এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যর্থ কৌশল ইসরাইল বেছে নিয়েছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী পশ্চিমা মিডিয়া সাম্রাজ্যের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে এবং কিছু সময়ের জন্য নিপীড়ক হওয়ার ভান করে তার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল এবং নিজেকে বিজয়ী এবং নৃশংস যুদ্ধের দৃশ্যের অধিকারী হিসাবে উপস্থাপন করেছিল।কিন্তু তারপর তার ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ ও বর্বরতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের সমর্থনকারী চরমপন্থি মিডিয়াও তাদের সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে।

৭ অক্টোবরের অভিযানের বার্ষিকী পেরিয়ে গেছে কয়েকদিন। কেউ কেউ গত বছরের যুদ্ধের জয় বা পরাজয়ের দিকটি মূল্যায়ন করার চেষ্টাা করছেন। দৃশ্যত কিছু কৌশলী পদক্ষেপ যেমন অবকাঠামো ধ্বংস করা,পেজার বিস্ফোরিত করা, কিছু কমান্ডার এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের শহীদ করা এবং কিছু জায়গায় আক্রমণ করা কিছু লোকের জন্য এই মানসিকতা তৈরি করেছে যে ইসরাইলি সরকার এই যুদ্ধে অনেক কিছু অর্জন করে ফেলেছে। পার্সটুডের মতে জম জম পত্রিকার একটি সম্পাদকীয়তে আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশ্লেষক “আসগর জাবরজাদি” ​​এই ক্ষেত্রে ইসরাইলের কৌশলগত ৬টি ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন।

প্রথম কৌশল হল জয়ের ভান করা। কিছু চিন্তাবিদ আজকের বিশ্বকে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রভাবিত জগত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যুদ্ধের শুরুতে ইহুদিবাদী শাসক পশ্চিমা মিডিয়া সাম্রাজ্যের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে এবং কিছু সময়ের জন্য নিপীড়ক হওয়ার ভান করে তার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল এবং নিজেকে বিজয়ী এবং নৃশংস যুদ্ধের দৃশ্যের অধিকারী হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। কিন্তু তারপরে তার ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ ও নৃশংসতার মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তাদের সমর্থনকারী চরমপন্থি মিডিয়াও তাদের সমর্থন কমিয়ে দিয়েছে এবং কার্যত ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা আগের চেয়ে সরব হয়েছে এবং আজ বিশ্ব জনমতের কাছে শাসনটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে।

দ্বিতীয় কৌশল হল প্রতিরোধ নেটওয়ার্কের নেতাদের নির্মূল করা। বিক্ষোভকারী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে নেতাদের অপসারণ করা হলে আন্দোলন দুর্বল হতে পারে এবং এটি একসময় ধ্বংস হতে পারে তবে প্রতিরোধ আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটি একটি চরম ভুল ধারনা। প্রতিরোধের একটি উচ্চ আধ্যাত্মিক মূল্য রয়েছে যার জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুপ্রেরণা রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি পরিকল্পিতভাবে সুসংগঠিত হয়েছে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে বিগত বছর হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে এবং এর বিভিন্ন স্তরের নেতা ও কমান্ডারদের নির্মূল করার ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা এবং এই ব্যর্থ কৌশলের ফলে নতুন নেতাদের পুনরুত্থান হয়েছে।

তৃতীয় কৌশলটি হল দখলকৃত অঞ্চলের আশপাশের ভূমিতে একটি বাফার জোন তৈরি করা। প্রতিরোধকামী বাহিনীগুলোর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে তাদেরকে দমন করার নীতি ইসরাইলের ব্যর্থ হয়েছে।

চতুর্থ কৌশলটি হ’ল যুদ্ধের ব্যয় অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অঞ্চল এবং বিশ্বে সংকট জিইয়ে রাখা। এই সিদ্ধান্ত একটি কৌশল কিন্তু স্ট্রেটিজি নয়। হয়ত শুরুতে দেশগুলো সংকট রোধ করতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু নিঃসন্দেহে এটি তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং তারা মৌলিকভাবে এটি সমাধানের জন্য কাজ করতে বাধ্য হয়। এখন পর্যন্ত কৃত্রিম শান্তির পদ্ধতিগুলো অঞ্চল দ্বারা গৃহীত হয়নি এবং মনে হচ্ছে এই কৌশলের প্রভাব ভবিষ্যতে এই শাসনের অবসানই হবে দেশগুলোর একমাত্র ঐক্যমত্য সমাধান।

ইসরাইলের পঞ্চম কৌশল হল মানুষকে প্রতিরোধের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো এবং বিভিন্ন বৈষম্যমূলকনীতি তৈরি করা। ইসরাইল প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার অভাব প্রবর্তন করতে চাইছে এবং প্রতিরোধ অক্ষ ধ্বংস করতে চাইছে কিন্তু তার শিকড় জনগণের গভীরে প্রথিত। ইসরাইল এটা অস্বীকার করার চেষ্টা করছে যে অতীত সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা অনেক আলাদা এবং তারা ঠিক জানে যে এই অঞ্চলের সংকটের মূল ক্যান্সারের টিউমার কুখ্যাত ইহুদিবাদী শাসন। এই কৌশলটি বেছে নেওয়ার ফলে ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব অঞ্চলে জনপ্রিয় আন্দোলন গড়ে উঠেছে এবং এই আন্দোলনগুলো গতি এত বেশি যে আরব শাসকরা তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর নাগরিক বিক্ষোভ সৃষ্টির কারণে উদ্বিগ্ন।

ষষ্ঠ কৌশল হলো যুদ্ধ সম্প্রসারণ করা। এই ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর অবশ্যই জানা উচিত যে এর কৌশলগত গভীরতার উপাদানের অভাব রয়েছে। তবে প্রতিরোধের ফ্রন্ট প্রশস্ত এবং ইরান থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত কৌশলগত গভীরতা রয়েছে। অতএব, বিমান বাহিনীর উপর নির্ভর করে নেতানিয়াহু কৌশলগত অপারেশন পরিচালনা করছেন। তাই তাকে খুব ভাল করেই জানতে হবে যে মূল যুদ্ধটি স্থলভাগে এবং তিনি এখনও স্থলে কাজ করেননি এবং তিনি সব সময় স্থল যুদ্ধের ভয় পান। প্রতিরোধের বিভিন্ন ফ্রন্টের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তথ্য, অস্ত্র ও রাজনীতির দিক থেকে ইসরাইলি শাসনকে নিঃশেষ করে দিয়েছে।




নিয়তের কারণে আমলের নেকি বৃদ্ধি পায়: ইসলামের আলোকে নিয়তের মহত্ব

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, মানুষের কর্মের মূল ভিত্তি হচ্ছে তার নিয়ত বা ইচ্ছা। কোনো কাজের পিছনে থাকা নিয়তই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়। একজন মানুষ ভালো কাজ করার ইচ্ছা করলেও যদি কোনো কারণে সেই কাজটি করতে না পারে, তবুও তার নিয়তের জন্য সে আল্লাহর কাছে পুরস্কৃত হয়। এই বিষয়টি ইসলামের বিশেষ এক মহত্বের উদাহরণ, যেখানে নিয়তের বিশুদ্ধতা ও সদিচ্ছার কারণে মানুষ অনেক নেকি অর্জন করতে পারে।

হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে, হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বরাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা তার ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দা যদি কোনো গুনাহের কাজ করার ইচ্ছা করে কিন্তু তা বাস্তবে না করে, তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ লেখা হবে না। বরং সে যদি আমার ভয়ে সেই কাজ থেকে বিরত থাকে, তাহলে তার জন্য একটি নেকি লেখা হবে। অপরদিকে, যদি কেউ কোনো ভালো কাজ করার ইচ্ছা করে কিন্তু তা করতে না পারে, তাহলেও তার জন্য একটি নেকি লেখা হয়। আর যদি সে সেই ভালো কাজটি করে, তাহলে তার জন্য ১০ গুণ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত নেকি দেওয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি)

এটি স্পষ্টভাবে বোঝায় যে, নিয়তের বিশুদ্ধতা ও আন্তরিকতার উপর ভিত্তি করে আল্লাহ মানুষকে পুরস্কৃত করেন। মানুষ যদি কোনো গুনাহের কাজ করার ইচ্ছা করেও আল্লাহর ভয় বা সংযমের কারণে তা না করে, তবে সে শুধু গুনাহ থেকে রেহাই পায় না, বরং নেকি অর্জন করে। এটি ইসলামের মহান দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা মানুষকে শুধু বাহ্যিক কর্মে সীমাবদ্ধ না থেকে আন্তরিকতাকে গুরুত্ব দেওয়ার শিক্ষা দেয়।

**সদকার নিয়তের উদাহরণ:**

রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি গল্পের মাধ্যমে নিয়তের গুরুত্বের কথা বলেছেন, যেখানে এক ব্যক্তি রাতে সদকা দেওয়ার ইচ্ছা করেছিল। সে অজান্তে এক অসতী নারীর হাতে সদকা দিয়ে দেয়। সকালে মানুষজন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু করে যে, “গত রাতে এক অসতীকে সদকা দেওয়া হয়েছে।” এ কথা শুনে সে আল্লাহর প্রশংসা করে এবং বলে, “হে আল্লাহ! অসতীকে সদকা দেওয়ার ব্যাপারেও আপনারই প্রশংসা।” এরপর সে আবার সদকা দেওয়ার নিয়ত করে এবং এবার তা এক ধনী ব্যক্তির হাতে দিয়ে দেয়। পরের দিন লোকজন আবারও আলোচনা করে, “গত রাতে ধনীকে সদকা দেওয়া হয়েছে!” এরপরও সেই ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে এবং আবার সদকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষবারে সে একজন চোরের হাতে সদকা দেয়, এবং পরের দিন আবারও লোকজন বলে, “গত রাতে চোরকে সদকা দেওয়া হয়েছে!” তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয় যে, তার সদকা কবুল হয়েছে। সম্ভবত তার সদকার কারণে অসতী নারী অন্যায় থেকে ফিরে আসবে, ধনী ব্যক্তি তার সম্পদ ব্যয় করার গুরুত্ব বুঝবে, আর চোর তার চুরির পথ থেকে সরে আসবে। (মুসলিম, হাদিস: ২,২৫২)

এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, সদকা বা অন্য কোনো ভালো কাজের পিছনে নিয়ত থাকলে আল্লাহ তা কবুল করেন, এমনকি সেই সদকার প্রকৃত প্রাপক সম্পর্কে ভুল হলেও। আল্লাহ মানুষের অন্তরের অবস্থার উপর ভিত্তি করে তার পুরস্কার নির্ধারণ করেন, যা কর্মের বাহ্যিক ফলাফল থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

**নিয়তের বিশুদ্ধতা ও আল্লাহর পথে ইচ্ছা:**

নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সততার সঙ্গে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার ইচ্ছা করবে, আল্লাহ তাকে সেই মর্যাদা দান করবেন, যদিও সে বিছানায় মৃত্যুবরণ করে। (মুসলিম, হাদিস: ৪,৮২৪) অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিফল লাভ করবে, যদিও সে বাস্তবিকভাবে সেই কাজ সম্পাদন করতে না পারে।

এছাড়াও, হাদিসে উল্লেখ আছে যে, যদি কেউ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার ইচ্ছা করে কিন্তু ঘুম তাকে ঘিরে ফেলে এবং সে উঠতে না পারে, তাহলেও তার জন্য তাহাজ্জুদের নেকি লেখা হয়। আর তার ঘুমকে আল্লাহ সদকাহ হিসেবে গণ্য করেন। (ইমাম নাসায়ি আস-সুনান, হাদিস: ১,৭৮৭)

ইসলামে নিয়ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মানুষের আমলকে মহৎ করে তোলে। আল্লাহ তাআলা মানুষের বাহ্যিক কর্মের চেয়ে অন্তরের বিশুদ্ধতাকে বেশি প্রাধান্য দেন। তাই আমাদের উচিত সব সময় নিয়ত বিশুদ্ধ রাখা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ভালো কাজ করা। আমাদের কর্মের উদ্দেশ্য যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়, তবে আমরা অবশ্যই সেই কাজের জন্য পুরস্কৃত হব, এমনকি তা বাস্তবায়ন করতে না পারলেও।




মধ্যপ্রাচ্য এশিয়ার যেসব দেশ দখলে নিতে চায় ইসরায়েল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সাম্প্রতিক এক ডকুমেন্টারিতে ইহুদি রাষ্ট্রের সীমানাবৃদ্ধির একটি পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি সীমান্ত ভবিষ্যতে জর্ডান নদী পর্যন্ত বিস্তৃত হবে বলে মন্তব্য করেন। তার এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

স্মোট্রিচের মতে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ঘিরে রেখেছে যেসব অঞ্চল তা বৃহত্তর ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত হবে। সে হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সম্পূর্ণ ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্ডান এবং মিসর, সৌদি আরব, ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

ফ্রান্স-জার্মান ভিত্তিক নিউজ ম্যাগাজিন আর্টে রিপোর্টেজ থেকে নির্মিত ‘ইন ইসরায়েল : মিনিস্টারস অব কেয়াস’ নামের ডকুমেন্টারিটি এই মাসে মুক্তি পেয়েছে। সেখানে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ইহুদি রাষ্ট্রের বিস্তৃতি নিয়ে কথা বলেন।

ডকুমেন্টারিতে স্মোট্রিচ একটি ‘ইহুদি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার জন্য তার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন এই বলে, ‘এটি লেখা আছে যে জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ দামেস্কে প্রসারিত হবে।’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ মতবাদ নিয়ে ধর্মীয় ব্যাখ্যাও দাঁড় করিয়েছেন চরম ডানপন্থি এই মন্ত্রী।

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ জায়নিস্ট ইহুদিদের একটি মতবাদ যেখানে তারা দাবি করে, তাদের পবিত্রভূমি ইসরায়েলের বিস্তার মিসরের নীলনদ থেকে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত। এই এলাকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সম্পূর্ণ ফিলিস্তিন, লেবানন, জর্ডনা এবং মিসর, সৌদি আরব, ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অংশ। জায়নিস্ট ইহুদিদের দাবি, পবিত্র বাইবেলে এই অঞ্চল ইহুদিদের ভূমি হিসেবে বর্ণিত আছে।

এই প্রসঙ্গে, ইসরায়েলি সাংবাদিক ওদেদ ইয়েনন বলেছেন, পশ্চিম এশীয় অঞ্চলের জন্য তেলআবিবের পরিকল্পনা ইহুদিবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডোর হার্জলের দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে যেটি ইসরায়েল লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক, মিসর এবং সৌদি আরবের বিশাল অংশকে সংযুক্ত করে গঠন করা হবে।

ডকুমেন্টারিতে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, অনেকের কাছে এই দৃষ্টিভঙ্গি চরমপন্থি বলে মনে হতে পারে। তবে এটি ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের জনসাধারণের বক্তৃতার অংশ হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড এবং আনাদোলু এজেন্সি




পটুয়াখালীতে ১০ম গ্রেডের দাবিতে ডিপ্লোমাধারী সার্ভেয়ার এর অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ও অবস্থাসংকট ধর্মঘট

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য (পূর্ণ দিবস) কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট।

সোমবার (৭’ই অক্টোবর) বেলা ১০ টায় আহবায়ক মোঃ শরীফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মোঃ মিরাজ হোসেন এর নেতৃত্বে বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে সরকারের সকল মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) ডিগ্রীধারী সার্ভেয়ার -সমমান পদে কর্মরতদের অন্যান্য সকল ডিপ্লোমা ডিগ্রীধারীদের ন্যায় বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড বস্তবায়ন করার দাবিতে তামদের আন্দোলন সংগ্রাম দীর্ঘদিন যাবত অব্যাহত রয়েছে এরই ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ বাংলাদেশের সকল জেলার, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সংস্থা দপ্তর প্রধানগণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি আপনারা সফল ভাবে সম্পন্ন করেছেন এবং গত সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীর কাছে সার্ভেয়িং ডিপ্লোমা প্রকৌশলদের বৈষম্য ও দীর্ঘদিনের বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হয় এবং ৩০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আমাদের অধিকার ১০ম গ্রেড বেতন স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ‘বৈষম্য বিরোধী সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ছাত্র-পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ অক্টোবর ১ তারিখ হতে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. হতে ৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. (সকাল ০৯:০০ থেকে দুপুর ০১:০০ পর্যন্ত) অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সুশৃঙ্খলভাবে পালন করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বরবার আবেদন ও তাগিদ প্রদান করা হলেও ন্যায়সঙ্গত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারের উদাসিনতা অত্যন্ত দুঃখজনক।

এমতাবস্থায়, অক্টোবর ০৫ তারিখে সকাল-১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ সার্ভে ইন্সটিটিউট, কুমিল্লায় আয়োজিত ছাত্র পেশাজীবি পরিষদের সমন্বয় সভায় উপস্থিত সকল ছাত্র প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের পরামর্শে অক্টোবর ০৭ থেকে ০৮ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন তাদের এই ন্যায়সঙ্গত অধিকার ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হলে সন্ধায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।




ইন্ডাস্ট্রিতে এখন ধান্দাবাজ মানুষই বেশি : বাপ্পারাজ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আশির দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ। মেলোড্রামা, রোমান্টিক এবং অ্যাকশনধর্মী সিনেমায় অভিনয় করে সিনেমা প্রেমীদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। বর্তমানে পর্দার বাইরে রয়েছেন এই অভিনেতা। তবে মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে।

সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাপ্পারাজ।

অভিনেতা বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে বাজে লোক বেশি হয়ে গেছে। তারা ফিল্ম বানাতে চায় না, পলিটিক্স করে, দলাদলি করে, সরকারের চামচামি করে।

তিনি আরও বলেন, দলাদলির জন্য অনেকেই অনেক জায়গায় যেতে পারছে না। দাঁড়াতে পারছে না, কথা বলতে পারছে না। এখনও কিছু মানুষ আছে, তাদরে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। আমাদের সিনেমা বানানোর মানুষ দরকার। কাজের লোক কমে গেছে, এজন্যই এফডিসিতে রাজনীতি চলতো। এখানে ধান্দাবাজ মানুষই বেশি হয়ে গেছে।

বাপ্পারাজ আরো বলেন, শিল্পী সমিতিতে কোনো মন্ত্রী বা পুলিশ অফিসারকে নিয়ে এসে ফুল দিয়ে তার সঙ্গে ছবি তোলা হতো। সেই ছবি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করতে বলা হতো। আমরা শিল্পী, আমাদের সঙ্গে মানুষ ছবি তুলবে। আমরা তো কারও পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলব না।




পটুয়াখালীতে নবাগত জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী জেলার নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনের সাথে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ নাফিসা নাজ নীরা এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর মোঃ মুহীদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা জাফর আহম্মেদ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মতবিনিময় সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা হয়।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, তিনি মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান নিয়ে বলেন, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।




নির্যাতন প্রতিরোধে কলাপাড়ায় ছাত্রীদের মানববন্ধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: সারাদেশে সাম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে কলাপাড়ার ১৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অংশগ্রহণে জাতীয় নারী নির্যাতন ফোরামের আয়োজনে ও আভাস অ্যাকশনএইড’র সহযোগিতার কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুষলধারায় বৃষ্টির মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন, কলাপাড়া শিশু ও যুব ফোরামের সদস্য জিদনী, সুমাইয়া, মিমি বেগম ও অ্যাকশনএইড প্রতিনিধি ইতি বিশ্বাস প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, সারা দেশে হঠাৎ করে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে। নারীরা সড়ক থেকে স্কুল, পরিবার ও সমাজে অনিরাপদ। এছাড়া বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন বেড়েছে। সর্বক্ষেত্রে তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাই নারী নির্যাতন বন্ধে তাদের এ প্রতিবাদ। তাদের এ অবস্থান সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে নারী নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান শিক্ষার্থীরা।




বাউফলে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বাউফল উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক।

২৫ সেপ্টেম্বর ( বুধবার) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ ।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হয়েছে। বাংলাদেশে আর দূর্নীতি হবে না। মানুষেরা রাগের সহিত ৫ আগস্ট থেকে এলাকায় ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারন যা কিছু হয়েছে এখন থেকে সবাইকে ফিরে আসতে হবে। কারও বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকে আইনের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচার করা হবে। কিন্তু আইন কেহর হাতে নেয়া যাবে না। পিছনে যা হয়েছে এখন থেকে যেন না হয় তার প্রতি ছাত্র প্রতিনিধি ও সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের প্রতি অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়ার প্রতি মনোযোগ দিতে বলেন। এর পর যদি কেহ আইন হাতে নেন বা অন্যায় ভাবে কাউকে হয়রানি করা হয় সে যে দলেরই হউক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মতবিনিময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী শাসনতন্ত্র, হেফাজত ইসলাম, জাতীয় পাটি, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, ইমাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধসহ সূধিজন।




কলাপাড়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও বৈষম্যদূর করার দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ সময় কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিতিদের মধ্যে থেকে জমিয়াতুল মোদার্রেসিন কলাপাড়া উপজেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ মাওলানা মো. ওসমান গনী, কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বক্তব্য দেন ।

বক্তারা বলেন, প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মাধ্যমিক স্কুলকে জাতীয়করণ করে বাংলাদেশের শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধি সম্ভব নয়। তাই বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে।

শিক্ষা সংস্কার কমিশন দ্রুতই গঠন করতে হবে। যদি জাতীয়করণ না করা হয় তাহলে শিক্ষক সমাজ শুধুই মানববন্ধন ও স্মারকলিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা। জাতীর সার্থে সারা বাংলাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের কাছে শিক্ষা উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিব বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছেন শিক্ষকরা।




টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধের দাবিতে টিয়াখালী নদী পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে।

উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামে টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায়, জোয়ার ভাটায় প্লাবিত প্রায় ২৫০ পরিবার এবং চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে শত শত একর কৃষি জমি। তাই টেকসই বেড়িবাঁধের দাবি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং এলাকাবাসীর।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ফকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ মোল্লা, মো. শাহীন মোল্লা, মো. সোহেল মোল্লা, ভুক্তভোগী কৃষক মো. মোশারফ হাওলাদার, বেল্লাল হোসেন, মোসা. হালিমা আয়শা ও মেহেদী হাসান।

বক্তারা বলেন, ‘জোয়ার-ভাটায় আমাদের এলাকার প্রায় ২৫০ পরিবারের ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। রান্নাঘরে পানি উঠায় আমরা রান্না করতে পারি না। বিগত দিনে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় চার দিন পর্যন্ত আমাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে ছিল। জোয়ার-ভাটায় কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ার কারণে বছরে একবার চাষাবাদ করতেও আমাদের কষ্ট হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সোহেল মোল্লা বলেন, আমাদের এখানকার প্রায় ২০০ একর জমি তলিয়ে থাকে। তিন ফসলি এই জমি অথচ আমরা এক ফসলও চাষাবাদ করতে পারি না। আমরা অনেক কষ্টের মাঝে আছি। আমাদের এখানে একটা টেকসই বেড়িবাঁধ খুবই প্রয়োজন।