স্মৃতিসৌধে অসুস্থ মির্জা ফখরুল, তড়িঘড়ি সৌধ ত্যাগ

বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। নেতাকর্মীদের ভিড় ও ধাক্কাধাক্কির মধ্যেই তিনি মেঝেতে বসে পড়েন এবং পরে শুয়ে পড়েন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ ঘটনা ঘটে। নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে তাকে একটি গণমাধ্যমের মাইক্রোবাসে তুলে দ্রুত স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন।

শহীদ বেদীতে ফুল দেওয়ার পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কির কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে মেঝেতে বসে পড়েন। পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে তাকে শুইয়ে মাথায় পানি দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, ফুল দেওয়ার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিড় ও ধাক্কাধাক্কি চলছিল। সাংবাদিকদের সামনে অসুস্থ হয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা তাকে পাঁজাকোলে তুলে নিয়ে যান।

এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়, সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সালাউদ্দিন বাবু, ধামরাই উপজেলা যুবদল সভাপতি মুরাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



২০২৫ সালের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষে দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড একযোগে তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করছে। গত আগস্ট মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর জাতীয় উদ্দেশ্য এটি তৃতীয় ভাষণ।

জাতীয় উদ্দেশ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন থেকে সবাই মিলে এমন একটা ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে পারি যে স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে প্রথমবারের ভোটাররা ১০০ শতাংশের এর কাছাকাছি সংখ্যায় ভোটদান নিশ্চিত করবে। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভবিষ্যতে কোনো সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস করতে পারবে না।

ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়নে প্রতিটি কমিশনই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের কথা আমি একটু আলাদাভাবে বলতে চাই, কেননা এই দুটি কমিশনের সুপারিশের ওপর প্রধানত নির্ভর করছে আমাদের আগামী নির্বাচন প্রস্তুতি ও তারিখ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ প্রসঙ্গে বড় খবর হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়ে গেছে। কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এখন থেকে তাদের হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত হলো ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করার। তারা তাদের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন। তাদের হাতে অনেক কাজ।

ড. ইউনূস বলেন, প্রথমে সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। এটা এমনিতেই কঠিন কাজ। এখন কাজটা আরো কঠিন হলো এজন্য যে গত তিনটা নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল না। ভোটার তালিকা যাচাই করার সুযোগ হয়নি কারোর। গত ১৫ বছরে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছে তাদের সবার নাম ভোটার তালিকায় তোলা নিশ্চিত করতে হবে। এটা একটা বড় কাজ। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর এখানে গলদ রাখার কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘদিন পর এবার বহু তরুণ তরুণী জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবে। অতীতে তাদেরকে সে অধিকার এবং আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই এবারের নির্বাচনে তাদের ভোটদান একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এই অভিজ্ঞতাকে মসৃণ করার সমস্ত আয়োজন করতে হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের তরুণ তরুণী ভোটারেরা শতকরা ১০০ ভাগের কাছাকাছি সংখ্যায় ভোট দিয়ে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করুক। নির্বাচন কমিশন এবং সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার আহ্বান সবাই মিলে আমরা যেন এই লক্ষ্য অর্জনে নানা প্রকার সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করি।

নতুন ভোটার ছাড়াও যাদের আগে থেকে ভোটার তালিকায় নাম থাকার কথা ছিল তারা ভোটার তালিকায় আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ভুয়া ভোটারদেরকে তালিকা থেকে বের করে দিতে হবে বলে জাতির উদ্দেশ্য বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে চাই। অতীতে আমরা এ ব্যাপারে অনেকবার আশ্বাসের কথা শুনেছি। এই সরকারের আমলে এটা যেন প্রথমবারের মতো বাস্তবায়িত হয় এটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এর জন্য একটা নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, সবকিছুই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এর সঙ্গে যদি আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে চাই, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিস্তৃতি ও গভীরতা অনুসারে নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে।

প্রধান রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদেরকে যদি, আবার বলছি “যদি”, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।




বিজয় দিবসে জামায়াত-শিবিরের যে যে কর্মসূচি

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আগামী ১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১০টায় রাজধানীর বিজয়নগরে একটি সমাবেশ ও র‌্যালির আয়োজন করেছে। এই সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আমির মো. নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারা বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সহদপ্তর সম্পাদক ও সমন্বয়ক আবদুস সাত্তার সুমন।

অপরদিকে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরও ১৬ ডিসেম্বর ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি আয়োজন করবে। র‍্যালিটি সকাল ৯টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম (উত্তর গেট) থেকে শাহবাগ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। র‍্যালিতে উপস্থিত থাকবেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

“মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”



বাউফলে বিএনপির কার্যালয়ে শ্রমিক লীগ নেতাকে অতিথি করায় ক্ষোভ

পটুয়াখালীর বাউফলে বিএনপির নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালামকে বিশেষ অতিথি করায় স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আবুল কালাম উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মদনপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চন্দ্রপাড়া চৌরাস্তার পশ্চিম পাশে মুন্সী বাড়ির সামনে এ কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়।

মদনপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। তবে অনুষ্ঠানটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়, কারণ শ্রমিক লীগ নেতা আবুল কালামকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

বিএনপির কর্মীদের একাংশের দাবি, আবুল কালাম অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারি কাজে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া, তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলায় জড়ানোর অভিযোগেও অভিযুক্ত। তাই তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নেতাকর্মীদের জন্য অপমানজনক।

স্থানীয় এক বিএনপি কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “আবুল কালাম অনেক টাকার মালিক এবং গুঞ্জন আছে, শিগগিরই তিনি বিএনপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু তিনি অতীতে আমাদের অনেক ক্ষতি করেছেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, “আমি এ ঘটনার বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন কর্মী জানান, আবুল কালামকে অতিথি করা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত, যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



পটুয়াখালীতে আধিপত্য নিয়ে বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ৩০

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রামাইখাল এলাকায় এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই এলাকার রাবনাবাদ নদীতে স্থানীয় জেলেরা মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব মিয়া নদীতে বিশাল এলাকাজুড়ে খুঁটা জাল পেতে রাখেন, যা দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য জেলেদের মাছ শিকারে সমস্যার সৃষ্টি করছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেতা মাহতাব ও স্বপন খান কলাপাড়া থেকে চম্পাপুরে যাওয়ার পথে রামাইখাল এলাকায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন কয়েকজন জেলে। এ সময় জেলেরা স্বপন খানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ফয়সাল হাওলাদার ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক রাজমনি বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ফয়সাল হাওলাদার রাজমনিকে মারধর করেন। দুপুরে বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মাহতাব গ্রুপ এবং ফয়সাল মুন্সীর নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত হওয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, “আমি হাসপাতালে আছি। পরে বিস্তারিত জানাব।”

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জুয়েল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



প্রতিবন্ধীদের পেছনে রেখে আমরা এগিয়ে যেতে পারি না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আপনাদের প্রতিবন্ধকতা আমাদের সবার প্রতিবন্ধকতা। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের পেছনে রেখে আমরা কখনো এগিয়ে যেতে পারি না, আর এগোতেও চাই না।”

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগারগাঁও এলজিআরডি মিলনায়তনে প্রতিবন্ধী নাগরিক শ্রেণির সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

তারেক রহমান আরও বলেন, “আমরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি এবং আমার দল বিএনপি উপলব্ধি করি, আপনাদের সমস্যা ও কষ্টগুলো বাস্তব এবং গভীর। আপনাদের মনে রাখতে হবে, এই বাস্তবতায় আপনারা একা নন। আমরা সবসময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো।”

বিএনপি নেতা বলেন, “আমরা সবাই মিলে একসাথে যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, সেটি হবে সবার জন্য ফেয়ার, সবার জন্য ইনক্লুসিভ, সবার জন্য বাসযোগ্য এবং সবার জন্য উপভোগ্য।”

তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, “দেশে কিছু প্রাইভেট অর্গানাইজেশন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নানা ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তবে এই প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি ব্যবস্থা করতে গিয়ে তারা হিমশিম খায়। এই সমস্যার সমাধানে, আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো যাতে দেশের বড় ব্যবসাগুলো একটি নির্দিষ্ট শতাংশ শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জড ব্যক্তিদের নিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ করলে, আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু ট্যাক্স সুবিধা বা কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট প্রদান করার চিন্তা করতে পারি।”

বিএনপি সরকার গঠন করলে, জেলা পর্যায়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা থাকবে, যেখানে সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ, ব্রেইলসহ ইনক্লুসিভ এডুকেশনের আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়াও, কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও নানা উদ্যোগের কথা জানান তিনি। “আমরা প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতালে বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন করার চেষ্টা করবো, যেখানে শারীরিক থেরাপি, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার আধুনিক সুবিধা থাকবে। আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগণের জন্য মোবাইল হেলথ ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবো। সহায়ক উপকরণ তৈরির জন্য কারখানা স্থাপন এবং আমদানির ক্ষেত্রে কর মওকুফের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকবে,” বলেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে ধীর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যার ভিত্তি হবে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা, সামাজিক সক্ষমতা এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা।”

তারেক রহমান বলেন, “একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা রয়েছে, যা প্রতিবন্ধি ভাই-বোনদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবে।”

শেষে তিনি প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দায়িত্ব পেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আপনাদের পাশে থাকার। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা কেউ প্রতিবন্ধি নন বরং আপনারা বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিক। প্রত্যেকের রয়েছে অসীম সক্ষমতা। দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো আপনাদের নাগরিক অধিকার, সুযোগ সুবিধা সমানভাবে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করবো।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতারা।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালুর আহ্বান মাওলানা শামসুল ইসলামের

শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতি চালু করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের শ্রমিক সমাজ ও মেহনতি মানুষ আমাদের জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার।

শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর উত্তরায় নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা শামসুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ শ্রমজীবী। তাই সমাজ ও রাষ্ট্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে হলে শ্রমজীবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি শ্রমিক-জনতার বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলন ও বিজয়ের মাধ্যমে আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ জন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে দেশ ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তি পায়।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতি চালু না থাকায় শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং তাদের গুরুত্ব যথাযথভাবে মূল্যায়িত হওয়া উচিত। তিনি শ্রমিকদের এক প্ল্যাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কুয়াকাটায় যুবদলের চার নেতা বহিষ্কার

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নৈতিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এক দিনের ব্যবধানে চার যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে সকালে বহিষ্কৃত নেতা ছিলেন কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৪নং ওয়ার্ডের ২নং সদস্য মো. হাসান। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

একই দিনে সকালে আরও তিন নেতা—কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সোহেল মিয়াজী, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ হাওলাদার, এবং যুবদল সদস্য মো. ইউসুফ ঘরামিকে দলীয় কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত মো. হাসান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং এটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। জেলা যুবদলের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবো।”

কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “দলীয় নিয়ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে জেলা যুবদল আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। এটি তাদের সরাসরি সিদ্ধান্ত।”

পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান লিখিত বক্তব্যে জানান, “নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন এবং (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. শিপলু খান অনুমোদন করেছেন। বহিষ্কৃতদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা যুবদল জানিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কলাপাড়া উপজেলা কমিটি গঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কলাপাড়া উপজেলার নতুন আমীর হিসেবে সহকারী অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কাইযুম এবং সেক্রেটারি হিসেবে মাওলানা হাবিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন।

নতুন কমিটি গঠনকালে, উপজেলা মজলিসে শূরা সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এমবি কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক ফরুকী, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা আমিনুল ইসলাম, হাকিম মোঃ মহিব্বুল্লাহ, মাওলানা নিজাম উদ্দিন সহ আরও অনেকে। ২০২৫-২০২৬ কার্যকালের জন্য এই নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়।

নবনির্বাচিত আমীরকে শপথবাক্য পাঠ করান পটুয়াখালী জেলা আমীর অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান। এছাড়া, আজ রবিবার বিকেলে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী দলের অফিসে আনুষ্ঠিকভাবে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এর পাশাপাশি ১০ সদস্যের কর্মপরিষদও গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি জামায়াতে ইসলামী কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতার দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




কুয়াকাটায় যুবদলের তিন নেতা বহিষ্কার

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে পটুয়াখালী জেলা যুবদল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল্লাহ আল-নোমানের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বহিষ্কার হওয়া তিন নেতা হলেন কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য ইউসুফ ঘরামী, কুয়াকাটা ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সোহেল মিয়াজি এবং একই ওয়ার্ডের সদস্য মিরাজ হাওলাদার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম লিটন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শিপলু খান এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার রাতে কুয়াকাটার একটি হোটেল ‘হ্যান্ডি কড়াই (বার)’ ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। তবে বহিষ্কৃতরা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা ইউসুফ ঘরামী বলেন, “আমাদের কেন বহিষ্কার করা হলো তা আমরা জানি না। আমরা কোনো অপরাধ করিনি। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, “বারে হামলার অভিযোগ শুনেছি। তবে দলের নিয়মের বাইরে যারা যাবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবসময় দলের নিয়ম-নীতিতে অটল থাকব।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম