কলাপাড়ায় আওয়ামী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ

কলাপাড়ায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন সড়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

এ বিক্ষোভে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, উপজেলা যুবদল, পৌর যুবদল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি কলাপাড়ার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক পথসভায় মিলিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু। তারা আওয়ামী সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কয়েকজনকে বেধড়ক পিটুনি

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ::রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটাতে দেখা গেছে । তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের পোশাক খুলে ও ছিঁড়ে যায়। আজ রোববার বেলা ১১টার কিছু আগে এ ঘটনা ঘটে।

‘জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে একদল লোক তাঁদের পেটায়। একজনকে পেটানোর সময় পুলিশকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। যাঁদের পেটানো হয়েছে, তাঁদের কয়েকজনকে পুলিশকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।


এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যুবলীগের কর্মী নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে নেমেছিলেন। সেদিন পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। ১৯৮৭ সালে এ ঘটনা ঘটে। আজ শহীদ নূর হোসেন দিবসে বেলা তিনটায় ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

দলটির ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে গতকাল শনিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এক ফেসবুক পোস্টে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কোনো মিছিল-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে আজ দুপুর ১২টায় ঢাকায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির শিরোনারাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেশ কয়েকজনকে বেধড়ক পেটাতে দেখা গেছে । তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের পোশাক খুলে ও ছিঁড়ে যায়। আজ রোববার বেলা ১১টার কিছু আগে এ ঘটনা ঘটে।

‘জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে একদল লোক তাঁদের পেটায়। একজনকে পেটানোর সময় পুলিশকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। যাঁদের পেটানো হয়েছে, তাঁদের কয়েকজনকে পুলিশকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যুবলীগের কর্মী নূর হোসেন বুকে ও পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে নেমেছিলেন। সেদিন পুলিশের গুলিতে তিনি মারা যান। ১৯৮৭ সালে এ ঘটনা ঘটে। আজ শহীদ নূর হোসেন দিবসে বেলা তিনটায় ঢাকার জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

দলটির ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে গতকাল শনিবার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এক ফেসবুক পোস্টে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কোনো মিছিল-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে আজ দুপুর ১২টায় ঢাকায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিম পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েত।




আ. লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: শহীদ নূর হোসেন দিবসকে ঘিরে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। আধা ঘণ্টা পরপর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নূর চত্বর হয়ে আবার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।




শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে রেড অ্যালার্ট জারি করছে সরকার

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ::সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে তিনি সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দেয়া আওয়ামী লীগের অভিযোগ সরকার আমলে নিচ্ছে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতেই সরকারের বিরুদ্ধে আইসিসিতে অভিযোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অভিযোগটি কোনোভাবেই গৃহীত হওয়ার কারণ নেই।’




পটুয়াখালীতে সাবেক এমপি রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওসমান গনী নামের এক ভুক্তভোগী। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে ওসমান গনী বলেন:
জিরো পয়েন্ট এলাকায় আমাদের পরিবারের বাড়ির মোট জমির মধ্যে ১/৪ শতাংশ জমি এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আমাদের বাকি জমি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপর, সংসদ সদস্য থাকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হয়। ফলে, ২৮ শতাংশ জমি থেকে ২৩ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে নেন। আমরা বহু চেষ্টা করেও জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে রুহুল আমিন হাওলাদার মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাদের হয়রানি করেন। বর্তমানে জমি উদ্ধারের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওসমান গনী বলেন, “আমাদের জমি ফেরত পেতে সহায়তা করুন।”

অভিযোগের জবাবে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন:
তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “আমি ওসমান গনীসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। বায়না রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে তাদের বিক্রির অনুমতিপত্র (পারমিশন) আনতে বলেছি। কিন্তু তারা সেই পারমিশন আনতে না পারায় সাব কবলা দলিল দিতে পারেনি। যখনই পারমিশন এনে দলিল দিতে পারবে, আমি বাকি টাকা পরিশোধ করব। ওসমান গনীর করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



রাঙ্গাবালীতে বিএনপি নেতার অভিযোগ: হাসিনা খুন-গুম করে পালিয়েছেন

শেখ হাসিনা মানুষ খুন, গুম ও টাকা চুরির সাথে জড়িত থাকার কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন—এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। জনসভাটির আয়োজন করে রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।

এবিএম মোশাররফ বলেন, “স্বৈরাচারী এরশাদ ক্ষমতা হারানোর পরও দেশ ছেড়ে পালায়নি, অথচ শেখ হাসিনা ভারতে গিয়ে মোদীর আতিথ্য গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা মামলার ভয়ে লুকিয়ে আছেন। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই, আপনারা কেমন নেতার দল করেছেন?” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর ২ শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলো বিএনপি করেনি; বরং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা মামলা করেছে।”

মোশাররফ আরও বলেন, “গত ১৭ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত। তবে আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন—আমরা আওয়ামী লীগের মতো সহিংসতার রাজনীতি করবো না।”

তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, “তোফায়েল বলেছিলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে একদিনে অন্তত ৫ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ, বিএনপি গুম-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি, সদস্য মোস্তাক আহমেদ পিনু, জাফরুজ্জামান খোকন, এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন হাওলাদারও বক্তব্য দেন।

ছয়টি ইউনিয়ন থেকে আসা অন্তত ২০ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক এই জনসভায় অংশ নেন।

প্রতিবেদন: মো. আল-আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ড. ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর মানবজমিনের
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে এই অভিযোগ করা হয়।
লন্ডনে অবস্থানরত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এ অভিযোগ দায়ের করেন। গত ৫-৮ আগস্ট পর্যন্ত ‘বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের নামে’ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের ওপর ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।
ড. ইউনূস ছাড়াও ৬২ অভিযুক্তের মধ্যে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম রয়েছে।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, আব্দুল হান্নান, হাসিব আল ইসলাম ও আবু বকর মজুমদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে প্রায় ৮০০ পৃষ্ঠার তথ্য ও নথিপত্র প্রমাণস্বরূপ যুক্ত করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ারুজ্জাম চৌধুরী বলেন, আমার মনে হয় আমিই প্রথম (অভিযোগ) শুরু করলাম। প্রায় ১৫ হাজার ভিক্টিম আছেন যারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করবেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে সরকার পতনের পর লাপাত্তা হন সিলেটের তৎকালীন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পরে জানা যায় তিনি লন্ডনে পালিয়ে গেছেন।

 

 




ইমামতি কোনো পেশা নয় এটি একটি মহান দায়িত্ব : হোসাইন সাঈদী

 চন্দ্রদ্বীপ নিউজ :: ইমামতি কোনো পেশা নয় বরং এটি একটি মহান দায়িত্ব মন্তব্য করে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ‘ইমামের কাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করে রাসুল স: ইমাম ও মুয়াজ্জিনের জন্য এই বলে দোয়া করেছেন, ‘ইমাম হলেন জিম্মাদার আর মুয়াজ্জিন হলেন আমানতদার।’

এ সময় তিনি দেশের সব মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের বেতন কাঠামো ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সিরাজুল হক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি আয়োজিত উপজেলা ইমাম সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এ সময় সভা শেষে ২৫ সদস্যের উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘আমরা যদি প্রতিটি মসজিদকে নবীজির দেখানো সেই মসজিদে নববীর রোল মডেল রূপে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের সমাজ শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা দূর হবে। সমাজে জনকল্যাণমূলক কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মসজিদের ইমাম যেমন জাতির আমলগত সংস্কারের জিম্মাদার তেমনি আকিদাগত সংস্কার ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করারও দায়িত্বশীল। বাতিল আকিদা ও মতবাদকে খণ্ডন করা এবং ভ্রান্ত চিন্তাধারার মূলোৎপাটন করা তাদের প্রধান দায়িত্ব। যদি রাষ্ট্রে আল্লাহর একত্ববাদ পরিপন্থী কোনো আওয়াজ উঠে অথবা রাসুলের স: রিসালাতের অবমাননা করা হয় তাহলে বাতিল শক্তির এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জাতিকে সতর্ক করা ও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা ইমামদের কর্তব্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় ইমাম সমিতি নাজিরপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ হাবিবুল্লাহ বেলালীর সভাপতিত্বে ও মাওলানা আবু দাউদের সঞ্চালনায় উপজেলা ইমাম সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যক্ষ মো: জহিরুল হক, জাতীয় ইমাম সমিতি পিরোজপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা মুফতি আব্দুল হালিম, জাতীয় ইমাম সমিতি পিরোজপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় ইমাম সমিতি নাজিরপুর উপজেলার প্রধান উপদেষ্টা কাজী মো: মোসলেহ উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




রাঙ্গাবালীতে বিএনপি সভাপতির আহ্বান, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আলোচনার ঝড়

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। গত শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে ফরাজীকে আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে আমন্ত্রণ জানাতে দেখা গেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, শনিবার রাঙ্গাবালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এ উপলক্ষে গত ৬ নভেম্বর বিকেলে রাঙ্গাবালী বাজার এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় আবদুর রহমান ফরাজী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপি দলে স্বাগত জানানো হবে। আমি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী, আপনাদের পাশে আছি।” তার এই বক্তব্য ভিডিও আকারে ধারণ করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফরাজীর আহ্বান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এটি মূলত বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল। আমাদের দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদানের কোনো প্রশ্নই আসে না।” অন্যদিকে, অনেকেই মনে করছেন, ফরাজীর বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবদুর রহমান ফরাজী বলেন, “আমি বিষয়টি ওভাবে বলিনি। আমি শুধুমাত্র নিরীহ ও নির্যাতিত আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। যারা সন্ত্রাসে লিপ্ত, তাদের কোনো ছাড় নেই। আমরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, তাই নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

রাঙ্গাবালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। ফরাজী সাহেবের বক্তব্য আমাদের দলের নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগের নির্যাতিত কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করে আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবেন।”

এই ভিডিও ভাইরালের পর রাঙ্গাবালীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্রতর হচ্ছে। ফরাজীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে আলোচনা হচ্ছে এবং দুই দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, “আমরা এই ভিডিওটি সম্পর্কে অবগত আছি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। কোনো পক্ষ যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ফরাজীর এই আহ্বান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, আবার কেউ কেউ ভাবছেন, ফরাজী হয়তো সত্যিই আওয়ামী লীগের নিরীহ কর্মীদের রক্ষা করতে চান।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতির মাঠে এমন আহ্বান নতুন কিছু নয়। তবে আগামী নির্বাচনের আগে এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। আমরা আশা করি, দুই দলই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




মিডিয়ার একাংশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ দেখতে পায় না”: মির্জা ফখরুলের মন্তব্য

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গত তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করেছে, তবে মিডিয়ার কিছু অংশ তা দেখতে পায় না।” শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত বাংলাদেশ ইউথ পার্লামেন্ট-২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কারের অনেক উদ্যোগ নিয়েছে এবং কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। ফ্যাসিবাদী শক্তির বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সবকিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়। তরুণদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজের জন্য সময় দিতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “কিছু মিডিয়া নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে ফ্যাসিবাদীদের উত্থানকে উসকে দিচ্ছে। এটি কখনোই জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ করছি, এই প্রচারণা বন্ধ করুন।”

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন; এই ঐক্যবদ্ধ সাফল্য যেন টিকে থাকে, সে জন্য কাজ করুন। সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

মাও সেতুং-এর একটি উক্তির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “যুবকদের ঘাড়ের মধ্যে বৃদ্ধদের মাথাটা বসাও। অর্থাৎ, বয়স্কদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে গ্রহণ করো এবং যুবকদের শক্তি দিয়ে নতুন কিছু গড়ে তুলো।”