টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: টিকটক, বর্তমানের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ফিচার নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক, যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য কনটেন্ট তৈরি এবং ভুল তথ্য মোকাবেলা করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ উপভোগ করতে পারবে।

টিকটকের বিশেষ কিছু ইন-অ্যাপ ফিচার যা ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখে:

1. মানসিক স্বাস্থ্যে সহায়তা: আত্মহত্যা বা মানসিক সমস্যা নিয়ে সার্চ করলে ব্যবহারকারীরা ‘ইউ আর নট অ্যালোন’ মেসেজটি পান এবং স্থানীয় হেল্পলাইন নাম্বারও দেখা যায়।

2. বয়সের সীমা এবং রেসট্রিকশেন: ব্যবহারকারীদের জন্য বয়সের সীমা ১৩ বছর। ১৮ বছরের নিচে ব্যবহারকারীদের জন্য কনটেন্ট রেসট্রিকশন রয়েছে।

3. সীমিত স্ক্রিন টাইম: ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় থেকে বিরত রাখতে স্ক্রিন টাইম আপডেট ও নোটিফিকেশন প্রদান করে।

4. স্ক্রিন টাইম ড্যাশবোর্ড: ব্যবহারকারীরা কীভাবে সময় ব্যয় করছেন তা বিশ্লেষণ করতে পারেন, যা মানসিক সুস্থতার জন্য সহায়ক।

5. স্ক্রিন টাইম ব্রেক: দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে বিরতি নেয়ার জন্য রিমাইন্ডার প্রদান করে।

6. কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য স্ক্রিন টাইম: ১৩-১৭ বছর বয়সীরা একদিনে ১০০ মিনিটের বেশি সময় ব্যয় করলে মেসেজ পান।

7. ফ্যামিলি পেয়ারিং: অভিভাবকরা সন্তানদের অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং স্ক্রিন টাইম ও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

8. টিকটকের সেফটি সেন্টার ওয়েল-বিইং গাইড: ডিজিটাল অভ্যাস উন্নয়নে ও মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরামর্শ দেয়।

9. স্লিপ রিমাইন্ডার: ব্যবহারকারীরা ঘুমের সময় নির্ধারণ করে নোটিফিকেশন বন্ধ করতে পারেন।

10. কমেন্ট ফিল্টারিং: ব্যবহারকারীরা নিজেদের কমেন্ট সেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যেমন কেবল ফলোয়ারদের কমেন্ট করার অনুমতি দেওয়া।

এই ফিচারগুলো তরুণদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 




বাংলাদেশে চলতি বছরে ইমো বন্ধ করেছে ৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ইমো কমিউনিটি গাইডলাইন না মানায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। ইমো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে বাংলাদেশে মোট ৬ লাখ ২৮ হাজার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস উপলক্ষে অক্টোবরে তারা এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইমো আরও জানিয়েছে, কমিউনিটিতে ক্ষতিকর কনটেন্ট চিহ্নিত করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ ধরনের ক্ষতিকর পোস্টের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীদের রিপোর্টের মাধ্যমে ৯০ হাজারের বেশি ঘটনা চিহ্নিত করা হয়।

ইমো বলছে, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পরিবেশ গড়ে তুলতে তাদের নিজস্ব কমিউনিটি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে, যা সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।




গুগল মেসেজেসে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৫টি নিরাপত্তা সুবিধা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সুরক্ষায় গুগল তার মেসেজেস অ্যাপে যুক্ত করতে যাচ্ছে নতুন পাঁচটি নিরাপত্তা সুবিধা, যা ব্যবহারকারীদের অনাকাঙ্ক্ষিত বা স্প্যাম বার্তা থেকে রক্ষা করবে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, শিগগিরই এসব সুবিধা সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে। আসুন, জেনে নিই নতুন এই পাঁচ নিরাপত্তা সুবিধা সম্পর্কে।

১. অজানা লিংকে সতর্কবার্তা: অপরিচিত ব্যক্তির বার্তায় কোনো লিংক থাকলে গুগল মেসেজেস ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে এবং সন্দেহজনক হলে বার্তাটি ব্লকও করে দেবে। এই সুবিধাটি বর্তমানে ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ও সিঙ্গাপুরে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।

২. সংবেদনশীল ছবি বা ভিডিও ঝাপসা করে প্রদর্শন: মেসেজেস অ্যাপ এখন থেকে সংবেদনশীল ছবি বা ভিডিও ঝাপসা করে দেখাবে এবং এসব মিডিয়া পাঠানোর আগে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে।

৩. স্ক্যাম শনাক্তকরণ: স্ক্যাম বার্তা শনাক্ত করার জন্য গুগল মেসেজেসে রয়েছে অন-ডিভাইস স্ক্যাম শনাক্তকরণ প্রযুক্তি। নতুন আপডেটে, ব্যবহারকারীরা স্ক্যাম বার্তার বিষয়ে আলাদা করে সতর্কবার্তা পাবেন।

৪. পরিচয় যাচাই: অপরিচিত বা ভুয়া প্রেরকের বার্তায় প্রতারণার ঝুঁকি কমাতে মেসেজেস অ্যাপে পরিচয় যাচাইয়ের সুবিধা যুক্ত হচ্ছে, যা ব্যবহারকারীকে প্রেরকের পরিচয় নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

৫. আন্তর্জাতিক স্ক্যাম মেসেজ ব্লক: ব্যবহারকারীরা তাদের পরিচিত নয় এমন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে আসা বার্তাগুলো ব্লক করতে পারবেন, যা ‘স্প্যাম অ্যান্ড ব্লক’ ফোল্ডারে জমা থাকবে।




মহাকর্ষীয় তরঙ্গের সন্ধানে মহাকাশে টেলিস্কোপ পাঠাচ্ছে নাসা

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মহাবিশ্বের অজানা রহস্যের একটি হলো ‘গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ’ বা মহাকর্ষীয় তরঙ্গ। এই তরঙ্গের বিস্তারিত অনুসন্ধান করতে শক্তিশালী ছয়টি টেলিস্কোপ তৈরি করেছে নাসা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি এ টেলিস্কোপগুলোর প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেছে। ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ESA) নেতৃত্বে লেজার ইন্টারফেরোমিটার স্পেস অ্যানটেনা বা লিসা প্রকল্পের আওতায় এই টেলিস্কোপগুলো মহাকাশে প্রেরণ করা হবে।

আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯১৬ সালে প্রথম তাত্ত্বিকভাবে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ধারণা দেন। এই তরঙ্গগুলোর অনুসন্ধানে এবং ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট প্রভাব বিশ্লেষণে কাজ করবে নতুন এই টেলিস্কোপগুলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩৫ সালে মহাকাশে তিনটি মহাকাশযানের মাধ্যমে টেলিস্কোপগুলো প্রেরণ করা হবে।

বর্তমানে পৃথিবীতে বিভিন্ন মানমন্দির থেকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করা সম্ভব হলেও মহাকাশে টেলিস্কোপ স্থাপনের মাধ্যমে আরও গভীর ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। তিনটি মহাকাশযান মহাকাশে ১৫ মাইল দূরত্বে ত্রিভুজাকৃতিতে অবস্থান করবে, যা শুধু ব্ল্যাক হোল নয়, মহাবিশ্বের সূচনার ব্যাখ্যাও দেবে।

নাসার মতে, “লিসা প্রকল্প মহাবিশ্বের শুরু, বিবর্তন ও গঠন সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও বিস্তৃত করবে।” গবেষক রায়ান ডিরোসা জানিয়েছেন, প্রতিটি মহাকাশযানে এক জোড়া টেলিস্কোপ থাকবে, যা তৈরি করছে এল ৩ হ্যারিস টেকনোলজিস। টেলিস্কোপগুলো ইউরোপীয় স্পেস সেন্টারের ফ্রেঞ্চ গায়েনা উৎক্ষেপণ সেন্টার থেকে মহাকাশে প্রেরণ করা হবে।




সার্ভারের ত্রুটি শনাক্তে ১২ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা অ্যাপলের

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: অ্যাপল তাদের প্রযুক্তি ও পণ্যের নিরাপত্তা উন্নয়নে ‘অ্যাপল সিকিউরিটি বাউন্টি’ কর্মসূচি চালু করেছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের প্রযুক্তি ও অ্যাপে থাকা নিরাপত্তা ত্রুটি খুঁজে পেলে বিশাল পুরস্কার পাবেন। নতুন করে ঘোষণা করা হয়েছে যে, অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত সার্ভারের নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করতে ১০ লাখ মার্কিন ডলার বা ১২ কোটি টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে।

দ্য ভার্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স মূলত আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাক ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন কাজগুলোকে মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করে। এআই প্রযুক্তিটি আগামী সপ্তাহে আইফোনসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য উন্মুক্ত হবে, তাই এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের অনেক কার্যক্রম ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে সম্পন্ন হলেও কিছু কাজ অ্যাপলের প্রাইভেট ক্লাউড কম্পিউট (পিসিসি) সার্ভারের সহায়তায় হয়। এই কারণে পিসিসি সার্ভারকে সাইবার আক্রমণের থেকে রক্ষা করা জরুরি।

অ্যাপল তাদের এই উদ্যোগের আওতায় পিসিসি সার্ভারের নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে, যাতে পিসিসি সার্ভারের কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া আগ্রহীরা নিজেদের ভার্চুয়াল রিসার্চ এনভায়রনমেন্ট (ভিআরই) সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের পিসিসি সার্ভারের কনফিগারেশন, সিস্টেম ডিজাইন ত্রুটি বা অননুমোদিত প্রবেশাধিকার শনাক্ত করতে হবে। শনাক্ত ত্রুটির গুরুত্ব অনুযায়ী পুরস্কারের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।




মেটার উদ্যোগ: চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্য ও সংবাদ জানাবে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মেটা সম্প্রতি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের সার্চ বারে নিজেদের তৈরি মেটা এআই চ্যাটবট যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ‘এললামা থ্রি’ ভিত্তিক চ্যাটবটটি ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত তথ্য খুঁজে পাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।

যদিও চ্যাটবটটি এখনও সব দেশে উন্মুক্ত করা হয়নি, মেটা ইতিমধ্যে রয়টার্সের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। রয়টার্সের বিভিন্ন সংবাদ ও কনটেন্ট (আধেয়) এই চ্যাটবটের মাধ্যমে প্রদর্শিত হবে।

মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা সব সময় আমাদের পণ্য ও সেবার মানোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করি। এই চুক্তির মাধ্যমে মেটা এআই সংবাদসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় রয়টার্সের তথ্য ব্যবহার করবে।” প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা এই সুবিধা পাবেন।

মেটার মুখপাত্র জেমি র‍্যাডিস জানিয়েছেন, অনেক ব্যবহারকারী সৃজনশীল কাজ বা নতুন বিষয়ের অনুসন্ধানের জন্য মেটা এআই ব্যবহার করেন। এই অংশীদারত্ব চলমান ঘটনাবলি সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দেবে।

রয়টার্সের একজন মুখপাত্র জানান, “প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আমাদের সংবাদ কনটেন্ট তাদের এআই প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছি। তবে এই চুক্তির আওতায় যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো অপ্রকাশিত থাকবে।”




গেম খেলার প্রলোভনে তথ্য চুরি করছে

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: গেম খেলার প্রলোভন দেখিয়ে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকার দল ‘লাজারাস’। তারা একটি ভুয়া গেমের ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, যেখানে গেম ডাউনলোডের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে।

যদি ব্যবহারকারীরা এই ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে গোপনে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহার ইতিহাস এবং সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে নেয় হ্যাকাররা। পরে এই তথ্যগুলো নানা অপরাধে ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।

ক্যাসপারস্কির রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রোম ব্রাউজারের পুরোনো সংস্করণে একটি নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে। এই ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীরা যদি হ্যাকারদের তৈরি ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন, তাহলে তাদের যন্ত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষতিকর কোড প্রবেশ করে এবং তথ্য চুরি করতে থাকে। গুগল গত মে মাসে ক্রোম ব্রাউজারের নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে, তবে অনেক ব্যবহারকারী তা আপডেট করেননি। ফলে তারা সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছেন। নিরাপদ থাকতে ব্যবহারকারীদের নতুন সংস্করণ ১২৫.০.৬৪২২.৬০/.৬১ ব্যবহার করতে হবে।

হ্যাকাররা গেমারদের আকৃষ্ট করতে ‘ডিট্যাংকজোন’ নামের একটি গেম তৈরি করেছে, যা জনপ্রিয় ‘ডেফিট্যাংক ল্যান্ড’ গেমের আদলে তৈরি। এই কারণে অনেকেই হ্যাকারদের ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছেন, ফলে ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি সহজ হয়ে যাচ্ছে।




এআই উপস্থাপক নিয়োগ: সাংবাদিকদের প্রতি নতুন চ্যালেঞ্জ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উপস্থাপক নিয়োগের মাধ্যমে পোল্যান্ডের একটি রেডিও স্টেশন নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ক্রাকোভের ওএফএফ রেডিও ক্রাকোভ এআইয়ের মাধ্যমে তাদের সম্প্রচার পরিচালনা করার উদ্যোগ নিয়েছে, যা দেশটির মিডিয়া ক্ষেত্রে একটি প্রথম।

এই রেডিও স্টেশনটি সাংবাদিকদের পরিবর্তে এআই-নির্মিত ভার্চুয়াল চরিত্র ব্যবহার করে অনুষ্ঠান সঞ্চালনার পরিকল্পনা করছে। তারা আশা করছে যে, তরুণ শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। স্টেশনটির প্রধান মার্সিন পুলিত জানিয়েছেন, “মিডিয়া ও সাংবাদিকতার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্ভাবনা নাকি হুমকি—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবো আমরা।”

এদিকে, সাবেক সাংবাদিক মাতেউশ ডেমস্কি এক খোলা চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, এআইয়ের মাধ্যমে মানব কর্মীদের প্রতিস্থাপন একটি বিপজ্জনক নজির সৃষ্টি করছে। তিনি বলেছেন, “এটি সংবাদমাধ্যম ও সৃজনশীল শিল্পের অভিজ্ঞ কর্মীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।” তার খোলা চিঠিতে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫,০০০-এরও বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে, এবং তরুণদের মধ্যে এ ধরনের পরীক্ষার বিরুদ্ধে বিরোধিতা দেখা যাচ্ছে।

পুলিত জানিয়েছেন, এআইয়ের জন্য কাউকে চাকরি থেকে সরানো হয়নি, বরং শ্রোতাদের সংখ্যা কম থাকায় সাংবাদিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে। অপরদিকে, দেশটির ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিশ্টোফ গাওকভস্কি এআইয়ের ব্যবহার বিষয়ে আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।




মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন জ্যারেড আইজ্যাকম্যান

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: মার্কিন ব্যবসায়ী জ্যারেড আইজ্যাকম্যান সম্প্রতি মহাকাশ অভিযানের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি স্পেসএক্সের ‘পোলারিস ডন’ মিশনে অংশ নিয়ে অপেশাদার মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে হাঁটেন। এই মিশনের আগে, সাধারণত শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত মহাকাশচারীরা সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে মহাকাশে হাঁটার সুযোগ পেতেন। ফলে জ্যারেডের অভিজ্ঞতা ছিল একটু ভিন্ন।

আইজ্যাকম্যান বলেন, “পৃথিবীর দিকে তাকানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই বিশেষ ছিল। তবে পাশের দিকে তাকালে মহাকাশের অন্ধকারের অভিজ্ঞতা হয়। সেখানে বিপদ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত অনুভূতিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ভাবা উচিত নয়। মহাকাশের পরিবেশ অত্যন্ত কঠিন, তাই মহাকাশে হাঁটার অভিজ্ঞতা তেমন শান্তিপূর্ণ ছিল না।” তিনি মহাকাশ অভিযানকে আটলান্টিক মহাসাগর অতিক্রমের যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

পোলারিস ডন মিশনের পাঁচ দিনের অভিযানে, আইজ্যাকম্যানের সাথে আরও তিন মহাকাশচারী ছিলেন। এই মিশনে, তিনি প্রথম অপেশাদার মহাকাশচারী হিসেবে মহাকাশে হাঁটার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর, তিনি মহাকাশ অভিযানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন, যা মহাকাশ গবেষণায় নতুন একটি অধ্যায় উন্মোচন করেছে।




তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২৮ হাজার কোটি টাকার ৫৫ প্রকল্পে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পসহ, আওয়ামী লীগের অধীনে নেওয়া ২৮ হাজার কোটি টাকার ৫৫টি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অন্তবর্তী সরকার গঠিত ১২ সদস্যের একটি কমিটি প্রকল্পগুলোর ওপর নিরীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শক নিয়োগে প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে আলাদা আলাদা ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে, যা সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহারের জন্য উদ্বেগজনক। সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী জানিয়েছেন, চলমান ২২টি প্রকল্পের মূল্যায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, এবং এই প্রকল্পগুলোর কেনাকাটা এবং অর্থছাড় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

মুল্যায়ন কমিটি জানিয়েছে, কেনাকাটার ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থরক্ষা করার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা সরকারি খাতের স্বচ্ছতার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে করে প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

সচিব আরও জানিয়েছেন, অপ্রয়োজনীয় পরামর্শক বাদ দেওয়ার পাশাপাশি অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, দাতা সংস্থার অর্থায়ন বা ঋণে চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।