চ্যাটজিপিটিতে চালু হলো নতুন এআই সার্চ ইঞ্জিন সুবিধা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: চ্যাটজিপিটিতে নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সার্চ ইঞ্জিন সুবিধা চালু করেছে ওপেনএআই। অর্থের বিনিময়ে (পেইড) ব্যবহারকারীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হয়েছে, এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিনামূল্যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এন্টারপ্রাইজ ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন এই সুবিধা চালু হওয়ার ফলে চ্যাটজিপিটির গ্রাহক এবং সার্চজিপিটি ব্যবহারকারীরা ওয়েব থেকে সরাসরি হালনাগাদ তথ্য পেতে পারবেন।

বর্তমানে, চ্যাটজিপিটির ওয়েবসাইট (chatgpt.com), আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাকওএস এবং উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে চ্যাটজিপিটি প্লাস এবং টিম ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা ব্যবহার করতে পারছেন। চ্যাটজিপিটি পূর্বে এআই সার্চ ইঞ্জিন আনার ঘোষণা করেছিল, তখন ধারণা করা হয়েছিল যে, সার্চ জিপিএ নামে আলাদা কোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করবে ওপেনএআই। কিন্তু অন্য কোনো অ্যাপ না এনে চ্যাটজিপিটিতেই নতুন সার্চ ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়েছে।

এখন ব্যবহারকারীরা প্রশ্নের ওপর ভিত্তি করে চ্যাটজিপিটি নিজেই ওয়েব থেকে তথ্য খুঁজে বের করবে, অথবা ব্যবহারকারী ওয়েব সার্চ আইকনে ক্লিক করে সার্চ করতে পারবেন। এই নতুন সুবিধার ফলে চ্যাটের মধ্যেই প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া, ব্যবহারকারী চাইলে ম্যানুয়াল সার্চ সুবিধাও ব্যবহার করতে পারবেন।

এই সার্চ প্রযুক্তিটি বিভিন্ন সার্চ মডেলের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং ওপেনএআই জানিয়েছে, এটি জিপিটি-৪–এর একটি বিশেষ উন্নত সংস্করণ। জুলাই মাসে প্রথমে প্রায় ১০ হাজার ব্যবহারকারীকে এই সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। নতুন এই সুবিধা ইন্টারনেটে কাঙ্ক্ষিত এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য আরও সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

চ্যাটজিপিটি পুরো কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দেবে, এবং প্রতি চ্যাটের সঙ্গে সংবাদ প্রতিবেদন ও ব্লগ পোস্টের লিংকও থাকবে। ব্যবহারকারী শুধুমাত্র সোর্স বাটনে ক্লিক করলেই তথ্যের প্রাসঙ্গিক উৎস দেখতে পারবেন।




ফ‍্যানের গতি কমালে কি বিদ্যুৎ বিল কম আসে?

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: অনেকে বিশ্বাস করেন, সিলিং ফ্যানের গতি কমালে বিদ্যুতের বিল কমে যায়। ফ্যানের রেগুলেটরের নম্বর কমিয়ে ৪ কিংবা ৩ তে আনার ধারণা অনেকের মধ্যে প্রচলিত আছে, তবে আসল সত্য কী? ফ‍্যানের গতি কমালে কি সত্যিই বিদ্যুতের খরচ কমে?

বছরের বেশিরভাগ সময়ই আমাদের বাড়িতে ফ‍্যান চলে, বিশেষ করে গরমের সময়। রেগুলেটরের মাধ্যমে ফ‍্যানের গতি বাড়ানো বা কমানো যায়। ফ‍্যানটি একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে কাজ করে, এবং এর শক্তি খরচ সরাসরি ফ‍্যানের গতির সাথে সম্পর্কিত।

ফ‍্যানের গতি কমানোর কাজ করে রেগুলেটর, যা সাধারণত ০, ১, ২, ৩ থেকে ৫ পর্যন্ত কাঁটার ব্যবস্থা থাকে। স্পষ্টতই, ১, ২, ৩ নম্বরে যত বেশি কাঁটা বাড়ানো হবে, ফ‍্যানের গতি তত বাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই রেগুলেটরের মাধ্যমে ফ‍্যানের স্পিড কমালেই কি বিদ্যুতের বিল কমে?

এ প্রশ্নের সরল উত্তর হলো ‘না’। ফ‍্যানের গতি কমানোর সাথে বিদ্যুতের খরচের কোন সম্পর্ক নেই। ফ‍্যানের রেগুলেটর মূলত ভোল্টেজ কমানোর মাধ্যমে স্পিড নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে বিদ্যুতের খরচ একই রকম থাকে। তাই, আপনি যদি ফ‍্যানটি ৭ নম্বরে চালান বা ২-৩ নম্বরে চালান, বিদ্যুতের খরচ একই হবে।

তবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের রেগুলেটর বিদ্যুতের খরচ কমাতে সক্ষম। যদিও সাধারণ রেগুলেটরের তুলনায় দাম একটু বেশি, কিন্তু খোলা বাজারের অধিকাংশ ইলেকট্রনিক্সের দোকানে আপনি সহজেই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর পেতে পারেন। তাই যদি আপনার বিদ্যুতের বিল কমাতে চান, তবে সিলিং ফ‍্যানগুলিতে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর লাগানোর বিষয়ে ভাবনা রাখতে পারেন।




২০২৫ সালে আসছে অ্যান্ড্রয়েড ১৬, জানালো গুগল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: স্মার্টফোনে ব্যবহৃত বিশ্ববিখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সন নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সবসময়ই আগ্রহ থাকে। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভার্সন ব্যবহৃত হলেও, এর পরবর্তী বড় আপডেট ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড ১৬ আনতে চলেছে গুগল। গুগলের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ বাজারে আসতে পারে। নতুন ডিভাইসের লঞ্চ সময়সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে প্রাথমিক অবস্থাতেই বেশ কিছু নতুন ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির তথ্য মতে, অ্যান্ড্রয়েডের এই মেজর আপডেটটি বাজারে আসার সময়ে গুগল কিছু নতুন ফিচারও যুক্ত করতে পারে। যেকোনো বড় আপডেটের মতোই এবারও সিকিউরিটি এবং বাগ সংশোধনের ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, অ্যান্ড্রয়েড ১৬ ভার্সনটি সুরক্ষা ও বাগ মুক্ত করার ক্ষেত্রে আগের সব ভার্সনের তুলনায় আরও উন্নত হবে।

গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন ভার্সন আসার পর কিছু অ্যাপের আপডেটের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, ডেভেলপারদের এপিআই পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে, যা নতুন ভার্সনের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে সহায়তা করবে। তবে গুগল এখনো প্রকাশ করেনি ঠিক কী কী অতিরিক্ত ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ১৬-এ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রতিটি নতুন অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন সাধারণত বছরের মাঝামাঝি মুক্তি পায় এবং এবারও একই সময়ে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর পরবর্তী বছর ডিসেম্বরে অ্যান্ড্রয়েডে একটি মাইনর আপডেট আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা কিছু ক্ষুদ্র সংশোধন এবং উন্নয়ন আনবে।




স্মার্টফোনে ধীর ইন্টারনেট? গতি বাড়ানোর সহজ কৌশলগুলো জানুন

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: স্মার্টফোনে ধীর ইন্টারনেট অনেকেরই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা ভিডিও স্ট্রিমিং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং, এবং চলার পথে কাজের ক্ষেত্রে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু সহজ কৌশল মেনে চললে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো সম্ভব। দেখে নিন কয়েকটি কার্যকরী উপায়।

সফটওয়্যার আপডেট: পুরনো সফটওয়্যার অনেক সময় নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্সে সমস্যা করে। সর্বোচ্চ ইন্টারনেট গতি পেতে নিয়মিত সফটওয়্যার ও অ্যাপ আপডেট নিশ্চিত করুন।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করুন: ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অ্যাপগুলো অতিরিক্ত ডেটা ব্যবহার করে ইন্টারনেটকে ধীর করে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো বন্ধ করুন।

ভিপিএন ব্যবহার: কিছু ভিপিএন সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো সম্ভব। এটি ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করে দ্রুত ও স্থিতিশীল সংযোগ দিতে পারে।

অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করুন: পপ-আপ বিজ্ঞাপনগুলো ডেটা খরচ বাড়ায়। একটি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি বাড়তে পারে।

ক্যাশে ও কুকিজ পরিষ্কার করুন: অ্যাপে জমে থাকা ক্যাশে ও কুকিজ মুছে ফেললে ইন্টারনেটের গতি উন্নত হয়।

নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করুন: কোনো টিপস কাজ না করলে নেটওয়ার্ক সেটিংস রিসেট করতে পারেন।

ম্যাক্সিমাম লোডিং ডেটা অপশন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে Wireless এবং Network সেটিংসে GPRS to Data Prefer চালু করুন, যা ইন্টারনেট গতি বাড়াতে সহায়ক।




চীনে তৈরি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক চুম্বক

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: চীনের বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধী চুম্বক (রেজিস্টিভ ম্যাগনেট) তৈরি করেছেন, যার চৌম্বকক্ষেত্রের ক্ষমতা ৪২.০২ টেসলা। এটি পৃথিবীর স্বাভাবিক চুম্বকক্ষেত্রের তুলনায় আট লাখ গুণ শক্তিশালী। এই চুম্বক তৈরি করেছে চাইনিজ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর হ্যফেই ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল সায়েন্সের হাই ম্যাগনেটিক ফিল্ড ল্যাবরেটরি, যা ভবিষ্যতের গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণার জন্য শক্তিশালী চুম্বক ব্যবহার করেন, যা বিভিন্ন আবিষ্কারে সহায়ক। এই ধরনের চুম্বক ১০টিরও বেশি নোবেল পুরস্কারের জন্য অবদান রেখেছে। তিন ধরনের চুম্বকের মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিরোধী চুম্বক, যা বিভিন্ন গবেষণায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর আগে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিরোধী চুম্বক তৈরি করেছিল, যা এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

২০২২ সালে চীনের এই ল্যাবরেটরিতে ৪৫.২২ টেসলা ক্ষমতার একটি হাইব্রিড চুম্বকও তৈরি হয়েছিল, যা তখন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল।




সোশ্যাল মিডিয়া: ভালো না খারাপ? সম্পর্কে প্রভাব ফেলে যেভাবে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আধুনিক বিশ্বে, অধিকাংশ মানুষ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ অন্যান্য বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমাদের জীবন এবং সম্পর্কের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তবে, এর প্রভাব কখনো ইতিবাচক এবং কখনো নেতিবাচক হতে পারে।

ইতিবাচক প্রভাব:

১. সংযোগের মাধ্যম:
সোশ্যাল মিডিয়া হারানো বা পুরনো বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের পুনরায় খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি অসাধারণ প্ল্যাটফর্ম। এটি পরিচিতদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগের সুযোগ দেয় এবং সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করে।

২. বিভিন্ন মুহূর্ত ভাগ করা:
উৎসব বা বিশেষ উপলক্ষ্যে তৈরি হওয়া সুন্দর মুহূর্তগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করা যায়। এটি সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে।

৩. দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্ক:
সঙ্গীর সঙ্গে যুক্ত থাকার সহজ ও কার্যকরী উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এটি দূরের সঙ্গীদের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল সংযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

নেতিবাচক প্রভাব:

১. গোপনীয়তায় আক্রমণ:
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। যখন কেউ তার অবস্থান বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে, তখন তা অপব্যবহার হতে পারে।

২. ভুল বোঝাবুঝি:
লিখিত বার্তার মাধ্যমে ভাব প্রকাশের সময় ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হতে পারে। সরাসরি কথা বললে বোঝা যায়, কিন্তু লিখিত মেসেজে তা স্পষ্ট হয় না।

৩. হিংসা ও নিরাপত্তাহীনতা:
অনেক ক্ষেত্রেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে হিংসাত্মক করে তুলতে পারে। অন্যের প্রোফাইল দেখে নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হলে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বাড়তে পারে।

সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার সময় সচেতন থাকা জরুরি, যাতে আমরা এর ইতিবাচক দিকগুলোকে গ্রহণ করতে পারি এবং নেতিবাচক প্রভাব থেকে দূরে থাকতে পারি।




মাইন্ডি: মন খারাপের কথা শোনার একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ‘মাইন্ডি’ নামটি অনেকের কাছে অপরিচিত হতে পারে, তবে এটি হাজারো তরুণের জন্য আশার আলো হতে পারে। এই প্ল্যাটফর্মটি শুধু তরুণদের জন্য নয়; যে কোনো বয়সের কেউ নাম পরিচয় গোপন রেখে এখানে সেবা নিতে পারেন।

২০২১ সালে যাত্রা শুরু করা এই প্ল্যাটফর্মটি এখন পর্যন্ত প্রায় ২,০০০-এরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবহারকারী ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সী। মাইন্ডি ইমোশোনাল সাপোর্টের মাধ্যমে কাজ করে, তবে মূলত তারা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রাথমিক চিকিৎসার ওপর গুরুত্ব দেয়।

প্ল্যাটফর্মটির প্রতিষ্ঠাতা রেহানুজ জামান, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী, ঢাকা পোস্টকে জানান, বাংলাদেশে মানসিক সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা এখনো একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায়ই মাইন্ডির যাত্রা শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে সাইকোলজিস্টের সংখ্যা খুবই সীমিত, এবং এটি দ্রুত বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই তাদের মনে হয়েছে, মনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কাজ করার প্রয়োজন।

মাইন্ডিতে বর্তমানে ৩০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক কর্মরত রয়েছেন। তারা দুই ভাগে বিভক্ত: এক দল প্ল্যাটফর্মটির উন্নয়ন এবং অপর দলটির সদস্যরা ‘লিসেনারস’ নামে পরিচিত, যাদের মূল কাজ হলো ব্যবহারকারীদের কথা শোনা। ব্যবহারকারীরা গোপন পরিচয়ে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হতে, বন্ধু বানাতে এবং কমিউনিটি গড়ে তুলতে পারেন। এখানে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন রিসোর্সও রয়েছে।

এক লিসেনার ইসরাত জানান, মাইন্ডিতে শ্রোতা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে মানুষের আবেগ বুঝতে এবং তাদের মানসিক কষ্টে সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করেছে। তার মতে, মানুষ যখন একজন মনোযোগী শ্রোতা পায়, তখন তারা তাদের মনের কথা বলতে সাহস পায়।

রেহানুজ জামান আরো বলেন, শুরুতে তারা নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যবহারকারীদের সেবা দিচ্ছিলেন, তবে এ বছর তারা আরো বৃহৎ পরিসরে সেবা দিতে কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে তাদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ডাউনলোড করে অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুবিধা নিতে পারেন।

 




টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং: চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করেছেন টিকটকের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইমিং (৪১)। টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের এই প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে ৪৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যক্তিগত সম্পদ নিয়ে ‘হুরুন চায়না রিচ লিস্ট ২০২৪’-এর প্রথম স্থানে রয়েছেন। এটি ঝাংয়ের জন্য একটি বিশেষ অর্জন, কারণ তিনি এবারই প্রথম এই তালিকার শীর্ষে স্থান পেয়েছেন।

প্রতিবছর হুরুন চায়না রিচ লিস্ট চীনের ধনী ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করে। ঝাং ইমিং এর আগে ১৮তম ধনী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এবছর তিনি বোতলজাত পানি ও সফট ড্রিংক প্রতিষ্ঠান নংফু স্প্রিং-এর মালিক ঝং শানশানকে ছাড়িয়ে যান, যিনি গত বছর তালিকার শীর্ষে ছিলেন। ঝংয়ের সম্পদ ২৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় তিনি এবার দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছেন, তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৪৭.৯ বিলিয়ন ডলার।

চীনে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলেও, ২০২৩ সালে বাইটড্যান্সের রাজস্ব প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে ১১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই রাজস্ব বৃদ্ধির ফলে ঝাংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া, ২০২৪ সালে চীনে অন্তত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ রয়েছে এমন ধনীদের সংখ্যা কমেছে। গত এক বছরে প্রায় ১৪২ জন বিলিয়নিয়ার এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন, যার ফলে বর্তমানে চীনে মোট বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৭৫৩। এটি ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ কম। অর্থনৈতিক মন্দা ও পুঁজিবাজারের দুর্বল অবস্থার কারণে অনেকেই সম্পদ হারিয়েছেন, বিশেষ করে আবাসন ও টেকসই জ্বালানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ঝাং ইমিং ২০১২ সালে বাইটড্যান্স প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি পরে টিকটকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনি বাইটড্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে কোম্পানির ৫০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা এখনও তার হাতে রয়েছে, যা তাকে এখনো কোম্পানির অন্যতম নিয়ন্ত্রক ব্যক্তিতে পরিণত করে রেখেছে।

 

 




জিমেইলের নতুন ফিচার আনলো গুগল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সহজে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় মাধ্যম জিমেইল। এটি ব্যক্তিগত এবং করপোরেট জায়গায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল প্রতিনিয়ত জিমেইল আপডেট করছে।

প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট অ্যন্ড্রয়েড পুলিশের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গুগল নতুন একটি ফিচার নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহারকারীদের ই-মেইলে লেখা বার্তাকে আরও সাজানো-গোছানো করতে সহায়তা করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি যুক্ত করে ই-মেইল লেখার প্রক্রিয়াকে সহজতর করা হয়েছে। নতুন ফিচারটির নাম পোলিশ (polish), যা জেমিনি এআইয়ের মাধ্যমে অগোছাল ও অসম্পূর্ণ লেখাকে পেশাদার ই-মেইলে রূপান্তর করবে।

ওয়েব ব্যবহারকারীরা পোলিশের জন্য Ctrl+H কী বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল ব্যবহারকারীরা ডানদিকে সোয়াইপ করলে একই অপশনটি পেয়ে যাবেন। পোলিশ শর্টকাটটি ব্যবহার করতে চাইলে ক্লিক করার পর গুগল জেমিনি চালু হবে, যেখানে এআইয়ের মাধ্যমে ই-মেইল লেখা হবে। লেখাটি ঠিকঠাক থাকলে, উইন্ডোর নিচের ডানদিকে ওকে বা কনফার্ম বাটনে ক্লিক করলে লেখাটি খসড়া আকারে ড্রাফ্টে সেভ হয়ে যাবে এবং পরে সেটি ইনসার্ট করা যাবে।

তবে পোলিশ ফিচারটি ব্যবহার করতে হলে জেমিনি বিজনেস এবং এন্টারপ্রাইজ অ্যাড-অন থাকতে হবে। এছাড়া, জেমিনি এডুকেশন ও এডুকেশন প্রিমিয়াম অ্যাড-অন এবং গুগল ওয়ান এআই প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীরাও এই ফিচারটি উপভোগ করতে পারবেন।




স্মার্টফোনের কনফিগারেশন ভালো না হলেও দুর্দান্ত ছবি তোলা সম্ভব, জেনে নিন কৌশল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: প্রতিনিয়ত উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। এর ফলে বর্তমানে স্মার্টফোন হাতে হাতে, অনেকেই পছন্দ অনুযায়ী সাধ্যের বাইরে গিয়েও স্মার্টফোন কিনছেন। কনফিগারেশনের জন্য নয়, বরং কেউ ভিডিও গেমসের জন্য, আবার কেউ ভালো ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার দিকে বেশি মনোযোগ দেন। তবে ক্যামেরা বা কনফিগারেশন ভালো হলেই যে ছবি ভালো হবে তা নয়। ছবি তোলা একটি শিল্প, যা শিল্পীর কল্পনা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতার উপরে নির্ভর করে। তাই শখের জন্য বা পেশাগতভাবে ছবি তুলতে কিছু প্রাথমিক কৌশল জানা থাকলে ভালো ছবি তোলা সম্ভব।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে স্মার্টফোনগুলো অবিশ্বাস্যভাবে উন্নত হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি ব্যবহারকারীদের পছন্দ অনুযায়ী ক্যামেরার কনফিগারেশন নিয়ে স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। ভালো ছবি তুলতে হলে কিছু প্রাথমিক কৌশল জানা দরকার। চলুন জেনে নেই সেই কৌশলগুলো:

1. ক্যামেরার লেন্স: ভালো ছবি তোলার জন্য স্মার্টফোনের ক্যামেরার লেন্স পরিষ্কার রাখা জরুরি। তা না হলে ছবি ঘোলা হবে। তাই লেন্সে ধুলাবালি না পড়ার দিকে নজর রাখতে হবে। শুতি কাপড় বা নরম টিস্যু দিয়ে নিয়মিত লেন্স পরিষ্কার করুন।

2. আলোর বিষয়ে নজর দেয়া: ফটোগ্রাফির জন্য আলোর প্রয়োজন। কোন আলোতে ছবি ভালো হবে, তা বুঝতে হবে। বেশি আলোতে ছবি ঝলসে যেতে পারে, তাই ক্যামেরার সেটিংস ঠিক করে আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

3. বিষয়বস্তু: ভালো ছবি তোলার জন্য বিষয়বস্তু ও ফ্রেম গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়বস্তু ঠিক করে ফ্রেম এঙ্গেল ঠিক করা জরুরি। গ্রিড লাইনের সাহায্যে উপযুক্ত ফ্রেম নির্বাচন করুন।

4. ফোকাস এবং এক্সপোজার: বিষয়বস্তু ও ফ্রেম ঠিক থাকলে ফোকাস সঠিক রাখতে হবে। ফোকাস পয়েন্ট ঠিক করতে স্ক্রিনে আলতোভাবে চাপুন এবং এক্সপোজার সামঞ্জস্য করুন।

5. বিভিন্ন মোড সেটিংস: আধুনিক স্মার্টফোনে পোর্ট্রেট, নাইট, এবং প্রো মোডের মতো একাধিক মোড থাকে। বিষয়বস্তু অনুযায়ী মুড ব্যবহার করুন।

6. ইউনিক বিষয় চিন্তা করুন: ইউনিক বিষয় চিন্তা করে ফ্রেম ঠিক করুন। এতে ছবিটি অন্যদের সঙ্গে আলাদা হবে।

7. ছবি সম্পাদন: ছবি তোলার পর বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ছবির রেজুলেশন ঠিক রেখে বাড়তি অংশ কেটে ফেলুন। কালার গ্রেডিং ব্যবহার করে ছবিটি আরও সুন্দর করে তুলুন, তবে এডিটিংয়ে অতিরিক্ত কালার গ্রেড ব্যবহার করবেন না।

 

এই কৌশলগুলো মেনে চললে, আপনার স্মার্টফোন দিয়ে দুর্দান্ত ছবি তোলা সম্ভব হবে।