বৃহস্পতির চাঁদে জীবনের খোঁজে নাসার বিশেষ রোবট

বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় জীবনের খোঁজে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এ লক্ষ্যে নাসা ক্ষুদ্রাকৃতির একটি রোবট তৈরি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে সুইম। পানির নিচে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে রোবটটি ভবিষ্যতে বহির্জাগতিক প্রাণের সন্ধান করবে।

সুইমের পূর্ণরূপ হলো সেন্সিং উইথ ইনডিপেনডেন্ট মাইক্রো-সুইমার্স। মুঠোফোন আকারের এই রোবট ঝাঁক একসঙ্গে কাজ করে মহাসাগরের বরফের নিচে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম। নাসার লক্ষ্য, এই রোবট দিয়ে বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার পৃষ্ঠের ঘন বরফের নিচে লুকিয়ে থাকা সম্ভাব্য প্রাণের খোঁজ করা।

নাসা ইতোমধ্যে ইউরোপা ক্লিপার নভোযান পাঠিয়েছে, যা ২০৩০ সালে ইউরোপায় পৌঁছাবে। ইউরোপার মহাসাগরের রাসায়নিক গঠন, তাপমাত্রা এবং চাপ বিশ্লেষণ করে প্রাণের সম্ভাবনার ইঙ্গিত খুঁজবে এটি। সুইম রোবট এই গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করবে।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী ইথান শ্যালারের মতে, “জীবনের জন্য পানির প্রয়োজন। আমাদের এমন রোবট দরকার যা আমাদের থেকে কয়েক মিলিয়ন মাইল দূরে অনুসন্ধান চালাতে পারে।” বর্তমানে সুইম রোবটের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬.৫ ইঞ্চি হলেও ভবিষ্যতে এটি ৫ ইঞ্চিতে পরিণত করা হবে।

এই রোবট উন্নত সেন্সরের সাহায্যে তাপমাত্রা, চাপ ও রাসায়নিক পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারবে। বরফের নিচে কাজ করার উপযোগী অপারেশনাল অ্যালগরিদম ও স্বায়ত্তশাসিত কার্যক্ষমতা রয়েছে এতে।

সুইম রোবট শুধু মহাকাশ গবেষণাতেই নয়, পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে বরফের নিচে কাজ করতেও সক্ষম। প্রকৌশলীরা মনে করছেন, এই রোবট পৃথিবীতে গবেষণা ও পরিবেশ সংরক্ষণের নতুন দিক উন্মোচন করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মেটা ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে পিগ-বাচারিং স্ক্যাম প্রতিরোধে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেটা সম্প্রতি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। ২১ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য পিগ-বাচারিং স্ক্যাম প্রতিরোধ করা।

পিগ-বাচারিং স্ক্যাম কী?
এই স্ক্যামে অপরাধীরা অনলাইনে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রতারণা করে। ভুক্তভোগীদের মিথ্যা বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়ে তাদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। অপরাধীরা শুধুমাত্র অর্থ চুরি করেই থেমে থাকে না, অনেক সময় ব্ল্যাকমেইল করে কিংবা সাইবার হামলার মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করে।

মেটার পদক্ষেপ
মেটা অপরাধী সংগঠন ও স্ক্যাম প্রতিরোধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
১. বিপজ্জনক সংস্থা ও নিরাপত্তা নীতি: অপরাধী চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা।
২. অ্যাকাউন্ট বন্ধ: নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা।
৩. সহযোগিতা: অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও দেশের সঙ্গে যৌথভাবে স্ক্যাম প্রতিরোধে কাজ করা।
৪. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা: বিশ্বব্যাপী আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য শেয়ার করে সাইবার অপরাধ দমন।

মেটা এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায় এবং সকলকে অনলাইনে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



ব্রেইন চিপের ট্রায়ালের অনুমতি পেল নিউরালিঙ্ক

ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক কানাডায় ব্রেইন চিপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে। কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ হেলথ কানাডা সম্প্রতি এই অনুমোদন দেয়। টরন্টোর ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক হাসপাতাল এই পরীক্ষামূলক গবেষণার দায়িত্বে থাকবে।

নিউরালিঙ্ক দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্ক ও যন্ত্রের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। তাদের তৈরি ব্রেইন চিপ, যা ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেসেস (বিসিআইএস) নামে পরিচিত, প্যারালাইজড রোগীদের জন্য একটি বৈপ্লবিক উদ্ভাবন। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র চিন্তার মাধ্যমে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই দুই ব্যক্তির মস্তিষ্কে ব্রেইন চিপ সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। এবার কানাডায় ট্রায়ালের মাধ্যমে আরও উন্নত গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক হাসপাতালের টরন্টো শাখায় এই জটিল নিউরোসার্জিক্যাল অপারেশন পরিচালিত হবে।

২০১৬ সালে ইলন মাস্ক নিউরালিঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেন। এর লক্ষ্য হলো পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের চলাফেরা ও যোগাযোগের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা এবং দৃষ্টিশক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা। নিউরালিঙ্কের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ভবিষ্যতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




সহজ পাসওয়ার্ডে বিপদ, পরিবর্তনে গুরুত্বারোপ

ডিজিটাল যুগে ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য পাসওয়ার্ড প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তবে পাসওয়ার্ড সহজ রাখার অভ্যাস হ্যাকারদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহারে তথ্য চুরির ঝুঁকি বাড়ে।

প্রযুক্তিবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম নর্ডপাস সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ডগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, টানা দুই বছর ধরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড হলো ‘১২৩৪৫৬’। এছাড়া তালিকায় অন্যান্য সহজ পাসওয়ার্ড যেমন ‘password’, ‘111111’, এবং ‘qwerty’ উল্লেখযোগ্য।

সহজ পাসওয়ার্ড: ঝুঁকি ও সতর্কতা

নর্ডপাস জানায়, সহজ পাসওয়ার্ড মাত্র মিলিসেকেন্ডে অনুমান করতে পারে হ্যাকাররা। এমনকি অনেকেই সৃজনশীলতার প্রয়াসে ‘P@ssw0rd’ এর মতো জটিল দেখানো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেও এটি অনুমান করতেও এক সেকেন্ডের কম সময় লাগে।

নর্ডপাস তাদের বিশ্লেষণে ২.৫ টেরাবাইট ডাটা ব্যবহার করে দেখিয়েছে, ডার্কওয়েবে সহজ পাসওয়ার্ডের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাদের মতে, পাসওয়ার্ড নির্বাচনের সময় ব্যবহারকারীরা সাধারণত গুরুত্ব দেন না।

১০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাসওয়ার্ড

নর্ডপাসের মতে, নিম্নলিখিত পাসওয়ার্ডগুলো অত্যন্ত প্রচলিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ:
১. ১২৩৪৫৬ (123456)
২. ১২৩৪৫৬৭৮৯ (123456789)
৩. ১২৩৪৫৬৭৮ (12345678)
৪. পাসওয়ার্ড (password)
৫. কিউডব্লিউইআরটিওয়াই১২৩ (qwerty123)
৬. কিউডব্লিউইআরটিওয়াই১ (qwerty1)
৭. ১১১১১১ (111111)
৮. ১২৩৪৫ (12345)
৯. সিক্রেট (secret)
১০. ১২৩১২৩ (123123)

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির উপায়

বিশেষজ্ঞরা সহজ পাসওয়ার্ড পরিহার করে সৃজনশীল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির জন্য সংখ্যা, বর্ণ, এবং বিশেষ অক্ষরের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

ডিজিটাল দুনিয়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পাসওয়ার্ড নির্বাচনে সচেতন হওয়া জরুরি।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



হোয়াটসঅ্যাপে ড্রাফট ও কাস্টম লিস্ট ফিচার

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন যোগাযোগের একটি অপরিহার্য মাধ্যম। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিনিয়ত নতুন ফিচার যোগ করে। এবার নতুন দুটি ফিচার যুক্ত করেছে হোয়াটসঅ্যাপ—ড্রাফট ফিচার ও কাস্টম লিস্ট ফিচার।

ড্রাফট ফিচার

নতুন ড্রাফট ফিচার ব্যবহারকারীদের অসমাপ্ত বার্তা সংরক্ষণে সহায়তা করবে। প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট মেইক ইউজ অব জানিয়েছে, এই ফিচারের সাহায্যে টাইপ করা অসমাপ্ত মেসেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রাফট হিসেবে সংরক্ষিত হবে। এটি ই-মেইলের ড্রাফটের মতোই কাজ করবে।

ড্রাফট মেসেজগুলো চ্যাট তালিকায় সবুজ রঙের লেবেলসহ দেখাবে। ফলে সহজেই ব্যবহারকারীরা অসমাপ্ত মেসেজ খুঁজে পেয়ে সম্পূর্ণ করে পাঠাতে পারবেন। এই ফিচার ব্যবহার করে মেসেজ টাইপ করতে কোনো বাড়তি চাপ থাকবে না। ধীরে ধীরে মেসেজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হবে।

কাস্টম লিস্ট ফিচার

কাস্টম লিস্ট ফিচারটি ব্যবহারকারীদের পরিবার, বন্ধু, অফিস সহকর্মীদের গ্রুপ আলাদা আলাদা লিস্টে সংগঠিত করতে সাহায্য করে। এটি চ্যাট পরিচালনা সহজ ও কার্যকর করে তুলবে।

কাস্টম লিস্ট তৈরির ধাপ

১. হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ চালু করুন।
২. চ্যাট লিস্টে যান এবং উপরে ডান দিকে থাকা ‘যোগ’ চিহ্নে ক্লিক করুন।
৩. একটি পপআপ দেখাবে—‘Organize Your Chat’। সেখানে ক্লিক করুন।
৪. প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরি (পরিবার, বন্ধু, অফিস) নির্বাচন করুন।
৫. যে চ্যাটটি লিস্টে যুক্ত করতে চান সেটি ট্যাপ করে ‘Add to List’ নির্বাচন করুন।

কাস্টম লিস্ট পরিচালনার সুবিধা

নাম পরিবর্তন: লিস্টের নামের ওপর চাপ দিয়ে ‘Rename’ বেছে নিন।

লিস্ট ডিলিট: লিস্টের ওপর চেপে ধরে ‘Delete’ অপশন নির্বাচন করুন।

পুনরায় সাজানো: ফিল্টার বার ধরে লিস্টকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী ওপর-নিচে স্থানান্তর করুন।

এই ফিচারের উপকারিতা

১. লিস্ট সংগঠিত করা: চ্যাট সুসংগঠিত করতে আলাদা আলাদা গ্রুপ রাখা যাবে।
২. দ্রুত অ্যাক্সেস: প্রয়োজনীয় সময়ে দ্রুত যোগাযোগ করা সহজ হবে।

নতুন এই ফিচারগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য চ্যাটিং আরও স্মার্ট ও সহজ করে তুলবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম

 




ব্লুস্কাইয়ে ঝুঁকছে ব্যবহারকারীরা

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স ছেড়ে ক্রমেই ব্লুস্কাইয়ে যোগ দিচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। বিশেষত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে এক্সের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারা অভিযোগ তুলেছেন, ইলন মাস্কের এক্সে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ‘অতিরিক্ত’ প্রচারণা চালানো হয়, যা প্ল্যাটফর্মটির নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন তুলেছে।

এ পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারীরা ব্লুস্কাইয়ের মতো বিকেন্দ্রীকৃত সামাজিক মাধ্যমে ঝুঁকছেন। জ্যাক ডরসির প্রতিষ্ঠিত ব্লুস্কাই, যা ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করেছিল, বর্তমানে ১৯ মিলিয়ন ব্যবহারকারী নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিন ও ড্যারেন জোনসের মতো ব্যক্তিত্ব।

তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ব্লুস্কাইয়ে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। জি-২০ সামিটে তিনি জানান, সরকার বা ব্যক্তিগতভাবে তার ব্লুস্কাইয়ে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বরং এক্সেই থাকবেন, কারণ সর্বোচ্চ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লুস্কাইয়ের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটি বিকেন্দ্রীকৃত, অর্থাৎ এটি কোনো একক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন নয়, বরং স্বাধীন সার্ভার দ্বারা পরিচালিত। এ বৈশিষ্ট্য একে অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের তুলনায় ভিন্ন করে তুলেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



গুগলের নতুন এআই টুল: স্প্যাম কল ঠেকাতে দারুণ উদ্যোগ

বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্বে গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ব্যবহারকারীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ফিচার এনে সেবাকে আরও উন্নত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে। এবার গুগল নিয়ে আসছে একটি এআই-চালিত স্প্যাম ডিটেকশন টুল, যা ব্যবহারকারীদের স্প্যাম কল এবং মেসেজের বিরক্তি থেকে মুক্তি দেবে।

সারাবিশ্বে স্প্যাম কল এবং মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ব্যক্তিগত তথ্য চুরি থেকে আর্থিক ক্ষতিসহ নানা সমস্যার মূল কারণ এই স্প্যাম। গুগল এবার এই সমস্যার সমাধানে এক নতুন যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।

গুগল স্প্যাম এবং ডেঞ্জারাস অ্যাপ অ্যালার্ট টুল:
গুগলের নতুন টুলের নাম “গুগল স্প্যাম এবং ডেঞ্জারাস অ্যাপ অ্যালার্ট টুল”। এটি গুগলের পিক্সেল ফোনের সাথে প্রি-ইনস্টল করা ফোন অ্যাপে কাজ করবে। এই টুলটি এআই এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলের ঝুঁকি নির্ধারণ করে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে।

কীভাবে কাজ করবে এই টুল?

১. ঝুঁকিপূর্ণ কল শনাক্ত:
এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে ইনকামিং কল বিশ্লেষণ করবে এবং সম্ভাব্য স্ক্যাম বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্ত করবে।

২. লাইভ সতর্কতা:
কল আসার সময় স্ক্রিনে “লাইকলি স্ক্যাম” বা “সাস্পিশিয়াস অ্যাক্টিভিটি ডিটেক্টেড ফর দিজ কল” লেবেল দেখাবে। ব্যবহারকারী চাইলে কলটি কেটে দিতে পারবেন অথবা এটি “নট অ্যা স্প্যাম” হিসেবে মার্ক করতে পারবেন।

৩. কলারের কথার বিশ্লেষণ:
মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলারের কথোপকথন শুনে এটি প্রতারক কি না তা চিহ্নিত করবে।

অ্যাপ নজরদারি:
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু কল নয়, ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপগুলোর কার্যকলাপের উপরও নজরদারি চালাবে গুগল। এতে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি বা ক্ষতির ঝুঁকি কমবে।

কেন এটি ব্যতিক্রম?

অন্যান্য স্প্যাম ডিটেকশন অ্যাপ থেকে গুগলের এই টুল আলাদা কারণ এটি ইনকামিং কল বিশ্লেষণ ছাড়াও কলারের কথোপকথন বিশ্লেষণ করে প্রতারণা শনাক্ত করতে সক্ষম।

গুগলের এই পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দৈনন্দিন জীবনে আরও স্বস্তি এনে দেবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



শীতে বাইক ভালো রাখতে এখনই করণীয়

নভেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে রাতের ঠান্ডা জানান দিচ্ছে, শীত একেবারেই দরজায় কড়া নাড়ছে। শীতে বাইক চালকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়, বিশেষ করে সকালে বাইক স্টার্ট নিতে গড়িমসি করে। এ কারণে আগে থেকেই বাইকের সঠিক যত্ন ও সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক যত্ন নিলে বাইকের কর্মক্ষমতা যেমন বাড়বে, তেমনই এর স্থায়িত্বও দীর্ঘ হবে।

বাইকের সঠিক প্রস্তুতির জন্য কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চলুন, দেখে নেওয়া যাক শীতের আগে বাইকের কী কী যত্ন নেওয়া উচিত—

১. বাইকের তেল পরিবর্তন করুন:
ইঞ্জিনের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে নিয়মিত অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। শীতকালে তেল ঘন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা ইঞ্জিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী তেল পরিবর্তন করুন। এটি ইঞ্জিনের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করবে।

২. ব্যাটারি পরীক্ষা করুন:
শীতে ব্যাটারি কম শক্তি উৎপন্ন করে। বিশেষ করে পুরনো ব্যাটারি থাকলে এটি দ্রুত কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই ব্যাটারি চার্জিং পরীক্ষা করা এবং সংযোগ ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজনে নতুন ব্যাটারি ব্যবহার করুন।

৩. টায়ার চেক করুন:
শীতকালে সড়কপথে কুয়াশা, পানি বা বরফের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। টায়ারের চাপ সঠিক আছে কি না এবং এর গভীরতা পর্যাপ্ত কিনা তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে শীতকালীন টায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

৪. ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা করুন:
ব্রেকের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা শীতকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রেক প্যাড এবং ব্রেক তেলের অবস্থা যাচাই করুন। ব্রেক টেস্ট করে নিশ্চিত করুন যে এটি যথাযথভাবে কাজ করছে। কোনো সমস্যা থাকলে দ্রুত মেরামত করুন।

৫. ফিল্টার পরিষ্কার করুন:
এয়ার ফিল্টার ও ফুয়েল ফিল্টার পরিষ্কার রাখুন। শীতে ধুলাবালির পরিমাণ কম থাকলেও বিভিন্ন সময়ে ময়লা জমে ফিল্টার নষ্ট হতে পারে। প্রয়োজনে ফিল্টার পরিবর্তন করুন।

৬. লাইট পরীক্ষা করুন:
শীতকালে সন্ধ্যা দ্রুত নামায় হেডলাইট ও টার্ন সিগন্যাল লাইটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা জরুরি। কোনো লাইট কাজ না করলে দ্রুত তা প্রতিস্থাপন করুন।

৭. চেইন ও কেবল পরিষ্কার করুন:
চেইন এবং কেবলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন। নিয়মিত চেইনে তেল প্রয়োগ করলে তা মসৃণভাবে কাজ করবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।

৮. ফেন্ডার ও ওয়াশার পরিষ্কার রাখুন:
ফেন্ডার ও ওয়াশার পরিষ্কার রাখলে বাইকের বিভিন্ন অংশ পানি ও বরফ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এতে বাইক ভালো অবস্থায় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে মেরামতের প্রয়োজন কমে।

শীতকালের প্রতিকূল পরিবেশেও সঠিক যত্নে বাইক রাখুন কর্মক্ষম ও সুরক্ষিত। এখনই বাইক সার্ভিসিং করিয়ে নিন এবং নিশ্চিন্তে শীতের দিন উপভোগ করুন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



মহাকাশে ভারতের নতুন অধ্যায়: উৎক্ষেপিত হলো জিস্যাট-২০

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৈরি অত্যাধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ ‘জিস্যাট-২০’ সফলভাবে মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছে। ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

ভারতীয় সময় সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে এই উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। মাত্র ৩৪ মিনিটে ৪ হাজার ৭০০ কেজি ওজনের এ স্যাটেলাইট নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছায়। এটি ভারতের গ্রামীণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা এবং আকাশপথে ইন্টারনেট সেবা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণন দুরাইরাজ জানান, উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। স্যাটেলাইটটি এখন নির্ধারিত কক্ষপথে কার্যকর রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইসরোর এ উপগ্রহ ১৪ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে সক্ষম। বিশেষ করে ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া এবং বিমানযাত্রীদের দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে।

এর আগে ইসরো একাধিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলেও এ প্রকল্পটি ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। জিস্যাট-২০-এর ওজন অনেক বেশি হওয়ায় স্পেসএক্সের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এটিই ইসরো এবং স্পেসএক্সের মধ্যে প্রথম যৌথ উৎক্ষেপণ।

কেপ ক্যানাভেরালের স্পেস লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪০ থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এ অঞ্চলটি বর্তমানে স্পেসএক্সের ব্যবহারে রয়েছে।

“মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম”



বিরল সামুদ্রিক কৃমির পুনরাবিষ্কার: ৭০ বছর পর বিজ্ঞানীদের সাফল্য

প্রায় ৭০ বছর ধরে হারিয়ে যাওয়া একটি বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কৃমির খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি স্কুবা ডাইভারদের তোলা কিছু ছবির ভিত্তিতে এই কৃমির অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে জাপানের উপকূলীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা প্রবালের কলোনিতে কৃমির উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।

বিরল এই সামুদ্রিক কৃমিটির নাম ‘হাপলোসিলিস অ্যান্থোগোর্জিকোলা’, যা এক ধরনের পলিকীট বা ব্রিসল ওয়ার্ম। এটি শাখাবিশিষ্ট গরগোনিয়ান প্রবালে বসবাস করে এবং প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে প্রায় ১৫টি কৃমি পাওয়া যায়। এর গড় আকার মাত্র ৬ মিলিমিটার বা ০.২৪ ইঞ্চি।

এই কৃমি প্রথমবার ১৯৫৬ সালে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী হুজিও উতিনোমো দ্বারা শনাক্ত হয়। তবে এরপর থেকে এটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

গবেষণার প্রধান লেখক এবং ওকিনাওয়া ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ছাত্রী ক্লোয়ে ফোরো জানান, “এই কৃমিগুলো খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন, কারণ এদের আকার ছোট এবং প্রায় স্বচ্ছ। ফলে পানির নিচে এদের দেখা অসম্ভব হয়ে ওঠে।”

গবেষকরা যখন প্রবাল সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করেন, তখন অসংখ্য ক্ষুদ্রাকৃতি কৃমির উপস্থিতি শনাক্ত করেন। এ আবিষ্কার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচন করেছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম