ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিসেটের সহজ উপায়

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, যা ব্যবহারে বয়স্ক থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্মও পিছিয়ে নেই। তবে অনেকেই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে যান, এবং রেজিস্টার্ড মোবাইল বা ইমেইলে অ্যাক্সেস না থাকায় বিপাকে পড়েন। কিন্তু এ সমস্যার সহজ সমাধান রয়েছে।

ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিসেট করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
১. আপনার ব্রাউজারে facebook.com/login/identify টাইপ করে প্রবেশ করুন।
২. সচল একটি ইমেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বর লিখুন। প্রয়োজনে অ্যাকাউন্টের নাম বা ইউজারনেম দিন।
৩. আপনার অ্যাকাউন্ট শনাক্ত হলে ‘No longer have access to this?’-এ ক্লিক করুন।
৪. ফেসবুকের চাওয়া তথ্যগুলো পূরণ করুন এবং নতুন একটি কনট্যাক্ট ইনফরমেশন দিন, যা পূর্বে ওই অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত হয়নি।
৫. সমস্ত সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন।

এভাবে সহজেই আপনার হারানো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে পারেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




হোয়াটসঅ্যাপে টাইপিং ইন্ডিকেটর ও ‘লিস্টস’ ফিচার নিয়ে এলো মেটা

হোয়াটসঅ্যাপ এখন শুধু বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম নয়, এটি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সহজ এবং কার্যকরী অভিজ্ঞতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মেটা সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে নতুন দুটি ফিচার যুক্ত করেছে, যা চ্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।

টাইপিং ইন্ডিকেটর ফিচার

নতুন ফিচার হিসেবে ‘টাইপিং ইন্ডিকেটর’ চালু করা হয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের টাইপ করার সময় তাদের কার্যকলাপ দেখাবে। সংবাদমাধ্যম এমএসএন জানায়, যখন কেউ টাইপ করতে শুরু করবেন, তখন ওয়ান-অন-ওয়ান চ্যাট কিংবা গ্রুপ চ্যাটে বাকিরা দেখতে পাবেন তিনটি বিন্দুর একটি ‘বাবল’। এর পাশেই থাকবে ইউজারের প্রোফাইল ছবি, যা বুঝিয়ে দেবে কে টাইপ করছেন।

আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড দুই প্ল্যাটফর্মেই ফিচারটি কার্যকর করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত উপকারী হবে। ব্যবহারকারীরা সহজেই বুঝতে পারবেন গ্রুপে এই মুহূর্তে কারা সক্রিয় আছেন। এটি ‘রিয়েল টাইম’ ভাবনার আদান-প্রদানকে সহজ এবং কার্যকর করবে।

‘লিস্টস’ ফিচার

হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে যার নাম ‘লিস্টস’। এটি ব্যবহারকারীদের চ্যাট আলাদা ভাবে সাজাতে সহায়তা করবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি চাইলে চ্যাটগুলোকে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করতে পারবেন, যেমন: পরিবার, অফিস, বা প্রতিবেশী।

যারা প্রতিদিন বহু গ্রুপ বা ব্যক্তিগত চ্যাট পরিচালনা করেন, তাদের জন্য এটি বেশ কার্যকর। প্রতিটি বিভাগ আলাদা স্পেস দেওয়ার ফলে চ্যাটিং অভিজ্ঞতা আরও সুসংহত হবে।

নতুন ফিচারের উদ্দেশ্য

মেটার মূল লক্ষ্য হলো ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ফিচার তৈরি করা। এই নতুন ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের চ্যাটিংকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও আধুনিক করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গিজার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সতর্ক থাকুন

শীতকালে বাসাবাড়িতে গিজার ব্যবহার বেড়ে যায়। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করতে গিজার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। তবে সামান্য অবহেলা থেকে এই যন্ত্র হয়ে উঠতে পারে বিপজ্জনক। গিজারের ত্রুটি থেকে ঘটতে পারে বিস্ফোরণ বা আগুন লাগার মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাই এর সঠিক ব্যবহার এবং নিয়মিত পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি।

গিজার বিস্ফোরণের কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, গিজারের অভ্যন্তরে তাপমাত্রা এবং চাপ বেড়ে গেলে এটি ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এমনটি সাধারণত ঘটে যখন গিজারের সুইচ দীর্ঘ সময় চালু থাকে বা এর থার্মোস্ট্যাট কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

গ্যাস লিকও গিজারের আরেকটি বড় সমস্যা। গ্যাস গিজারের ক্ষেত্রে পাইপ ফুটো হয়ে গ্যাস লিক করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। পচা ডিমের গন্ধ পেলেই বুঝতে হবে গ্যাস লিক করছে।

গিজার দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়

1. গিজারের সুইচ বন্ধ রাখুন:
গিজার ব্যবহার শেষে সুইচ বন্ধ রাখুন। এটি তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাবে।

2. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
গিজারের তাপমাত্রা ৫৫-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখুন। এতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা কমে।

3. গরম পাইপ অন্তরক করুন:
গিজারের গরম পাইপগুলো অন্তরক রাখুন, যাতে তাপ কম বের হয় এবং যন্ত্রটি কম বিদ্যুৎ খরচ করে নিরাপদে কাজ করতে পারে।

4. ভালভ নিয়মিত পরীক্ষা করুন:
গিজারের ভালভ নিয়মিত পরীক্ষা করুন। ভালভ সঠিকভাবে কাজ না করলে চাপ বেড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। কোনো সমস্যা দেখলে দ্রুত ভালভ পরিবর্তন করুন।

5. গ্যাস লিক পরীক্ষা করুন:
গ্যাস গিজারের ক্ষেত্রে গ্যাস লিকের কোনো গন্ধ পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করুন। প্রয়োজনে বাথরুম খালি করুন এবং দ্রুত সার্ভিসিং করান।

 

সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন

গিজার ব্যবহারে সাবধানতা এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমায়। ছোট্ট ভুল থেকেও বড় বিপদ হতে পারে, তাই গিজারের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




অনলাইন গেম খেলার সতর্কতা: প্রতারণা এড়াতে যা করবেন

বর্তমানে আট থেকে আশি, প্রায় সকল বয়সের মানুষ অনলাইনে গেম খেলার প্রতি আকৃষ্ট। তবে এই শখ কখনো কখনো বিপদের কারণ হতে পারে। সাইবার অপরাধীরা অনলাইন গেমের মাধ্যমে অনেকের অর্থ এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই অনলাইন গেম খেলার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি।

বিশ্বস্ত এবং নিরাপদ গেম ডাউনলোড

যে গেম খেলতে চান, তা সবসময় ভেরিফায়েড অ্যাপ স্টোর থেকেই ডাউনলোড করুন। আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দেখে অনিরাপদ কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।

লিংকে ক্লিক করা এড়ানো

অপরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া লিংক কিংবা মেসেজে আসা গেমের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন না। এতে ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার আপডেট

আপনার গ্যাজেট নিয়মিত আপডেট রাখুন। নিরাপত্তার জন্য ভেরিফায়েড অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টিম্যালওয়্যার ব্যবহার করুন।

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা

গেম খেলতে গিয়ে কখনোই অনলাইন প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি শেয়ার করবেন না। এছাড়া লিঙ্কের মাধ্যমে কোনো পেমেন্ট অফারে সাড়া দেবেন না।

নিরাপদ নেটওয়ার্ক ব্যবহার

গেম খেলার জন্য সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক এবং ভিপিএন ব্যবহার করুন। একই গ্যাজেট থেকে অফিসের কাজ বা অনলাইন ব্যাঙ্কিং এড়িয়ে চলুন।

ব্যাকআপ এবং সুরক্ষা

গ্যাজেটে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ব্যাকআপ নিন এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। গেমিং অ্যাপ ব্যবহারে ভিন্ন ইমেল আইডি ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ।

অনলাইন গেম খেলা নিরাপদ করতে এই সতর্কতাগুলো মেনে চলুন। এতে আপনার শখও পূরণ হবে এবং সাইবার প্রতারণা থেকেও সুরক্ষিত থাকবেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




অ্যাপল ছাড়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন টিম কুক

মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক প্রতিষ্ঠানটি থেকে অবসর নেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি তার ব্যক্তিগত অনুভূতির ওপর নির্ভর করবে। এখনই এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা তার নেই।

টিম কুক বলেন, “আমি অ্যাপল ভালোবাসি। এখানে কাজ করা আমার জীবনের সৌভাগ্য। যতক্ষণ না আমার ভেতরের কণ্ঠ বলছে যে সময় হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাব। এরপর হয়তো পরবর্তী অধ্যায়ের দিকে নজর দেব।”

টিম কুক ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে তার যাত্রা শুরু ১৯৯৮ সালে। দীর্ঘ ২৬ বছরের এই পথচলায় তিনি অ্যাপলের চিফ অপারেটিং অফিসারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন। সিইও হওয়ার পর অ্যাপলের পণ্য এবং পরিষেবার বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটিয়ে তিনি প্রযুক্তি জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন।

অ্যাপলের স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত কুক বলেন, “অ্যাপল ছাড়া আমার জীবন কেমন হবে তা কল্পনাই করতে পারি না। এখানে কাটানো সময় আমার কাছে অমূল্য।”

অ্যাপলে যোগদানের আগে টিম কুক ১২ বছর আইবিএমে কাজ করেছেন। কিন্তু অ্যাপলের সঙ্গেই তার নাম বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ব্যান হতে পারে আইফোন, বিপাকে অ্যাপল

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফোন লঞ্চ না হওয়ার আগেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাজারে আসতে পারে আইফোন ১৭ সিরিজ। এই সিরিজের স্মার্টফোনগুলোতে থাকবে না সিম ট্রে। পাতলা ডিজাইন রাখার জন্য অ্যাপলের এই সিদ্ধান্ত।

তবে তা মানুষের নজর কাড়লেও আইনি বিপাকে পড়তে পারে অ্যাপল, চীনে ব্যান হতে পারে আইফোন ১৭ সিরিজ। এই মুহূর্তে বিশ্বের মধ্যে ফোনের বাজার চীন। আর সেখানেই যদি বিশ্বের সব থেকে প্রিমিয়াম স্মার্টফোন আইফোন ১৭ সিরিজ নিষিদ্ধ হয়, তাহলে বেশ ধাক্কা খেতে পারে অ্যাপল।

যদিও এটি কোনও ভূ-রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং চীনের নিয়ম অমান্য করার কারণে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে অ্যাপল। চিনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক ফোনে ফিজিক্যাল সিম কার্ড স্লট থাকতে হবে। কিন্তু আইফোন ১৭ সিরিজে ই-সিম প্রযুক্তি আনছে অ্যাপল।




এআই অ্যাপ: মৃত্যুর সময় জানার প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই আজ মানুষের জীবনে বিশাল ভূমিকা পালন করছে। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে চাকরির সিভি লেখা, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ, এমনকি নিউজ প্রেজেন্টিং—এআই সব জায়গায় তার দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে।

সম্প্রতি এআই-এর সাহায্যে এমন একটি অ্যাপ তৈরি হয়েছে, যা মানুষের মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করতে সক্ষম বলে দাবি করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এই অ্যাপটি বাজারে আসার পর থেকেই এটি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।

এআই কীভাবে জানাবে মৃত্যুর সময়?

এই অ্যাপটি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সময় সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়। ব্যবহারকারীর বয়স, উচ্চতা, ওজন, বিএমআই, প্রতিদিনের শারীরিক পরিশ্রম, ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ, জীবনযাপনের ধরন, ধূমপানের অভ্যাসসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করে এআই একটি সম্ভাব্য সময় জানায়।

অ্যাপটির ডেভেলপার ব্রেন্ট ফ্যানসন জানান, এটি ১২০০টি লাইফ এক্সপেক্টেন্সি সমীক্ষার তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। অ্যাপটি বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সাবস্ক্রিপশন বাধ্যতামূলক। এরই মধ্যে এটি ১ লাখ ২৫ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে।

সমালোচনা এবং বাস্তবতা

বিভিন্ন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কারো মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করে বলা অসম্ভব। তবে রোগীর অবস্থা বিশ্লেষণ করে চিকিৎসকরা অনুমান করতে পারেন। এআই এই তথ্য বিশ্লেষণ করেই পূর্বাভাস দেয়।

কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ?

অ্যাপটি ব্যবহারকারীর জীবনযাপনের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন পরামর্শও দিয়ে থাকে। যেমন:

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম

ধূমপান বন্ধ করা

পর্যাপ্ত ঘুম

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা

অ্যাপের ইতিবাচক দিক

এই অ্যাপটি মূলত ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সচেতন করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে মানুষ তাদের জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে দীর্ঘায়ু লাভ করতে পারে।

পর্যালোচনা

যদিও মৃত্যুর সময় নির্ধারণ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে এআই-এর এই প্রয়োগ মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে এটি ভূমিকা রাখতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




টিকটক: ব্যবসা প্রসারের নতুন দিগন্ত

ব্যবসায়ীদের মার্কেটিং দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তাদের সাফল্য নিশ্চিত করতে টিকটক সম্প্রতি একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছে। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এ ইভেন্টে অংশ নেন উদ্যোক্তা, বিপণন বিশেষজ্ঞ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।

ওয়ার্কশপটির মূল লক্ষ্য ছিল ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য টিকটক প্ল্যাটফর্মের সম্ভাবনা তুলে ধরা। অংশগ্রহণকারীরা শিখেছেন কীভাবে টিকটকের বিভিন্ন ফিচার ও টুলস ব্যবহার করে ব্র্যান্ড প্রচার, কনটেন্ট মার্কেটিং এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।

টিকটকের বিশেষজ্ঞরা সৃজনশীল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব, কনটেন্ট তৈরির কৌশল এবং বাস্তব সময়ে কনটেন্ট প্রস্তুতির ওপর বিশেষ সেশন পরিচালনা করেন। এছাড়া, ব্র্যান্ডকে বিশ্বাসযোগ্য ও সৃজনশীলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।

আরো পড়ুন : পাকিস্তানি টিকটকারের ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস

ওয়ার্কশপটি ছিল এক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে উদ্যোক্তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। এতে উঠে আসে সমস্যার সমাধান এবং নতুন কৌশল উদ্ভাবনের সম্ভাবনা।

একাধিক উদ্যোক্তা জানান, কর্মশালাটি তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। বিশেষ করে নতুন গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং ব্যবসার প্রসারে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

ইভেন্টে বিশেষজ্ঞরা টিকটকে সত্যতা ও সৃজনশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, সঠিক কৌশল ও পরিকল্পনা দিয়ে যেকোনো ব্র্যান্ড টিকটকে দারুণ সাফল্য অর্জন করতে পারে।

টিকটকের এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচনে এমন কর্মশালা আরও আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



স্মার্টফোনে ভাইরাস সনাক্ত ও অপসারণের সহজ উপায়

ডিজিটাল যুগে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাইবার হানার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্টফোনে ভাইরাস একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা শুধু ডিভাইসের কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না, বরং ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলে। তাই স্মার্টফোনে ভাইরাস আছে কিনা তা শনাক্ত করা এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। চলুন, সহজ কিছু উপায় দেখে নেওয়া যাক, যা আপনাকে ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

ভাইরাসের লক্ষণ:

ডিভাইসের গতি কমে যাওয়া: হঠাৎ ফোন স্লো হয়ে যাওয়া বা বারবার হ্যাং হওয়া ভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

অপ্রত্যাশিত পপ-আপ বিজ্ঞাপন: বারবার পপ-আপ বিজ্ঞাপন বা অবাঞ্ছিত নোটিফিকেশন দেখা দিলে, তা ভাইরাসের ইঙ্গিত হতে পারে।

ডেটার অস্বাভাবিক খরচ: ইন্টারনেট ডেটার ব্যবহার যদি হঠাৎ বেড়ে যায়, তা ম্যালওয়্যার বা ভাইরাসের কারণে হতে পারে।

অবাঞ্ছিত অ্যাপের উপস্থিতি: ফোনে এমন অ্যাপ দেখা, যা আপনি ডাউনলোড করেননি, এটি ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।

ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া: ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস দ্রুত ব্যাটারির চার্জ শেষ করে দিতে পারে।

ভাইরাস অপসারণের উপায়:

1. বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন: একটি রিলায়েবল অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করুন এবং ফোনটি স্ক্যান করুন। এটি ভাইরাস শনাক্ত ও অপসারণে সহায়তা করবে।

2. সন্দেহজনক অ্যাপ আনইনস্টল করুন: এমন কোনো অ্যাপ দেখতে পেলে, যা আপনি ডাউনলোড করেননি বা সন্দেহজনক মনে হয়, তা অবিলম্বে সরিয়ে দিন।

3. ক্যাশে এবং অপ্রয়োজনীয় ডেটা পরিষ্কার করুন: ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপগুলোর ক্যাশে এবং অপ্রয়োজনীয় ডেটা মুছে ফেলুন।

4. ফ্যাক্টরি রিসেট করুন: প্রয়োজনে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করুন, তবে এর আগে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না।

 

ভবিষ্যতে ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার টিপস:

ফোন সবসময় আপডেট রাখুন।

অজানা বা অবিশ্বস্ত লিঙ্কে ক্লিক এড়িয়ে চলুন।

অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক অ্যাপ ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন।

সতর্কতার সঙ্গে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্মার্টফোনকে সাইবার হানার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। আপনার ডিভাইস সুরক্ষিত রাখুন এবং নিরাপদে থাকুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ওপেনএআইয়ের বিজ্ঞাপন পরিকল্পনা: নতুন আয়ের উৎস হতে পারে এআই প্রযুক্তি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ওপেনএআই, তাদের চ্যাটজিপিটি সহ অন্যান্য পণ্যতে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের চিন্তা-ভাবনা করছে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য আগামী বছরের মধ্যে লাভজনক ব্যবসায়ে রূপান্তর ঘটানো, এবং এই উদ্দেশ্যে তারা বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা যুক্ত করতে চায়।

সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ওপেনএআইয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) সারাহ ফ্রায়ার জানিয়েছেন, “বিজ্ঞাপন কখন এবং কোথায় প্রয়োগ করা হবে, তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিজ্ঞাপন যুক্ত করার আগে তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।”

তাদের বিজ্ঞাপন কার্যক্রমের জন্য ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে গুগলের সাবেক বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান শিবকুমার ভেঙ্কটারমনও রয়েছেন। সারাহ ফ্রায়ার আরো বলেন, “আমাদের ব্যবসায়িক মডেল দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, এবং আমরা এই ক্ষেত্র থেকে বড় সম্ভাবনা দেখছি।”

বর্তমানে, ওপেনএআইয়ের প্রধান আয়ের উৎস হলো এপিআই ফি। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ডেভেলপাররা ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটি বা জিপিটি-৪ এর মতো মডেল ব্যবহার করে এপিআই ফি পরিশোধ করে তাদের এআই পণ্য তৈরি করেন। তবে ভবিষ্যতে, ওপেনএআই বিজ্ঞাপন মডেলের মাধ্যমে নতুন আয়ের পথ খুঁজে পেতে পারে, এমনটিও ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

বর্তমানে ওপেনএআইয়ের মধ্যে যে অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে প্রযুক্তি শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম