টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার
চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: টিকটক, বর্তমানের অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ফিচার নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক, যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য কনটেন্ট তৈরি এবং ভুল তথ্য মোকাবেলা করা হয়। এই প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ উপভোগ করতে পারবে।
টিকটকের বিশেষ কিছু ইন-অ্যাপ ফিচার যা ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখে:
1. মানসিক স্বাস্থ্যে সহায়তা: আত্মহত্যা বা মানসিক সমস্যা নিয়ে সার্চ করলে ব্যবহারকারীরা ‘ইউ আর নট অ্যালোন’ মেসেজটি পান এবং স্থানীয় হেল্পলাইন নাম্বারও দেখা যায়।
2. বয়সের সীমা এবং রেসট্রিকশেন: ব্যবহারকারীদের জন্য বয়সের সীমা ১৩ বছর। ১৮ বছরের নিচে ব্যবহারকারীদের জন্য কনটেন্ট রেসট্রিকশন রয়েছে।
3. সীমিত স্ক্রিন টাইম: ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় থেকে বিরত রাখতে স্ক্রিন টাইম আপডেট ও নোটিফিকেশন প্রদান করে।
4. স্ক্রিন টাইম ড্যাশবোর্ড: ব্যবহারকারীরা কীভাবে সময় ব্যয় করছেন তা বিশ্লেষণ করতে পারেন, যা মানসিক সুস্থতার জন্য সহায়ক।
5. স্ক্রিন টাইম ব্রেক: দীর্ঘ সময় ব্যবহার করলে বিরতি নেয়ার জন্য রিমাইন্ডার প্রদান করে।
6. কম বয়সী ব্যবহারকারীদের জন্য স্ক্রিন টাইম: ১৩-১৭ বছর বয়সীরা একদিনে ১০০ মিনিটের বেশি সময় ব্যয় করলে মেসেজ পান।
7. ফ্যামিলি পেয়ারিং: অভিভাবকরা সন্তানদের অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং স্ক্রিন টাইম ও কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
8. টিকটকের সেফটি সেন্টার ওয়েল-বিইং গাইড: ডিজিটাল অভ্যাস উন্নয়নে ও মানসিক স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরামর্শ দেয়।
9. স্লিপ রিমাইন্ডার: ব্যবহারকারীরা ঘুমের সময় নির্ধারণ করে নোটিফিকেশন বন্ধ করতে পারেন।
10. কমেন্ট ফিল্টারিং: ব্যবহারকারীরা নিজেদের কমেন্ট সেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, যেমন কেবল ফলোয়ারদের কমেন্ট করার অনুমতি দেওয়া।
এই ফিচারগুলো তরুণদের নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।