বিভাজন নয়, দরকার জাতীয় ঐক্য: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভাজন সৃষ্টি না হয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, যা দেশে সব ধরনের বিভাজনকে ঠেকাতে সাহায্য করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে বা যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে, তাদের প্রতিহত করতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বৈঠকে নির্বাচন সংক্রান্ত রোডম্যাপ দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়েছি এবং নির্বাচনী সংস্কারগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছি।”

এছাড়া, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে চলমান মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হয়েছে এবং প্রধান উপদেষ্টা জাতির একতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি ছাত্র-জনতা, হিন্দু-মুসলিম সবার মধ্যে জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন এবং চট্টগ্রামের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




যুদ্ধবিরতির পর স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা

ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর, দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। যদিও যুদ্ধবিরতি লড়াইয়ের স্থায়ী সমাধান হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও, দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দারা আনন্দের সঙ্গে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করেন। এতে রাজধানী বৈরুতের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগকারী মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বাসিন্দারা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে গাড়ির ওপরে করে ফিরছিলেন, ফলে সিডনের উত্তর দিকের প্রবেশপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছু বাসিন্দা মোটরসাইকেলে করে উপকূলীয় শহর টায়ারে ফিরতে শুরু করেন।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দায়িত্বে থাকা লেবাননের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের তাদের এলাকায় ফিরে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

এদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। পাল্টা আক্রমণে, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপ করেছে।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩,৮২৩ জন নিহত এবং ১৫,৮৫৯ জন আহত হয়েছেন।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে, বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে বারিধারায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেন এবং ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে, সোয়া তিনটার দিকে তিনি ফের তার গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান।

এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




পটুয়াখালী পৌর শহরে যুব অধিকার পরিষদের ৫৮ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

পটুয়াখালী পৌর শহরে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৫৮ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল প্রকাশিত এই কমিটির স্বাক্ষর করেন জেলা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুম্মান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।

নতুন কমিটিতে মো. রিয়াজুর রহমান আহ্বায়ক এবং মো. আল-আমিন হোসেন সুমন সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাসুম হাওলাদার, মো. আব্বাস খান, মো. সাজ্জাদ হোসেন সাজু, মো. নুরুন্নবী, মো. মিজান আকন, মো. জুয়েল তালুকদার, মো. মনির হোসেন, মো. ইকবাল হোসেন, মো. আতিক, মো. মেহেদী হাসান, মো. আব্দুর রহমান, সোহাগ গাজী, ইলিয়াস গাজী, তুহিন আকন, মোসাঃ আফরোজা আইরিন, নাঈম ফকির।

যুগ্ম-সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন আশিকুর রহমান আশিক, হেলাল আহমেদ রিপন, মাসুদ রানা, জহিরুল ইসলাম, রিয়াজ খান, জলিলুর রহমান সোহেল, মানিক গাজী, কামরুজ্জামান রিপন, নাসির উদ্দিন, আরাফাত তালুকদার ও সাকুর মাহমুদ। এছাড়া ১৯ জনকে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে এবং ২৩ জনকে কার্যকরী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পৌর আহ্বায়ক মো. রিয়াজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম হাওলাদার ও সদস্য সচিব আল-আমিন হোসেন সুমন দৈনিক জনবাণী প্রতিবেদককে বলেন, “তরুণ-যুবরাই সমাজের অগ্রভাগে থাকে। দেশের গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা বর্তমানে সংকটের মুখে। এই সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করার নেতৃত্ব তরুণ-যুবসমাজই দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন একটি সংগঠিত তরুণ-যুবসমাজ এবং সময়োপযোগী একটি রাজনৈতিক যুব সংগঠন। এই উপলব্ধি থেকেই আমরা বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



চাঁদাবাজির মামলায় অব্যাহতি পেলেন তারেক রহমান

চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জন অব্যাহতি পেয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ সিদ্ধান্ত প্রদান করেন।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী (হাবলু), আজিজুল করিম তারেক এবং মনিজুর রহমান (মানিক)।

পুলিশের তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় গত ৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ঢাকা কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রতিবেদনের ওপর বুধবার শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং বিচারক তাদের অব্যাহতি প্রদান করেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন মামলাটি দাখিল করার সময় চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হলফনামা সম্পাদন করেন। হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশেষ মহলের চাপে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।

এছাড়া, তদন্তকালে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, তখনকার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের কারণে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং অন্যান্য আসামিদের চিনতেন না এবং এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি।

তদন্তে আরো জানা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় এবং এ মামলাটি দায়ের করতে বাধ্য করা হয়।

তদন্তের মধ্যে সব তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং সব আসামি মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজের শর্ত পূরণ না হলে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী চাঁদার টাকা পরিশোধে বাধ্য হন এবং পরে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এমন অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল তারেক রহমানসহ আটজনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছিল।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান রাখতে পারলেই দেশকে এগিয়ে নিতে পারবো: তারেক রহমান

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের সকল নির্বাচন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতে হবে। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে যদি আমরা চলমান রাখতে পারি, তবেই দেশকে আমরা সামনে এগিয়ে নিতে পারবো এবং দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে পারবো।”

আজ মঙ্গলবার সিলেটে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক দিনব্যাপী তৃতীয় বিভাগীয় কর্মশালা ২০২৪-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “স্বৈরাচার পালিয়েও দেশে এখনও তাদের ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের দোসর রয়ে গেছে। আমাদের সবাইকে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সকল দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামীতে যদি আরো যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব আসে, সেগুলোও যুক্ত করা হবে।”

তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মশালার পর এই ৩১ দফা জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। বইয়ে অনেক কিছু সুন্দরভাবে লেখা থাকে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে হয় মানুষকে। ভালো নিয়ত থাকলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বহু বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ শহিদ হয়েছেন। যদি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়, তবে এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে।”

সিলেট নগরীর জেলা শিল্পকলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে বিএনপি’র বিভাগীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন নেতা ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন- ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লি, সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।

এছাড়া কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আনিসুর রহমান তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতাহ্ সিদ্দিকী।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাহসিনা রুশদি লুনা, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহ সম্পাদক শাম্মী আক্তার ও আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক ময়ুন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজিবুর রহমান নজিব।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ভারতে মসজিদ ভাঙার ঘটনায় হতাহত মুসল্লি, জামায়াতের নিন্দা

ভারতের উত্তর প্রদেশের সামভালে মুঘল আমলের একটি জামে মসজিদ ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে চারজন মুসল্লি নিহত এবং অনেক মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ভারতের উত্তর প্রদেশে মুঘল আমলের একটি জামে মসজিদকে হিন্দুরা মন্দির বলে দাবি করে জরিপ চালাতে গেলে মুসলমানরা বাধা দেয়। এরই জেরে পুলিশের গুলিতে চারজন মুসল্লি নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এ ঘটনা চরম অমানবিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

তিনি আরও বলেন, “ভারতে বিজেপি সরকারের আমলে মুসলিম মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলোর ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ বেড়েই চলেছে। মসজিদের স্থানে মন্দির থাকার মিথ্যা দাবি তুলে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ স্বীকৃত মানবিক ও ধর্মীয় অধিকারের লঙ্ঘন।”

তিনি ভারতের মুসলিম জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার তার বিবৃতিতে ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং সারা বিশ্বের মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় বৈষম্য থাকবে না: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার মূলমন্ত্র হলো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। সমাজে ধনী-গরিবের বৈষম্য নিরসন করার জন্য ইসলামে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, যেখানে ধনীর সম্পদের একটি অংশ গরিবদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।

শনিবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র, পথশিশু, দুস্থ-অসহায় নারী ও পুরুষদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, “এটি কোনো অনুগ্রহ বা দয়া নয়, বরং আমাদের সামাজিক দায়িত্ব। ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় এই দায়িত্ব পালন করা বাধ্যতামূলক।”

ড. মাসুদ আরো বলেন, “ইসলামী শিক্ষা হচ্ছে, শুধু নিজের আরাম-আয়েশে সন্তুষ্ট থাকা নয়, সমাজে বসবাসকারী অন্যদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এটি আল্লাহর প্রদত্ত বিধান। কিন্তু সেই বিধান যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না, কারণ আল্লাহর বিধানে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে না। মানুষের তৈরি মতবাদে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে, তাই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে বৈষম্য বিদ্যমান।”

এ সময় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, “ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হলে সমাজে কোনো বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, লুটপাট, জনগণের সম্পদ বিদেশে পাচার হবে না। জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।”

ড. মাসুদ আরও বলেন, “ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ, জাতি-গোষ্ঠী কিংবা ধর্মবর্ণের বিভাজন বা বিভেদের সুযোগ ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নেই। রাষ্ট্রের কাছে সবাই নাগরিক, সবাই সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে।” তাই ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় শুধু মুসলিমদের নয়, দেশের সকল ধর্মের মানুষকেও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে তিনি আহ্বান জানান।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




আমাদের নিয়ত সহিহ, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই : সিইসি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, আমাদের নিয়ত সহিহ, জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) শপথগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোমেলো হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিন তো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহিহ। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

এদিন দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন ও অন্য চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নেন।

দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন ও ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তহমিদা আহ্‌মদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের নিয়োগ দেন




বিতর্কিত সিলেবাসের মাধ্যমে ধর্মহীনতার ষড়যন্ত্র : বরিশালে পীর সাহেব চরমোনাই

বরিশাল হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে বরিশাল বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এক বিশাল আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব চরমোনাই তার বক্তব্যে বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী ও খুনি শেখ হাসিনা সরকার বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে এ দেশের জনগণকে ধর্মহীন করে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল।” তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরিফ শরীফ’ নামক গল্পের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার ধারণাকে প্রমোট করার চেষ্টা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বই থেকে চার খলিফার জীবনী তুলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ তারা নিয়েছিল। তবে এদেশের লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতিবাদের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

তিনি বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের প্রতি বিগত সরকারের ২০১২ সালের বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিলের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওলাদে রাসুল সাইয়্যেদ হাসান আশজাদ মাদানি (ভারত)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, চরমোনাই মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল আলম সিদ্দিকী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ইসলামী নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের দাবিসমূহ : সম্মেলনে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করা হয়, যা সময়ের প্রয়োজন মেটাতে যুক্তিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো:

১. কওমি ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, মিশর ও সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ ও পিএইচডি করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কওমি সনদের মর্যাদা প্রদান এবং চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কওমি সনদের উল্লেখ নিশ্চিত করা।
৩. হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।
৪. কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
৫. আহলে হাদিস, আহলে কোরআন, হিজবুত তাওহীদসহ সকল ভ্রান্ত মতবাদ ও অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৬. স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
৭. কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ গঠন ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ নিশ্চিত করা।

এ সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামা ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সবাই ইসলামী শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার প্রতি জোর দেন।

সম্মেলনে বক্তারা জানান, পেশ করা সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ দাবিগুলো দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়।


মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম