আজকের বিশ্বে অফিসের কাজের চাপের মধ্যে থাকতে গেলে সবকিছু সময়মতো সম্পন্ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে, প্রযুক্তির সাহায্যে এখন এই চাপ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। বিশেষত, এআই টুলগুলো এমন একধরণের সহকারী, যা আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরও সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, এমন ১০টি এআই টুল, যা আপনার অফিসের কাজের গতিকে দ্রুত এবং সৃজনশীল করে তুলতে পারে।
১. গ্রামারলি (Grammarly): ভাষাগত ভুল হবেনা আর!
ইমেইল, রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন লিখতে গিয়ে কখনোই মনে হয় না, ‘এটি ঠিকভাবে লিখেছি তো?’ গ্রামারলি ঠিক সেই সময়েই আপনার সহকারী হয়ে উঠবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বানান এবং ব্যাকরণ সংশোধন করতে সাহায্য করবে এবং এমনকি লেখার ধরনও উন্নত করবে।
২. ট্রেলো-বাটলার: কাজের সঙ্গী
একাধিক প্রজেক্টের কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে সমস্যা? ট্রেলো এবং বাটলার আপনার কাজের প্রগ্রেস ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করবে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজগুলো সাজিয়ে দিবে এবং শিডিউল তৈরি করে রিমাইন্ডার পাঠাবে।
৩. ওটার এআই (Otter.ai): মিটিংয়ের নোট নেওয়া সহজ
মিটিংয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট একত্রিত করার কাজ আর হবে না। ওটার এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিটিংয়ের কথোপকথন রেকর্ড করে টেক্সটে রূপান্তর করে, ফলে আপনাকে আর নোট নিতে হবে না।
৪. জেপিয়ার (Zapier): অ্যাপের মধ্যে সংযোগ
জেপিয়ার একটি সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন অ্যাপকে একত্রিত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ সম্পন্ন করে। যেমন, গুগল শিটে ফর্ম ডাটা আপডেট করা বা ইমেইল পাঠানো খুব সহজ হয়ে যাবে।
৫. নোশন এআই (Notion AI): আইডিয়া জেনারেটর
নতুন প্রজেক্টের জন্য যদি আইডিয়া তৈরির চিন্তা থাকে, তবে নোশন এআই সেই কাজটি করবে। এটি আইডিয়া তৈরি করতে, কাজের স্ট্রাকচার সাজাতে এবং টাস্ক ম্যানেজ করতে সাহায্য করবে।
৬. ক্যানভা এআই (Canva AI): ডিজাইন তৈরি
গ্রাফিক ডিজাইনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ক্যানভা এআই এর মাধ্যমে আপনি পেশাদার মানের ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। এটি আপনাকে ডিজাইন তৈরি করতে সাহায্য করবে যেমন পোস্টার, প্রেজেন্টেশন স্লাইড ইত্যাদি।
৭. ক্লকিফাই (Clockify): সময় ব্যবস্থাপনা
ক্লকিফাই একটি সময় ট্র্যাকার যা আপনার প্রতিদিনের কাজের সময় বিশ্লেষণ করে আপনাকে জানাবে কোথায় বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে এবং কখন কাজ শেষ করতে হবে।
৮. স্ক্রাইব (Scribe): নির্দেশিকা তৈরি
নতুন সহকর্মীদের জন্য কাজের ধাপগুলো শেখানোর জন্য স্ক্রাইব ব্যবহৃত হয়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কাজের প্রতিটি পদক্ষেপ রেকর্ড করে এবং একটি নির্দিষ্ট গাইড তৈরি করে।
৯. চ্যাটজিপিটি (ChatGPT): আপনার সব প্রশ্নের উত্তর
যেকোনো প্রশ্নের উত্তর আপনি সহজেই চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পেতে পারেন। এটি ইমেইল লিখতে, রিপোর্ট তৈরি করতে বা প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সহায়তা করবে।
১০. মাইক্রোসফট কো-পাইলট (Microsoft Copilot): অফিস সহকারী
মাইক্রোসফট কো-পাইলট, অফিস ৩৬৫-এর একটি সহকারী টুল যা এক্সেল, ওয়ার্ড এবং পাওয়ার পয়েন্টে কাজকে দ্রুততর করে তোলে।
এআই প্রযুক্তি কেবল একটি ট্রেন্ড নয়, বরং এটি আমাদের কাজের ধরনকে পরিবর্তন করছে। উপরের টুলগুলো আপনার কাজকে আরও দ্রুত, সৃজনশীল এবং মজাদার করে তুলতে সাহায্য করবে।
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম