ধর্মীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজন বা সংখ্যালঘু ধারণায় আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে দেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।”

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর সেনপাড়া খ্রিষ্টান চার্চে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। এ দেশকে ফুলের বাগানের মতো সুন্দর রাখার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কিছু অপশক্তি এই ঐক্য নষ্ট করতে চাইছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জামায়াত সবসময় অপরাধ, দুর্নীতি, এবং অপশক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তবুও যদি কোনো ভুল হয়, আমরা তা সংশোধন করতে প্রস্তুত। দেশের সব নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াত আপোষহীন।”

জামায়াত আমির বলেন, “বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ঐতিহ্য রয়েছে। সবাই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। জামায়াত এ ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “দেশে দুটি শ্রেণি অপরাধপ্রবণ। একদিকে রয়েছে উচ্চ শ্রেণি, যারা কলমের খোঁচায় মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। অন্যদিকে বস্তির মানুষ, যাদের মাদক ও অস্ত্র দিয়ে অপরাধে ব্যবহার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে।”

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের জ্যেষ্ঠ পালক রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, মিরপুর ব্যাপটিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা এবং রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ বাইন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



জাতীয় সরকার ছাড়া বর্তমান সরকার ছয় মাসও টিকবে না: নুরুল হক

ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, “জাতীয় সরকার ছাড়া এ সরকার ছয় মাসও টিকবে না। তারা নিজেদের পরিচিত সার্কেল, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছে, যা গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারদের হতাশ করেছে।”

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপরীতে হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত এক দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর গণঅধিকার পরিষদের গুলশান জোনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

সভায় নুরুল হক বলেন, “বর্তমান সরকার নির্বাচন নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি করছে। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের ত্যাগ ও বিপ্লবীদের পাশে না দাঁড়িয়ে সরকার তাদের এড়িয়ে চলছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “বারবার আহত ও নিহতদের সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ডিসেম্বরের মধ্যে আহতদের অর্ধ কোটি এবং নিহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া না হলে জানুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।”

নুরুল হক জানান, “আমরা জানি, বিপ্লবের পর প্রতি বিপ্লবের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু সরকার আমাদের বার্তা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে জনসমর্থন হারিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারও টিকে থাকতে পারবে না।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল ‘জনশক্তি’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: জুলাই-আগস্টের আন্দোলন শুরু হয়েছিল সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে। তবে ধীরে ধীরে এই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচিতে। অবশেষে সফলতা আসে। এরপর আলোচনায় আসে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রসঙ্গ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীরে ধীরে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে এবং জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। এ অবস্থায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবার নিজেদের অবস্থান ভোটের ময়দানে দেখতে চান। তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা গেছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। বিদ্যমান দলগুলোর তুলনায় এটি বেশ ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হবে বলে জানা গেছে। দলের সম্ভাব্য নাম হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ‘জনশক্তি,’ যদিও সবার মতামতের ভিত্তিতে নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনাও রয়েছে। ছাত্রনেতারা জানিয়েছেন, নতুন দলের মূল লক্ষ্য হবে জনগণের আস্থা অর্জন করা।

প্রশ্ন হচ্ছে, নতুন এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মটি কেমন হতে পারে? ছাত্রনেতারা বলছেন, তারা এতদিনের প্রচলিত রাজনীতির ধারা থেকে আলাদা কিছু উপস্থাপন করবেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী জানিয়েছেন, এই দলটি হবে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। এখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী কাঠামোর কোনো স্থান থাকবে না। পুরোনো সমস্যা, যেমন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীত কর্মকাণ্ড বা কোনো বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথে তারা হাঁটবে না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সারজিস আলম বলেন, নতুন যে রাজনৈতিক দল আসবে আমরা আশা করছি তারা কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেবে। এই দলকে জনগণের প্রত্যাশা বুঝতে হবে। বিগত সময়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা বুঝতো না। আশা করি, এই দল তেমন হবে না।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ যদি চায় আমাদের রাজনৈতিক দল তৈরি করা উচিত তাহলে অবশ্যই আমরা এটি ভাববো।

নতুন দলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি যুক্ত হবেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যায়লের শিক্ষার্থীরা। আসছে সংসদ নির্বাচনেই অংশ নেয়ার পরিকল্পনাও তাদের।

বিষয়টি নিয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আগামীতে যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো আসছে সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা যুক্ত হবে। সেখানে তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসীন হবে। বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতা নয়। দেশের কল্যাণসাধন করা। যদি গণহত্যার বিচারের আগেই নির্বাচন হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেকোনোভাবে খুনিদের বিচার করা।

দলের সম্ভাব্য নাম কী হতে পারে এবং অর্থের উৎস কীভাবে নিশ্চিত হবে? এ বিষয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আন্দোলনগুলোর মতোই এখানে জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। আমরা জনগণের কাছে নাম প্রস্তাব চাইব এবং সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, ‘জনশক্তি’ নামে একটি সম্ভাব্য নাম নিয়ে ভাবনা চলছে।

অর্থের উৎস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরাম নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে সেগুলোর সাহায্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা যায়।

নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে ফল যাই হোক নিজেদের বিপ্লবী চেতনা ধরে রাখার অঙ্গীকার ছাত্র নেতাদের। জানালেন, রাজনৈতিক জোটেও যোগ দিতে পারেন তারা। নাসিরুদ্দিন জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা-বোঝাপড়া চলছে। সূত্র: যমুনা টিভি




খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ স্থগিত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে মুক্তিযোদ্ধা দলের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। এ সমাবেশটি আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সকালেই নিশ্চিত করেন যে, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

এদিকে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। দলের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে কবে সমাবেশটি পুনরায় আয়োজন করা হবে। তবে, নেতারা বেগম জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ধান লুটের অভিযোগে কুয়াকাটা যুবদল নেতার বিরুদ্ধে রাখাইন নারীর সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় লুমা রাখাইন নামের এক রাখাইন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তার সাড়ে ৭ একর জমি থেকে প্রায় ২৫০ মণ ধান লুট করে নিয়ে গেছে মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলী আক্কাস। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন লুমা রাখাইন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “এটি আমার বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি, যা আমি আজীবন ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে মহিপুর থানা বিএনপি নেতা মো. আলী আক্কাস ওই জমি দখল করার চেষ্টা করছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে, তার সহযোগিতায় চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।”

তিনি আরও জানান, ১৭ ডিসেম্বর বিকালে তার জমিতে বর্গাচাষি ধান কাটতে শুরু করলে, মো. আলী আক্কাসের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ধাওয়া করে এবং ধানগুলো লুট করে নিয়ে যায়।

লুমা রাখাইন লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, “আমার বাবা জীবিত থাকাকালে সম্পত্তি মংফরম তালুকদারের কাছে মৌখিকভাবে বিক্রি করেন, কিন্তু রেজিস্ট্রি হওয়ার আগেই আমার বাবা মারা যান। পরে আমি মংফরম তালুকদারের থেকে পুরো টাকা ফেরত নিয়ে সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করি। আমি নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি।”

এ অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা মো. আলী আক্কাস জানান, “এটি একটি ষড়যন্ত্র, এবং দলের মধ্যে কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

মহিপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ৭৭ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা

মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ তাদের ৭৭ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আনিসুর রহমানকে রাজনৈতিক প্রধান, মোহাম্মদ শাফিউর রহমানকে সাংগঠনিক প্রধান, খোমেনী ইহসানকে আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র হাসান মোহাম্মদ আরিফকে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

এছাড়া, কমিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস করা নারী, গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের বিভিন্ন দায়িত্বে মনোনীত করা হয়েছে।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আত্মপ্রকাশ করে। সেদিন দোয়া মাহফিল শেষে সংগঠনটির শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশ করে। দলটির গঠনের পরিপ্রেক্ষিতে দলের লক্ষ্য হচ্ছে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য জনগণকে সংগঠিত করে রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলা।

এছাড়া, ছয় মাসের জন্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐকমত্য তৈরি করতে কাজ করবে। একই সময়ে দলটি ঢাকা সহ দেশের সব বিভাগ, মহানগর, জেলা ও থানা পর্যায়ে কমিটি গঠন করবে। গঠনতন্ত্র প্রণয়ন, দলীয় তহবিল গঠন ও কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে মে মাসে প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেবে দলটি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: প্রখ্যাত আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আগামী ২৬ ডিসেম্বর প্রায় এক যুগ পর দেশে আসছেন।

বুধবার তার চেম্বারের জুনিয়র কাউন্সেল ব্যারিস্টার মাহমুদ আল মামুন হিমু বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরছেন।

জানা গেছে, তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনপেশায় নিয়মিত হবেন। তার দুই ছেলে সুপ্রিম কোর্টে আইনপেশা পরিচালনা করে l
শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলে শুরু থেকে ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়। একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান। এক পর্যায়ে তিনি জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন।

এরপর গত সেপ্টেম্বরে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন দলটির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।




পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়: ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মন্তব্য করেছেন যে, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, এটি দেশবাসীর জন্য স্বস্তির খবর, কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়েছে। তবে, তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দিলেই হবে না, বরং সংবিধানের মূলনীতিতে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য আরও শক্তিশালী হবে।

পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পুরোনো দলীয় কার্যালয়ে দলের যুগ্ম ও সহকারী মহাসচিবদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এ রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে, কিন্তু শুধু এই ব্যবস্থারই প্রয়োজন নেই। আমাদের জাতি সত্তার রক্ষা কবচ সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে দেশের জনগণের জন্য আরও ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।”

তিনি আরো যোগ করেন, “এমনকি আওয়ামী আমলের সংশোধনীগুলো বাতিল করারও দাবি জনগণের। দেশের সংবিধানে ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদী প্রভাব প্রতিরোধের জন্য সেই সংশোধনীগুলো বাতিল করতে হবে।”

এছাড়া, গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের বিষয়ে আরও স্পষ্ট বক্তব্য আসা উচিত ছিল। তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি, ২০২৫ বা ২০২৬ সালেও হতে পারে, কিন্তু এমন সংশয়জনক কথা দেশের জনগণের জন্য শঙ্কার সৃষ্টি করছে।”

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, “নির্বাচন শুধু তারিখ নির্ধারণের ব্যাপার নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশে এবং জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলপ্রসূ হতে হবে। আমরা চাই না গত ৫৩ বছরের মত নির্বাচন হোক, জনগণও চায় না। এই নির্বাচন একটি সুষ্ঠু পরিবেশে হতে হবে, যাতে জাতীয় সংহতি আরও শক্তিশালী হয়।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বিএনপির কনসার্টে সাংবাদিকদের মঞ্চ ভেঙে আহত কয়েকজন

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত কনসার্টে সাংবাদিকদের জন্য নির্মিত মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ ঘটনা ঘটে। কনসার্ট চলাকালীন মঞ্চটি ভেঙে পড়লে নিউজ-২৪, মাছরাঙা, এটিএন নিউজসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা আহত হন।

কনসার্টের শুরুর দিকে সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুরের পর থেকেই সংসদ ভবন চত্বর ও আশপাশের এলাকা লাখো মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জাতীয় পতাকা হাতে, মুখে আলপনা এঁকে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোররা বিজয় দিবসের এ কনসার্টে অংশ নিতে আসেন।

কনসার্টে পারফর্ম করছেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা। জানা গেছে, মঞ্চে উঠবেন জেমস, সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশিদ আলম, কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, বেবী নাজনীন, মনির খান, কণা, ইমরান, প্রীতম, মৌসুমী ও জেফারসহ আরও অনেকে।

এদিকে কনসার্ট ঘিরে রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মিরপুর রোড, আগারগাঁও, ফার্মগেট, পান্থপথ ও গুলিস্তানসহ বেশ কিছু এলাকায় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

কনসার্টের আয়োজক ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করছি।”

এর আগে কনসার্টের শুরুতে সংগীতশিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমী মঞ্চে ওঠেন এবং গেয়ে শোনান ‘আমি মেজর জিয়া বলছি’ গানটি।

মো: আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




আত্মপ্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: মুসলিম জাতীয়তাবাদী নতুন ধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে আত্মপ্রকাশ করে দলটি।

আত্মপ্রকাশের পর দলটির নেতাকর্মীরা জানান, ফ্যাসিবাদ বিলোপের দাবি পূরণ না হলে ২০২৫ সালে নতুন করে গণঅভ্যুত্থান করা হবে। দলের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে জড়িত ছাত্র-জনতার প্রথম রাজনৈতিক দল। তাই ফ্যাসিবাদ বিলোপ করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য সবার আগে আন্দোলন গড়ে তুলবে।

আত্মপ্রকাশের পর জুলাই গণহত্যায় শহীদ নাইমা আক্তারের মা আইনুন নাহার ও দলটির সাংগঠনিক প্রধান মোহাম্মদ শফিউর রহমান নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি মিছিল বের করেন। মিছিলে তারা ‘নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘ঢাকা না দিল্লি, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ নানা স্লোগান দেন। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতা জাকির মজুমদার, রোটারিয়ান রাবেয়া আক্তার, আবদুস সালাম, হাসান আরিফ, সাইয়েদ কুতুব, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, ডা. জহিরুল ইসলাম, মো. রাশিদুল ইসলাম, ইমাম সাদিক আদনান, জয়নাল আবেদিন, আহমেদ মোফাচ্ছের, কাউসার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্যসচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্যসচিব ইয়ামিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানোয়ারা খাতুন, সদস্যসচিব মুহিব মুশফিক খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মাহি, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলামসহ বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।