রাঙ্গাবালীতে বিএনপি সভাপতির আহ্বান, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আলোচনার ঝড়

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওটি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। গত শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে ফরাজীকে আওয়ামী লীগের নিরীহ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে আমন্ত্রণ জানাতে দেখা গেছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, শনিবার রাঙ্গাবালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এ উপলক্ষে গত ৬ নভেম্বর বিকেলে রাঙ্গাবালী বাজার এলাকায় আয়োজিত এক পথসভায় আবদুর রহমান ফরাজী বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিএনপি দলে স্বাগত জানানো হবে। আমি, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী, আপনাদের পাশে আছি।” তার এই বক্তব্য ভিডিও আকারে ধারণ করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।

ফরাজীর আহ্বান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “এটি মূলত বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল। আমাদের দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদানের কোনো প্রশ্নই আসে না।” অন্যদিকে, অনেকেই মনে করছেন, ফরাজীর বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে আবদুর রহমান ফরাজী বলেন, “আমি বিষয়টি ওভাবে বলিনি। আমি শুধুমাত্র নিরীহ ও নির্যাতিত আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। যারা সন্ত্রাসে লিপ্ত, তাদের কোনো ছাড় নেই। আমরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে। বিএনপি সবসময় গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী, তাই নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”

রাঙ্গাবালী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। ফরাজী সাহেবের বক্তব্য আমাদের দলের নীতি ও আদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা আশা করি, আওয়ামী লীগের নির্যাতিত কর্মীরা বিএনপিতে যোগদান করে আমাদের আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করবেন।”

এই ভিডিও ভাইরালের পর রাঙ্গাবালীতে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্রতর হচ্ছে। ফরাজীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে আলোচনা হচ্ছে এবং দুই দলের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, “আমরা এই ভিডিওটি সম্পর্কে অবগত আছি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সবসময় প্রস্তুত আছি। কোনো পক্ষ যদি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা করে, তবে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”

এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ফরাজীর এই আহ্বান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি একটি রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, আবার কেউ কেউ ভাবছেন, ফরাজী হয়তো সত্যিই আওয়ামী লীগের নিরীহ কর্মীদের রক্ষা করতে চান।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতির মাঠে এমন আহ্বান নতুন কিছু নয়। তবে আগামী নির্বাচনের আগে এমন বক্তব্য রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। আমরা আশা করি, দুই দলই সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




মিডিয়ার একাংশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ দেখতে পায় না”: মির্জা ফখরুলের মন্তব্য

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গত তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কাজ করেছে, তবে মিডিয়ার কিছু অংশ তা দেখতে পায় না।” শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত বাংলাদেশ ইউথ পার্লামেন্ট-২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই সংস্কারের অনেক উদ্যোগ নিয়েছে এবং কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। ফ্যাসিবাদী শক্তির বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সবকিছু একসঙ্গে সম্ভব নয়। তরুণদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজের জন্য সময় দিতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “কিছু মিডিয়া নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে ফ্যাসিবাদীদের উত্থানকে উসকে দিচ্ছে। এটি কখনোই জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ করছি, এই প্রচারণা বন্ধ করুন।”

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন; এই ঐক্যবদ্ধ সাফল্য যেন টিকে থাকে, সে জন্য কাজ করুন। সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

মাও সেতুং-এর একটি উক্তির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “যুবকদের ঘাড়ের মধ্যে বৃদ্ধদের মাথাটা বসাও। অর্থাৎ, বয়স্কদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে গ্রহণ করো এবং যুবকদের শক্তি দিয়ে নতুন কিছু গড়ে তুলো।”




বরিশালে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বরিশালে সমাবেশ ও র‍্যালির আয়োজন করেছে বিএনপি।

শনিবার ( ৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল মহানগর বিএনপির উদ্যোগে সদর রোডের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শেষে দলটির নেতাকর্মীরা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে র‍্যালি বের করে, যা শেষ হয় পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। এছাড়াও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন,সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিনসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সকালের দিকে মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়। এসময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি সমাবেশের পরিবেশকে উদ্দীপ্ত করে তোলে।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক আওয়ামী লীগের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: দেশে অপশাসন চলছে অভিযোগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ নভেম্বর রাজধানীর জিরো পয়েন্টে আসার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। শনিবার (৯ নভেম্বর) দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ ডাক দেওয়া হয়েছে।

পোস্টে লেখা হয়েছে, ১০ নভেম্বর আসুন – নূর হোসেন চত্তরে জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ঢাকা। আমাদের প্রতিবাদ দেশের মানুষের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ মৌলবাদী শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে, আমাদের প্রতিবাদ সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রাকে ব্যহত করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে। অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সাথে আপনিও অংশ নিন।

১০ নভেম্বর ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। দিবসটিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূটি পালন করে থাকেন।




মির্জাগঞ্জে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর ফরাজী বহিষ্কার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ আটক বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর ফরাজীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফরাজীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর ফরাজীর বাড়ি তল্লাশি করে। এ সময় বাড়ির দুটি ভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে রাখা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক ৭ দশমিক ৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে অস্ত্র আইনে মামলা করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মোতালেব ফরাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর ফরাজী মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



এক চিঠির কারণে গলাচিপা-দশমিনার রাজনীতি উত্তপ্ত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন বলেছেন, হঠাৎ একটি চিঠির কারণে গলাচিপা-দশমিনার রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ওই চিঠির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে জোটের নেতারা বৈঠক করেছেন এবং তারা অভিযোগ করেছেন, তারা কোথাও জনসভা বা জনসংযোগ করতে পারছেন না। এর পাশাপাশি, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা একে অপরের ওপর হামলা করছে।

হাসান মামুন আরও বলেন, “গলাচিপা-দশমিনায় কখনো কোনো জোটের নেতা-কর্মী বিএনপির দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছে?” তিনি এসব মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং বলেন, “যারা জাতীয়তাবাদী দলকে ছোট করতে চায়, তারা এবং যারা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গলাচিপা-দশমিনাকে দাঁড় করাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকবেন, বিশেষ করে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত।”

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর গলাচিপায় অনুষ্ঠিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।

এ সময় হাসান মামুন পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বাইরে থেকে কাউকে এই আসনে মনোনয়ন দিলে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ গোলাম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারা শাহজাহান এবং জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শামীম চৌধুরী, সদস্যসচিব জাকারিয়া হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমীন হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন প্রমুখ।

এদিকে, গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরকে (ভিপি নুর) পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) এলাকায় সহযোগিতা করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




সংস্কারের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, এই তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ সফলতার সাথে কাজ করেছে। এতে যথেষ্ট সফলতাও দেখিয়েছে। এখন সব ঠিক হচ্ছে। আগে সংস্কার হবে, সংস্কার শেষ হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে আওয়ামী লীগ যে ভঙ্গুর অবস্থা রেখে গেছে, তার থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আগের চেয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা অনেক ভালো।

ওষুধ উৎপাদন, বাজার বিপণন ও দাম নিয়ে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই টাস্কফোর্স এসব পুনর্মূল্যায়ন করবে বলেও জানিয়েছেন প্রেস সচিব।




পটুয়াখালীতে বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যোগে বৃহষ্পতিবার সকাল ৬:৩০ টায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। পটুয়াখালী সদর রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত এবং দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া এবং সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেলুন এবং ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা বিএনপির সভাপতি কাজি মাহাবুব হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন, সদস্য সচিব এড. হুমায়ুন কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন মোহন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম চৌধুরী, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, যুবদল নেতা গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনির মাহমুদ, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শাহিন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহআলম হাওলাদার।

এছাড়া তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক শাহিন হাওলাদার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবু তাহের, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান রানা, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাইউম সিকদার এবং পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কৃষকদলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই দিবসটি দেশের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্যে সংগ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অনুষ্ঠানের শেষে দেশের সমৃদ্ধি ও শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।




আ.লীগের শাসনামলে ভয়াবহ নির্যাতন , অভিযোগে ছাত্রদল নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল অফিস::রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আ.লীগ শাসনামলে ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে এবং সম্প্রতি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রীকে ছাত্রলীগ নেত্রীর তকমা দিয়ে অপপ্রচার করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) গনিত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নওরীন উর্মী এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র পূর্বক ববি উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দেয়ার তথ্য উন্মোচন করেন। অভিযোগে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে প্রকাশ্যে ৩ জন সহ আরো ৮ শিক্ষার্থী মুঠোফোনে বলেছেন- তাদেরকে ভুল ব্যাখা দিয়ে প্রতারণা পূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে। আবার কারো স্বাক্ষর বিশ্বস্ততার সুযোগে নিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ২০২০ সালের ১ মার্চ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ধরে আমার ওপর ছাত্রলীগ হামলা করেছিল। হামলাকারীরা হলেন- ববি’র সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলীম সালেহীন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, আবদুল্লাহ ফিরোজ এবং পঞ্চম ব্যাচের হাফিজ ও আসাদুজ্জামান আসাদ।

তারা জ্যামিতি বক্সের কাটা কম্পাস দিয়ে আমার বুকে ও গলায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুটো করে ভেঙ্গে দেয়। যে চিহ্ন এখনও শরীরে রয়েছে। আ.লীগ শাসনামলে বিচার চেয়ে পাইনি। এমনকি নিয়মিত পড়াশুনা সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়নি। তখন ববি’র ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমার প্রতি কোন ভূমিকা নেয়নি। সেই সময় ববি ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি রেজা ও সাধারণ সম্পাদক হাসিব দায়িত্বে ছিলেন।

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর পুনরায় পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করতে প্রক্টর মহোদয়ের সাথে দেখা করি। তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলি ‘মাথা নয় মেধা চাই’, ছাত্রদলে চাঁদাবাজ ও মাদকাসক্তদের কোন স্থান নেই।” এতে ক্ষিপ্ত হয় কয়েকজন। কেননা গত ৮ অক্টেবর বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ‘মিনহাজ সাগর’ চাঁদাবাজির অভিযোগে ববি’র ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার হয়েছে। পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর তার রেজাল্ট উইটহেল্ড রয়েছে। ‘মিনহাজ সাগর’ তার ফেসবুক আইডিতে আমাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় লেখালেখি করেছেন। যে কারণে সাইবার নিরাপত্তা আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

ববি’র ক্যাম্পাসে এই মিনহাজ সাগর এখনও কয়েকজন শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। তার প্রধান সহযোগি হলেন- বাংলা বিভাগের ৮ম ব্যাচের গোলাম রসুল, লোক প্রশাসন বিভাগের ১০ম ব্যাচের আব্দুর রহিম, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের মুজাহিদ সহ একটি মদদদাতা চাঁদাবাজ চক্র।

এই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৪টি প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। এরমধ্যে ৩টি পোর্টাল থেকে সংবাদ রিমুভ করেছেন। পরে স্থানীয় ও জাতীয় ২টি প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ লিপি প্রদান করলে তা প্রকাশিত করেছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (৬ নভেম্বর) আমার বিরুদ্ধে ববি’র উপাচার্য বরাবর “নিষিদ্ধ সংগঠন (ছাত্রলীগ) এর সন্ত্রাসী কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে” শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়- ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে আমি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করি। অথচ আমি ছাত্রলীগ কর্তৃক নির্যাতিত এবং জীবন থেকে লেখাপড়া বঞ্চিত হবার উপক্রম অবস্থায় রয়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আবেদন পত্রটি ছিল “ছাত্রলীগের পুর্নবাসন ও ছাত্র রাজনীতি চাই না”। এ আবেদনে স্বাক্ষর নিয়ে উপরের পৃষ্ঠা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্বাক্ষরকারী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, আরিফুল ইসলাম আমাকে উপরের পৃষ্ঠা পরিবর্তনের বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন। পরে মুঠোফোনে একাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানতে পারি- আবেদন পত্রটি পরিবর্তন করা হয়েছে। যার তথ্য প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।




বরিশালে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির র‌্যালি

চন্দ্রদ্বীপ নিউজ::বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বরিশালে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি পালন করেছে বিএনপি। বরিশাল জেলা বিএনপি, মহানগর যুবদল এবং জেলা দক্ষিণ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো পৃথক সমাবেশ ও র‌্যালির আয়োজন করেছে।

বরিশাল জেলা বিএনপির উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে তারা একটি র‌্যালি বের করে, যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম শহীনসহ নেতৃবৃন্দ র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি বরিশাল মহানগর যুবদল, জেলা দক্ষিণ বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দও পৃথকভাবে র‌্যালি আয়োজন করেন। তারা সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু করে।

এ উপলক্ষে বক্তারা ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান। সকাল থেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরে এসে সমবেত হন। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড।

এ সময় বরিশাল সদর মৎস্যজীবী দল বিশাল মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন,বরিশাল সদর উপজেলা মৎস্য বিএনপির সভাপতি খোকন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম লিটন সহ মৎস্যজীবী অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল।