কলাপাড়ায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ব্যাংকার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার কলাপাড়া আদালতে ভুক্তভোগী মো.জুয়েল মৃধা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার নং ১৫৫৭/২০২৪।

এ মামলায় আসামি হিসেবে সাবেক মন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান মহিব, টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমু, ব্যাংকার তরিকুল ইসলাম হিরন, সাবেক এপিএস তরিকুল ইসলাম, ধানখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ তালুকদার, ধুলাস্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নুরুদ্দিন, মো. মোস্তাক হাং, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আশিক তালুকদার, লালুয়া ইউপি সদস্য মো. লিটন সাউগার, মো. কামাল তালুকদার, বাদল মিয়া, মো. জাকির মৃধা সহ ২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, লালুয়া ও ধানখালী এলাকার পায়রা বন্দর এবং তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিগ্রহণকৃত জমি ও ঘর মালিকদের জিম্মি করে ২০% হারে চাঁদা দাবি করা হয়। এ টাকা উত্তোলন করার জন্য বাদী ও স্বাক্ষীদের চাপ দেয়া হয় এবং রাজি না হলে খুন-জখমের হুমকি দেয়া হয়। বাদীকে আটক করে অলিখিত স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানো হয় এবং তাদের ঘরের বরাদ্দকৃত ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। পরে চান্দুপাড়া মৌজার ৪২৭/৪২৮ খতিয়ানে বাদীর ১২ একর ভূমির অধিগ্রহণের ৬ কোটি টাকা এলএ অফিস থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কৃষক লীগ নেতা আবু জাফরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কৃষক লীগ নেতা আবু জাফরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী, দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসনে-হেনা নামের এক মহিলা, জানিয়েছেন যে, আবু জাফর তাকে নলকূপ দেওয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা নেন, কিন্তু আজ পর্যন্ত নলকূপ না দেওয়ায় তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

প্রায় ৪ মাস আগে কৃষক লীগ নেতা আবু জাফর ওই মহিলাকে নলকূপ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৪০ হাজার টাকা নেন, কিন্তু এ পর্যন্ত কিছুই প্রদান করেননি। টাকা ফেরত চাওয়ার পর তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ভুক্তভোগী মহিলা হাসনে-হেনা বলেন, “নলকূপ তো দিলেনই না, বরং আমার ৪০ হাজার টাকা ফেরতও দিচ্ছে না। টাকা চাইলে তিনি নানা অজুহাত দেখান।”

অভিযুক্ত কৃষক লীগ নেতা আবু জাফর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, “এটা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ। আমি কারও কাছে টাকা নিয়ে নলকূপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়নি।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

Tags: পটুয়াখালী, মির্জাগঞ্জ, কৃষক লীগ, আবু জাফর, প্রতারণা, নলকূপ, অভিযোগ, কৃষক লীগ নেতা, প্রতিকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাসনে-হেনা

 




ভোলা সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ আটক, মামলা অজ্ঞাত

document.getElementById( "ak_js_1" ).setAttribute( "value", ( new Date() ).getTime() );

ভোলা সদরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউনুছকে পল্টন থানা পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, মো. ইউনুছের নামে ভোলায় কোনো মামলা ছিল না। তবে ঢাকায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে চিহ্নিত নয়, অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আটক করে দেখানো হয়েছে।

ইউনুছের ভাইয়ের ছেলে মো. মনির জানান, তার চাচা স্থানীয়ভাবে তিনবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং এবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপি তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল। এছাড়া, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা হলেও, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন সভায় ছাত্রদের পক্ষে কথা বলেন মো. ইউনুছ।

এ বছরের জুন মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি দেড় মাস ভোলায় ছিলেন। চিকিৎসাজনিত কারণে এক মাস ধরে তিনি ঢাকায় তার মেয়ের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে পল্টন থানা পুলিশ এবং ভোলা থানার কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে কোনো বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



জামায়াত আমিরের বক্তব্য: ‘ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার হবে দেশে’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল, জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারের পতনের সাথে সাথে দেশ থেকে সমস্ত জুলুম-নির্যাতনের অবসান হয়েছে। যারা দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন, হত্যা, লুন্ঠন, খুন, গুম করেছেন তাদের ক্ষমা করা হবে না। তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে।”

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন সাতক্ষীরা মোড়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শার্শা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। তারা আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চাচ্ছে।” তিনি যোগ করেন, “এই অবস্থায় তাদের চক্রান্ত রুখে দিতে দেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “আমরা আগামীতে এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনও সুদ-ঘুষ, জাতপাত-দল-ধর্মের ব্যবধান থাকবে না।”

পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ফারুক হাসান। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, মোবারক হোসেন, যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বেনাপোল পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউছুপ আলী প্রমুখ।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে যশোরে পৌঁছানোর পর জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা জানান। পরবর্তী সময়ে তিনি সাতক্ষীরায় রুকন ও কর্মী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং পথে যশোরের চাঁচড়া চৌরাস্তা, ঝিকরগাছা ও নাভারনে পথসভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। এসব পথসভায় হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দুই বছর সময় প্রয়োজন: নুরুল হক নূর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, রাতারাতি নির্বাচন হলে দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। এজন্য অন্তত দুই বছর সময় নিয়ে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অফিসার্স ক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নূর বলেন, “দেশের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা ও অবিশ্বাস প্রকট হয়ে উঠেছে। আমরা একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন চাই, যেখানে রাজনৈতিক পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে থেকে সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “শহীদ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, শহীদদের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ তাদের কাছে এক হাজার টাকা দাবি করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং আমাদের জন্য হতাশার। আমি আমাদের দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।”

এ সময় তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীলতার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমরা সবাই নিজ নিজ সুবিধা এবং পদ-পদবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছি। যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে সেভাবে দাঁড়ানো হচ্ছে না। শহীদ পরিবারগুলো যেন অবহেলার শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে শহীদ আতিকের বাবা শাহ আলম হাওলাদার, শহীদ সাগর গাজীর ভাই সোহাগ গাজীসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার এবং উপজেলা শ্রমিক অধিকার সংগঠনের সদস্য সচিব আমির হোসেন।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর মুহিত, গলাচিপা থানার ওসি মো. আসাদুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমির জাকির হোসেন, এবং গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব মিয়া।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 

 




৫৩ বছরের সুযোগ যেন মতবিরোধের কারণে হাতছাড়া না হয়: নুর

বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুর (ভিপি নুর) বলেছেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি বলেন, এখন আমাদের সামনে নতুন এক সুযোগ এসেছে, যেখানে দেশের উন্নয়ন ও সংস্কারের পথ প্রশস্ত করা সম্ভব।

নুর বলেন, আমরা চাই একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠুক যেখানে জনগণের অধিকার রক্ষিত থাকবে, জুলুম, দুঃশাসন, ভোট ডাকাতি এবং রাজনৈতিক কারণে হয়রানি থাকবে না। তবে, তিনি সতর্ক করেছেন যে কিছু রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে উৎপাত শুরু করেছে, যেন তারা ক্ষমতায় চলে এসেছে। এটি চলতে দেয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, “জেলা-উপজেলায় গিয়েছি এবং পরিষ্কারভাবে ডিসি, এসপি, ইউএনওদের বলেছি যে, তাদের কাজ হবে শুধু রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির প্রাধান্য না দিয়ে, সকলের সঙ্গে মতবিনিময় করে জনকল্যাণে কাজ করা।”

তিনি বরিশালের ঐতিহাসিক চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিলে ওলামা ও সুধী সম্মেলনে বক্তৃতা দেন এবং আরও বলেন, “৫৩ বছর ধরে চলা পুরনো রাজনীতির কারণে দেশের জনগণ অনেক যন্ত্রণা ভোগ করেছে। তবে, এখন একটি সুযোগ এসেছে। এ সুযোগটি আমরা কিভাবে কাজে লাগাবো তা আমাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। তবে, আমি বিনয়ের সাথে বলছি, আমাদের ছোটোখাটো মতবিরোধের কারণে এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।”

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর আরও বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কিছু সদস্য যারা নেশার সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁদের চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ, গত নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমসহ অন্যান্য আলেম-ওলামাদের লাঞ্ছিত করেছে। তিনি বলেন, “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও অন্যান্য ইসলামী দলের স্লোগান ‘নেতা নয় নীতি চাই’ অত্যন্ত যৌক্তিক। শুধুমাত্র নেতা দিয়ে পরিবর্তন সম্ভব নয়, আমাদের নীতিরও পরিবর্তন প্রয়োজন।”

নুর শেষ করেন, “আল্লাহর রহমত ছাড়া এমন পরিবর্তন সম্ভব হতো না। এখন সময় এসেছে উপযুক্ত নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বিএনপির জাতীয় ঐক্যের দাবির সঙ্গে একমত জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির ব্যাপারে বিএনপির দাবির সঙ্গে তারা একমত। গত ২৮ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, দলের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বৈঠকে আমরা দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং একমত হয়েছি যে, দেশের সকল মানুষকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে এবং ধর্ম, বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকলের একমত হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাই।”

তিনি আরও জানান, জাতীয় ঐক্য গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে, নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। “আমরা আগে যে দাবি জানিয়েছি, তা হলো কিছু নির্দিষ্ট সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি,” বলেন ডা. শফিকুর রহমান।

বিভিন্ন মহল থেকে ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে, এ বিষয়ে জামায়াতের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শুধু ইসকন নয়, যারা দেশের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছি দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে। এ আলোচনা হয়েছে কিভাবে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্বাচন দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, কীভাবে প্রশাসনে গতি আনা যায় এবং কিভাবে জাতীয় ঐক্য করা যায়।”

ডা. শফিকুর রহমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বলেন, “বর্তমানে জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এটি লাঘব করার জন্য আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পরামর্শ করেছি যাতে রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




পরাজিত ফ্যাসিবাদ পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে : ফখরুল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তি পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ এখন একটি জটিল পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। কিন্তু ঠিক তখনই কিছু ফ্যাসিবাদী শক্তি, যারা পরাজিত হয়েছে, পরিস্থিতি বদলানোর জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য আন্দোলনের বিজয়কে অন্য খাতে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের মানুষকে আবারও অস্থিতিশীল পরিবেশে ঠেলে দেওয়া।

আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা নিঃসন্দেহে একটি জটিল কাজ। রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ফখরুল বলেন, “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো রাষ্ট্র পুনর্গঠন সম্ভব নয়। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে যেন আর কোনো ফ্যাসিবাদের আগমন না ঘটে, সেদিকে লেখক-সাহিত্যিকদের সজাগ থাকতে হবে।” তিনি আরও জানান, “ফ্যাসিবাদ রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে এবং সংস্কারের বিষয়ে লেখক-শিল্পীদের মতামত অত্যন্ত জরুরি।” তিনি বলেন, “লেখক ও শিল্পীদের একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে— তা হলো, দেশের সার্বভৌমত্ব যেন হুমকির মুখে না পড়ে, সে বিষয়ে তাদের দৃষ্টি রাখা।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যারা দায়িত্ব নিয়েছেন, তারা যেন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন। সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে, সবার সম্মিলিত উদ্যোগে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব হবে।”

মতবিনিময় সভায় সিপিবি’র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক ও কবি সোহরার হাসান, লেখক ও গবেষক সলিমুল্লাহ খান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মনি, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সম্পাদক ও কবি শওকত হোসেনসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারের সূচনা বক্তৃতা দেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য সচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। স্বাগত বক্তৃতা ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পরিষদের আহবায়ক কবি মোহন রায়হান।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জনগণের আত্মত্যাগ অতুলনীয়। জনগণই সংস্কার করবে, তবে তাদের সেই সুযোগ দিতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের অর্জন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। লেখক-শিল্পীদের আরও সোচ্চার হতে হবে এবং জনগণের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।”

সলিমুল্লাহ খান বলেন, “রাষ্ট্র পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে প্রতিবিপ্লব সংগঠিত হতে পারে, সেজন্য লেখক, শিল্পী ও রাজনীতিকদের সতর্ক থাকতে হবে।”

কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, “কবি-শিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মীরা সবসময় সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ফ্যাসিবাদীরা নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “ফ্যাসিবাদের পতনের পর লেখক-শিল্পীরা নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য লেখক-শিল্পীদের সতর্ক থাকতে হবে।”

জোনায়েদ সাকি বলেন, “রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সংস্কৃতির বড় ভূমিকা রয়েছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার লেখক-শিল্পীদের বড় অংশকে তাবেদারে পরিণত করেছিল।”

সাইফুল হক বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যারা ‘না’ বলার সাহস দেখিয়েছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানাই। ভবিষ্যতে কোন লেখক, কবি ও শিল্পী যেন স্বৈরশাসকের দোসর না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”

কবি মোহন রায়হান বলেন, “যদি কোনো ফ্যাসিবাদী সরকার ফিরে আসতে চায়, কবিরাই প্রথম প্রতিহত করবে। কবি-শিল্পীরা রক্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত করবে।”

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপর জোর দিতে হবে : তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “লেখাপড়া করে মেধার ভিত্তিতে যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী বা আর্কিটেক্ট হতে হবে, তেমনি পেশাদার খেলোয়াড় বা শিল্পী তৈরী করতে হবে। কারণ একজন পেশাদার খেলোয়াড় বা শিল্পীও তার পেশার মাধ্যমে পরিবারকে সাহায্য করতে পারেন।”

আজ বৃহস্পতিবার লালমনিরহাটের বড়বাড়ীতে শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪’-এর ফাইনাল ম্যাচে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। এই ছিল ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এর ৬ষ্ঠ আসর।

তারেক রহমান বলেন, “দেশের মানুষ স্বৈরাচার বিদায় করেছে। সামনের দিকে দেশ গড়ার পালা। এ প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “দেশকে নিয়ে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

পেশাদার খেলোয়াড় তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এর পাশাপাশি ভালো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পী তৈরির কাজ করতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় খেলাগুলো বাছাই করে আমরা দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে থেকে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরি করবো। বাইরের দেশের খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।” তিনি উদাহরণ হিসেবে শহীদ জিয়ার আমলে শুরু হওয়া ‘নতুন কুড়ি’ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “ওই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভালো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং শিল্পী বের করে আনা। বাংলাদেশি শিল্পী বেবী নাজনীন ‘নতুন কুড়ি’-এর ফসল।”

তারেক রহমান বলেন, “তেমনিভাবে, আমরা ৮ থেকে ১০টি খেলা বাছাই করে ওইসব খেলার ওপর গুরুত্ব দেব। যিনি যে খেলা ভালো করবেন, তাকে সেই খেলায় পারদর্শী করে তুলতে হবে, যাতে আমাদের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে ভালো ফলাফল আনতে পারে।”

তিনি বলেন, “জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারলে আমরা সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজের পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ওপরও জোর দেব।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মেধাবী ডাক্তার, প্রকৌশলী, আর্কিটেক্ট তৈরির পাশাপাশি ভালো রাজনীতিবিদ, ভালো খেলোয়াড় ও শিল্পী তৈরির চেষ্টা করবো।”

তিনি আরো জানান, “যে ব্যক্তি যে বিষয়ে মেধাবী, তার মেধাকে মূল্যায়ন করে সেই বিষয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করবো।”

তিনি শেষ করে বলেন, “যদি আমরা বিভিন্ন খেলায় পেশাদার খেলোয়াড় এবং ভালো সাংস্কৃতিক কর্মী ও শিল্পী তৈরি করতে পারি, তবে ওইসব ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।”

উল্লেখ্য, লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে ১২ নভেম্বর শুরু হওয়া ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ বিএনপি’র রংপুর বিভাগের ১০টি সাংগঠনিক দল অংশগ্রহণ করে। আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় বিএনপি একাদশ ও রংপুর মহানগর বিএনপি একাদশের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। টাইব্রেকারে ১-০ গোলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি একাদশ বিজয়ী হয়।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




“সংখ্যালঘুরা এদেশে মায়ের কোলে সন্তানের মতো: পীর সাহেব চরমোনাই”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর, পীর সাহেব চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে একটি কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে।” তিনি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ক্ষমতা ও স্বার্থের পেছনে ছুটলে দেশ ও জাতির জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

পীর সাহেব চরমোনাই হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে আপনারা এদেশে মায়ের কোলে সন্তানের মতো নিরাপদ আছেন, কিন্তু কিছু লোক আপনাদের ব্যবহার করে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলের বার্ষিক ওলামা ও সুধী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়, তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আগামীদিনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বপ্নের স্বদেশ বিনির্মাণে একসাথে কাজ করতে হবে।”

সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এবং খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ।

অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, “চরমোনাই মাহফিল ১০০ বছর অতিক্রম করেছে এবং আমরা ঐক্যের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো ইনশাআল্লাহ।” তিনি কুরআনী শাসনের পক্ষে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেন।

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ বলেন, “ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। আমরা সবাই একত্রিত হবো।”

বাংলাদেশ ফরায়েজী জামায়াতের আমীর হাজী শরীয়তুল্লাহর উত্তরসূরি বাহাদূরপুরের পীর হাফেজ মাওলানা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান বলেন, “পীর সাহেব চরমোনাই’র নেতৃত্বে আমরা একসাথে কাজ করতে রাজি আছি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।”

বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আল ফরিদী বলেন, “৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান আল্লাহর বড় নেয়ামত। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কুফরী মতবাদ মেনে নেওয়া যায় না। ইসলাম মানুষের জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা দেয়।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “৫ আগস্ট পরিবর্তনের পরেও পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। ভারতের মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিচ্ছে।”

গণ অধিকার পরিষদ সভাপতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে একসাথে নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। ছোট খাটো বিরোধের কারণে আমাদের ঐক্য নষ্ট হওয়া উচিত নয়।”

চরমোনাই মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতারা। আগামীকাল (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে এবং ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় পীর সাহেব চরমোনাই’র আখেরি বয়ানের মধ্য দিয়ে এই তিন দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হবে।

মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে গতকাল দুইজন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। উভয়ের জানাযা শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।


মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম