কীভাবে ফোনের অপ্রয়োজনীয় ছবি ডিলিট করবেন?

আজকাল, মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, যেখানে আমরা ছবি, ভিডিও, এবং অন্যান্য ডাটা জমিয়ে রাখি। তবে, অনেক সময় স্টোরেজ ফিল হয়ে গেলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষত, যখন আপনি কোনও দর্শনীয় স্থান দেখতে বেরিয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছেন এবং ফোনের স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, তখন কী করবেন? চিন্তা করবেন না! আমরা আপনাকে জানাবো কীভাবে অপ্রয়োজনীয় ছবি এবং ভিডিওগুলো সাফ করে ফোনের পারফরম্যান্স বাড়ানো যাবে।

1. ফটো স্টোরেজ সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

ফোনের স্টোরেজ বাঁচাতে আপনার মোবাইলে থাকা ছবি ক্লাউডে সংরক্ষণ করুন। আইফোন ব্যবহারকারীরা অ্যাপল ফোটোস বা আইক্লাউড ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে ৫ জিবি পর্যন্ত বিনামূল্যে স্টোরেজ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা গুগল ফটো অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন, যা ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দেয়। এসব অ্যাপ আপনার ছবিগুলো নিরাপদে রাখার পাশাপাশি, ছবিগুলো ইন্টারনেটে অ্যাক্সেসযোগ্য রাখে।

2. অপ্রয়োজনীয় ছবি ডিলিট করুন

ফোনে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ভিডিও জমা হয়ে যায়, বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া বা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে। ফোনের ‘অটো-ডাউনলোড’ অপশন বন্ধ করে দিন, যেন এসব ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড না হয়। এরপর, যে ছবি বা ভিডিও প্রয়োজনীয় নয় তা মুছে ফেলুন। যদি মুছে ফেলতে ইচ্ছুক না হন, তাহলে সেই ছবি অন্য ডিভাইসে যেমন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন।

3. ছবি অ্যালবামে রাখুন

আপনার ছবি গুলো বিভিন্ন অ্যালবামে ভাগ করে রাখুন। ক্যামেরা রোল, ডাউনলোড এবং হোয়াটসঅ্যাপ ইমেজে ছড়ানো ছবিগুলো সাজিয়ে এক জায়গায় রাখুন। এটি ভবিষ্যতে ছবি খুঁজতে সহজ করে তুলবে এবং অপ্রয়োজনীয় ছবি সহজেই মুছে ফেলা যাবে।

4. ফেভারিট অপশন ব্যবহার করুন

গুগল ফটো বা অ্যাপল ফটোতে আপনার পছন্দের ছবিগুলোকে ফেভারিট হিসেবে মার্ক করুন। আপনি যদি কোন ছবি বিশেষভাবে ব্যবহার করেন, তাহলে তা ফেভারিট অপশনের মাধ্যমে আলাদা করে রাখতে পারবেন এবং প্রয়োজন শেষ হলে সহজেই ডিলিটও করতে পারবেন।

5. ছবি ডিলিট করার জন্য নির্দিষ্ট দিন নির্ধারণ করুন

আপনার ফোনের স্টোরেজ নিয়মিতভাবে পরিষ্কার রাখুন। প্রতি মাসে অন্তত একদিন সময় বের করে ফোনের জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় ছবি মুছে ফেলুন। এটি আপনার ফোনের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং পারফরম্যান্সও উন্নত হবে।

এভাবে নিয়মিত ছবি মুছে বা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে আপনি ফোনের স্টোরেজ এবং পারফরম্যান্স নিশ্চিত রাখতে পারেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



এআই টুলস: কাজের গতি ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর সহজ উপায়

আজকের বিশ্বে অফিসের কাজের চাপের মধ্যে থাকতে গেলে সবকিছু সময়মতো সম্পন্ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে, প্রযুক্তির সাহায্যে এখন এই চাপ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। বিশেষত, এআই টুলগুলো এমন একধরণের সহকারী, যা আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরও সহজ, দ্রুত এবং কার্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেয়া যাক, এমন ১০টি এআই টুল, যা আপনার অফিসের কাজের গতিকে দ্রুত এবং সৃজনশীল করে তুলতে পারে।

১. গ্রামারলি (Grammarly): ভাষাগত ভুল হবেনা আর!
ইমেইল, রিপোর্ট বা প্রেজেন্টেশন লিখতে গিয়ে কখনোই মনে হয় না, ‘এটি ঠিকভাবে লিখেছি তো?’ গ্রামারলি ঠিক সেই সময়েই আপনার সহকারী হয়ে উঠবে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বানান এবং ব্যাকরণ সংশোধন করতে সাহায্য করবে এবং এমনকি লেখার ধরনও উন্নত করবে।

২. ট্রেলো-বাটলার: কাজের সঙ্গী
একাধিক প্রজেক্টের কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে সমস্যা? ট্রেলো এবং বাটলার আপনার কাজের প্রগ্রেস ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করবে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজগুলো সাজিয়ে দিবে এবং শিডিউল তৈরি করে রিমাইন্ডার পাঠাবে।

৩. ওটার এআই (Otter.ai): মিটিংয়ের নোট নেওয়া সহজ
মিটিংয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট একত্রিত করার কাজ আর হবে না। ওটার এআই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিটিংয়ের কথোপকথন রেকর্ড করে টেক্সটে রূপান্তর করে, ফলে আপনাকে আর নোট নিতে হবে না।

৪. জেপিয়ার (Zapier): অ্যাপের মধ্যে সংযোগ
জেপিয়ার একটি সফটওয়্যার, যা বিভিন্ন অ্যাপকে একত্রিত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ সম্পন্ন করে। যেমন, গুগল শিটে ফর্ম ডাটা আপডেট করা বা ইমেইল পাঠানো খুব সহজ হয়ে যাবে।

৫. নোশন এআই (Notion AI): আইডিয়া জেনারেটর
নতুন প্রজেক্টের জন্য যদি আইডিয়া তৈরির চিন্তা থাকে, তবে নোশন এআই সেই কাজটি করবে। এটি আইডিয়া তৈরি করতে, কাজের স্ট্রাকচার সাজাতে এবং টাস্ক ম্যানেজ করতে সাহায্য করবে।

৬. ক্যানভা এআই (Canva AI): ডিজাইন তৈরি
গ্রাফিক ডিজাইনের অভিজ্ঞতা না থাকলেও ক্যানভা এআই এর মাধ্যমে আপনি পেশাদার মানের ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন। এটি আপনাকে ডিজাইন তৈরি করতে সাহায্য করবে যেমন পোস্টার, প্রেজেন্টেশন স্লাইড ইত্যাদি।

৭. ক্লকিফাই (Clockify): সময় ব্যবস্থাপনা
ক্লকিফাই একটি সময় ট্র্যাকার যা আপনার প্রতিদিনের কাজের সময় বিশ্লেষণ করে আপনাকে জানাবে কোথায় বেশি সময় নষ্ট হচ্ছে এবং কখন কাজ শেষ করতে হবে।

৮. স্ক্রাইব (Scribe): নির্দেশিকা তৈরি
নতুন সহকর্মীদের জন্য কাজের ধাপগুলো শেখানোর জন্য স্ক্রাইব ব্যবহৃত হয়। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার কাজের প্রতিটি পদক্ষেপ রেকর্ড করে এবং একটি নির্দিষ্ট গাইড তৈরি করে।

৯. চ্যাটজিপিটি (ChatGPT): আপনার সব প্রশ্নের উত্তর
যেকোনো প্রশ্নের উত্তর আপনি সহজেই চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে পেতে পারেন। এটি ইমেইল লিখতে, রিপোর্ট তৈরি করতে বা প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সহায়তা করবে।

১০. মাইক্রোসফট কো-পাইলট (Microsoft Copilot): অফিস সহকারী
মাইক্রোসফট কো-পাইলট, অফিস ৩৬৫-এর একটি সহকারী টুল যা এক্সেল, ওয়ার্ড এবং পাওয়ার পয়েন্টে কাজকে দ্রুততর করে তোলে।

এআই প্রযুক্তি কেবল একটি ট্রেন্ড নয়, বরং এটি আমাদের কাজের ধরনকে পরিবর্তন করছে। উপরের টুলগুলো আপনার কাজকে আরও দ্রুত, সৃজনশীল এবং মজাদার করে তুলতে সাহায্য করবে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রবর্তিত এই সাইবার নিরাপত্তা আইন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। বিশেষ করে এই আইনকে কালাকানুন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, আজকের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আইনি যাচাই শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

এছাড়া, সাইবারস্পেসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় নতুন একটি আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে, যা বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

২০১৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণীত হয়েছিল, তবে এটি সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে, এই আইনের ৫৭ ধারা বাতিল করার পরেও কিছু বিতর্কিত ধারা নতুন আইনে রাখা হয়েছিল, যার ফলে সরকারের পক্ষ থেকে অপব্যবহার হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

২০২১ সালে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর এই আইনের বিরোধিতা তীব্র হয়ে ওঠে। আইনের অপব্যবহার বন্ধ করার আশ্বাস দেওয়া হলেও, এই আইনের মাধ্যমে গ্রেফতার কার্যক্রম চলতে থাকে। ২০২৩ সালে এক গণমাধ্যমকর্মীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হলে, আইন বাতিলের দাবি আবারও শীর্ষে উঠে আসে।

পরবর্তীতে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির নাম পরিবর্তন করে ‘সাইবার সিকিউরিটি আইন’ রাখা হয়, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাস হয়। এই আইনে পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, এক সপ্তাহের মধ্যে এই আইন বাতিল করা হবে এবং এর অধীনে যেসব মামলা হয়েছে সেগুলোকেও বাতিল করা হবে। এছাড়া, মতপ্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



সিটিসেল ফিরছে সাশ্রয়ী মূল্যে, এক নতুন প্রযুক্তির সাথে

বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল আবারও ফিরতে যাচ্ছে সাশ্রয়ী মূল্যে, এইবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে। সম্প্রতি, রাজধানী ঢাকার মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সিটিসেল ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) থেকে তরঙ্গ বরাদ্দ পায় এবং পরবর্তীতে হংকং হাচিসন টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেডের বিনিয়োগের মাধ্যমে ‘হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড’ নামে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯৩ সালে আবারও মালিকানা পরিবর্তিত হয়ে এটি প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডে রূপান্তরিত হয় এবং ‘সিটিসেল’ নামের ব্র্যান্ডিং শুরু হয়।

২০১৬ সালে সিটিসেলের কার্যক্রমে বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা আসে, তবে ২০২৩ সালে সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়। এসময় সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লাখ, কিন্তু সরকারের পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা ছিল। যদিও পরবর্তীতে তাদের ২৪৪ কোটি টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি ২৩৩ কোটি টাকার বকেয়া থেকে ১২৮ কোটি টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। সিটিসেল এখন সরকারের কাছে তরঙ্গ পুনরায় চালু করার আবেদন করেছে এবং তাদের দাবি করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক কারণে তাদের ব্যবসায় বাধা দেওয়া হয়েছে। তারা ৮ বছরে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

এই সংকটের পর, সিটিসেল আবারও তাদের ব্যবসা চালু করতে চায় এবং নতুন প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স দাবি করছে, যাতে ফাইভজি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সিটিসেলের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তারা আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করেছেন এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাতে চান।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, সিটিসেলের আবেদন এসেছে এবং তারা কোম্পানিটির সঙ্গে বসে আলোচনা করবেন।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের উন্নতির জন্য সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতি ও সহায়তার প্রয়োজন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বৈদ্যুতিক যান (ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি) শিল্পের অগ্রগতির জন্য সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতি সহায়তা, গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযুক্তি অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।

৮ নভেম্বর, শুক্রবার, রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্প: নীতি-চ্যালেঞ্জ-সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সেমিনারটি আয়োজন করে। এই সেমিনারের মাধ্যমে, গতকাল রাজধানীর কুড়িলে আইসিসিবিতে তিন দিনব্যাপী বিইভিএমএক্স-২০২৪ এবং বিমেক্স-২০২৪ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীও উদ্বোধন করা হয়।

এতে বক্তারা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নতির দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী সেমিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, “ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইভির ব্যবহার রয়েছে। নরওয়ে এবং সুইডেনে প্রায় ৮০% গাড়ি ইভি এবং চীনে ২৫%। এ শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। বাংলাদেশে ইভি শিল্পের বিকাশের জন্য প্রচুর গবেষণা এবং সক্ষমতা তৈরির পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজন। চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শের দরকার।” সচিব আরও জানান যে, শিল্পটির উন্নয়ন নিয়ে তিনি এনবিআর ও শুল্ক বিভাগসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মোবিলিটি অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএমএ) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, আকিজ গ্রুপের পরিচালক ও আকিজ মোটরসের সিইও এসকে আমিনুদ্দিন, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উপাচার্য ড. মো. আশরাফুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক মো. এহসান, এনসেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, ব্লু সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা জাহান বিন্তি, সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইজুল আলম প্রমুখ।

প্রদর্শনীতে ১৫টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৮০টিরও বেশি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী প্রদর্শনীটি দেখছেন।

প্রদর্শনীটি ৭ থেকে ৯ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম



স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী রাখবেন

আজকের প্রযুক্তির উন্নতিতে স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। তবে স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, যার ফলে তার আয়ু কমে যেতে পারে। কিন্তু কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি অনেক সময় ভালো রাখা যায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কীভাবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব:

১. স্ক্রীন ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন
স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার একটি প্রধান কারণ। যদি স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা যায়, তবে ব্যাটারি অনেক সময় পর্যন্ত চলতে পারে।

২. শতভাগ চার্জ না করুন
স্মার্টফোনের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি হওয়ায়, অতিরিক্ত চার্জ বা পুরোপুরি চার্জ করলে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সর্বোত্তম চার্জিং লেভেল হলো ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ। তাই, ফোনের ব্যাটারি কখনো শতভাগ চার্জ না করাই ভালো।

৩. ফোনের ভাইব্রেশন বন্ধ রাখুন
ভাইব্রেশন রিংটোনের তুলনায় বেশি শক্তি খরচ করে। তাই, যতটা সম্ভব ফোনের ভাইব্রেশন বন্ধ রেখে রিংটোন ব্যবহার করুন।

৪. বালিশের নিচে ফোন চার্জ করবেন না
বালিশের নিচে ফোন চার্জ করলে ফোন গরম হয়ে যায়, যা ব্যাটারির ক্ষতির কারণ হতে পারে। খোলামেলা জায়গায় ফোন চার্জ দেওয়া উচিত।

৫. ব্রাইটনেস অটোমেটিক রাখুন
আধুনিক স্মার্টফোনে অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর থাকে, যা আশপাশের আলো অনুযায়ী স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা সামঞ্জস্য করে। এটি ব্যাটারির ব্যবহার কমিয়ে রাখে।

৬. পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন
পাওয়ার সেভিং মোড স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করে, স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে এবং সিপিইউ কর্মক্ষমতা হ্রাস করে ব্যাটারি লাইফ বৃদ্ধি করে।

৭. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখুন
অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে এবং বেশিরভাগ ব্যাটারি খরচ করে। এই অ্যাপগুলো বন্ধ রাখুন, যা ব্যাটারি সাশ্রয়ী করতে সাহায্য করবে।

৮. ডার্ক মোড ব্যবহার করুন
ডার্ক মোড ব্যাটারি অপচয় কমিয়ে দেয়, কারণ এতে স্ক্রীনে কম শক্তি লাগে। তাই, ডার্ক মোডে ফোন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




প্রতারণা প্রতিরোধে ইমো’র উদ্যোগ: ২ লাখ অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ

ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ইমো সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত হ্যাকিং, হয়রানি ও প্রতারণার সাথে জড়িত প্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ইমো ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুরক্ষিত ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করতে চায়।

ইমো তার ‘অটো টেকনোলজি’ ব্যবহারের মাধ্যমে ৪ লাখ ৩৫ হাজার অ্যাকাউন্টকে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করেছে। এছাড়া, ৯ হাজার ৬০০টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করে তাদের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে। সাইবার নিরাপত্তার হুমকি যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। তাই ইমো এই সমস্যাগুলোর সমাধানে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।

এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম নিরাপত্তা ফিচার হলো ‘লগইন প্রোটেকশন,’ যা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে অননুমোদিত প্রবেশ বন্ধে সহায়তা করে। পাশাপাশি, ‘টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন’ এবং ‘ট্রাস্টেড ডিভাইস’ ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আরও সুরক্ষিত থাকতে পারেন। এছাড়াও, ‘সিম বাইন্ডিং’ ফিচার নির্ভরযোগ্য ডিভাইসের মাধ্যমে লগইন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য, ব্যবহারকারীরা নিয়মিতভাবে ‘ম্যানেজ ডিভাইস’ চেক করে সন্দেহজনক ডিভাইস অপসারণ করতে পারেন। এছাড়া, একাধিক ডিভাইসে লগইন এড়াতে ‘মাল্টি ডিভাইস’ ফাংশন বন্ধ রাখা যেতে পারে। ইমো কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই পদক্ষেপগুলো ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে এবং ভবিষ্যতে প্ল্যাটফর্মটি আরও সুরক্ষিত করার জন্য কাজ করে যাবে।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




ব্লুটুথ ৬.০: নতুন বৈশিষ্ট্যে প্রযুক্তি অভিজ্ঞতায় পরিবর্তন

প্রযুক্তি দুনিয়ায় ব্লুটুথ ৬.০ নিয়ে এসেছে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। এই নতুন ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তি, যা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বিস্মিত করবে। বিশেষ করে “চ্যানেল সাউন্ডিং” নামের বৈশিষ্ট্যটি প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।

টেক ওয়েবসাইট ইজুরিওর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিগগিরই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে আসতে চলেছে ব্লুটুথ ৬.০। এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে ব্লুটুথ ডিভাইসগুলো উপস্থিতি, দূরত্ব এবং দিকনির্দেশ সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে সক্ষম হবে। সহজভাবে বললে, কোনও ডিভাইসের অবস্থান এবং দূরত্ব নিখুঁতভাবে জানা যাবে, যা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

এছাড়া, ব্লুটুথ ৬.০ নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে থাকা স্মার্ট ডোর অটোমেটিক আনলক করার মতো হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরিতে সহায়তা করতে পারে। নতুন একটি ফিচার, ডিসিশন ভিত্তিক অ্যাডভার্টাইজিং ফিল্টারিং ও মনিটরিং, ব্যবহারকারীর কাজে আরও সুবিধা আনবে। এটি ডিভাইসের অ্যাডভার্টাইজিং প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেয়ারিংয়ের আগে অন্য ডিভাইসের ব্লুটুথ স্ক্যান করে ডুপ্লিকেট ডেটা নিরীক্ষণ করবে।

এছাড়া, এই ব্লুটুথ ভার্সন স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট প্রসেসরের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে কাজ করতে সক্ষম। ভবিষ্যতের স্মার্টফোনগুলোতে ব্লুটুথ ৬.০ সমর্থন নিশ্চিত করতে উন্নত প্রসেসর যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি।

 

মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম




বজ্রপাতের সময় মোবাইল ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে বিপদ

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্ষাকালে প্রায়ই বজ্রপাত ও বৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। জানেন কি, একটি সাধারণ বজ্রপাতের সময় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট এবং প্রায় ৩০,০০০ এম্পিয়ার এর বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়? যেখানে সাধারণ বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের পরিমাণ মাত্র ২২০ ভোল্ট। বজ্রপাতের কারণে ঘরের ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই এই সময়ে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখুন:
বজ্রপাতের সময় বাড়ির টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার, ল্যাপটপের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগ খুলে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ আকর্ষণে এই যন্ত্রগুলো সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়ির যন্ত্রপাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে এই সময়ে বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।

মোবাইল ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন:
বজ্রপাতের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও মোবাইলের সঙ্গে সরাসরি কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে না, বিজ্ঞানীদের মতে মোবাইল থেকে নির্গত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি বজ্রপাতকে নিজের দিকে টেনে নিতে পারে, যা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে রাস্তায় বা বাড়ির ছাদে মোবাইল ব্যবহার করার সময় এই বিপদ আরও বেড়ে যায়।

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, বজ্রপাতের সময় মোবাইল ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৫ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ কারণে খারাপ আবহাওয়ায় বাড়িতে থাকলে মোবাইল বন্ধ রাখা এবং বাইরে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাওয়ার কাট এবং মোবাইল বন্ধ রাখুন:
বজ্রপাতের সময় বাড়ির ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা অত্যন্ত জরুরি। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির পাওয়ার সংযোগ বন্ধ না করলে এগুলোতে আকাশ বিদ্যুতের প্রভাব পড়তে পারে, ফলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো আকাশ বিদ্যুতের পরিবাহী হিসাবে কাজ করতে পারে, তাই বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছাকাছি থাকা থেকে বিরত থাকুন।

বজ্রপাতের এই সময়গুলোতে সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজের এবং প্রিয় গ্যাজেটগুলোর নিরাপত্তার জন্য সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।




ল্যাপটপ বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ল্যাপটপ বর্তমানে আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, ল্যাপটপ সব জায়গায় ব্যবহৃত হয়। তবে এর সঠিক ব্যবহার এবং যত্ন না নিলে বিপদ হতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। তাই কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপকে ঠান্ডা রাখা যায় এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

১. কুলিং ফ্যান রক্ষণাবেক্ষণ:
ল্যাপটপের কুলিং ফ্যান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিশেষ করে পুরোনো ল্যাপটপগুলোতে গরম হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। যদি ফ্যানটি সঠিকভাবে কাজ না করে তবে ল্যাপটপের বাইরে তাপ প্রবাহ কম অনুভূত হয়। এ অবস্থায় ফ্যান মেরামত করানো উচিত। এটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এবং বিস্ফোরণের ঝুঁকি কমাবে।

২. বায়ুচলাচল বজায় রাখা:
ল্যাপটপের নিচে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই ল্যাপটপটি এমন স্থানে রাখা উচিত যেখানে বায়ুপ্রবাহ ভালোভাবে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও, ল্যাপটপ কুলিং ম্যাট ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত গরমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

৩. ল্যাপ ডেস্কের ব্যবহার:
অনেকেই কোলে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কোলে রেখে কাজ করার পরিবর্তে ল্যাপ ডেস্ক ব্যবহার করলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ল্যাপ ডেস্কে বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, ফলে ল্যাপটপের তাপমাত্রা কম থাকে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারে নিরাপদ থাকে।

৪. সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখা:
ল্যাপটপ সরাসরি সূর্যের আলোতে ব্যবহার করা উচিত নয়। সূর্যের আলোর তাপে ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। বাইরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে, ল্যাপটপকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে যাতে এর তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ল্যাপটপের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কুলিং সিস্টেমে যত্ন নেওয়া হলে বিস্ফোরণসহ অন্যান্য ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই সঠিকভাবে ল্যাপটপ ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।