বিতর্কিত সিলেবাসের মাধ্যমে ধর্মহীনতার ষড়যন্ত্র : বরিশালে পীর সাহেব চরমোনাই

বরিশাল হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ মাঠে বরিশাল বিভাগীয় কওমি মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এক বিশাল আন্তর্জাতিক মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং পীর সাহেব চরমোনাই।

পীর সাহেব চরমোনাই তার বক্তব্যে বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী ও খুনি শেখ হাসিনা সরকার বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নের মাধ্যমে এ দেশের জনগণকে ধর্মহীন করে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল।” তিনি বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘শরিফ শরীফ’ নামক গল্পের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার ধারণাকে প্রমোট করার চেষ্টা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বই থেকে চার খলিফার জীবনী তুলে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ তারা নিয়েছিল। তবে এদেশের লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতিবাদের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

তিনি বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের প্রতি বিগত সরকারের ২০১২ সালের বিতর্কিত শিক্ষা সিলেবাস বাতিলের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওলাদে রাসুল সাইয়্যেদ হাসান আশজাদ মাদানি (ভারত)। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, চরমোনাই মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল আলম সিদ্দিকী সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ইসলামী নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের দাবিসমূহ : সম্মেলনে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি পেশ করা হয়, যা সময়ের প্রয়োজন মেটাতে যুক্তিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাবিগুলো হলো:

১. কওমি ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান, মিশর ও সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ ও পিএইচডি করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
২. সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কওমি সনদের মর্যাদা প্রদান এবং চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কওমি সনদের উল্লেখ নিশ্চিত করা।
৩. হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঘোষিত ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা।
৪. কাদিয়ানিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা।
৫. আহলে হাদিস, আহলে কোরআন, হিজবুত তাওহীদসহ সকল ভ্রান্ত মতবাদ ও অপতৎপরতা বন্ধ করা।
৬. স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করা।
৭. কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সমাজ গঠন ও সামাজিক অবক্ষয় রোধে আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ নিশ্চিত করা।

এ সম্মেলনে দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামা ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সবাই ইসলামী শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষার প্রতি জোর দেন।

সম্মেলনে বক্তারা জানান, পেশ করা সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ দাবিগুলো দেশের ধর্মপ্রাণ জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করা হয়।


মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব যা দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।”

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, “সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।”

তারেক রহমান বলেন, “দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”

নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, “অনেকের মনে প্রশ্ন, আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি? আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।”

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।”

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




‘নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতকে চাপ দিতে হবে’

ভারতের কোনো যুক্তিই নেই বাংলাদেশকে নদীর পানি না দেওয়ার, মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, “নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে ভারতকে চাপ দিতে হবে।”

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “ভারতে যখন পানির চাপ থাকে, তখন জলাধারের গেট খুলে দেয়। আবার তাদের যখন পানি কম থাকে, তখন গেইটগুলো বন্ধ করে দেয়। এটা তারা ইচ্ছামাফিক করছে, সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে, আর উত্তরাঞ্চল দিন দিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে।”

তিনি উদাহরণ হিসেবে ইউরোপের অন্যতম প্রধান পরিবহন পথ দানিউব নদীর কথা তুলে ধরেন, যেটি জার্মানিতে উৎপত্তি হয়ে নেদারল্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। তিনি বলেন, “তাদের মধ্যে পলিটিক্যাল সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি সেখানে রয়েছে।”

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “আন্তর্বর্তী সরকার যে কাজগুলো করছে, সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। পানির ব্যাপারে শুধু ফারাক্কা নয়, আরও ৫৪টি অভিন্ন নদী আছে, সেগুলো যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করবো।”

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।

মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে পটুয়াখালীতে বিএনপির বিশাল জনসমাবেশ

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির আয়োজনে শনিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে একটি বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টায় পটুয়াখালী শহরের শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী একত্রিত হন, যার ফলে জনসমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মাওলানা নেছারুল হক। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাবেক মেয়র মোশতাক আহমেদ পিনু।

সমাবেশে বক্তারা পটুয়াখালীতে বিএনপির ওপর সরকারি হামলা এবং সহিংসতার অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা বলেন, “গত ১৫ বছরে পটুয়াখালীতে বিএনপির অফিস ১৪ বার আক্রমণ করা হয়েছে এবং অফিসের পাখাও চুরি হয়ে গেছে।” বক্তারা আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হয়েও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসিনি, অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন এবং দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন।”

এদিন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পটুয়াখালী শহর এবং সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। কিছু নেতাকর্মী হাতে ধানের ছড়া, জিয়াউর রহমানের ছবি ও প্লাকার্ড নিয়ে আসেন। পাশাপাশি, খালেদা জিয়ার প্রতিরূপ সাজিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শহর জুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।

সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং কৃষক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ভবিষ্যতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে পটুয়াখালীকে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



লতাচাপলী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতিকে বহিষ্কার

দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের লতাচাপলী ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মহিপুর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুম ফরাজীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহিপুর থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টু বলেন, “দলের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা সব সময় কঠোর। কেউ যদি দলের সুনাম নষ্ট করার মতো কাজ করে, তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তারই প্রমাণ।”

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে আরও শৃঙ্খলা আনার জন্য সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



কলাপাড়ায় বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর বিএনপির ২নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে দলকে গতিশীল করার লক্ষ্যে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে কলাপাড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক সাংগঠনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা মো. শফিকুল হক পনির। প্রধান অতিথি ছিলেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মো. ফারুক, আর প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুসা তাওহীদ নাননু মুন্সী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা তারেক আনাম সুমন, কামরুজ্জামান কাজল তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাদল মৃধা, সদস্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ রতন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক রাশেদ মোশাররফ কল্লোল, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান লিটু, মো. আল আমিন হাওলাদার, বিএনপি নেতা আরিফ সিকদার, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন মোল্লা মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. শোয়েবুর রহমান শোয়েব এবং যুবদল নেতা জেমস জানিব।

কর্মী সমাবেশে বক্তারা বিএনপিকে আরও সুসংগঠিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বক্তারা প্রতিশ্রুতি দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে, যার মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সুলভ মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান বিশ্বাস, সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং পৌর বিএনপি নেতা গাজী মো. কাউসার।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




একাত্তরের অপরাধ প্রমাণ হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন, যদি একাত্তরের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় তবে তারা জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “একাত্তরে যদি কোনো ভুল করে থাকি এবং তা যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, আমি জাতির কাছে ক্ষমা চাইব। ওয়ার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের নামে যে বিচার হয়েছে, তার অবজারভেশনে এখানকার বিচারপতিরা সে রায়কে ‘জেনোসাইড অব জাস্টিস’ বলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিন। এই অভ্যুত্থানে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রত্যেকেই যেভাবে পারেন, আমাদের সাথে যুদ্ধ করেছেন।”

এছাড়া, ডা. শফিকুর রহমান জামায়াতের ওপর আক্রমণের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বলেন, “১৫ বছর জামায়াতকে কার্যালয় খুলতে দেয়া হয়নি, কথা বলতে দেয়া হয়নি, সভা-সমাবেশ করতে দেয়নি, এমনকি শোভাযাত্রা পর্যন্ত করতে দেয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছেও যেতে পারিনি।”

প্রবাসীদের প্রতি তার আহ্বান, “আমি প্রবাসীদের শুধু মনিটারি রেমিটেন্স নয়, বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিটেন্স পাঠানোর জন্যও আবেদন জানাচ্ছি। এই রেমিটেন্স বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাট সাহায্য করবে এবং প্রবাসীরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে অপরিসীম অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।”

বিগত সরকারের দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি বলেন, “যে পরিমাণ উন্নয়ন সম্ভব ছিল, তা হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর খরচ অন্য দেশের তুলনায় তিনগুণ বেশি ছিল। প্রকল্পগুলো সময়মতো শেষ হয়নি, বরং সময় বাড়ানো হয়েছে এবং প্রকল্পের খরচও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশের সম্পদ লুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “সুস্থ থাকলে ইনশাল্লাহ ম্যাডাম (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান বুধবার রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ফিরোজায় গিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।

বৃহস্পতিবার সেনানিবাসের এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। দিনব‌্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিবছর দিনটি ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।




বাউফল সরকারি কলেজে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

পটুয়াখালীর বাউফল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে অর্ধশত বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) কলেজ চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

কলেজ চত্বরে পতিত জমিতে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ফলজ ও বনজ মিলিয়ে ৫০টি গাছের চারা রোপণ করেন। কর্মসূচিতে ছাত্রদলের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃক্ষরোপণ শেষে কলেজ ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী নেতা ইসতিয়াক রসুল সোয়েব বলেন, “দেশনেতা তারেক রহমানের নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রদল। এই ধারাবাহিকতায় সবুজ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার জন্য আমাদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের ২৬ নেতাকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আগামী ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ২৬ জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির একটি সূত্রে জানানো হয়, ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম তারেক রহমানকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমন্ত্রণ জানানো হলো। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন। তবে তিনি কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির প্রতিনিধিরা সেখানে যেতেন। সর্বশেষ ২-৩ বছর ধরে বিএনপি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম