ভিডিও কলে প্রতারণা: বৃদ্ধের ১.৯৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল চক্র

তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ যেমন দৈনন্দিন জীবনকে সহজ করে দিয়েছে, তেমনি এর নেতিবাচক প্রভাবও বেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সাইবার বুলিং, প্রতারণা, হ্যাকিং এবং ক্লোনিংয়ের মতো অপরাধে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুর এক বৃদ্ধ হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা হারিয়েছেন। ৬৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ৩০ নভেম্বর একটি অচেনা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কল পান। কলের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি নিজেকে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয় দেন এবং একটি থানায় বসে থাকার ভুয়া দৃশ্য দেখান।

প্রতারক ওই বৃদ্ধকে জানায়, তিনি নাকি ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের অর্থ জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত। এরপর তাকে এক সপ্তাহ ধরে ডিজিটাল গ্রেপ্তার করে রাখে প্রতারক। এরই মধ্যে বৃদ্ধের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেয় এবং ধাপে ধাপে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা তুলে নেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে বৃদ্ধ দ্রুত বেঙ্গালুরুর এক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এই বৃদ্ধের ঘটনা একা নয়। সম্প্রতি এই ধরনের প্রতারণার ঘটনা বাড়ছে। কয়েকদিন আগেই কেরলের এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে একটি ভুয়া অ্যাপ ডাউনলোড করে ৪ কোটি টাকারও বেশি হারিয়েছেন। বিষয়টি দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে অভিযোগ হওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়।

তদন্তে জানা যায়, এই ধরনের প্রতারণাচক্র বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হলেও প্রতারকদের এপিসেন্টার দিল্লি-এনসিআর এলাকা। সাইবার অপরাধে লিপ্ত এসব চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর মতে, এই ধরনের সাইবার অপরাধে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বর্তমানে ৩ হাজারেরও বেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অচেনা বা সন্দেহজনক কলের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। পাশাপাশি প্রাইভেসি সুরক্ষা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সচেতনতা জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




বাংলাদেশিদের জন্য নাসায় কাজের সুযোগ

এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) প্রযুক্তিতে দক্ষ হলে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় কাজের সুযোগ পেতে পারে বলে জানিয়েছেন নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্লে পেন স্কুলে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাসার এই বিজ্ঞানী জানান, এআই প্রযুক্তি মহাকাশ গবেষণার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করে, তাহলে নাসায় কাজ করার সুযোগ থাকবে। নাসা এমন প্রতিভাবানদের খুঁজে বেড়ায় যারা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশ অনুসন্ধানে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসতে পারে।”

অনুষ্ঠানে তিনি মহাকাশ গবেষণার গুরুত্ব, নাসার বৈশ্বিক ভূমিকা এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকাশ অনুসন্ধানে কীভাবে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীরা তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি তাৎক্ষণিক উত্তর দেন এবং মহাকাশ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

মহাকাশ প্রযুক্তিতে এআই ব্যবহার সম্পর্কে জোসেফ আকাবা বলেন, “এআই আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে এবং সিস্টেমের ত্রুটি চিহ্নিত করে। নাসার পরিকল্পনা হচ্ছে সবকিছুতেই এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ভবিষ্যতে মহাকাশ অনুসন্ধানের কাজে মানুষের ভূমিকা থাকবে শুধু পরিচালকের।”

আকাবা মনে করেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সম্ভাবনা অফুরন্ত। তিনি বলেন, “যারা এআই প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করবে, তারা নাসাসহ শীর্ষ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবে। মহাকাশ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণে তাদের কঠোর পরিশ্রম ও গভীর অধ্যয়ন প্রয়োজন।”

নিজের মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে আকাবা জানান, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তার ছয় মাসের অভিজ্ঞতা ছিল রোমাঞ্চকর। মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় শারীরিক চ্যালেঞ্জ এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, মহাকাশে আগুন, মিটিয়রয়েড আঘাত, কিংবা অ্যামোনিয়া লিকের মতো বিপদ মোকাবিলা নভোচারীদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও মিশন কন্ট্রোল টিমের সহায়তায় তারা নিরাপদ থাকেন।

মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফোনকল করার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে আকাবা বলেন, “নভোচারীরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বিনামূল্যে ফোনকল করতে পারেন। তবে কেউ মহাকাশে ফোন করতে পারে না।”

আকাবা আশাবাদী যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকেও মানুষ মহাকাশে যাবে। তিনি বলেন, “কঠোর পরিশ্রম এবং দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে মহাকাশ অনুসন্ধানে বাংলাদেশের অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্লে পেন স্কুলের চেয়ারম্যান এ মান্নান খান, প্রিন্সিপাল শরাবন তহুরা, এবং ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পলিটিক্যাল অফিসার জেমস গার্ডিনার।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল: দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক

দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের প্রকল্পে ভৌত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৭ শতাংশ। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দেশের ভবিষ্যৎ ব্যান্ডউইডথ চাহিদা মেটাতে, এবং ২০৩০ সালে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এসএমডব্লিউ-৬ কনসোর্টিয়ামের আওতায় এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বিএসসিপিএলসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৩,২০০ জিবিপিএস ক্যাপাসিটির এই ক্যাবল চালু হলে তা দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবে। অপারেশন শুরু হলে ক্যাপাসিটি উন্নীত হবে ২০,০০০ জিবিপিএসে।

২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিএসসিপিএলসি দেশের সাবমেরিন ক্যাবল পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ এবং দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করছে।

বর্তমানে বিএসসিপিএলসির সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭,২২০ জিবিপিএস। প্রতিষ্ঠার সময় মাত্র ৭.৫ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, কনসোর্টিয়ামের আপগ্রেডের মাধ্যমে এই সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। এর ফলে ইন্টারনেটের খরচ কমবে এবং ব্যান্ডউইডথের চাহিদা সহজেই মেটানো সম্ভব হবে।

বিএসসিপিএলসি ইতোমধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালুর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করেছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গুগল পিক্সেলের নতুন এআই রিপ্লাই ফিচার

গুগল তার পিক্সেল স্মার্টফোনে নতুন একটি এআই-ভিত্তিক ফিচার যুক্ত করেছে, যা মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে স্বয়ংক্রিয় ও প্রাসঙ্গিক উত্তর প্রদান করবে। ‘এআই রিপ্লাই’ নামের এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেজিংকে আরও সহজ ও দ্রুততর করতে ডিজাইন করা হয়েছে।

নাইট টু ফাইভ গুগলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এআই রিপ্লাই প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যা ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথা বলতে পারবে। এটি অপর প্রান্তের কথোপকথনের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখে দ্রুত ও সঠিক প্রতিক্রিয়া জানাবে।

ফিচারের কার্যকারিতা ও ভবিষ্যৎ
ফিচারটি কল রিসিভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করবে। এটি মানুষের আবেগ ও প্রাসঙ্গিক তথ্য বুঝে ছোট ছোট বাক্যে উত্তর দেবে, যেমন ‘ক্যান ইউ সে মোর’, ‘কল মি ব্যাক লেটার’। ভবিষ্যতে এটি আরও জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এআই রিপ্লাই ফিচারটি ইতোমধ্যে বিটা পর্যায়ে রয়েছে। এটি গুগলের অ্যাডভান্স ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের ওপর ভিত্তি করে কাজ করবে, যা এটিকে অধিক দক্ষ ও প্রাসঙ্গিক উত্তর দেওয়ার সক্ষম করে তুলবে।

গুগল পিক্সেল স্মার্টফোনের আগের একটি বৈশিষ্ট্য ‘কল স্ক্রিন’ ইতিমধ্যে ব্যবহারকারীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। এটি টেলি মার্কেটিং ও অজানা কলের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তর দিত। নতুন এআই রিপ্লাই ফিচারটি এই কল স্ক্রিন বৈশিষ্ট্যকে আরও উন্নত করে মেসেজিং অভিজ্ঞতা আরও স্বয়ংক্রিয় ও সুবিধাজনক করে তুলবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



স্মার্টফোনের ব্যাটারি চার্জিংয়ের সঠিক পদ্ধতি

স্মার্টফোন এখন জীবনের অপরিহার্য অংশ। যোগাযোগ, শপিং, টিকিট বুকিং, সিনেমা দেখা থেকে শুরু করে সব কিছুই সম্ভব একটি স্মার্টফোনে। ফলে দিনের বড় অংশটাই কেটে যায় স্মার্টফোন নিয়ে। এজন্য ফোনের ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কেন ১০০% চার্জে ক্ষতি হয়?

সাধারণত ফোনের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি। এই ধরনের ব্যাটারি ৩০-৫০% চার্জে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে, যদি সবসময় ১০০% পর্যন্ত চার্জ দেওয়া হয়, তাহলে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পায়।

লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির জীবনকাল সাধারণত ২-৩ বছর। একটি ব্যাটারিতে ৩০০ থেকে ৫০০ চার্জিং সাইকেল থাকে, যা শূন্য থেকে ১০০% চার্জ করার পর গণনা করা হয়। এ কারণে ১০০% চার্জ দেওয়ার পরিবর্তে ব্যাটারি ৮০-৮৫% পর্যন্ত চার্জ করাই সর্বোত্তম।

ব্যাটারি চার্জের সেরা পদ্ধতি

১. ব্যাটারি ২০% বা তার নিচে নামার আগেই চার্জ দেওয়া শুরু করুন।
২. ৮০-৮৫% চার্জ হওয়ার পর চার্জ বন্ধ করুন।
৩. ফোনের চার্জ ০% বা ১০০% অবস্থায় রাখা থেকে বিরত থাকুন।
৪. দীর্ঘ সময় ফোন চার্জারে সংযুক্ত রাখবেন না।

বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি

ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ করলে তার আয়ুষ্কাল দীর্ঘ হয় এবং কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। ব্যাটারির চার্জ মধ্যম পরিসরে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন এনে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারির সঠিক কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফিরিয়ে আনার সহজ উপায়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য মেটা নতুন আপডেট নিয়ে আসছে, যা ভুল করে ডিলিট হয়ে যাওয়া মেসেজ পুনরুদ্ধারকে আরও সহজ করবে। এতে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা হবে উন্নত এবং ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হবে।

অনেক সময় জরুরি চ্যাট বা মেসেজ ভুল করে ডিলিট হয়ে যায়। আবার, ফোন বদলানোর সময় সব চ্যাট ডিলিট হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে হোয়াটসঅ্যাপে আছে ইন-বিল্ট টুল। যেমন গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড ব্যাকআপ, এবং অ্যান্ড্রয়েডের স্টোরেজ অপশন। তাছাড়া, কিছু থার্ড পার্টি সফটওয়্যারও ডিলিট হওয়া চ্যাট ফিরিয়ে আনতে কার্যকর।

কীভাবে ডিলিট হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট পুনরুদ্ধার করবেন

গুগল ড্রাইভ বা আইক্লাউড থেকে:

অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য:
১. হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস-এ যান।
২. চ্যাটস অপশন সিলেক্ট করুন।
৩. চ্যাট ব্যাকআপ-এ গিয়ে গুগল ড্রাইভ চেক করুন।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করুন।
৫. ফোন নম্বর যাচাইয়ের পর রিস্টোর ক্লিক করুন।

আইওএস ইউজারদের জন্য:
১. হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংস-এ যান।
২. চ্যাটস অপশনে ক্লিক করুন।
৩. আইক্লাউড ব্যাকআপ অপশন দেখুন।
৪. পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্টল করে চ্যাট হিস্ট্রি পুনরুদ্ধার করুন।

লোকাল ব্যাকআপ থেকে:

১. ফোনের ফাইল ম্যানেজার-এ যান।
২. হোয়াটসঅ্যাপ ডাটাবেস ফোল্ডারে প্রবেশ করুন।
৩. ডিলিট হওয়া ফাইল শনাক্ত করে নাম পরিবর্তন করুন।
৪. হোয়াটসঅ্যাপ পুনরায় ইনস্টল করে রিস্টোর অপশন সিলেক্ট করুন।

হোয়াটসঅ্যাপের নতুন আপডেট

নতুন আপডেটের মাধ্যমে মেসেজ পুনরুদ্ধার সহজ ও দ্রুততর হবে। ফলে জরুরি চ্যাট হারানোর ভয় কমে যাবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বিশ্বজুড়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন

মেটা প্ল্যাটফর্মের অধীন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ আবারও ডাউন হয়ে পড়েছে। বুধবার রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই সমস্যায় বিশ্বজুড়ে হাজারো ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আউটেজ-ট্র্যাকিং সাইট ডাউনডিটেক্টর ডটকম।

প্রাথমিকভাবে ফেসবুকে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী সমস্যায় পড়েছেন বলে জানা যায়। এক ঘণ্টার মধ্যেই এই সংখ্যা বেড়ে ১ লাখের অধিক হয়ে যায়। ইনস্টাগ্রামে প্রথমে ৭,৫০০ ব্যবহারকারী সমস্যা জানালেও এটি পরে ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপে সমস্যা হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের, আর ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করতে না পারার অভিযোগ করেছেন প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী।

সমস্যার কারণ

ডাউনডিটেক্টর ডটকম জানিয়েছে, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম এবং মেসেঞ্জারের সেবাগুলোতে বড় আকারের আউটেজ লক্ষ্য করা গেছে। এতে মেটার বিভিন্ন মেসেজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া পরিষেবা ব্যবহার করতে সমস্যা হচ্ছে।

ফেসবুকে লগইন করতে গেলে একটি বার্তা দেখাচ্ছে: “আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি ঠিক করার জন্য কাজ করছি।” তবে মেটা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।

অতীতেও সেবা ব্যাহত

চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসেও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসসহ মেটার বেশ কয়েকটি সেবা কয়েক ঘণ্টা অচল ছিল।

“মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”



ক্ষতিকর অ্যাপ শনাক্তের সহজ উপায়

স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনের কাজ সম্পন্ন করতে নানা অ্যাপ ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। তবে অনেক সময় ক্ষতিকর অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে যায়, যা আমাদের তথ্য নিরাপত্তায় হুমকি তৈরি করে। এমন অ্যাপ থেকে বাঁচতে ভারতে টেলিকম দপ্তর সহজ একটি পদ্ধতি প্রকাশ করেছে।

সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করে তারা জানিয়েছে কীভাবে ক্ষতিকর অ্যাপ চিহ্নিত করবেন। প্রথমে আপনার ফোনে গুগল প্লে-স্টোর খুলুন। এরপর উপরের ডান কোণে থাকা প্রোফাইল অপশন-এ ক্লিক করুন। সেখানে প্লে প্রটেক্ট নামে একটি অপশন পাবেন, সেটিতে ক্লিক করুন। এরপর স্ক্যান অপশন বেছে নিন। এটি আপনার ফোন স্ক্যান করে ক্ষতিকর বা ভুয়া অ্যাপ শনাক্ত করবে।

কেন এই সতর্কতা জরুরি?

স্মার্টফোনে ক্ষতিকর অ্যাপ লুকিয়ে থাকলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে। এসব অ্যাপ সাধারণত ফাইল ম্যানেজারের এমন কোনো ফোল্ডারে লুকিয়ে থাকে, যা সহজে চোখে পড়ে না।

ক্ষতিকর অ্যাপ কীভাবে ক্ষতি করে?

এ ধরনের অ্যাপ আপনার ব্যাংকিং অ্যাপের লগইন তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, ওটিপি, ই-মেইলের পাসওয়ার্ডসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে। ফলে আপনার আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়।

সতর্ক থাকার উপায়

প্রতিবার অ্যাপ ইনস্টল করার আগে সেটির রিভিউ এবং রেটিং যাচাই করুন।

অনুমোদিত এবং পরিচিত ডেভেলপারদের অ্যাপ ইনস্টল করুন।

ফোনের অজানা সোর্স থেকে অ্যাপ ইনস্টল বন্ধ রাখতে সেটিংস পরিবর্তন করুন।

“মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”



গুগল ক্রোমে আসছে নতুন তথ্য যাচাই ফিচার

প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য তথ্য প্রয়োজন হয় এবং সেই তথ্য আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করি। তবে অনেকেই জানেন না, এসব তথ্য সত্য কি না। এবার গুগল ক্রোম ব্রাউজারে আসছে এমন একটি নতুন ফিচার যা তথ্য যাচাইয়ের কাজটিকে সহজ করে তুলবে।

এদিকে, গুগল ক্রোমে যুক্ত হতে চলেছে একটি নতুন ফিচার, যার নাম ‘স্টোর রিভিউস’। এই ফিচারটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে ওয়েবসাইটের তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে এবং একটি সারাংশ তৈরি করবে। এরপর, ব্যবহারকারীরা যখন সেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারাংশটি তাদেরকে প্রদর্শন করবে। এর ফলে তারা জানতে পারবেন ওয়েবসাইটের তথ্য কতটা সঠিক বা গ্রহণযোগ্য।

বর্তমানে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি চালু হলে, ক্রোম ব্রাউজারে একটি পপআপ প্যানেল দেখা যাবে যেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্যের সারাংশ থাকবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা সহজেই সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।

এছাড়া, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে সম্প্রতি এসেছে নতুন একটি ফিচার, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও সহজ তথ্য শেয়ারিংয়ের সুযোগ তৈরি করবে।

ক্রোম ব্রাউজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবং বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য গুগলের বিরুদ্ধে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগ করেছে। যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে গুগলকে ছয় মাসের মধ্যে ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করতে হতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



নতুন ব্যান্ডউইডথ প্যাকেজে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সেবা

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) গ্রাহকদের দ্রুতগতির ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে নতুন দুটি বোনাস ব্যান্ডউইডথ প্যাকেজ চালু করেছে। এই উদ্যোগ গ্রাহকদের খরচ কমিয়ে ইন্টারনেট সেবাকে আরও কার্যকর করবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নতুন প্যাকেজ দুটি হলো— ‘আইপিএলসি বোনাস ব্যান্ডউইডথ’ এবং ‘লিমিটেড ডেস্টিনেশন বোনাস ব্যান্ডউইডথ’। শূন্য বকেয়া রাখা গ্রাহকদের জন্য এই প্যাকেজে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

প্যাকেজগুলোর বিবরণ:
প্রথম প্যাকেজ আইপিএলসি বোনাস ব্যান্ডউইডথ। এই প্যাকেজের আওতায় নতুন ১০০জি আইপিএলসি সার্কিট সংযোগ নেওয়া গ্রাহকরা বোনাস হিসেবে তিনটি ১০জি সার্কিট বিনামূল্যে পাবেন। তবে বিল অবশ্যই প্রি-পেইড ভিত্তিতে পরিশোধ করতে হবে এবং কোনো বকেয়া রাখা যাবে না।

দ্বিতীয় প্যাকেজ লিমিটেড ডেস্টিনেশন বোনাস ব্যান্ডউইডথ। এটি আইপি ট্রানজিট সেবার গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য। এই প্যাকেজে শূন্য বকেয়া থাকা গ্রাহকরা ৫০% অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ বোনাস পাবেন। তবে সুবিধাটি শুধুমাত্র কুয়াকাটা ও কক্সবাজার পপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

উল্লেখ্য, ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে এই বোনাস দেওয়া হবে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বিএসসিপিএলসির ওয়েবসাইটে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নতুন এই প্যাকেজ চালু করায় ইন্টারনেট সেবার গুণগত মান বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম