই বা তা ব্যবহারের উপযোগী নয়। এসব বোটে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে স্পিডবোট চালকরা দুর্ব্যবহার করেন, তাই ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই অবৈধ স্পিডবোটগুলো চলাচল করছে এবং প্রশাসন একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, স্পিডবোট মালিক সমিতির নেতারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে স্পিডবোট চালাচ্ছেন।

এছাড়া, অবৈধ স্পিডবোট ঘাটে স্থানীয় দোকানদারদের সাথে চাঁদাবাজি করার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নদী ও বাঁধের ক্ষতির জন্য এই অবৈধ স্পিডবোটগুলো দায়ী। অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে এবং এর ফলে নদীর পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাবাদ স্পিডবোট ঘাটে কোনো কমিটি বা লাইনম্যান নেই। যাত্রীদের কাদা পানি পার করে বোটে উঠতে হয়, যা তাদের জন্য দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এসব সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্পিডবোটগুলো অবৈধভাবে চলাচল করছে এবং এর জন্য প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই স্পিডবোটগুলোর লাইসেন্স না থাকায় সেগুলোর বন্ধের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর হতে বলা হয়েছে।

অবশেষে, প্রশাসন যদি দ্রুত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি আরো বৃদ্ধি পাবে।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




তেল নিয়ে তেলেসমাতি: মিলছে না দাম বাড়িয়েও

দেশে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯ ডিসেম্বর দাম লিটারে আট টাকা বাড়ানো হয়। এর পর ১৬ ডিসেম্বর দাম সহনীয় রাখতে সয়াবিন তেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দেয় সরকার। কিন্তু এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও খুচরা ব্যবসায়ীরা চাহিদামাফিক তেল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন, আর এর ফলে সাধারণ মানুষ ভুগছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও চাহিদা মাফিক সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে, কোথাও বা পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানিরা অনেক সময় জানাচ্ছেন, ‘তেল নেই’। আবার কিছু দোকানে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে।

কাওরান বাজারের মায়ের দোয়া জেনারেল স্টোরের এক বিক্রেতা জানান, তাদের দোকানে সয়াবিন তেলের সরবরাহে কোনো সমস্যা নেই। তারা যা চাচ্ছেন তাই পাচ্ছেন। একই বক্তব্য দেন কাওরান বাজারের মেসার্স বন্ধু স্টোর, লক্ষ্মীপুর স্টোরসহ অন্যান্য বিক্রেতারা। এর সত্যতা পেয়ে জানা যায়, আব্দুর রহমান নামে একজন ক্রেতা কোন সমস্যা ছাড়াই দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনেছেন।

তবে মিরপুর, বাংলামোটর এবং পুরান ঢাকার নবাবপুরে খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন যে, আগে যেমন সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) নিয়মিত তাদের কাছে তেল পৌঁছাতো, এখন তা হচ্ছে না। অনেক সময় এসআররা এসে সীমিত অর্ডার নিচ্ছেন, ফলে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীদের পাইকারি বাজার থেকে তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

বাংলামোটরের রিপন স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রিপন মিয়া বলেন, আগে প্রতি সপ্তাহে এসআর আসতেন, কিন্তু এখন তাদের জোরাজুরি করতে হচ্ছে এবং তাও চাহিদামতো তেল পাওয়া যাচ্ছে না। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার এক খুচরা দোকানদার, যিনি জানান, কোম্পানির লোকেরা ঠিকভাবে আসছেন না, ফলে তেল পেতে সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজিব ব্যাপারী, যিনি সদ্য মাস্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। তিনি বলেন, সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে প্রায়ই তাকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। একাধিক দোকানে ঘুরেও তেল পাওয়া যায় না। তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে নতি স্বীকার করে দাম বাড়িয়েছে, কিন্তু এই মূল্যবৃদ্ধির পরও তেল সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়া উচিত নয়। তিনি বলেন, সরবরাহে সমস্যা থাকার কথা বললেও, কেন এতদিনে এর সমাধান করা হয়নি, তা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের দায়িত্ব ছিলো সরবরাহ ঠিক রাখা, কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে।

বর্তমানে, ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বেড়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ৮৬০ টাকা।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




 বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে একটি কমিশন। দুই দেশের বন্দি বিনিময়ের কার্যক্রম এবং আটক ব্যক্তিদের পরিণতি নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহকারী কমিশন তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যে, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় ভারতের ভূমিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক বিচারপতি মাইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিশন সম্প্রতি ‘সত্য উদঘাটন’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে। কমিশন জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে জোরালো ইঙ্গিত রয়েছে যে কিছু বন্দি এখনও ভারতের জেলে থাকতে পারে।

কমিশন আরও জানায়, তারা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, যেন তারা ভারতের জেলে থাকা কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে খুঁজে বের করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। তবে, বাংলাদেশে এই বিষয়টি তদন্ত করার এখতিয়ার কমিশনের নেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে অপহৃত হয়ে ভারতীয় কারাগারে পৌঁছানো সুখরঞ্জন বালি এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনা দুইটি বড় প্রমাণ সরবরাহ করছে যে, গুমের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছিল।

সালাহউদ্দিন আহমেদের বিষয়ে কমিশন জানায়, তাকে ২০১৫ সালে উত্তরায় লুকিয়ে থাকার সময় আটক করা হয় এবং তাকে একটি পরিত্যক্ত সেলে আটক রাখা হয়েছিল, যেখানে একটি গর্ত ছিল যা টয়লেট হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তার দেওয়া কম্বলে ‘টিএফআই’ অক্ষরগুলো লেখা ছিল, যা ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’-এর ইঙ্গিত বহন করে।

কমিশন পরিদর্শন করে নিশ্চিত করেছে যে, র‍‍্যাব গোয়েন্দা শাখা এখনও ওই স্থাপনার প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর চাবি নিজেদের হাতে রাখে। তবে, ওই স্থাপনার অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো সম্প্রতি ধ্বংস করা হয়েছে। কমিশন জানায়, ২০১০-১১ সালের দিকে এই কেন্দ্র পরিদর্শনকারী সেনা সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে জানা গেছে, এক সময় এই স্থাপনায় অতিরিক্ত একটি তলা ছিল, যা বর্তমানে আর প্রবেশ করা যায় না।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বন্দী হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক প্রকৃতি এবং এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, দুই দেশের সরকারের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটেছে।

কমিশন এই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে প্রাথমিকভাবে এটি সন্দেহ করা হচ্ছে যে, সালাহউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে নষ্ট করে ফেলা সেলগুলোর একটিতে আটক ছিলেন। তাদের মতে, দুই দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যমে গুমের ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক প্রকৃতির।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




 ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়াল

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার খবর এসেছে, ফলে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ জনে। এ সময়েই নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪১ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৯ জনে পৌঁছেছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ১১ জন, ময়মনসিংহে ৫ জন এবং রাজশাহীতে ৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭০ জন ডেঙ্গু রোগী। এ পর্যন্ত মোট ৯৮ হাজার ২৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ৫৬১ জন ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, “ডেঙ্গু এখন আর সিজনাল নয়, এটি সারা বছরই হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সর্বত্র প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।”

কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলেন, “মশানিধন কেবল জেল-জরিমানা এবং জনসচেতনতা বাড়িয়ে হবে না, সঠিক জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১ হাজার ৭০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছিল, যা ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

মো: তুহিন হোসেন,
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




শীতের বৃষ্টিতে স্থবির বরিশালের জনজীবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে বরিশালে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শনিবার দিনভর চলতে থাকে। শনিবার দিনভর মেঘলা আকাশের কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি, ফলে শহরের জনজীবন এক ধরনের স্থবির হয়ে পড়েছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৪০ মিনিট থেকে বরিশালে বৃষ্টি শুরু হয়। শনিবার দিনভর কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনো হালকা বৃষ্টি হতে থাকে। শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা বাড়েনি এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শীত অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া মেঘলা এবং বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি আরো জানান, উপকূল এবং ভোলার নিম্নাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যা আরো দুই-এক দিন ধরে চলতে পারে।

এ অবস্থা শহরের জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। বৃষ্টির কারণে কাজে না যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ ঘরেই অবস্থান করছেন। তবে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার কারণে পরিবহন চালকদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। এরই মধ্যে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরের ইচলাদিতে সাকুরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেউ আহত হয়নি। এছাড়া, সকাল বেলা মহাসড়কে দুটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তবে ধীরগতির কারণে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম